মালিহা
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৫ আগস্ট, ২০১৯, ১০:৪১:৫৩ সকাল
--------
উত্তরার আগা খান ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অন্যতম সেরা ছাত্রী ছিলো সে। তবে বেশ স্বাধীনচেতা আর হৈ হুল্লোড় প্রিয় মেয়ে। ধনী পিতামাতার সন্তান হওয়াতে সবকিছুই না চাইতেই পেয়ে যেত। জীবনের শুরুতেই পিতা-মাতার ভেতর দূরত্ব দেখে ভেতরে ভেতরে কেমন যেন হয়ে পড়ে সে। বাড়ির চাইতে বাইরেই তার ভালো লাগত বেশী, কিন্তু পারিবারিক শাসন থাকায় বাইরে বেশীক্ষন থাকা সম্ভব ছিলোনা। যখন সে ক্লাশ নাইনে, তখন থেকে তার মায়ের ভেতর পরিবর্তন শুরু হয়। তার মা হিজাব পরা শুরু করে এবং তাকেও বাধ্য হয়ে হিজাব পরতে হয়। বাড়িতে থাকা অবস্থায় বাধ্য হয়ে নামাজও পড়তে হত। তার পিতা তার তেমন খোঁজ খবর করত না। মায়ের থেকে জেনে নিত পড়াশুনা কেমন চলছে। ব্যবসায়িক কাজে দেশ বিদেশে ঘুরত খুব। স্কুলে মালিহার অনেকগুলো ছেলে বন্ধু ছিলো এবং তাদের বেশীরভাগই ছিলো ধনী পরিবারের উশৃঙ্খল সন্তান। এভাবে মালিহা স্কুল পেরিয়ে "এ লেভেল" শেষ করে। এরপর উচ্চতর পড়াশুনার জন্যে আমেরিকার নিউ ইয়র্কে গমন করে।
আমেরিকা সম্পর্কে মালিহার ধারনা যথেষ্ট ছিলো। সহপাঠী ও বন্ধু অনেকে এ লেভেল দিয়েই আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে পড়তে গেছে, তাদের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ হত। নিউ ইয়র্কে মালিহার খালার বাসায় থেকে সে পড়াশুনা করত। কিন্তু মাস ছয়েকের ভেতর মালিহার খালা তার পিতাকে মালিহা সম্পর্কে খারাপ কিছু তথ্য দেয় যে, মালিহা এখানে এসে ঘরে শালীন পোষাক পরে কিন্তু ব্যাগের ভেতর শর্টস রাখে। বাইরে গিয়ে শর্টস পরে বয় ফ্রেন্ডের সাথে ঘোরে। মালিহার খালা বেশ কয়েকবার দেখেছে। বিষয়টি মালিহার পিতা তেমন পাত্তা দেয়না, ভাবে ওদেশে এটা ব্যাপার না। কিন্তু মালিহার মা এটা নিয়ে বেশ উচ্চবাচ্য করে। এর কিছুকাল পর মালিহা কিছু অজুহাত দেখিয়ে তার খালার বাসা ছেড়ে ভিন্ন এপার্টমেন্টে ওঠে।
মালিহা সপ্তাহে ২০ ঘন্টার একটা পার্ট টাইম জব করতে থাকে বছর খানেক পর থেকে। কিন্তু তার ধনী পিতা তাকে এটা করতে নিষেধ করে এবং সকল খরচ প্রতি ৩মাস অন্তর পাঠিয়ে দেয়। মালিহা পড়াশুনায় বেশ ভালো। ভালো রেজাল্ট করে। এরপর আস্তে আস্তে তার ছন্দ পতন হতে থাকে। সে বাঁধনহারা হতে চেয়েছিলো বরাবরই। খালার বাসা ছাড়ার পরপরই সে সেই সুযোগটা পেয়ে যায়। তার যা মনে চায় তাই করতে থাকে। প্রথমে বাঙ্গালী ছেলে ফ্রেন্ডদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে মিশতে থাকে। ফেসবুকে তাদের ফ্রেন্ডদের যে গ্রুপ ছিলো সেখানে কার কয়টা বয়/গার্ল ফ্রেন্ড সেটা নিয়ে বড়াই,প্রতিযোগীতা হত। মালিহা সকলকে চমকে দেয় সাদা ছেলেদের সাথে মেলামেশা করে। একাধীক সাদা চামড়ার আমেরিকানের সাথে তার উঠা বসা। হিজাব ফেলে দিয়েছে অনেক দিন হয়। সাদা চামড়ার বয় ফ্রেন্ড এর সাথে নানান ভঙ্গিমায় ছবি তুলে গ্রুপে পোস্ট দিয়ে সে প্রশংসা কুড়ায়। অনেকে হিংসা করে, কারন মালিহা একটু ডার্ক ধরনের।
অবস্থা এমন হল যে মালিহা প্রতিমাসেই প্রায় বন্ধু বদল করে। তাদের সাথে এপার্টমেন্টে থাকে। পুরোদস্তুর আমেরিকান হয়ে যায় সে। জীবনকে যেমন স্বাধীনতায় সে উপভোগ করতে চেয়েছিলো ঠিক তেমনভাবেই উপভোগ করে সে। পিতা-মাতার ফোন আসলে খুব সুন্দর করে মিথ্যা বলে তাদেরকে খুশী রাখে। নানান সময়ে মিথ্যা বলে কিছু বাড়তি পয়সাও নেয়। অনলাইনে পিতা-মাতার জন্যে কিছু উপহার কিনে পাঠিয়ে তাদের নয়নের মনি হয়ে থাকে। এভাবে চলতে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় পড়তে আসা ছাত্র,ছাত্রীদের ধরন দু রকম। এক রকম হল এমন যে, তারা শুধু পড়তে আসে এবং কোনোভাবেই তারা আমেরিকান হয়ে যায় না। এদের এক পক্ষ খুবই কঠোরভাবে ইসলামী শাসন মেনে চলে, আরেক পক্ষ কিছুটা ছাড় দেয়,তবে ইসলাম মেনে চলে। হালকাভাবে কিছু আমেরিকান কালচার গ্রহন করে, তবে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো কিছুই গ্রহন করেনা। নিজেদেরকে বাঁচিয়ে চলে। আরেক শ্রেণী এখানে আসেই এ কারনে যে তারা জীবনকে খুব স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারবে নিজেদের মত করে। এরা সব কিছুকেই হালকা করে দেখে। জীবন দর্শন হল "ফলো ইওর হার্ট" অর্থাৎ অন্তর যা চায় তাই করে প্রশান্ত হও এবং এতে দোষের কিছু নেই, তবে অন্যকে ক্ষতি করোনা। এই শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা যেকোনো মূল্যে আমেরিকান হতে চায় এবং পোষাকে,আচরণে পুরোপুরি আমেরিকান হতে পেরে গর্ব অনুভব করে। তবে এরা দেশী কোনো অনুষ্ঠানে বা বাঙ্গালী মুসলিমদের পরিবারে গেলে রং বদল করে। মূলত ফ্রি মিক্সিং কালচারে এরা আমেরিকানদের থেকে অন্তত ২ কাঠি বেশী এগিয়ে থাকে। অনেকে ব্যাগে লম্বা পোষাক রেখে বিকিনি পরে বয় ফ্রেন্ডদের সাথে জলক্রিড়া,সানবাথ করে। ছেলেরাও এমন। বহু আমেরিকান ছেলে -মেয়ে এশিয়ান শ্যামলা রং এর মানুষ পছন্দ করে, ফলে বন্ধু জোটাতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়না।
যাইহোক মািলহার জীবন এভােবই কাটিছেলা। জীবনকে খুব বেশী সিরিয়াসলী নেয়নি মালিহা। কিন্তু একটা সময় তার ভেতর ভাবনা আসে যে, যেভাবে জীবন চলছে সেভাবে চলার প্রাপ্তী কি ? এতটা স্বাধীনভাবে ও স্বচ্ছলতার সাথে জীবন পরিচালনা করার পরও তার ভেতর সুখটা ছিলোনা পুরোপুরি। তার লজিক অনুযায়ী সুখী থাকার কথা, কিন্তু কেমন যেন লাগছিলো জীবনটাকে। কিসের যেন ঘাটতি, কোথায় যেন কিছু বাধা আছে। প্রায়'ই তার মন ভালো থাকত না। এর সঠিক কারনও তার জানা ছিলোনা। এক সময় অন্য কিছু বন্ধুকে দেখলো তারা বিয়ে করে সংসারী হয়েছে। বাচ্চাদের সাথে সুন্দর সময় কাটাচ্ছে। মালিহার মাথায় তখন বিয়ে সংক্রান্ত চিন্তা আসলো। বিয়ে ছাড়াও সে সন্তান নিতে পারত,ওটাকে সে ঘৃণা করত না কিন্তু সে বাস্তবিকভাবেই জানত, বিয়ে ছাড়া সন্তানের ক্ষেত্রে আমেরিকাতে পুরুষের দায় থাকেনা,যেমনটা বিয়ের ক্ষেত্রে থাকে। বহু সন্তানসহ মা'কে ফেলে বয় ফ্রেন্ডরা পালিয়েছে। একা একা এই পরিবেশে সন্তান পালন প্রায় অসম্ভব। মাত্রািতিরিক্ত ব্যক্তি স্বাধীনতা ও সুখভোগের প্রবনতা এদেরকে ততটা দায়িত্বশীল করেনি। অন্যের জন্যে আত্মত্যাগের প্রবনতা ব্যক্তিগত সুখভোগের ক্ষেত্রে ব্যপক বাধা। অংক কষে চলা মানুষ এত ছাড় দিতে চায়না, তা সে বন্ধু হোক আর সন্তানই হোক ! মালিহা জানে সব। ক্ষুধার্ত অবস্থায় এক রুটি অন্যের সাথে ভাগ করে খাওয়া জাতি এটা না। তবে অনেকে লাখ ডলারের মালিক হয়ে হাজার ডলার দান করার মত মানসিকতা রাখে।
এক আমেরিকানকে বেশ ভালো জানত সে। তার সাথে মালিহার বন্ধুত্ব তৈরী হয়। ইতিমধ্যেই ধর্মকে সে বিসর্জন দিয়েছে। মনে মনে নিজেকে মুসলিম মনে করলেও কাজে সে আসলে কোনো ধর্মেরই ছিলোনা। ছেলেটাকে ভালোবাসতে শুরু করল সে। উদ্দেশ্য বিয়ে করে সংসারী হবে। কিন্তু ছেলেটা যখন বুঝলো যে মালিহা তাকে সারা জীবনের জন্যে পেতে চায়, তখন সে খানিকটা ঘাবড়ে গেল। কারন তার কাছে জীবন হল এমন যে, মেয়ে মানুষ আসবে যাবে, এতটা বিচলিত হওয়ার কি আছে ! কিন্তু মালিহা সিরিয়াস।
এর ভেতর আরেক ঘটনা ঘটলো। মালিহা লক্ষ্য করল, তার বর্তমান আমেরিকান বয় ফ্রেন্ডটি তার সাবেল বাঙ্গালী বয়ফ্রেন্ডের সাথে গোলাঘুরি করছে। ওরা একে অপরকে চিনত,তাই মালিহা পাত্তা দিলনা। কিন্তু দিন দিন আমেরিকান বয়ফ্রেন্ডটি মানসিকভাবে তার থেকে সরে যেতে থাকল। মালিহা একবার তার খালার বাসায় থাকল কয়েকদিন। ফিরে এসে যা দেখলো তার জন্যে সে প্রস্তুত ছিলোনা। সে আপত্তিকর অবস্থায় তার বর্তমান ও সাবেক বয়ফ্রেন্ডকে বেডরুমে আবিষ্কার করল। এ দৃশ্য দেখে মালিহা নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না। সে উচ্চস্বরে চিৎকার চেচামেচি,গালাগালি করে ভাংচুর করতে থাকল।
পরিস্থিতি শান্ত হলে তার বয় ফ্রেন্ড তাকে বলল, দ্যাখো মালিহা মানুষ স্বাধীনভাবে জন্মেছে,ফলে তার উপর কারো কতৃত্ব নেই। সমাজে শৃঙ্খলা রাখার জন্যে আমরা সামাজিক বিধান মানি সেটা ঠিক আছে, কিন্তু আমাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। আমি তোমাকে ভালোবাসি,কিন্তু একইসাথে তোমার বয়ফ্রেন্ডকেও ভালোবেসে ফেলেছি। আমি উভগামী। তবে আমি শুরুতে উভগামী ছিলাম না। কয়েকমাস আমি আমার গে বন্ধুদের সাথে থেকে কিছু বিষয় রপ্ত করেছি, আমার ভালো লেগেছে।
মালিহা অবাক হল বাঙ্গালী বয় ফ্রেন্ডের ব্যাপারে। সে কখনই গে ছিলোনা,সম্ভাবনাও ছিলোনা। মালিহা বিষয়টা নিয়ে রীতিমত গবেষণা শুরু করে। সে ভয়াবহ সব তথ্য দেখতে পায়। আমেরিকাতে গে, লেসবিয়ানের সংখ্যা বাড়ছে হুহু করে। এদের সংখ্যা এখন কোটি কোটি। অনেকে সঙ্গীর ব্যাপারে হতাশ হয়ে, অনেকে স্বেচ্ছায় বা কৌতুহলী হয়ে সমকামী হচ্ছে। এদের নানান গ্রুপ আছে এবং তাদের নানান পার্টি হয়। সেখানে কেও গেলে আকৃষ্ট হতে পারে, এমনভাবেই তারা কর্মকান্ড চালায়।
মালিহা জীবনেও এটা ভাবতে পারেনি। ঘৃণায় তার মুখ থেকে থুথু বের হল। সে স্পষ্ট দেখল এরা জীবনকে উপভোগের নামে স্রেফ নোংড়ামী করছে এবং প্রাকৃতিকভাবে যা হওয়ার না,সেটাকেই প্রকৃতির নামে চালানোর চেষ্টা করছে জোর করে। সে স্রেফ মানসিক বিকারগ্রস্ততাই দেখতে পেল যদিও ডাক্তাররা নানান কথা বলে। সেখানেও সমস্যা। সত্তুর এর দশকের ডাক্তাররা সমকামীতাকে মানসিক বিকারগ্রস্ততা বলত বা অসুস্থ্যতা বলত, কিন্তু ৮০এর দশক থেকে তারা এটাকে সহজাত প্রবনতা বলে আখ্যায়িত করে। তার মনে হল জীবনটা শৃঙ্খলার নাম। উদ্ভট বিষয়কে সহজাত ভাবলে জীবনের গতি ছন্দহীন হয়ে পড়ে, কষ্ট সৃষ্টি হয়। বল্গাহীন স্বাধীনতা আসলেই স্বাধীনতা নয়। এটা হতাশা তৈরী করে। ক্রমাগত বাধা বিপত্তিহীনভাবে চলতে চলতে মানুষ বেশী হতাশ হয়ে পড়ে, কারন সর্বদা নতুন কিছু করতে ভালো লাগে তার। তার সীমাবদ্ধতা তাকে তার মনের মত স্তরে পৌঁছতে দেয়না। এমনকি মনও বুঝতে পারেনা, এরপর ঠিক কি করা উচিৎ। যা খুশি তাই করতে করতে সে এমন একটা স্তরে এসে উপনীত হয়,যেখান থেকে আর সামনে যাওয়া যায়না। এরপর কি হতে পারে তা বুঝতে পারেনা। কিন্তু তার মন সামনে যেতে চায়। এই পরষ্পর বিরোধী কর্মকান্ডে সে হতাশ হয়ে পড়ে। এ পর্যায়েই মূলত মানুষের ঐশ্বরীক জ্ঞান বা ঐশী জ্ঞান দরকার হয়। কারন সেই অবস্থাটি কেবল স্রষ্টারই জানা থাকে। ওই পর্যায়ে কেবল স্রষ্টাই জানেন তাকে কি করতে হবে এবং কি করলে সে মানসিক প্রশান্তি লাভ করতে পারবে। মালিহা এই পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
==========================
পরের সপ্তাহে মালিহা সবকিছু ছেড়ে তার খালার বাসায় চলে যায়। পরের শুক্রবারে সে জুম্মার নামাজ আদায় করে। বহু বছর পর তার মনের ভেতর ভিন্ন রকমের প্রশান্তি কাজ করে। সেজদায় গিয়ে সে বিগলিত হয়ে যায়। বাঁধভাঙ্গা অশ্রুতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকে। ইমামের সাথে দেখা করে সে তার জীবনের সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। ইমাম তাকে খুব সুন্দর গাইডলাইন দেয়।
পুরোনো স্যুটকেস থেকে মায়ের দেওয়া বোরখাগুলো বের করে মালিহা। এতদিনে মায়ের সাথে যে দূরত্ব তৈরী হয়েছিলো সেটা কমিয়ে আনে সে। তার কাছে মনে হতে থাকে, যেসব সম্পর্কগুলোকে সে পূর্বে মূল্যায়ন করেনি ,সেগুলোকে পূর্ণর্জীবিত করতে পারার ভেতরই জীবনের প্রকৃত স্বার্থকতা। পিতা-মাতা সন্তানের সবচেয়ে আপন ও প্রকৃত কল্যানকামী সেটা তার উপলব্ধীতে ধরা দেয়। পেছনের জীবনের জন্যে মালিহা অনুতপ্ত হয়।
=====================================
সিংগাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে মালিহার পিতার ফোন আসে। পিতা বলে, মামনী, আমার হার্টের বাইপাস সার্জারী হয়েছে। আমার বয়স হয়েছে, দূর্বল হয়ে পড়েছি। তুমি মাস্টার্স শেষ করেছো, চাকুরীরও অভিজ্ঞতা হয়েছে। উন্নত দেশে থেকে বহু কিছু দেখেছো, অভিজ্ঞ হয়েছো। আমি চাই তুমি দেশে ফিরে আমার ব্যবসাটা দ্যাখো। জীবন চালাতে যে টাকা প্রয়োজন, তা তুমি পাবে, কিন্তু জীবনের প্রকৃত স্পন্দন তুমি ওই পরিবেশে পাবেনা, যে পরিবেশটাকে তুমি শ্রেয় মনে করে আস্টেপিষ্টে জড়িয়েছিলে। তোমাকে আমি জীবন দেখাবো। তুমি নতুন করে বাঁচবে। তোমার মায়ের সাথে দীর্ঘ সময়ে আমার যে দূরত্ব তৈরী হয়েছিলো সেটা আর নেই।জীবনের এ পর্যায়ে আমার এই উপলব্ধী হয়েছে যে,তার মত কল্যানকামী আমার আর কেউ কখনও ছিলোনা। তুমি এখানে তোমার এক নতুন পিতাকে দেখবে।
-----------------------------------------
মালিহা তার আমেরিকান জীবন পর্ব শেষ করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সুন্দর আর শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবন যাপন করে। একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে সে আত্মপ্রকাশ করে। উত্তম চরিত্রের এক অমায়িক ধার্মীক লোককে বিয়ে করে সংসারী হয় সে। তওবা করে,জীবনে যেন কখনই,কোনো অবস্থাতেই পূর্বের সেই নোংড়া জীবনে ফিরে না যায়।
বিষয়: বিবিধ
১১৭৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন