আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বেআইনি কর্মকান্ড : একটি খোলা চিঠি -ড. আবদুল জব্বার।

লিখেছেন লিখেছেন মাটিরলাঠি ২১ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৫:৩৮:৪৯ সকাল

যৌথ বাহিনীর নামে চলছে বিশেষ অভিযান। মানুষের বাড়িঘর তল্লাশির নামে চলছে ভাংচুর, লুটপাট। কোন কোন ক্ষেত্রে এই ভাংচুর, লুটপাট পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতাকেও হার মানায়। স্বাধীন দেশের নাগরিকদের উপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এই আক্রমণ কতটা আইন সম্মত সেই নিয়ে ছিল চিন্তা। এই চিন্তাকে সামনে রেখেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য তৈরি করা আইনের দিকে চোখ রাখছিলাম। একই সঙ্গে সামনে রাখছিলাম গত কয়েক দিন ধরে চলা অভিযানের সংবাদ গুলো। ভাবছিলাম এই কি আমার স্বাধীন দেশ। নিজের দেশ নিজেরা শাসন করব বলেই ছিল স্বাধীনতা। এই জন্যই তৈরি করা হয়েছিল এসব আইন। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গুলো কতটা মানছে তাদের জন্য তৈরি আইনের বিধান গুলো! একটু চোখ রাখলেই বোঝা যাবে আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকান্ড এবং আইনের বিধান বির্ণত এখতিয়ার। এখতিয়ারের বাইরে কেউ গেলে এর শাস্তি কি হতে পারে সেটাও উল্লেখ রয়েছে এ আইনে।

গত কয়েকদিনের পত্রিকার খবর- 

১. ইবি ছাত্রদল সম্পাদকের বাড়িতে পুলিশের তল্লাশী-ভাংচুর- দৈনিক আমার দেশ:১৩.০১.২০১৫।

২. মিঠাপুকুরে চলছে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান ও তল্লাশি। ভাঙচুর করা হয় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা আবদুল বাছেত মারজানের বাড়ি- নয়াদিগন্ত; ১৫.০১.২০১৫।

৩. চাঁপাইনবাবগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযান, বাড়ি-ঘর তল্লাশি, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ- মানব জমিন; ১৬/০১/২০১৫। 

দুই

এর আগে ও পরে এমন শত-শত ঘটনা অহরহই নির্বিকারভাবে ঘটিয়ে চলেছে ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী’। অর্থাৎ পুলিশ কর্তৃক বাড়ি-ঘর তল্লাশি আর ভাঙ্গচূড়, ক্ষেত্রবিশেষে অগ্নি-সংযোগ, এখন প্রায় সমার্থক হয়ে গিয়েছে। অথচ এটা সম্পূর্ণ বেআইনী এবং আইনের দৃষ্টিতে শস্তিযোগ্য অপরাধ। এক্ষেত্রে আইনের বিধানগুলো হলো- 

ক. বর্তমান প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী পুলিশ কোন নাগরিকের গৃহ তল্লাশি করতে পারে দুইভাবে প্রাপ্ত ক্ষমতাবলে:

প্রথমত: আদালত হতে ইস্যুকৃত তল্লাশি পরোয়ানা (Search warrant) বলে।[ফৌ.কা. ধারা-৯৬, ৯৮, ৯৯ক, ১০০; অস্ত্র আইন ধারা-২৫; প্রকাশ্য জুয়া আইন ধারা-৫; ইত্যাদি দ্রষ্টব্য।]

দ্বিতীয়ত: থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা কোন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক আইনসঙ্গতভাবে কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার অথবা মামলা সংক্রান্তে কোন মালামাল উদ্ধারকল্পে।[ফৌ.কা. ধারা-৪৭ এবং ১৬৫ দ্রষ্টব্য।]

দায়িত্বপ্রাপ্ত এই দুই ধরনের কর্মকর্তা নিজে সরাসরি উপস্থিত থেকেও এই গৃহতল্লাশি করতে পারেন। কিংবা লিখিতভাবে অপর কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে তা করার অনুরোধ জানালে, অনুরূদ্ধ সেই কর্মকর্তাটিও তাদের পক্ষে এই গৃহতল্লাশি পরিচালনা করতে পারেন।[ফৌ.কা. ধারা-১৬৬ দ্রষ্টব্য।]

উল্লেখ্যযে, কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে গৃহতল্লাশির ক্ষেত্রে ধারা-৪৭ প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে তল্লাশি অফিসারকে কোন নির্দিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হওয়ার প্রয়োজন নেই।

কিন্তু ধারা-১৬৫ শুধুমাত্র রুজুকৃত মামলা সংক্রান্তে কোন মালামাল উদ্ধারের জন্য সেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অথবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা এই দু’য়ের অনুরূদ্ধ অপর কোন কর্মকর্তা ছাড়া, এমন তল্লাশি আর অন্য কেউ করতে পারেন না। অস্ত্র আইনের ৩০ ধারার ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।

খ. ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৩ ধারা মোতাবেক গৃহতল্লাশির পদ্ধতি ও নিয়ম সংক্রান্ত বিধানটি হলো- এই তল্লাশি পরিচালনাকালে তল্লাশি পরিচালনাকারী কর্মকর্তা স্থানীয় দুই বা ততোধিক সম্মানিত অধিবাসীকে সরেজমিন উপস্থিত থেকে তাতে সাক্ষী হওয়ার জন্য অনুরোধ, প্রয়োজনে লিখিত আদেশ করতে পারবেন।

এই অনুরোধপ্রাপ্ত বা ক্ষেত্রবিশেষে আদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত তাতে অপারগতা প্রকাশ করলে, দন্ডবিধি আইনের ১৮৭ ধারানুযায়ী তারা দন্ডনীয় অপরাধে অপরাধী বলে গণ্য হবেন।

অবশ্য যে মামলা সংক্রান্ত তল্লাশির সাক্ষী তারা হবেন, সেই মামলার বিচার চলাকালে আদালত যদি বিশেষভাবে এই সকল সাক্ষীগণকে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সমন দিয়ে তলব না করেন, তবে আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য তাদেরকে আদালতে হাজির হওয়ার কোন নির্দেশ পরবর্তীতে পুলিশ দিতে পারবে না।

তল্লাশিকালে আটক বস্তু যেখানে যেমন পাওয়া গিয়েছে সেই বিষয়ে তল্লাশিকারী পুলিশ কর্মকর্তা একটি তালিকা প্রস্তুত করবেন। সেই তালিকায় উপস্থিত সাক্ষীগণের স্বাক্ষর/টিপসহি গ্রহণ করবেন।

তল্লাশিকালে, গৃহকর্তা অথবা তার মনোনীত কোন প্রতিনিধিকে তল্লাশি দলের সাথে থাকার অনুমতি দিতে হবে। অত:পর গৃহকর্তার চাহিদা মোতাবেক উপরিল্লিখিত তল্লাশি তালিকার একটি অনুলিপি গৃহকর্তাকে বা তার প্রতিনিধিকে প্রদান করতে হবে।

ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৩ ধারা সম্পর্কিত উচ্চ আদালতের নির্দেশনাগুলো এমন-

(১) এই ধারা চারটি উদ্দেশ্যে সংযোজন করা হয়েছে। তারমধ্যে একটি হলো, যেসব পুলিশ কর্মকর্তা তল্লাশি কার্য পরিচালনা করেন, তারা যাতে কোন অসাধুতার আশ্রয় নিতে না পারেন। [27 Cri LJ 73]; [AIR 1931 Rang.333]. 

(২) এই ধারায় সম্মানিত অধিবাসী বলতে তাকে বুঝায় যিনি নিরপেক্ষ হবেন এবং যাকে তল্লাশি স্থানের মালিক বা প্রতিনিধি প্রাথমিকভাবে বিশ্বাস স্থাপন করতে পারেন। উক্ত অধিবাসীদের মধ্যে কেউ জব্দ তালিকার কপি চাইলে তা সরবরাহ করতে হবে। [15 Cri LJ 441 FB]; [4 DLR 426].

(৩) এই ধারার বিধানসমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ ব্যতিরেকে গৃহতল্লাশি করা বা কোন সন্দেহভাজন মালামাল জব্দ করা বৈধ বা আইনীকর্ম বলে গণ্য হবে না। [AIR 1955 All 138 (DB)].

গ. পুলিশ রেগুলেশন্স অব বেঙ্গল [পিআরবি] প্রবিধান-২৮০ তে গৃহতল্লাশি পরিচালনা বিষয়ে দেয়া হয়েছে আরও সুস্পষ্ট ও সুনিদির্ষ্ট নির্দশনা। এখানে বলা হয়েছে-

(ক)...তল্লাশি পরিচালনাকারী কর্মকর্তা একদিকে ঘরের অধিবাসীদের অজ্ঞাতসারে ঘরের মধ্যে কোন জিনিষ প্রবেশ করার এবং অন্যদিকে ঘরের মধ্যে হতে কোন জিনিষ বের করার সম্ভাবনা রোধকল্পে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করবেন। ঘরের মালিকের উপস্থিতিতে অথবা তার মনোনীত কোন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে তল্লাশি চালাতে হবে। তল্লাশির সাক্ষীদের উপস্থিতিকে কেবলমাত্র একটা আনুষ্ঠানিকতা মনে করা যাবে না। বরং তারা প্রকৃতপক্ষে সম্পূর্ণ তল্লাশি কার্যক্রমের প্রত্যক্ষদর্র্শী হবেন এবং কোথায় জিনিষটি পাওয়া গেল, তা স্পষ্টভাবে দেখতে সমর্থ হবেন। অত:পর তারা তল্লাশি তালিকায় স্বাক্ষর/টিপসহি করবেন। ঘরের মালিক বা যে সন্দেহভাজন ব্যক্তির মালামাল জব্দ (seize) করা হয়েছে, সে তল্লাশি চলাকালে উপস্থিত থাকলে তাকেও তালিকায় প্রথমে স্বাক্ষর করতে বলা হবে। যদি তাতে সে অস্বীকার করে, তবে এ সম্পর্কে একটি মন্তব্য লিপিবদ্ধ করা হবে এবং সাক্ষীদের দ্বারা তা সত্যায়িত করে নিতে হবে। ঘরের মালিক, সন্দেহভাজন ব্যক্তি অথবা তার প্রতিনিধিকে এই তল্লাশি তালিকার একটি অনুলিপি দিয়ে তার নিকট থেকে স্বীকারপত্রে স্বাক্ষর নিতে হবে। যদি এই স্বীকারপত্রেও সে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করে, তাহলেও এ সম্পর্কেও একটি মন্তব্য লিপিবদ্ধ করে তা সাক্ষীদের দ্বারা তা সত্যায়িত করে নিতে হবে।

যদি তল্লাশিকালে সন্দেহভাজন কোন মালামালই পাওয়া না যায়, তবে ‘জব্দকৃত কোন মালামাল নাই’ মর্মে জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে উপরিল্লিখিত একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

(খ) যদি নির্দিষ্ট কোন জিনিষ বিশেষ কোন স্থানে বা বিশেষ কোন ব্যক্তির দখলে আছে বলে জানা যায় অথবা যুক্তিসঙ্গতভাবে এইরূপ সন্দেহ করা হয়, তবে কেবলমাত্র সেইক্ষেত্রেই বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি চালানো যেতে পারে। সাধারণভাবে পরোয়ানা ব্যতীত তল্লাশি বেআইনী। কেবলমাত্র ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৫ ধারানুসারেই বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি করা যায়। তবে তদন্তের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় কিছু সুনির্দিষ্ট জিনিষ থাকা আবশ্যক এবং এরূপ জিনিষ কোন বিশেষ স্থানে আছে বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ঠ যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে হবে। তল্লাশিতে বিলম্ব হলে সেই জিনিষ উদ্ধারে বিঘ্ন ঘটতে পারে, সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার তার ডায়েরীতে এমন বিশ্বাসের ভিত্তি এবং যে জিনিষ তিনি খোঁজ করছেন তার নাম উল্লেখ করবেন। অত:পর ফৌ.কা. ১৬৫ ধারানুযায়ী নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এর অনুলিপি যত শীঘ্র সম্ভব পাঠাবেন।

কোন গৃহের দখলদার দাগী দুশ্চরিত্র কিংবা ফেরারী আসামী, শুধুমাত্র এই অযুহাতেই সে জায়গায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি চালানো যাবে না।

(ঘ) তল্লাশি শুরু করার পূর্বে তল্লাশি পরিচালনা করবেন এমন প্রত্যেক পুলিশ কর্মকর্তা, তাদের সহকারী, সংবাদদাতা প্রমূখদের দেহ- তল্লাশিতে অংশগ্রহনকারী সাক্ষীগণ, গৃহকর্তা অথবা তার প্রতিনিধির সামনে পরীক্ষা করতে হবে।

(ঙ) এমনভাবে তল্লাশির ব্যবস্থা করতে হবে, যেন গৃহবাসীদের জন্য, বিশেষ করে, মহিলাদের তাতে যথাসম্ভব কম অসুবিধা ঘটে।

(ছ) তল্লাশিতে কত সংখ্যক সাক্ষী উপস্থিত থাকা প্রয়োজন তা নির্দিষ্ট অবস্থার উপর নির্ভর করে। তবে মনোনীত সাক্ষীগণের একই এলাকার বা পাশ্ববর্তী এলাকার অধিবাসী হওয়া আবশ্যক। প্রয়োজনে এ ধরনের অধিবাসীকে লিখিতভাবে তল্লাশি সাক্ষী হওয়ার জন্য আদেশ দেয়া যেতে পারে।

(জ) যতদূর সম্ভব সাক্ষীরা যাতে সংশ্লিষ্ট কোন পক্ষ বা পুলিশের সাথে সম্পর্কযুক্ত না হয় এবং তারা যাতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বলে বিবেচিত হতে পারে, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি সম্ভব হয়, স্থানীয় স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার সদস্য বা গ্রামের প্রধাণ ব্যক্তিকেও তল্লাশি কর্মকান্ড দেখার জন্য উপস্থিত রাখতে হবে। কোন অবস্থাতেই কোন গুপ্তচর, অভ্যস্ত মদ্যপ বা সন্দেহভাজন চরিত্রের লোককে তল্লাশি সাক্ষী হিসেবে তলব করা যাবে না। আগ্রহী কোন ব্যক্তিকে তল্লাশি সাক্ষী হিসেবে প্রত্যাখ্যান করা হলে তার কারণসমূহ তল্লাশিকারী কর্মকর্তা কেস ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করবেন।

(ঝ) যখন বেআইনী অস্ত্র উদ্ধারের জন্য কোন গৃহতল্লাশি চালানো প্রয়োজন হবে, তখন অস্ত্র আইনের ২৫ ধারানুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হতে অবশ্যই পরোয়ানা সংগ্রহ করতে হবে। বেআইনী অস্ত্র উদ্ধারের জন্য কোন পুলিশ অফিসার নিজ উদ্যেগে গৃহতল্লাশি করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত নন।[অস্ত্র আইনের ২৫ ধারা দ্রষ্টব্য]।

(ঞ) গৃহতল্লাশির সময় নিয়ম বহির্ভূত কার্যকলাপ রোধ করার উদ্দেশ্যেই তল্লাশি পরিচালনাকারী কর্মকর্তা জব্দ করেছেন এমন মালামালের তালিকার তিনটি অনুলিপি ৪৪ নং বিপি ফরমে প্রস্তুত করবেন এবং তল্লাশি শেষে সেই প্রস্তুতকৃত তালিকার একটি অনুলিপি গৃহকর্তা বা তার প্রতিনিধিকে, একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এবং একটি অনুলিপি তার নিজের কাছে রাখবেন।

তল্লাশিকারী কর্মকর্তা এমনভাবে তল্লাশি চালাবেন যেন উপস্থিত সাক্ষীদের মনে এইরূপ কোন সন্দেহ করার কোন অবকাশই না থাকে যে- তল্লাশিকারী কর্মকর্তাগণ, তাদের সঙ্গীয় কনস্টেবলগণ, সহযোগি চৌকিদারগন কিংবা তাদের প্রভাবাধীন অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক কতগুলো জিনিষ গোপনে ঘরে প্রবেশ করিয়ে রাখা হয়েছে, যাতে সেগুলো উক্ত তল্লাশির স্থান হতে উদ্ধারকৃত প্রকৃত জিনিষসমূহের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারে। 

সাক্ষীদেরকে তল্লাশির সকল স্থানে অবাধ প্রবেশাধিকার এবং সেখানে যা কিছু ঘটে তা দেখতে ও শুনতে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।

তিন

মোটামুটি এই হলো গৃহতল্লাশি সম্পর্কিত আইনের বিধান। ডিএমপি এলাকার জন্যও অনুরূপ বিধান প্রযোজ্য, যা বিধৃত আছে ডিএমপি(থানা)রুলস এর বিধি-১০৬ এ।

তাই সংশ্লিষ্ট কোন পুলিশ কর্মকর্তা যদি এই বিধানের ব্যত্যয় করে, তবে তা আইন বহির্ভূত বা বেআইনী কাজ বলে গণ্য হবে। সেই বেআইনী কাজটির জন্য তার শাস্তি হতে পারে এক বছরের কারাদন্ড। যা বিধৃত আছে দন্ডবিধি ধারা-১৬৬ এবং ডিএমপি অধ্যাদেশ ধারা-৫১ ও ৫২ তে। 

উপরের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল যদি কোন পুলিশ কর্মকর্তা প্রচলিত আইনের বরখেলাপ করে তল্লাশি কার্য পরিচালনা করে তাহলে তার পরিণাম বা শাস্তি কি হবে সেই বিষয়টি।

কিন্তু সেই তল্লাশির নামে যদি তারা নিজেরা ঘর-বাড়ী ভাঙ্গচূড় করে, জিনিষপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়, এমনকি অগ্নিসংযোগ করে অথবা এধরণের কমর্কান্ডে অন্যকে সহায়তা করে কিংবা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সত্বেও এইরূপ অপরাধমূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধ না করে নিস্ক্রিয় থাকে কিংবা পরবর্তীতেও দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কাযর্ক্রম গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে, তাহলে তার প্রত্যেকটি অপরাধ অনুষ্ঠান বা সহায়তা করার জন্য আইনে যে শাস্তির বিধান রয়েছে তার দায়ে তারা দোষী বলে বিবেচিত হবেন। যেমন-

১. বাড়ী-ঘর ভাঙ্গচূড়ের ঘটনায় শাস্তির পরিমাণ- ২বছরের কারাদন্ড। [দন্ডবিধি ধারা-৪২৭ দ্রষ্টব্য]।

২. বাড়ী-ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শাস্তির পরিমাণ- ১০বছরের কারাদন্ড। [দন্ড. ধারা-৪৩৬ দ্র.]।

৩. বাড়ী-ঘরের মালামাল লুটপাটের ঘটনায় শাস্তির পরিমাণ- দস্যুতা বা ডাকাতির অভিযোগে ১০বছর বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড। দন্ডবিধি ধারা-৩৯২ অথবা ৩৯৫ দ্রষ্টব্য]। ইত্যাদি।

অনেক পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারী হয়ত এই মনে করে নিশ্চিন্ত হতে পারেন যে, তাদের এই বেআইনী কর্মকান্ড যেহেতু বর্তমান সরকারের পক্ষেই যাচ্ছে, তাই সরকার তাদের কিছু বলবে না। আপাত: হয়ত তা ঠিকও। কিন্তু ভবিষ্যতেও যে সরকারের পরিবর্তণ হয়ে জনগণের সরকার দায়িত্বগ্রহণ করবে না, তা কিন্তু নিশ্চিত করে বলা যায় না। আর বর্ণিত এসকল ফৌজদারী অপরাধ কখনই সময়ের সাথে সাথে তামাদি হয় না। ২বছর, ৫বছর, এমনকি ২০বছর পরও এর বিচার করার ক্ষেত্রে আইনগত কোন বাধা নেই। শুধু প্রয়োজন হবে সাক্ষ্য-প্রমাণগুলো সংগ্রহে রাখার। সকল কিছুই নির্ভর করবে আদালতের নিরপেক্ষতা ও সুবিবিবেচনার উপর। আশা করা যায় তখন হয়ত বর্তমান ‘আওয়ামী প্রভাবিত’ নিম্ন আদালত আর বিরাজমান থাকবে না।

আবার বিচারিক কোন ঘটনা প্রমাণের জন্য সাক্ষ্যদানকারী সাক্ষীর সংখ্যাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো গ্রহনযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষ্য। সাক্ষ্য আইনের ১৩৪ ধারায় বলা হয়েছে যে- কোন মামলা প্রমাণের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক সাক্ষীর প্রয়োজন হবে না। আর এ সংক্রান্তে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত হলো- যদি একজন সাক্ষীও সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাসযোগ্য হয়, তবে সেই একজন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শাস্তি দিতে পারে আদালত। [সাহাদৎ আলী বনাম সরকার; ৪২ ডিএলআর ২১৭]।

একজন সত্যবাদী সাক্ষীর সত্য সাক্ষ্য, হাজারটি মিথ্যা সাক্ষীর সাক্ষ্য অপেক্ষা আদালতের নিকট অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান। কেননা মিথ্যা সাক্ষ্য দানকারী প্রতিপক্ষের আইনজীবিদের বিভিন্ন জেরার মুখে অসংলগ্ন কথা বলা শুরু করেন। কিন্তু সত্য সাক্ষ্য দানকারীকে যতজন উকিল যতভাবে যে প্রশ্নের মাধ্যমেই জেরা করুক না কেন, তার কথায় কখনোই কোন অসংগতি প্রকাশ পায় না। তাই বিচারক যদি নিরপেক্ষ হন, তবে অতি সহজেই তিনি বুঝে ফেলেন যে, কোন সাক্ষ্যটি সত্য আর কোনটি মিথ্যা। আর সত্যের আলোকেই যদি তিনি রায় দেন, তবে হাজারো মিথ্যা সাক্ষ্যের বিপরীতে একটি সত্য সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই তিনি রায় দিতে পারেন, এটিই আইনের নির্দেশনা। 

বর্তমান পরিস্থিতিগত কারনে মনে হতে পারে, ‘আওয়ামী লীগের পুলিশদের’ কোন বেআইনী কাজের জন্য কি আর শাস্তি হবে! আমি বলব, হ্যাঁ হবে। কেননা পুলিশ-বিজিবিতে চাকরী নিলেই বা কোন দলের নেতৃস্থানীয় হলে অথবা এমপি-মন্ত্রী ইত্যাদি হলেই আইনের আওতা থেকে সে মুক্ত হয়ে যায় না। বরং আইনের প্রয়োগকারী কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে আইনের খেলাপ করে কোন ফৌজদারী অপরাধ করে ফেললে তাকে অধিকতর শাস্তি পেতে হবে, এটাই আইনের স্পিরিট। তবে তার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। অবশ্য তাও যুগ যুগ ধরে নয়। আশা করা যায় খুব শীঘ্রই! কিন্তু সেই সুযোগটি আসার পরও যাতে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে এই সরকারি ‘পুলিশ লীগ সদস্যরা’ অব্যহতি পেয়ে না যায়, সেজন্য এখন থেকেই ভুক্তভোগীদের সংগ্রহ করে রাখতে হবে সেই সকল সাক্ষ্য প্রমাণ। যেমন- 

১. যখনই কোন পুলিশ কর্মকর্তা গৃহতল্লাশি করতে চাইবে তখনই তা বর্ণিত ফৌ.কা. ধারা-১০৩; পিআরবি প্রবিধান-২৮০ অথবা ডিএমপি বিধি-১৬০ প্রতিপালন পূর্বক তা করা হচ্ছে কিনা তা গৃহকর্তা লক্ষ্য করবেন। যদি তার ব্যত্যয় ঘটে, তবে সেই বিষয়ে তিনি কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাকে সতর্ক করবেন। আপনি যে সতর্ক করলেন সেই বিষয়ে স্থানীয় বা উপস্থিত ২/১জন ব্যক্তিকে সাক্ষী রাখবেন। যা ভবিষ্যতে কাজে দিবে। সতর্ক করার পরও যদি ঐ পুলিশ কর্মকর্তা তাতে কর্ণপাত না করে তার ইচ্ছামতই বেআইনী পদ্ধতিতেই তল্লাশি চালাতে থাকে, তাহলে তিনি এই বেআইনী কর্মকান্ডের সাক্ষ্য-প্রমাণাদি যতদূর সম্ভব সংগ্রহে রাখবেন। 

২. এখন তো স্মার্ট ফোনের যুগ। প্রত্যেক ফোন দিয়েই ভিডিও-অডিও রেকর্ড করা যায়। যতদূর সম্ভব সংশ্লিষ্ট চিত্র ও কথাবার্তাগুলো রেকর্ড করে রাখতে হবে।

৩. যে সকল পুলিশ সদস্যরা এই তল্লাশি কার্যক্রমের সাথে জড়িত তাদের নাম-পরিচয় ভূমিকা ইত্যাদি সংগ্রহে রাখতে হবে।

৪. যে ব্যক্তিদেরকে তল্লাশি সাক্ষী করে তাদের স্বাক্ষর/ঢিপসহি নেয়া হয়, তাদের নাম-পরিচয়, ঠিকানা সংগ্রহ করে রাখতে হবে।

৫. তল্লাশির সাথে জড়িত সকল পুলিশ সদস্য এবং অন্যান্য সকল কর্মচারীই কিন্তু এই অপকর্মকে মন থেকে মেনে নিতে পারে না, কিন্তু অনেকটা বাধ্য হয়েই উপরের হুকুমে তা করলেও মনে মনে অনুশোচনা করে। এইসব ব্যক্তিবর্গর সাথেও যোগাযোগ রাখতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে তাদেরকে সাক্ষী হিসেবে কাজে লাগানো যায়। 

৬. এরকম প্রত্যেকটি ঘটনার পরপরই এর সাথে সম্পৃক্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম-পদবী উল্লেখ করে বিভিন্ন গণমাধ্যম বা তা সম্ভব না হলে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে দিতে হবে, যাতে অধিক সংখ্যক লোকজন তাদেরকে চিনে রাখতে পারে। ভবিষ্যতে সাক্ষ্য হিসেবে আদালতে এগুলো কাজে লাগবে। সর্বাপরি এদের বাড়ী-ঘর ও নিকটাত্মীয়-স্বজন যথা- পিতা-মাতা, ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে এদেরকে চিহিহৃত করে তাদেরকে তাদের আত্মীয়ের এই কুকর্ম সম্পর্কে অবহিত করে তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।

ইনশাল্লাহ্ এভাবেই আস্তে আস্তে সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। 

একটি বিষয় সবর্দা মনে রাখতে হবে যে, বিজিবি, র‌ব্যাব, সেনাবাহিনী ইত্যাদি যে বাহিনীই ‘যৌথবাহিনীর’ তকমা লাগিয়ে এই বেআইনী কাজগুলো করুক না কেন, আইনগতভাবে তারা প্রত্যেকেই স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তাকল্পে তা করে। এ বিষয়ে তাদের নিজস্ব কোন আইনী ক্ষমতা নেই। তাই ‘আইন জানা‘ স্থানীয় থানা পুলিশের ওসি-দারোগারা যদি এই ধরনের বেআইনী কাজগুলো বন্ধ করে বা অপরের এমন অবৈধ কাজগুলোতে বৈধতা দেয়ার জন্য ফেক কাগজ-পত্র তৈরী করতে অস্বীকার করে, তাহলে কোনভাবেই কারো পক্ষে সম্ভব নয় এই অবৈধ কাজগুলো করার। এটাই আইনী বাস্তবতা।

তাই থানা পুলিশের ক্ষমতাও যেমন বেশী, তেমনি জবাবদিহিতাও মূলত: ভবিষ্যতে তাদেরকেই করতে হবে। এখন যাদের আদেশে বা যাদের সন্তুষ্টি বিধানের জন্য এ কাজগুলো পুলিশ ভাইয়েরা বুঝে না বুঝে করে চলেছেন তাদের বলি, তারা কিন্তু তখন অবলীলায় সব কিছু অস্বীকার করে বলবে- আমরা কিছুই জানি না, পুলিশ তার নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা কি করেছে বা করে নাই, তা আমরা কি করে বলব? 

এখানেই শেষ নয়। শিবগঞ্জের নি:স্ব ও অসহায় এই মহিলার সেই অনিশ্চিত অশ্রুজলের ভাষা ও পরিণতি, আজ ক্ষমতার ঘোরে যারা বুঝতে পারছেন না, অথবা যারা এই অশ্রুর জন্য সরাসরি দায়ী, তাদের উভয়ের উদ্দেশ্যেই বলি- দুবর্ল এই ভদ্রমহিলার আহাজারি জাগতিক কতৃর্ত্ববানদের কেউ আপাতত: ধর্তব্যের মধ্যেই নিচ্ছেন না বলে মনে হলেও, তাঁকে যিনি সৃষ্টি করে তাঁর রিযিক বন্টন করেছিলেন, সেই মহান সৃষ্টিকর্তা ও সবর্শ্রেষ্ঠ বিচারক, তিনি কিন্তু নিশ্চয়ই সবকিছু দেখছেন ও শুনছেন। নির্ভুল বিচারকের নিখুঁত সেই বিচার যে একদিন সম্পন্ন হবেই, তাতে কোনই সন্দেহ নেই। শুধুমাত্র সেটি কি নিকট ভবিষ্যতে এই দুনিয়াতেই হবে, নাকি তা দেখার জন্য শেষ বিচারের দিন পযর্ন্ত অপেক্ষা করতে হবে, একমাত্র রাব্বুল আলামীন, তিনিই তা ভাল জানেন। তবে আমরা প্রার্থনা করি, দুনিয়াতেই যেন তা দেখতে পাই।

সুতরাং সাধু সাবধান!

=====================================

বিপি ফরম নং ৪৪: 

বেঙ্গল ফরম-৫২৭৬।

তল্লাশি তালিকা

(প্রবিধি-২৮০)

ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৩ এবং ১৬৫ ধারার বিধান মতে পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক জব্দকৃত মালামালের বিস্তারিত বিবরণ,

১. তল্লাশির তারিখ ও সময় …………………………………………………………

২. যে ব্যক্তির বাড়ী তল্লাশি করা হলো তার নাম ও ঠিকানা ………………………………………………।

৩. তল্লাশিকালে উপস্থিত সাক্ষীগণের নাম ও ঠিকানা ………………………………………………………।

ক) ……………………………………………………।

খ) ……………………………………………………।

যদি এরূপ আরো থাকে। 

ক্রমিক নং(প্রত্যকটি দ্রব্যের জন্য পৃথক ও একীভূত ক্রমিক দিতে হবে)। জব্দকৃত মালামালের বর্ণনা বিবরণ জব্দকৃত মালামাল যে স্থানে পাওয়া যায় সে স্থানের বিবরণ যে ঘর হতে দ্রব্যাদি জব্দ করা হয় সে ঘরে সাধারণত: যে বসবাস করে তার নাম ঠিকানা ইত্যাদি মন্তব্য

ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী যে দ্রব্য সেখানে যে অবস্থায় পাওয়া যায় তার বিস্তারিত বিবরণ। জব্দকালে অস্বাভাবিক কোন কিছু পরিলক্ষিত হলে যেমন পোড়ানো কাগজের অবশিষ্টাংশ ইত্যাদি সম্পর্কে অবশ্যই নোটে উল্লেখ করতে হবে।

সাক্ষীদের স্বাক্ষর, তারিখসহ-

১। ……………..

২। ……………..

৩। …………….

৪। ……………..

আসামীর স্বাক্ষর (আবশ্যিক নয়-

তল্লাশি পরিচালনাকারী পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষর- 

(উৎস)

বিষয়: বিবিধ

১৬৮০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

301053
২১ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৬:২৯
শেখের পোলা লিখেছেন : ভুলে যাবেননা এখন আমরা পরাধীন নই৷ সব আইন পরাধীন দেশে প্রজোয্য৷ আমাদের আইন আব্বা হুজুরের প্রতি ক্ষনে নাজিল করা স্বপ্ন আর তার বাহিনীর চ্যাতনা, যা লিখিত আকারে রাখা গোনাহে কবিরা৷ কেউ দুঃসাহস করে লিখলেও তা কাজির গরুর মত কিতাবে থাকবে বাস্তবে নয়৷ যায় বাংলা৷
২২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:০৯
243631
মাটিরলাঠি লিখেছেন : "আমরা গনতান্ত্রিক দেশ। আসুন আমরা বৃহত্তর গনতন্ত্রে যোগদান করি।" -উক্তিটি বলা হয়েছিল সিকিমের পার্লামেন্টে ৪০ বছর আগে। যায় বাংলা।
301060
২১ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৮:০৯
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : ধন্যবাদ
২২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:১০
243632
মাটিরলাঠি লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
301065
২১ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৮:৫৯
sarkar লিখেছেন : আইন থাকে আইনের বইয়ে।এখন যেটা চলছে সেটা পুলিশ লীগের আইন।ওটা চলবে ততদিন হাসিনা থাকবে যতদিন।
২২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:১৪
243633
মাটিরলাঠি লিখেছেন : স্বৈরাচার চলে গেলে এদেশে কি বিচার হয়? এরশাদের কি বিচার হয়েছে? রক্ষীবাহিনীর অত্যাচারের কোন বিচার হয় নাই। তাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের কথা কেউ বলে না। ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো বরাবর নিশ্চুপ থেকেছে।
301079
২১ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আইন হলো মাকড়সার জাল।
সবল রা কেটে বের হয়ে যায় দুর্বলরা আটকা পড়ে।
২২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:১৬
243634
মাটিরলাঠি লিখেছেন : কারণগুলো কী কি? কেন দুর্বলরা আটকা পড়ে?
321562
২১ মে ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ভাল লাগলো আপনার লিখাটা, তবে লিখাটা একটু বেশি বড় হয়ে গেছে.... ধন্যবাদ আপনাকে
২২ মে ২০১৫ রাত ০১:০২
262762
মাটিরলাঠি লিখেছেন : ধন্যবাদ। লেখাটি আমার নয়, সংগৃহীত। বড় হলেও অপ্রাসঙ্গিক নয়। ব্লগে দিয়েছি যেন একটি রেফারেন্স হয়ে থাকে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File