বিয়ে....

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৪ মার্চ, ২০২০, ১০:৪২:০৪ সকাল

আল্লাহ মানুষকে পুরুষ ও নারীতে বিভক্ত করেছেন। একের প্রতি অন্যের জন্যে আবেগ তৈরী করেছেন। উভয়কেই ভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন করেছেন। আবার উভয়কেই বিশেষ বৈধতার মাধ্যমে একসাথে এসে সংসার,পরিবার তৈরী করতে বলেছেন। আল্লাহ মানুষের ভেতর বিপরীত লিঙ্গের প্রতি যে সহজাত আকর্ষণ তৈরী করেছেন, সেটা চরিতার্থ করার সঠিক পন্থাও তার রসূলের(সাঃ) মাধ্যমে জানিয়েছেন,সেটা হল বিয়ে। এটা এমন একটি সামাজিক ও ধর্মীয় চুক্তি,যার মাধ্যমে বান্দা অত্যন্ত দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে। রসূল(সাঃ) নেক স্ত্রীকে দিনের অর্ধাংশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং বলেছেন বাকী অর্ধাংশের জন্যে মনোযোগী হও। বিয়ে অত্যন্ত বরকতপূর্ণ একটি বিষয়। আল্লাহ অভাবীকেও স্পেশাল রিজিক দিয়ে থাকেন বিয়ের মাধ্যমে। বিয়ে তরুনকে তার ভালো কাজে মনোসংযোগে ব্যপক সহায়তা করে,অস্থিরতা দূর করে। বিয়ে সমাজকে বহু অপরাধ মুক্ত হতে সহায়তা করে। যদিও দ্রুত বিয়ে করাকে সমাজ এখন ভালো ভাবে দেখেনা, কিন্তু বিয়ের মাধ্যমে তরুন,যুবকরা সবচেয়ে বেশী উপকৃত হতে পারে। নারী-পুরুষের অবৈধ প্রেম থেকে পরবর্তীতে তৈরী হওয়া বহু ধরনের হিংসাত্বক কর্মকান্ড,অভিমানী কর্মকান্ড,বহু ধরনের পাপে বা অপরাধে সমাজ জর্জরিত হয়।

তরুনদের অন্তর থাকে পরিষ্কার, নিষ্কলুষ,, আর সেখানে যখন আঘাত লাগে, তখন তারা তাদের তারুন্যের শক্তিকে ভুল পথে পরিচালনা করে। বিষয়টা খুবই স্পর্শকাতর। জটিল ধরনের সমস্যা তৈরী হয়। সে নিজের ক্ষতি করে এবং সমাজেরও। বিয়ে মানুষকে ওদিকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হিসেবে কাজ করে। পরিবার বা অভিভাবকদের উচিৎ সাবালক বা সাবালিকা সন্তানদেরকে নিজ দায়িত্বে বিয়ে দেওয়া এবং একটা সময় পর্যন্ত তাদেরকে দেখাশুনা করা,ভরনপোষন করা। এরপর তারা নিজেরা যখন উপার্জন করতে শিখবে তখন তারা নিজেদেরকে চালাবে। কিন্তু সে প্রতিযোগীপূর্ণ সমাজে নিজের পায়ে দাড়াবে ,এরপর বিয়ে করবে, এমন নীতিতে অটল থাকলে একদিকে সমাজ অপরাধের স্বর্গরাজ্য হবে, অপরদিকে ওই সন্তানের আবেগ থেকে সৃষ্ট পাপের বোঝা তার পিতা-মাতা-অভিভাবকের উপর চাপবে। বহু পিতা-মাতা আখিরাতে ব্যভীচারী,পাপী হিসেবে উঠবে,যদিও তারা সেসব অপরাধ করেনি। তারা তাদের নীতির কারনে সন্তানের যৌন আবেগ সংক্রান্ত পাপের ভাগীদার হবে। আল্লাহ ওই আবেগ দিয়েছেন পরিক্ষার জন্যে। কিন্তু দীর্ঘ সময় তাকে বঞ্চিত রাখলে সে হতাশ হয়ে পাপে মত্ত হতে পারে। পরিবার ও সমাজের উচিৎ তরুন-যুবকদের বিয়েতে উৎসাহিত করা। তারা পবিত্র সম্পর্কের মাধ্যমে সমাজকে অনেক বেশী সুন্দর ও অর্থবহ করতে পারে।

"তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন কর এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরও। তারা অভাবগ্রস্ত হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।"

--[সূরা নূর ২৪, আয়াত ৩২]

আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আ'নহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, "তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ দায়িত্ব; আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী মুজাহিদ, সেই ক্রীতদাস যে নিজেকে স্বাধীন করার জন্য তার প্রভুকে কিস্তিতে নির্দিষ্ট অর্থ দেওয়ার চুক্তি লিখে সেই অর্থ আদায় করার ইচ্ছা করে এবং সেই বিবাহকারী যে বিবাহের মাধ্যমে নিজের চরিত্রের পবিত্রতা কামনা করে।"

--[আহমাদ ৭৪১৬, তিরমিযী ১৬৫৫, নাসাঈ ৩১২০, ইবনে মাজাহ ২৫১৮, সহীহুল জামি ৩০৫০]

বিষয়: বিবিধ

৮৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File