ব্লগ টিউটোরিয়াল
লিখেছেন লিখেছেন সম্পাদক ০৫ জানুয়ারি, ২০১৩, ১২:১৯:৩০ দুপুর
১. যেভাবে টুডে ব্লগ এ ঢুকবেন
২. ভিজিটর এবং ব্লগার কি?
৩. যেভাবে লগইন করবেন
৪. যেভাবে রেজিষ্ট্রেশন করবেন
৫. ব্লগিং এর শুরু
৬. আপনার নিজের ব্লগ একাউন্টটি সাজাবেন কিভাবে?
৭. প্রোফাইল ছবি সংযোজন/পরিবর্তন
৮. কিভাবে ব্লগ/পোষ্ট লিখবেন?
৯. প্রথম পাতায় লেখা আসা প্রসঙ্গে কিংবা না আসার সমস্যা
১০. লেখার মাধ্যম/কীবোর্ড
১১. রাইটিং প্যানেলের অপশনগুলো (ছবি/ভিডিও)
১২. পোষ্ট সংশোধন/মুছে ফেলা
১৩. মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য, মন্তব্যের উত্তর কিভাবে লিখবেন?
১৪. রেটিং, প্রিয়পোষ্ট, ফেসবুকে শেয়ার
১৫. পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কি করতে হবে?
১৬. নোটিফিকেশন
১৭. প্রথম পাতা ও ম্যাগাজিন বাটন
১৮. নীতিমালা ও সহায়িকা
১৯. মতামত, সমস্যা ও ফীডব্যাক (আপত্তিকর পোষ্ট বা মন্তব্য সম্পর্কে মডারেশন বোর্ডের কাছে অভিযোগ)
১. যেভাবে টুডে ব্লগ এ ঢুকবেন
- ব্রাউজার ওপেন করুন (ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, ফায়ারফক্স, ক্রোম, অপেরা, নেটস্কেপ ইত্যাদি)
- উপরের এড্রেস বারে ব্লগের ঠিকানাটি লিখুন http://www.bdtomorrow.net/blog
- ব্লগের মূল পৃষ্ঠাটি লোড হবে
- এখন যে কোন পোষ্টের শিরোনামে ক্লিক করে সম্পূর্ণ পোষ্টটি আপনি পড়তে পারবেন অথবা লেখকের/ব্লগারের নামের উপর ক্লিক করে ঐ ব্লগারের ব্যাক্তিগত ব্লগপাতায় যেতে পারবেন। ব্যাক্তিগত ব্লগপাতায় একজন ব্লগারের সবগুলো পোষ্ট সংকলিত থাকে।
- মূল ব্লগপাতায়
‘হোম বাটনের নীচে পোষ্ট প্রকাশের সময়ক্রম অনুসারে সবার পোষ্ট প্রদর্শিত হয়।
‘সর্বাধিক পঠিত’ বাটনের মাধ্যমে বেশিবার পঠিত পোষ্ট পোষ্টগুলোও প্রদর্শিত হয়। মাঝখানে নির্বাচিত বাটনের মাধ্যমে মডারেটর বোর্ড কতৃক বাছাইকৃত পোষ্টগুলো পড়া যাবে।
২. ভিজিটর এবং ব্লগার কি?
- ভিজিটর বলতে বুঝায় যারা ব্লগে লগইন না করে সাইটটিতে ব্রাউজিং করছেন তাদেরকে। যে মুহুর্তে আপনি ব্রাউজারের মাধ্যমে ব্লগটি দেখছেন, তখন আপনাকেও একজন ভিজিটর হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
- যখনই আপনি নিজস্ব ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করবেন, তখন আপনাকে ভিজিটরের পরিবর্তে ব্লগার হিসেবে গণ্য করা হবে।
৩. যেভাবে লগইন করবেন
- টুডে ব্লগের মূল পাতাতে আসার পরই উপরে বামপার্শ্বে ‘লগইন করুন’ শিরোনামে একটি প্যানেল দেখতে পাবেন।
- নির্দিষ্ট বক্সে আপনার নিজস্ব ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে এন্টার চাপলে অথবা ‘লগইন করুন’ বাটনে ক্লিক করলেই আপনি একজন ব্লগার হিসেবে টুডে ব্লগে লগইন করতে পারবেন। আর ইতোমধ্যে আপনি রেজিষ্ট্রেশন না করে থাকলে ব্লগার হিসেবে রেজিষ্ট্রেশনের পদ্ধতিটি অত্যন্ত সরল এবং ব্যাবহারবান্ধব।
৪. যেভাবে রেজিষ্ট্রেশন করবেন
- লগইন প্যানেলে ‘রেজিষ্ট্রেশন করুন’ লেখাটিতে ক্লিক করুন।
- পাঁচটি বক্স সহ নতুন একটি পেজ ওপেন হবে আপনার ব্রাউজারে।
- এর নিচের লগইন নেম এর ব্ক্সটিতে লগইন নেম বা ইউজার নেমটি লিখুন। এখানে ইংলিশে আপনি যে শব্দটি লিখবেন তাই আপনার ইউজারনেম হিসেবে গণ্য হবে এবং এটি দিয়ে সবসময় আপনি ব্লগে লগইন করতে পারবেন। মূল বাংলা নামের মতো লগইন নেমটি লিখার পরও আপনি দেখতে পাবেন নামটি এভেইলেবল, না কি ইতোমধ্যেই অন্য কেউ এটি নিয়ে নিয়েছেন। যদি Not Available লিখা আসে, তাহলে অন্য নাম দিয়ে চেষ্টা করুন।
ইউজার আইডিটি এভেইলেবল থাকলে নিচের বক্সে আপনারইমেইল এড্রেসটি লিখুন। এ ইমেইল এড্রেসটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমেই আপনার ব্লগটি একটিভেট করার লিংক পাবেন এবং ব্লগ কতৃপক্ষ যে কোন প্রয়োজনে এ ইমেইল এড্রেসের মাধ্যমেই আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।
- বাংলা নাম লেখার নীচের ব্ক্সটিতে আপনার নিজের নাম অথবা কাঙ্খিত নিকনেমটি লিখুন বাংলায়। এখানে যে নামটি দিবেন, ব্লগার হিসেবে টুডে ব্লগে আপনি সে নামেই পরিচিত হবেন। বাংলায় নামটি লিখার জন্য অভ্র অথবা বাংলা লেখার যে কোন সফটওয়ার আপনার প্রয়োজন হবে।
যদি কোন কারণে আপনি বাংলায় লিখতে না পারেন, তাহলে ইংলিশ অক্ষরে লিখেও আপনি ব্লগার হিসেবে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেন। পরবর্তীতে টুডে ব্লগ তৃপক্ষকে মেইল করে আপনার কাঙ্খিত বাংলা নামটি জানাতে পারেন। কোন সমস্যা না থাকলে কতৃপক্ষ আপনার ব্লগার নিকনেমটি বাংলায় পরিবর্তন করে দেবে।
- আপনার নাম অথবা নিকনেম লিখার পর নিচের বক্স এ কার্সর নিয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে আপনি দেখতে পাবেন আপনার দেয়া নামটি অথবা নিকনেমটি এভেইলেবল আছে কি না। যদি অন্য কোন ব্লগার ইতোমধ্যে এ নামটি নিয়ে থাকেন, তাহলে এটি not available দেখাবে। তখন কিছু পরিবর্তন করে অথবা নতুন অন্য আরেকটি নাম দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে আপনাকে। আর কেউ এ নামটি না নিয়ে থাকলে লেখা আসবে available।
- নিচের বক্সদুটিতে একই পাসওয়ার্ড দুইবার লিখুন। প্রথমটি পাসওয়ার্ড বক্স এবং দ্বিতীয়টি পাসওয়ার্ডটি যথাযথ কি না তা নিশ্চিত হতে লিখার জন্য আরেকটি বক্স। এরপর নিচের চেকবক্সটিতে ক্লিক করে সেভ লিখা বাটনে ক্লিক করুন।
সবকিছু ঠিকভাবে হয়ে থাকলে নিচের লেখাটি আপনি দেখতে পাবেন।
- রেজিষ্ট্রেশনের মূল কাজটি আপনার করা হয়ে গিয়েছে।
এখন ইউজার আইডি ও পাসও্যার্ড দিয়ে ব্লগীং শুরু করে দিতে পারেন।
৫. ব্লগিং এর শুরু
- আপনার ব্রাউজারে টুডে ব্লগ খুললে বামদিকে ‘লগইন করুন’ নামে যে প্যানেলটি আছে, সেখানে এখন থেকে আপনার নিজস্ব ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে যে কোন সময় আপনি লগইন করতে পারবেন।
- লগইন করার পর একই জায়গায় প্যানেলটি বদলে যাবে। চলে যাবার সময় ঐ প্যানেলের লগ আউট লিখাটিতে ক্লিক করে আপনি ব্লগ থেকে বের হতে পারেন।
লগ আউট করে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ যদি কম্পিউটারটি অন্য কেউ ব্যাবহার করার সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে লগ আউট করা না হলে অন্য ব্যাবহারকারী আপনার একাউন্টটি ব্যাবহার করার সুযোগ পেয়ে যাবেন।
৬. আপনার নিজের ব্লগ একাউন্টটি সাজাবেন কিভাবে?
- লগইন করার পর উপরের বামদিকের প্যানেলটিতে ‘নতুন ব্লগ লিখুন’, ‘আপনার পাতা ও লগ আউট’ নামে তিনটি নতুন লেখা আসবে।
- মাঝখানের ‘আপনার পাতা লেখাটিতে ক্লিক করলে ব্রাউজারে আপনার ব্যাক্তিগত ব্লগের পৃষ্ঠাটি ওপেন হবে। এ পৃষ্ঠায় আপনার প্রোফাইলটিকে আপনি নিজের মতো করে সাজাতে পারেন। অর্থ্যাৎ, আপনি কোন ছবিকে আপনার নিজস্ব প্রোফাইল ছবি হিসেবে দিতে পারেন এবং আপনার নিজের সম্পর্কে সংক্ষেপে কোন কিছু লিখতে পারেন, যা পড়ে অন্য একজন ব্লগার বা পাঠক আপনার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাবেন।
৭. প্রোফাইল ছবি সংযোজন/পরিবর্তন
- লগইন করার পর ডানদিকে একটি প্যানেলে আপনার ব্লগার নামটি বড় করে লিখা দেখতে পাবেন। এখানে একটি ছবি ডিফল্ট প্রোফাইল ছবি হিসেবে দেয়া আছে।
- ছবিটি বদলিয়ে আপনার নিজস্ব কোন ছবি দিতে চাইলে এর নিচের ‘পরিবর্তন করুন’ লিখাটিতে ক্লিক করুন।
- নতুন যে পৃষ্ঠা ওপেন হবে সেখানে ‘Browse লিখাটিতে ক্লিক করে আপনার কম্পিউটার থেকে পছন্দের ছবিটি সিলেক্ট করে দিন। প্রোফাইল ছবিটি ছোট সাইজের করে নিলে ভালো হয়। এরপর নিচের খালি বক্সে আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারেন। কাজগুলো শেষ হলে নিচের ‘Save’ বাটনে ক্লিক করুন। এখন ব্রাউজারে আপনার ব্যাক্তিগত ব্লগপাতাটি আবার ওপেন হবে এবং আপনার ব্লগার নাম লিখা প্যানেলে প্রোফাইল বর্ণনাগুলো বদলে গিয়েছে।
একই পদ্ধতিতে আপনার প্রোফাইল ছবি এবং বর্ণনা যখন ইচ্ছা আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন।
৮. কিভাবে ব্লগ/পোষ্ট লিখবেন?
- লগইন করার পর বামদিকের লগইন প্যানেলটি বদলে গিয়ে কন্ট্রোল প্যানেলে পরিণত হয়। নতুন লেখা ব্লগে দিতে উপরের ‘নতুন ব্লগ লিখুন’ লেখাটিতে ক্লিক করতে হবে। তখন ব্রাউজার আপনাকে ব্লগ লিখার পৃষ্ঠায় নিয়ে যাবে। পোষ্টের শিরোনামটি উপরের নির্ধারিত বক্সে লিখুন।
- নিচের বড় বক্সটিতে আপনার লিখাটি লিখুন। লেখার সময় উপরের ফ্লপি ডিস্ক আইকনটিতে ক্লিক করে আপনার লেখা সেভ করে রাখতে পারেন। কোন শব্দ অথবা বাক্য বোল্ড করতে চাইলে তা সিলেক্ট করে B আইকনটিতে ক্লিক করুন। একইভাবে কোন শব্দ অথবা বাক্য ইটালিক করতে চাইলে তা সিলেক্ট করে I, এবং আন্ডারলাইনড করতে চাইলে U আইকনে ক্লিক করতে হবে। পাশের আইকনগুলো দিয়ে লেখার মধ্যে কোন ছবি, অন্য ওয়েবপেজের লিংক অথবা ইউটিউবের ভিডিও দেয়া যাবে।
লেখা শেষ হওয়ার পর ব্লগ প্রকাশ করুন বাটনে ক্লিক করুন।
৯. প্রথম পাতায় আসা
রেজিষ্ট্রেশান করার পর পরেই প্রথম পাতায় লেখা দিতে পারবেন।
এ সংক্রান্ত কোন সমস্যা দেখলে ‘ফিডব্যাক বাটনে ক্লিক করে আপনার ফিডব্যাক জানাতে পারেন যে কোন সময়ই।
১০. লেখার মাধ্যম/কীবোর্ড
- ব্লগ লিখার জন্য আপনার কম্পিউটারে বাংলা লিখার সফটওয়ার ইনষ্টল করা না থাকলেও কোন সমস্যা নেই। টুডে ব্লগের রাইটিং প্যানেলের সাথে বাংলা লিখার সফ্টওয়ার ইন্টিগ্রেটেড ভাবে দেয়া আছে সাইটটিতে। উপরের ‘কীবোর্ড’ লিখার পাশে অপশনগুলোর মাঝে যেটি আপনার লিখার জন্য সুবিধাজনক এবং আপনার পরিচিত কীবোর্ড লেআউট, সেটির পাশে ক্লিক করেই আপনি লিখা শুরু করতে পারেন। আপনি চাইলে নীচের ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড লিখার বক্সে বিভিন্ন শব্দ দিয়ে লেখাটির বিষয়বস্তু প্রকাশ করতে পারেন। লেখাটিতে অন্যদের মন্তব্য সরাসরি প্রকাশ হবে, না কি আপনার অনুমোদনের পর প্রকাশ হবে, না কি আপনি কোন মন্তব্য নিতে চান না, তাও বাছাই করার সুযোগ আছে নীচের প্যানেলে। ইমোটিকনের প্যানেলে যে কোন ইমোটিকনে ক্লিক করে লেখার মাঝে যে কোন স্থানে আপনি ইমোটিকন বসাতে পারেন।
- এভাবে আপনার পোষ্টটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে একদম নিচের ‘ব্লগে প্রকাশ করুন’ বাটনে ক্লিক করলেই আপনার লিখাটি ব্লগে প্রকাশ হয়ে যাবে। এখন ব্লগের মূলপাতায় অন্য পোষ্টের সাথে এটিও ধারাবাহিকভাবে সবাই দেখতে, পড়তে এবং মন্তব্য করতে পারবেন।
১১. রাইটিং প্যানেলের অপশনগুলো বিস্তারিত
পোষ্টে ছবি যোগ করা
- পোষ্টের সাথে ছবি দিলে অনেক সময় লিখাটি প্রাণবন্ত হয়। আবার কখনো ছবি দেয়াটা অত্যাবশ্যকও হয়ে পড়ে। এজন্য টুডে ব্লগের নিজস্ব ইমেজ আপলোডার আছে যেটি সহজ ও ব্যাবহারবান্ধব। ছবি দেয়ার জন্য নির্দিষ্ট ছবিটি আপনার পিসিতে সেভ করা থাকতে হবে। লেখার যে জায়গাটিতে ছবিটি দিতে চান সেখানে কার্সর রেখে রাইটিং প্যানেলের শিরোনাম বক্সের নিচের আইকনগুলোর মাঝামাঝি সবুজ রঙের ইমেজ আপলোড আইকনটিতে ক্লিক করুন।
- একটি নতুন বক্স ওপেন হবে। ‘ফাইল সিলেক্ট করুন’ লিখাটিতে ক্লিক করলে যে বক্স আসবে সেখানে ব্রাউজ করে আপনার পিসি থেকে নির্দিষ্ট ছবিটি সিলেক্ট করে ওপেন এ ক্লিক করলে Uploading… লেখা আসবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ছবিটি কোন কারণে ঠিকমতো আপলোড না হলে একটি লাল রঙ বক্স আসবে, তখন ‘ফাইল সিলেক্ট করুন’ বাটনে ক্লিক করে পুনরায় চেষ্টা করতে পারেন। আর যথাযথভাবে ছবিটি আপলোড হলে একটি সবুজ রঙ বক্সে ছবিটি দেখা যাবে। ছবিটির উপরে একটি ক্লিক করুন, রাইটিং বক্স এর যে স্থানে কার্সর ছিলো সেখানে কিছু ইংলিশ লেখা দেখতে পাবেন, এটি কোনরকম পরিবর্তন করবেন না। পোষ্টটি প্রকাশ করার পর লেখাগুলোর স্থানে ছবিটি দেখতে পাবেন সবাই। ব্লগের পৃষ্ঠার সাথে মানানসই আকৃতি এবং দ্রুত লোড হওয়ার সুবিধার্থে ছবিটি 640*480 অথবা কাছাকাছি আকৃতিতে রিসাইজ করে নিলে আপনার পোষ্টে ছবিটি মানানসই ভাবে ইনসার্ট হবে।
পোষ্টে ইউটিউব ভিডিও যোগ করা
- লেখায় ইউটিউব থেকে কোন ভিডিও সংযুক্ত করতে চাইলে পোষ্টের কাংখিত স্থানে কার্সর রেখে শিরোনাম বক্সের নিচে ডানদিকে ইউটিউব বাটনে ক্লিক করুন।
- নতুন একটি ব্ক্স ওপেন হবে যেখানে ইউটিউব ভিডিও আইডিটি দিতে হবে। ইউটিউবের ভিডিও আইডিটি পেতে ব্রাউজারে ভিডিওটি ওপেন করুন। উপরের ঠিকানা লেখার বক্সে আপনি যে ঠিকানা দেখতে পাবেন সেখানে watch?v= এর পরের অংশটিই হলো ইউটিউব ভিডিও আইডি। উদারহণস্বরুপ, ধরা যাক আপনি http://www.youtube.com/watch?v=zVjbVPFeo2o এ ভিডিও টি লেখায় যোগ করতে চাচ্ছেন। এখানে zVjbVPFeo2o হলো ইউটিউব ভিডিও আইডি। একইভাবে http://www.youtube.com/watch?v=m2WbMVMuinY এ ভিডিওটির ইউটিউব ভিডিও আইডি হলো m2WbMVMuinY। এ ভিডিও আইডি টি কপি করে রাইটিং প্যানেলে আসা বক্সটিতে পেষ্ট করে ওকে ক্লিক করুন। লেখার বক্সে কার্সর যেখানে ছিলো, সেখানে একটি ইংলিশ লেখা দেখতে পাবেন, এটি কোনধরণের পরিবর্তন করবেন না। পোষ্টটি প্রকাশের পর লেখার স্থানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইউটিউবের ভিডিওটি দেখা যাবে।
ইমোটিকন
- ইমোটিকনের মাধ্যমে লেখায় বিভিন্ন ধরণের অনুভূতির প্রকাশ যোগ করা যায়। ইমোটিকনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যাবহার দৃষ্টিকটু হলেও যথাযথ স্থানে মার্জিত পরিমাণে ইমোটিকন ব্যাবহার পাঠককে অনেক সময় আলোড়িত করে, এবং লেখকের অনুভূতি সুন্দরভাবে প্রকাশ করে। পোষ্টে কোন ইমোটিকন দিতে চাইলে রাইটিং প্যানেলের ডানে নিচের দিকে ইমোটিকনের বক্স থেকে তা দেয়া যায়। যেখাবে ইমোটিকন দিতে চান সেখানে কার্সর রেখে উদ্দিষ্ট ইমোটিকনের উপর ক্লিক করলে সাথে সাথে তা পোষ্টের নির্ধারিত স্থানে চলে আসবে। এখানে আপনি কিছু সাংকেতিক প্রতীক দেখতে পাবেন যা কোনধরণের পরিবর্তন করা যাবে না। পোষ্টটি প্রকাশের পর ঐ স্থানে সবাই ইমোটিকনগুলো দেখতে পাবেন।
১২. পোষ্ট সংশোধন অথবা মুছে ফেলা
- আপনার নিজের যে কোন পোষ্ট আপনি সংশোধন করতে পারেন অথবা মুছেও ফেলতে পারেন। নিজের পোষ্টটিতে ঢুকলে নিচের দিকে দেখবেন অপশনগুলো দেখা যাচ্ছে। লেখায় কোন সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন করতে চাইলে ‘এডিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- আপনার পোষ্টের ডিলেট করার বাটনে ক্লিক করলে পোষ্টটি ব্লগ থেকে মুছে যাবে। মনে রাখা দরকার, খসড়া করলে যে কোন পোষ্ট আবার লেখক ব্লগে ফিরিয়ে আনতে পারবেন, কিন্তু মুছে ফেললে পুরনো পোষ্টটি ব্লগে আর ফিরিয়ে আনা যাবেনা। তখন তা স্থায়ীভাবে ব্লগ থেকে মুছে যাবে।
১৩. মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য এবং মন্তব্যের উত্তর কিভাবে লিখবেন?
- লগইন থাকা অবস্থায় যে কোন পোষ্ট পড়লে পোষ্টের নীচের দিকে আপনার নিজের ব্লগার নামের নীচে একটি খালি বক্স দেখতে পাবেন। মন্তব্য নামের বক্সটিতে পোষ্টটি নিয়ে আপনার মন্তব্য, প্রতিক্রিয়া, প্রশ্ন অথবা যে কোন কিছু লিখে নীচের মন্তব্য প্রকাশ করুন বাটনে ক্লিক করলেই আপনার মন্তব্যটি প্রকাশ হয়ে যাবে।
- আপনার পোষ্টে কেউ কোন মন্তব্য করলে তার নীচে রিপ্লাই চিহ্নতে ক্লিক করলে একটি শুণ্য বক্স আসবে। এর মাধ্যমে আপনার উত্তরটি ব্লগে প্রকাশিত হবে। একই ভাবে অন্যদের পোষ্টেও অন্য যে কোন মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য বা প্রাসঙ্গিক মন্তব্য আপনি করতে পারেন।
১৪. রেটিং, প্রিয়পোষ্ট এবং ফেসবুকে শেয়ারিং
- লগইন থাকা অবস্থায় যে কোন পোষ্টের নীচে একটি হলুদ রঙা তারকাচিহ্ন আছে। এ চিহ্নটিতে ক্লিক করলে পোষ্টটি আপনার প্রিয় পোষ্টের তালিকায় সংযুক্ত হবে। আপনার ব্যাক্তিগত ব্লগে গেলে বামদিকে ‘প্রিয় লেখা’ প্যানেল সবগুলো প্রিয় পোষ্টের তালিকা আপনি দেখতে পাবেন।
- পোষ্টের নীচে ডানদিকে সবুজ রঙের প্লাস এবং লাল রঙের মাইনাস চিহ্নও দেখতে পাবেন। প্লাস এ ক্লিক করে ভালো লাগা অথবা মাইনাস এ ক্লিক করে ভালো না লাগা জানানোরও সুযোগ আছে ব্লগারদের জন্য।
- আপনার নিজের অথবা ভালোলাগা যে কোন লেখা আপনার ফেসবুক বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ‘শেয়ার করুন’ লেখাটির পাশের ফেসবুক আইকনটিতে ক্লিক করে ফেসবুকে আপনার নিজ একাউন্টে লগইন করুন।
১৫. পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কি করতে হবে?
- কোন কারণে পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে ব্লগের প্রথম পৃষ্ঠাতেই বামদিকের লগইন প্যানেলে ‘পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে এখানে ক্লিক করুন’ বাটনটি ব্যাবহার করতে পারেন।
১৬. নোটিফিকেশন
- টুডে ব্লগে লগইন করার ডানদিকে নোটিফিকেশন নামে একটি প্যানেল দেখতে পাবেন।
- আপনার কোন পোষ্ট আপনি লগড-ইন অবস্থায় শেষ দেখার পর কোন ব্লগার এতে মন্তব্য করে থাকলে তার সংখ্যা আপনি ‘অদেখা মন্তব্য’ লিখার পাশেই দেখতে পাবেন। লিখাটির উপর ক্লিক করলে আপনি পোষ্ট এবং মন্তব্যকারীর নাম দেখবেন। পোষ্টের শিরোনামে ক্লিক করে পূর্ণ মন্তব্য দেখার এবং উত্তর দেবার সুযোগ পাবেন।
- অন্য কারো পোষ্টে আপনার মন্তব্যের কোন উত্তর এসে থাকলে তা ‘অদেখা জবাব’ লিখাটিতে দেখবেন।
- ব্লগ কতৃপক্ষ আপনাকে কোন নোটিশ দিলে তা ‘অদেখা নোটিশ’ বাটনে দেখা যাবে। কোন পোষ্ট বা মন্তব্য ব্লগের নীতিমালা লংঘন করার কারণে মুছে দেয়া হলে অথবা অন্য যে কোন ব্যাবস্থা করা হলে সাধারণত: সংশ্লিষ্ট ব্লগারকে নোটিশ দেয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রয়োজন আর উপলক্ষে ব্লগ কতৃপক্ষ ব্লগারকে কোন নোটিশ দিতে পারেন।
১৭. প্রথম পাতা ও ম্যাগাজিন বাটন
ব্লগের যে কোন পোষ্টে, নিজের ব্যাক্তিগত ব্লগপাতা অথবা অন্য কারো ব্লগপাতায় থাকা অবস্থায় উপরে ব্যানারের বামদিকে ‘প্রথম পাতা’ লিখাটিতে ক্লিক করে আপনি ব্লগের প্রথম পাতায় চলে আসতে পারেন। ডানদিকে ‘ম্যাগাজিন’ লিখাটিতে ক্লিক করলে আপনি বিডিটুডে সাপ্তাহিক ই-ম্যাগাজিন ব্রাউজ করতে পারবেন।
১৮. নীতিমালা ও সহায়িকা
- ব্লগের উপরদিকে ব্যানারের নীচেই ‘সহায়িকা’ প্যানেলে ব্লগের নীতিমালা, সহজে বাংলা লেখার পদ্ধতি, ফন্ট সমস্যায় করণীয় জানার সুযোগ আছে।
১৯. মতামত, সমস্যা, ফীডব্যাক
- ব্লগ সম্পর্কে যে কোন মতামত, অভিযোগ অথবা সমস্যার কথা আপনি ব্লগ কতৃপক্ষকে জানাতে পারেন ‘মতামত ও সমস্যা’ বাটনটি ব্যাবহার করে। বিশেষত: কোন পোষ্ট অথবা মন্তব্য যদি আপত্তিকর মনে হয় তাহলে স্বতন্ত্র পোষ্ট না দিয়ে অনুগ্রহ করে 'মতামত ও সমস্যা' বাটনটি ব্যাবহার করুন।
- এ লেখাটি আসলে বুঝা যাবে আপনার ফীডব্যাকটি যথাযথভাবে পাঠানো হয়েছে। যদি পরামর্শ অথবা অভিযোগগুলো গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে মডারেশন বোর্ড দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে। মডারেশন বোর্ড এ ফীডব্যাকগুলো নিয়মিত পর্যালোচনা করে থাকে।
সুতরাং প্রিয় ব্লগার, অংশ নিন অন্তর্জালে বাংলাভাষীদের এ প্রিয় ব্লগটিতে। আপনার নিজস্ব চিন্তাভাবনাগুলো শেয়ার করুন অন্যদের সাথে, আপনার প্রতিক্রিয়া জানান অন্যদের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে। পরিশীলিত, বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণবন্ত মতবিনিময়ে গড়ে উঠুক সুন্দর ও সুস্থ একটি পরিবেশ।
বিষয়: বিবিধ
৬৭২৩৫ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কোন পোস্ট স্টিকি হচ্ছেনা অন্য ব্লগের প্রসংশা করতে চাইনা.... আমরা আমাদের ব্লগিংয়ের সুযোগ সুবিধা গুলো ফিরে পেতে চাই প্লিজ।
Click Here http://www.monitor-bd.net/blog/registration/useractivate/11585/father/a170d6822fe6fd7 to activate your account. If any problem copy the link to your browser address bar.
এই মেসেজ দেয়া হয়ে ছিল
মন্তব্য করতে লগইন করুন