বেওয়ারিশ বাংলাদেশঃ হাসিনার মতোই দেশের প্রতি দায়িত্ববোধহীন হয়ে গিয়েছে আমাদের সেনাবাহিনী?!

লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ১১ জুন, ২০১৪, ০৬:০৬:৩৪ সন্ধ্যা



বাংলাদেশ আজ যেন বেওয়ারিশ, এদেশকে যে যেভাবে চায় সেভাবে আক্রমণ করতে পারে, ব্যবহার করতে পারে। তার সর্বশেষ নমুনা দেখালো মায়ানমার সীমান্ত বাহিনী আজ। তারা আজ বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানায় একটি জাহাজে গুলি করে অনেক মানুষকে হতাহত করেছে। জাহাজটিতে ৩৫০জনের অধিক বাংলাদেশি ছিল বলে জানা যায়। এ পর্যন্ত খবরে বলা হয়েছে ৬জন নিহত এবং আহত অনেকে। কয়েক সপ্তাহ আগে তারা নৃশংস ভাবে বিজিবি'র এক সৈনিককেও হত্যা করেছিল। তার কোন প্রতিক্রিয়া আমাদের সেনাবাহিনী দেখাতে পারেনি। এরপর থেকে মায়ানমার বাহিনী সীমান্ত ও সাগরে যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সবসময় খবর প্রকাশ হচ্ছিল সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধি করেছে মায়ানমার এবং সমুদ্রে তারা যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করেছে। কিন্তু তার বিপরীতে আমাদের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি ইত্যাদি বাহিনীর কোন তৎপরতা দৃশ্যমান ছিল?

হ্যাঁ, তাদের তৎপরতা দৃশ্যমান ছিল। কিন্তু তা অন্য উদ্দেশ্য! সেনাবাহিনী আছে হাসিনার তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকারকে রক্ষায়, বিজিবি আছে জামায়াত-শিবিরের পিছনে, নৌবাহিনী যে কোথায় তা কেউই জানে না! মাঝে মাঝে নৌবাহিনীকে দেখি হাসিনাকে তাদের ড্রেস পরিয়ে ফটোসেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন জাহাজ উদ্বোধন করতে! তাদের সেই জাহাজগুলো এখন কোথায়? ওসব কি খেলনা জাহাজ? এসবের কাজ কি? মায়ানমার বাহিনীর বিপরীতে আমাদের নৌবাহিনী কি করছে? তারা যদি প্রস্তুত থাকতো তাহলে কি মায়ানমার বাহিনী এভাবে গুলি করার সাহস করতো?

আজব এক সরকার চালাচ্ছে এদেশ! ওদের কাজই শুধু গণভবনে কিভাবে এসএসএফ নিরাপত্তায় থাকা যায় তা নিশ্চিত করা! আর বিভিন্ন ব্যাংক, প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিজের বোন, মেয়ে ও ছেলের কাছে পাঠানো! দেশ, জাতি, মানুষ কোথায় যাবে তার কোন পরোয়া নেই। নিজেদের লালসা পুরণে আজ হাসিনা পুরো দেশকে ভিন দেশের হাতে যেন বন্ধক দিয়ে রেখেছে। আর দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ওরা নিয়োজিত শুধু হাসিনার ক্ষমতার নিরাপত্তায়! ওরা যেন আজ হাসিনার প্রাইভেট নিরাপত্তা বাহিনী, দেশের নিরাপত্তার কোন বাহিনী নয়!

সেনাবাহিনী, সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী না ফাংশন করছে ভারত সীমান্তে, না করছে মায়ানমার সীমান্তে, না করছে সমুদ্র সীমানায়! তাহলে ওদের কি কাজ? এদেশের মানুষকে ভারত হত্যা করে চলেছে নিয়মিত, কারো কোন প্রতিক্রিয়া নেই, এখন মায়ানমারও শুরু করেছে। না এখানেও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এদেশের সেনাবাহিনীর কোন ভূমিকা নেই! তাহলে কোথায় তারা আছে? শুধু হাসিনার অবৈধ ক্ষমতা পাহারায়? এ জন্যেই এই বাহিনীগুলোর পুরো পরিবার সহ চালানো হয় এদেশের মানুষের টাকায়? এক হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার নিরাপত্তা দিতে গিয়ে আজ দেশ রক্ষা বাহিনী ভুলে গিয়েছে পুরো দেশকে? এজন্যেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল? বাংলাদেশ এখন কি বাস্তবে স্বাধীন? বাংলাদেশের সীমান্ত, সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, মানুষ কোন কিছুই আজ আমাদের দেশরক্ষা বাহিনীগুলোর কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়, তাদের কাছে গুরুত্ব রয়েছে শুধু একটিই হাসিনার ক্ষমতা লিপ্সাপূরণে সহযোগিতা করা!

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ কি বেওয়ারিশের মতোই হয়ে গেলো আর স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী বাহিনীগুলোও হয়ে গেলো হাসিনার মতো অথর্ব?! হাসিনার মতোই তারা আজ দেশপ্রেমহীন ও দেশের প্রতি দায়িত্ববোধহীন হয়ে গিয়েছে?!

বিষয়: বিবিধ

২০৫৩ বার পঠিত, ৫৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

233816
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৩
দ্য স্লেভ লিখেছেন : সত্য বলেছেন। সকল বাহিনীকে অথর্ব করে ফেলা হচ্ছে। পূর্বে সীমান্তে একটা গুলির বিপরীতে ৫টি গুলি ছোড়া হত,আর বার্মা সাহস পেতনা এমন কিছু করার। এখন তো মনে হচ্ছে ভূটানও আক্রমন করবে। এক অসহ্য অনুভূতিতে ভূগছি।
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩২
180433
পুস্পিতা লিখেছেন : বাহিনীগুলোর মোরালিটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলেই মনে হয় বা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
233826
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৬
সন্ধাতারা লিখেছেন : একদম খাঁটি কথা। অপূর্ব লাগলো! অনেক ধন্যবা।
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৩
180436
পুস্পিতা লিখেছেন : দেশ আজ সার্বভৌমত্বহীন হয়ে পড়েছে...
233828
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৮
ভিশু লিখেছেন : শুধু বাহিনীদের দোষ কেন? সব বাহিনীতেই সত্যিকারের দেশপ্রেমিক আসল বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধা মা-বাবার সৎ-সাহসী সন্তানেরা আছেন! কিন্তু দোষ সরকার-প্রধানের, সরকারের ঘৃণ্য পলিসির! গণতান্ত্রিক দেশে সরকার নির্বাচন করবেন জনগণ, যদিও এদেশে বাহিনীদেরও অত্যন্ত ন্যাক্কারজনকভাবে ইউজ করা হয়, হচ্ছে! সুতরাং সঠিক নেতৃত্ব বাছাই করে নিতে সম্পুর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের রাজনীতি, সোনার বাংলার জনগণ; তাঁরা চরম হতাশাগ্রস্ত এবং বেশ নির্লিপ্তই বলতে হবে!
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৪
180440
পুস্পিতা লিখেছেন : দেশরক্ষাবাহিনীগুলো সহ দেশের মানুষ যেভাবে দেশের প্রতি অসচেতন ও নির্লিপ্ত হয়ে পড়েছে তাতে এদেশে নূতন পলাশী খুব আর দূরে নয় বলে মনে হয়।
233831
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৬
Sada Kalo Mon লিখেছেন : আপনি যে সব বাহিনীগুলোর কথা বলেছেন তারা এখন আওমীলীগের প্রাইভেট বডিগার্ড! তাদের দেশ পাহারা দেওয়ার কি দরকার পড়েছে, আর বিজিবি আর পুলিশ নামের হারামজাদাগুলো আছে জামায়াত-শিবিরকে প্রতিরোধ করার কাজে ব্যস্ত! তাদের সীমান্ত পাহার দেওয়ার কি দরকার পড়েছে আর তাদের সীমান্ত পাহারা দেওয়ার যে হেডামের দরকার তাও হাসিনা ভিটামিন দিয়ে শেষ করে দিয়েছে! এর ফলে যা হবার তাই হচ্ছে!
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
180446
পুস্পিতা লিখেছেন : বাংলাদেশের তথাকথিত সরকারের ভূমিকা আজ রায়দূর্লভ, বল্লভসেনদের মতো। সেনাবাহিনীতেও কি মীরজাফরদের সমাবেশ ঘটেছে?!
১২ জুন ২০১৪ বিকাল ০৫:১৩
180903
Sada Kalo Mon লিখেছেন : সেনাবাহিনী তো পুরাই মীরজাফরের দল!
233834
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : খামাখা কেন দোষারুপ করছেন আপু! একটু ধর্য্য ধরুন না, দেখুন কত কঠিন হুসিয়ারী আসছে- "ভবিষ্যতে এমন হলে পরিনতি হবে ভয়াবহ।" Don't Tell Anyone Don't Tell Anyone Don't Tell Anyone"
আমি অবশ্য সেই ভবিষ্যত পর্যন্ত থাকব কি না সেটাই ভাবছি! Surprised Surprised Surprised
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪১
180448
পুস্পিতা লিখেছেন : সেনাবাহিনীর প্রতিও এদেশের মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। তাদের আচরণের কারণে তা হচ্ছে। এটি একটি দেশরক্ষাবাহিনীর জন্য খুবই ভয়াবহ।
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৬
180459
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : মাথা ঠিক থাকলে দেহও ঠিক। দেশরক্ষাবাহিনীর কমান্ডিং লেবেলে মীর জাফররা আসীন হয়ে আছে, সুতরাং বাহিনীগুলো তো অথর্ব হবেই!
233836
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
ভিশু লিখেছেন : দেশপ্রেমিক বাহিনীর চেয়ে শেখ হাসিনার দরকার এখন স্বৈরাচারী-শাসন-প্রেমিক ভোগবাদী বাহিনী - যা এরকম একটি চরম গণবিরোধী সরকারের অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য অপরিহার্য! গড়ে তোলা হচ্ছেও ঠিক তাই! এই নির্লজ্জ-ঘৃণিত অপশাসনের বিরুদ্ধে শুধু হা-হুতাশ করে ঘরে বসে থাকলেই হবে?
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৮
180457
পুস্পিতা লিখেছেন : সে জন্যেই ভাবছি সাধারণ মানুষও যেভাবে অসচেতন হয়ে আছে পলাশী ফিরে আসতে মনে হয় খুব বেশি দেরি নেই। জনগণকেই এখন জেগে উঠতে হবে।
233839
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৯
সরল কথা লিখেছেন : দিন দিন অসহায় হয়ে যাচ্ছি আমরা
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৮
180458
পুস্পিতা লিখেছেন : সচেতন হতে হবে সবাইকে।
233846
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৭
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : দোষ হাসিনার নয়। দোষ হচ্ছে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত চার দলীয় জোট সরকারের। সাতজনকে ডিঙ্গিয়ে বাংলার ইতিহাসের দ্বিতীয় মীর জাফর কুখ্যাত মোনাফিক মইন ইউ আহমদকে কি হাসিনা সেনা প্রধান করেছিল? নাকি খালেদা জিয়ার গাড়ে সওয়ার হওয়া ইন্ডিয়ান ভুতগুলোই নিয়োগ দেয়ার রাস্তা প্রসস্থ করেছিল? সবদিক বিবেচনায় মোস্ট সিনিয়র চৌকস এবং দেশপ্রেমিক আর্মি অফিসার জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দারকে সেনাপ্রধান করার জন্য সিগনেচার করা ফাইলপত্রসহ সব কিছু ওলোট পালট কি হাসিনা এবং তার বশংবদরাই করেছিল?
যদি এই একটি মাত্র ভূল না করতো বাংলাদেশের বিগত নয় বছরের করুণ রাজনৈতিক অবস্থা এবং অর্থণৈতিক দৈন্যদশা, এতোগুলো রাষ্ট্রঘাতী ম্যাসাকার কি সফলভাবে করা সম্ভব হতো?
৭১ সালে মূলতঃ দেশকে পরাধীন করার জন্যই হাসিনার পিতা শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধ নামের অসম যুদ্ধ সৃষ্টি করে নিজে পালিয়ে গিয়ে ত্রিশ লক্ষ্য মানুষ হত্যায় মেথে উঠেছিল যাদের পরামর্শে তাদেরই কব্জায় চলে গেছে আমাদের মাতৃভূমি। আমরা এখন আর স্বাধীন নই। দেশ এখন ইন্ডিয়ান অঙ্গরাজ্য ঘোষণা দেয়াটা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৭
180471
পুস্পিতা লিখেছেন : একই ধরনের ভুল জিয়াউর রহমানও নাকি করেছিল এরশাদকে সেনাপ্রধান বানিয়ে। খালেদা জিয়াও করেছে এবং আলটিমেইটলি বাংলাদেশকে ভুগতে হচ্ছে।
১১ জুন ২০১৪ রাত ১১:০৬
180581
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : জিয়াউর রহমান নিতিগত ভুল করেছিলেন। নিয়মমত ভুল নয়। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনিতে এরশাদের সিনিয়র অফিসার ছিলেন একজন। মেজর জেনারেল দস্তগির। কিন্তু তার উচ্চতর ডিগ্রি পিএসসি ছিলনা। অন্য দিকে এরশাদের পিএসসি ছাড়াও ভারত থেকে এনডিসি বা ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স করা ছিল। এজন্য তাকেই প্রমোশন দেয়া হয়। কিন্তু খালেদা জিয়া দুই বারই ৪-৫ জন কে ডিঙ্গিয়ে প্রমোশন দেন। ১৯৯১-১৯৯৬ সালে জেনারেল মইনুল হোসেন, জেনারেল সাদেকুর রহমান,জেনারেল মাহবুবুর রহমান সহ পাঁচ জনকে ডিঙ্গিয়ে জেনারেল নাসিম কে সেনাপ্রধান নিযুক্ত করা হয়। একই ভাবে ২০০৫ সালে ৫জন কে ডিঙ্গিয়ে মইনইউকে সেনা প্রধান নিযুক্ত করা হয়।
233847
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১০
বেদনা মধুর লিখেছেন : আমার কিন্তু মোটেও খারাপ লাগছে না। ভারতীয় শাসন এর বিরুদ্ধে মায়ানমারের আগ্রাসন তেমন খারাপ হবে বলে মনে হচ্ছে না। আমরা তো কিছুই না। আমাদের এখন ভারত শাসন করছে তখন বার্মিজরা করবে।
জনগণ তো ফুটবল। এখন ভারতীয়রা লাথি মারছে আর তখন বার্মিজরা মারবে।

জনগণের টাকায় বেতন নিয়ে ভারতীয় শাসন পাহারা দিচ্ছে যারা তাদের চৌদ্ধগোষ্ঠীরে .....
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৯
180473
পুস্পিতা লিখেছেন : মিশরের সেনাবাহিনী যেমন মিশরের জাতশত্রু ইসরায়েলের এজেন্ডায় চলছে তেমন আমাদের সেনাবাহিনীও যেন বাংলাদেশের জাতশত্রু ভারতের এজেন্ডায় চলছে।
১০
233850
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৬
খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : সময় থাকতে সেনাবাহিনী যদি দেশের হাল না ধরে তাহলে ক দিন পরেই ভারতীয় লোক দিয়ে সেনাবাহিনী বানাবে লীগেরা। তখন কিছুই করার থাকবে না।
লণ্ডন থেকে আগা চৌঃ লিখেছিলেন সেনাবাহিনীতে ৩০% হিন্দু ঢুকাতে হবে।
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪০
180474
পুস্পিতা লিখেছেন : আওয়ামী লীগ ও ভারত যে আসলে এদেশের সেনবাহিনীকে পছন্দ করে না তা খুব তারাতারিই হয়তো টের পাবে। কিন্তু যখন টের পাবে তখন কিছুই করার থাকবে না যদি খুব তারাতারি সচেতন না হয়।
১১
233854
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৪
আমি মুসাফির লিখেছেন : এমন নতজানু গৃহপালিত সেনাবহিনী সুত্যই বিরল ।

টাকার কাছে আর রমনীর কাছে এরা হার মেনে গিয়েছে।
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪০
180475
পুস্পিতা লিখেছেন : নৈতিক শক্তিতে তারা আর বলিয়ান নয়।
১২
233863
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৭
সবুজেরসিড়ি লিখেছেন : স্বৈরচার নিজেকে টিকিয়ে রাখতে সব করতে পারে প্রয়োজন বোধে সব বাহীনি বিলুপ্তি করে অন্য রাষ্ট্রের কাছে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়েও চেষ্টা করবে নিজে টিকে থাকতে আর তাতে না হলে প্রয়োজনে দেশ অনেক কাছে ইজারা দিতেও দিধাবোধ করে না ।
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪২
180477
পুস্পিতা লিখেছেন : তার বাস্তব উদাহরণ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা রাখছে...
১৩
233865
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৭
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গণতন্ত্রের বিপক্ষে। দেশের জনগনের ভোটের অধিকার আদায়ে তারা এগিয়ে আসে নাই বরং গণতন্ত্র হত্যায় সহযোগিতা করেছে সরাসরি।
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪২
180478
পুস্পিতা লিখেছেন : সেনাবাহিনীর উপর জনগণের আস্থা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
১৪
233867
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
ফেরারী মন লিখেছেন : ফালতু লেখা। সেনাবাহিনীকে উস্কে দেওয়া হচ্ছে।
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৩
180480
পুস্পিতা লিখেছেন : সেনাবাহিনীকে গুলি করছে, হত্যা করছে মায়ানমার ও ভারতীয় বাহিনী, আর উস্কে দিচ্ছি আমরা?!
১১ জুন ২০১৪ রাত ০৮:৩৩
180501
শারমিন হক লিখেছেন : সেনাবাহিনীকে উস্কে দিতে সাধারণ জনতা দায়ী নয।
সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করেছে হাম্বালীগ,এখন যারা আছে,তাঁদেরকে নিয়ে খেলার পুতুৃলের মত খেলছে মুখোশধারী স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি,চেতনাবাজ হাম্বালীগ।
১৫
233871
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪২
আহ জীবন লিখেছেন : ঘুম ঘুম রাত যায় ঘুম ঘুম দিন
ঘুম ঘুম রাত যায় ঘুম ঘুম দিন
ঘুম ঘুম দিন যায় ঘুম ঘুম রাত
আকাশের তারাগুলো জ্বলে জ্বলে নিভে যায়,
সকালের সোনা রোদ ঢেকে যায় কুয়াশায়।
সব মুখ চুপচাপ কোথাও নেই শব্দ
প্রতিবাদ হীনতায় চারদিক স্তব্ধ।

দানবের হুঙ্কারে দানবের জয়
যেন এই পৃথিবী মানুষের নয়
গোলামীতে কেটে যায় সারাবেলা সারাদিন
ভোর রাতে মারা যায় ধর্ষিতা ইয়াসমিন।
ঘুম ঘুম রাত যায় ঘুম ঘুম দিন-------

ক্ষয়ে সমাজের ক্ষয়ে যাওয়া মুখ
দেখেও তবু কারো জ্বলেনা বুক
ভিনদেশী নর্তকী অশ্লীল নেচে যায়
ধর্ষিতার হাহাকার বাতাসে কেদে যায়।
ঘুম ঘুম রাত যায় ঘুম ঘুম দিন-------

(মাহমুদুজ্জামান বাবুর একটি গান।)
১১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৫
180481
পুস্পিতা লিখেছেন : বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে...
১৬
233897
১১ জুন ২০১৪ রাত ০৮:২৩
প্রবাসী আশরাফ লিখেছেন : ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে মায়ানমারের মতো একটা দেশ কি করে এভাবে গুলি করে আমাদের মারার সাহস পায়।এতটা নতজানু নীতির সরকার আগে কখনো এ দেশে ছিল বলে মনে হয়না। আমাদের সামরিক বাহিনীগুলোর পেশাদারিত্ব নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে যা কাম্য নয়।
১৭
233904
১১ জুন ২০১৪ রাত ০৮:৩৪
শারমিন হক লিখেছেন : সেনাবাহিনী আজ অথর্ব বস্তুতে পরিণত হয়েছে আওয়ামিলীগের কারসাজিতে.............
১৮
233907
১১ জুন ২০১৪ রাত ০৮:৪৭
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : কি যে বলেন না! এত কিছু ভাবার সময় আছে না কি। দু-দিন বাদেই বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হচ্ছে! আই পি এলের পরপরই বিশ্বকাপ ফুটবল! কি উত্তেজনা! ব্রাজিল-আর্জেন্টনার পতাকা টানাতে গিয়ে ৩ জন এর মধ্যেই শহীদ(!) হয়েছে। সীমান্তে কি হচ্ছে, কো কোথায় কাকে কিভাবে মারলো তাতে আমার কি আসে যায়! আমি তো বেশ ভালই আছি?
১১ জুন ২০১৪ রাত ১০:২৯
180557
দ্য স্লেভ লিখেছেন : যাক আপনাকে পাওয়া গেল। ভাবছিলাম হারিয়ে গেছেন। এবার ফুটবল খেলা দেখব না। মানুষের মাতলামি সীমা ছাড়িয়েছে
১১ জুন ২০১৪ রাত ১০:৩৫
180561
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : হারাইনি!গত ২ মাস ভাল রকম ঝামেলায় ছিলাম। খেলা আমি ও দেখবোনা। সুযোগই বা কোথায়? অফিসে বসে খেলা?
১৯
233921
১১ জুন ২০১৪ রাত ০৯:৩৩
হতভাগা লিখেছেন : এই সরকার নাকি সেনাবাহিনীতে এখন খুব প্রমোশন দিচ্ছে । আর অস্ত্রসস্ত্রও কিনছে । তাই সেনাবাহিনী ভালই মজে গেছে ।

কিন্তু এদের নিয়ে গর্বের কি আছে ? বাংলাদেশে এমন একজন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হবে যে কি না বিশ্বাস করে যে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ভারতের ত্রিপুরার কোন বাহিনীর সাথে পারবে , বার্মা সে তো অনেক পরে ।

আপনারা যতই গর্ব করেন না কেন সেনাবাহিনী কিন্তু নিজেদের লিমিট সম্পর্কে জানে । বাইরের দেশে গিয়ে জাতি সংঘের তত্ত্বাবধানে থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা আর বাইরের শত্রুর সাথে একা সরাসরি মোকাবেলা করা এক জিনিস নয় ।
১১ জুন ২০১৪ রাত ১০:৪৮
180571
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে হাস্যকর একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বিএমএ লংকোর্স এর মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি করে তিনবছর করে সেনা অফিসারদের কমিশনিং র্যাংক সেকেন্ড লেফটেনান্ট এর পরিবর্তে সরাসরি লেফটেনান্ট করা। মজার ব্যাপার টা হচ্ছে আমাদের প্রতিবেশি ভারত ও পাকিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয় এর কোর্স এর সাথে তাল মিলিয়ে ১০-১২ বছর আগে থেকেই এই লংকোর্স এর মেয়াদ পর্যায়ক্রমে ২ থেকে ৩ বছর এবং বর্তমানে ৪ বছর করা হয়েছে। কিন্তু উভয় দেশেই প্রথম র্যাংক হিসেবে সেকেন্ড লেফটেনান্ট পদ টি আছে।
২০
233924
১১ জুন ২০১৪ রাত ০৯:৩৭
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : জনগনের টাকায় পালিত আমাদের বাহিনীগুলো এখন বাকশালকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে।
২১
233935
১১ জুন ২০১৪ রাত ১০:০৪
চক্রবাক লিখেছেন : উশৃঙ্খল সব বাহিনী :o
২২
233958
১১ জুন ২০১৪ রাত ১০:৪৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : যেদেশের সশস্ত্রবাহিনি নিরস্ত্র জনতার উপর গুলি চালান শুরু করে। সে বাহিনির নৈতিক চরিত্র ও সাহস হারিয়ে যায়। তখন সামান্য আক্রমনেই সে ভেঙ্গে পড়ে। ১৯৭১,ভিয়েতনাম,কোরিয়া, কাশ্মির সবখানেই দেখবেন এই অবস্থা।
১২ জুন ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
180704
আহমদ মুসা লিখেছেন : আবার পচাঁত্তরে কিছু ঈমানদার সাহসী সৈনিকদের দৃঢ় মনোবলের কারণে ৭ ই নভেম্বরের মোনাফিকদের মুখোশ উন্মোচন করেছিল।
২৩
233980
১১ জুন ২০১৪ রাত ১১:৪৯
সাদাচোখে লিখেছেন : জাতীয়তাবাদী চেতনায় আপনার লিখাটি পড়লে যে কারো ই মনটা বিষিয়ে উঠতে চাইবে, অসম্ভব খারাপ লাগবে - তাতে সন্দেহ নেই।

কিন্তু ইসলামকে বিবেচনায় রাখলে দেখলাম - মনটা আর অতটা বিষিয়ে উঠছে না, অতটা খারাপ লাগছেনা।

দেখুন আমরা একে তাকে দোষারোপ করতে পারি এবং করিও - কিন্তু সততার সাথে একটু ভাবলে কি বলতে পারিনা - যেখানে লিটারেলী পুরো জাতি বছরের পর বছর কুফরী করছি, শির্ক করে চলছি এবং চুড়ান্ত রকমের মুনাফিক এর ন্যায় জীবন যাপন করছি - সেখানে এই সব খুনাখুনি, এই সব সামাজিক অস্থিতিশীলতার পাশাপাশি - ভূখন্ডের সকল কাঠামোই তো ভেংগে পড়বে - এতে আর অবাক হবার কি আছে?

আমার মনে হয় - মুসলমান ও মুমিন দের সময় এসেছে কোরআন ও হাদীসে চোখ ভুলানো এবং ওখানে গাইডেন্স খোঁজা, পরকালে সাকসেস হবার বার্তা আদান প্রদান করা ও যতটা সম্ভব এ্যাকশানে পর্যবসিত করা। ধন্যবাদ।
২৪
234061
১২ জুন ২০১৪ সকাল ০৮:৫১
আল সাঈদ লিখেছেন : আমাদের সেনাবাহিনী বরাবরই এমন ছিল কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত অবশ্য নিয়েছিল-
২৫
234070
১২ জুন ২০১৪ সকাল ০৯:১০
ইমরান ভাই লিখেছেন : সেনা বাহিনীতে সৈনিকদের এই বিষয়ে মোরালিটির কোন কমতি নাই কিন্তু সমস্যা হল তাদের বস অথাৎ উপরে কর্মকর্তা তারা তাদের কথার একচুল এদিক ওদিক জেতে পারে না জদিও তারা যানে যে তাদের বস দের বলা কথাগুলো অযুক্তিক বা অগ্রহনীয়।

তাই সেনাবাহীনির অফিসারদের আগে মোরালিটি আপ করতে হবে তাহলে দেখবেন কি দারুন ব্যাপার ঘটে কেননা বাহিনীর এই মাথাগুলোই সব বাকি গুলো আঞ্জাবহ।

তবে মোরালিটি সমৃদ্ধ অফিসারযে নাই তা আমি বলছি না।
২৬
234076
১২ জুন ২০১৪ সকাল ০৯:১৮
egypt12 লিখেছেন : বাংলাদেশ এখন মন্দিরের ঘণ্টা হয়ে গেছে যার ইচ্ছা সেই বাজিয়ে দেখে... Thumbs Down
২৭
234078
১২ জুন ২০১৪ সকাল ০৯:৪৫
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : বেওয়ারিশ বাংলাদেশ..........
ক্ষমতা পাহারায় দেশরক্ষা বাহিনী...........
২৮
234090
১২ জুন ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
আহমদ মুসা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৯
234518
১৩ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:৩১
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : জনগনের সচতেনতাই পারে দেশ রক্ষা করতে,জনগন সচেতন থাকলে সেনা বাহিনিও সচেতন হতে বাধ্য থাকবে।
সচেতন মুলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ
যাজাকাল্লাহ খায়ের
৩০
235157
১৫ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৮
ভিশন২০২১ লিখেছেন : ধন্যবাদ
৩১
235408
১৬ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:০৪
ওয়াচডগ বিডি লিখেছেন : পুলিশের চাকরী পেতে হলে আমাদের কত টাকা খরচ করতে হয় অথবা আদৌ করতে হয় কিনা তা কমবেশি সবার জানা। সিপাই হতে শুরু করে ইনসপেক্টর জেনারেল পদের একটা দর আছে, যা বেচা-কেনা হয় ক্ষমতা নামক পতিতালয়ে। অপরাধের জরায়ুতে জন্ম নেয়া পুলিশ বাহিনী দেশের একক বাহিনী নয় যা নিয়ে আমরা ’গর্ব’ করতে পারি, এ কাজে সামনে হতে নেত্রীত্ব দিচ্ছে দেশের সেনাবাহিনী। লেনা-দেনার বাণিজ্য এখন আর লুকোচুরির সাবজেক্ট নয়, বরং তা ওয়াইড ওপেন সাবজেক্ট অব স্টেইটস ডিসিপ্লিন । স্বাধীনতার পর পর সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশিত একটা কার্টুন ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল তার কনটেন্টের জন্যে। কার্টুনের সারমর্মটা এ রকমঃ সদ্য ভর্তি হওয়া একজন তরুণ ঢুকছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং চার বছর পর একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে বেরিয়ে আসছে চার পাওয়ালা গরু হিসাবে। আমাদের সেনাবাহিনীর গর্বিত সৈনিকদের অবস্থাও একই যখন তারা চাকরি নিয়ে রওয়ানা দেয় সীমান্তে। সেনা সদস্যদের শিকারের মাঠ প্রসারিত করতে চার দলীয় জোট সৃষ্টি করেছিল RAB নামক গুপ্ত সংস্থা। দুর্নীতি আর অপরাধের মহাসমুদ্রে আকণ্ঠ নিমজ্জিত দেশের পুলিশ আর সেনাবাহিনীর হাতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব তুলে দিয়ে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলো ব্যস্ত থাকছে বঙ্গবন্ধু অথবা শহীদ জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে। এ ফাঁকে শিকারের মাঠ খোলা পেয়ে ওরা শিকার করছে। বলার অপেক্ষা রাখে না এ শিকার পশু-পাখি অথবা মৎস শিকার নয়, এ শিকার পায়ের উপর শরীর, শরীরের উপর মাথা ওয়ালা মানুষ। ওরা শিকার করছে হাটে মাঠে ঘাটে। অন্ধকার নামলেই ওরা মাঠে নামে এবং তুলে নেয় পছন্দের মানুষকে। খুব কাছ হতে গুলি চালায় এবং পশু হত্যার মত মানুষ হত্যা করে ওরা উল্লাস করে এবং পাশাপাশি অবদান রাখে গণতান্ত্রিক 'সুশাসনে'।

হরেক রকম চোরের মেলা বাংলাদেশে। কেউ গরুর হাটে গরু চোর, কেউ পরিবহনের পকেট মার, কেউবা আবার যা পাই তা খাই জাতীয় চোর। এসব চোরদের গায়ে দুর্গন্ধ, বগলে অপরিস্কার লোম আর পরনে ইস্ত্রিবিহীন বস্ত্র। ওদের চোখে দেখা যায়, হাত বাড়ালে ছোয়া যায় এবং চাইলে যখন তখন ব্যক্তি ও সরকারী আইনের আওতায় আনা যায়। এক কথায় ওরা আনওয়ান্টেড ক্রিমিনাল। চোখের সামনে একদল ক্রিমিনাল অরাজকতা ও অশান্তি সৃষ্টি করবে আর আমাদের তা হজম করতে হবে, রাজনৈতিক দলগুলোকে নিশ্চয় এ জন্যে ক্ষমতায় পাঠানো হয়না? আফটার অল জনগণের দেখভাল করার দায়িত্বটা যে তাদেরই! সে দায়িত্ব ’সাহসিকতার’ সাথে পালনের জন্যেই বোধহয় এসব চোর, ডাকাতদের নেয়া হয় বধ্যভূমিতে, আর রাতের অন্ধকারে চোরের মত হত্যা করে ছড়িয়ে দেয় ভূয়া, মিথ্যা আর বানোয়াট কাহিনী। বাংলাদেশে কে বেশি বড় চোর, একজন পুলিশ না নয়ারহাট রুটের একজন পকেটমার? কে বেশি সন্ত্রাসী, রাজনীতির ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠা একজন বিপদগামী যুবক, না অস্ত্র হাতে একজন পুলিশ, RAB অথবা সেনাবাহিনী? এখানে কে কাকে মারা উচিৎ ছিল, পুলিশ কর্তৃক একজন ছিনতাইকারীকে, না জনতা কর্তৃক পতিতার আঁচল ছিনতাইকারী একজন পুলিশকে?
১১ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৮:৪৮
189310
গ্যাঞ্জাম খান লিখেছেন : দারুন এক্কান সরস মন্তব্য। পড়ে খুবই আহলাদ অনুভব করলুম।
৩২
247562
২৩ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪১
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এ যে বন্ধক দেয়া হয়েছে সেটা কি নতুন কিছু?

আমারতো মনে হয় আমাদের দেশের এসব বাহিনীগুলো আজ দেশরক্ষার চাইতে বিশ্বশান্তি রক্ষার দায়িত্বকে অনেক বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকে। স্বাভাবিক সেটা-ই দেশ একটা ক্ষুদ্র বিষয়, বিশ্ব অনেক বড়। দেশ তাদেরকে সামান্য রেশনিং এর সুবিধা আর কিছু প্লট ছাড়া কি দিয়েছে? জাতিসংঘ দিচ্ছে অবারিত সুযোগ-সুবিধা, যা দিয়ে দেশের অনেক অংশই কিনে ফেলা যায়!

আমারতো আরও মনে হয় যে – এখন যারা এসব বাহিনীতে ঢুকার জন্য উদগ্রীব থাকে, তাদের একমাত্র লক্ষ্যই হলো কিভাবে দেশ ফেলে দিয়ে জাতিসংঘের মিশনে যাবো, এবং যদি সারাজীবন জাতিসংঘের মিশনে থাকতে পারতাম – কতোই না ভালো হতো; কেনই বা যাবে না? বলেন?

আপনার আমার চরিত্রও কি এর থেকে আলাদা? লক্ষ-লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে আমরা বড় বড় সার্টিফিকেট অর্জন করেছিলাম কি সত্যি-ই দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য? নাকি নিজের মর্যাদা আর একটু ভালো থাকার আশায়?

আমাদের সামগ্রীক চরিত্র এর দৃশ্য এগুলো; কার দোষ দিবো আর?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File