লং মার্চ ইসলাম বিরোধী কাজ তাই বন্ধ করতে হবে - বিশিস্ট আল্লামাগনের অভিমত

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ নূর উদ্দীন ০৪ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:৪৩:৫৯ সকাল

হেফাজতে ইসলামের লংমার্চে জামায়াত-শিবির নাশকতা ও হত্যাযজ্ঞ চালানোর সম্ভাবনায় লংমার্চ কর্মসূচি প্রত্যহারের আহবান জানিয়েছেন ১০১ আলেম-মাশায়েখসহ ইসলামী বিভিন্ন সংগঠন। হেফাজতে ইসলামকে ঢাকামুখী লংমার্চ কর্মসূচি বাতিলের আহবান জানিয়ে ঢাকার কুতুববাগ দরবার শরিফের খলিফা এবং জাতীয় পার্টির (জেপি) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হায়দার আলী চৌধুরী বলেন, লংমার্চ কর্মসূচি কোনো ধর্মীয় কর্মসূচি নয়। পবিত্র কোরআনে এমন কোনো বিষয় নেই যার সমাধান পাওয়া যাবে না। তাই লংমার্চের কর্মসূচি বাদ দিয়ে কোরআন শরীফের পথে আসুন।

বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি লংমার্চ কর্মসূচিকে শিরকি, হারাম ও বেদাত কর্মসূচি হিসেবে উল্লেখ করে তা বাতিলের আহবান জানান। অন্যথায় কোরআন বুকে নিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষকে আগামী ৬ এপ্রিল লংমার্চ কর্মসূচির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আহবান জানিয়েছেন তিনি। (এই উস্কানিতে নাশকতা কে করবে ? জামাত-শিবির ?)

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম প্রগতিশীল মুসলিম দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। জনগণ যেমন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেয়, তেমনি শহীদ মিনারে বাতি জ্বালিয়ে শহীদদের স্মরণ করে। ঈদের জামাতে যেমন যায়, পহেলা বৈশাখের মেলায়ও যায়। বাংলা নববর্ষ, নবান্ন উৎসব, বসন্ত উৎসব, রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উৎসবও এদেশে সাড়ম্বরে পালিত হয়।’

লংমার্চের নামে তাণ্ডব চালানোর পথ বন্ধ করতে হবে

‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে লংমার্চকে ব্যবহার করে জামায়াত-শিবির দেশব্যাপী তাণ্ডবের পরিকল্পনা নিয়েছে। লংমার্চের নামে জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব চালানোর পথ বন্ধ করতে হবে।’ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর মুসলিম হলে ইসলাম ও স্বাধীনতা সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত এ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেছেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এসএম ফরিদ উদ্দিন।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীরে কামেল আল্লামা সাইফুর রহমান নিজামী বলেন, ‘হরতাল, লংমার্চ এসব বন্ধ করতে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্তকারী হেফাজতে ইসলাম এবং জামায়াত-শিবিরসহ যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে যারা আছে তাদের সবার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা যত দ্রুত সম্ভব নিতে হবে। তা না হলে সাধারণ মানুষের প্রাণ হারানোর সংখ্যা আরও বাড়বে।’ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আল্লামা সাখাওয়াত হোসেন, আল্লামা ইলিয়াছ রেজভী, আল্লামা আজিজুল হক আলকাদেরী, আল্লামা নাছেরুল হক চিশতী, আইনজীবী এম আবু নাছের তালুকদার, আল্লামা মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জুবাইর প্রমুখ।

ইয়াজিদী মুসলমানদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে

প্রগতি ইসলামী জোট ও তরিক্বত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সাবেক সাংসদ আলহাজ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বলেন, দেশে বর্তমানে বড় দুটি রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি দুই ধারার মুসলমান আছে। একটি হলো নবী (সা.) প্রদর্শিত কোরআন হাদীসের আলোকের মুসলমান। অপরটি হলো ইয়াজিদী মুসলমান। ইয়াজিদী মুসলমানদের ব্যাপারে সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, মন্দির-মসজিদে আগুন দিয়ে হামলা চালিয়ে ইসলাম কায়েম করার কথা কোরান হাদীসের কোথাও নেই। জামায়াতে ইসলামী এবং তার সহযোগীরা ইসলাম ধর্মের নামে দেশব্যাপী নৈরাজ্য-তাণ্ডব চালাচ্ছে। তিনি হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ বন্ধ করার আহবান জানান।

(সূত্র- আমাদের সময়)

বিষয়: বিবিধ

১২১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File