মুসলিম পরস্পরে তিনটি বিষয়ে সমান অংশীদার

লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ০৮ জানুয়ারি, ২০২১, ০৬:৪১:১৩ সন্ধ্যা

#তিন_জিনিসে_বাঁধা_দেয়া_যাবে_না

عَنْ رَجُلٍ، مِنَ الْمُهَاجِرِينَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: غَزَوْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثًا أَسْمَعُهُ، يَقُولُ: الْمُسْلِمُونَ شُرَكَاءُ فِي ثَلَاثٍ: فِي الْكَلَإِ، وَالْمَاءِ، وَالنَّارِ

#বাংলা: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একজন মুহাজির সাহাবী বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে তিনবার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। আমি তাঁকে বলতে শুনেছিঃ

"মুসলিমরা তিনটি জিনিসে সমানভাবে অংশীদারঃ ঘাস, পানি ও আগুন। (আবু দাউদ: ৩৪৭৭)

#আলোচনা: মুসলমান পরস্পরের ভাই, একজন অপরজনের সাহায্যে এগিয়ে আসবে, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করবে। এটাই ইসলামের সৌন্দর্য। সমানভাবে অংশীদার বলতে, যার কোনো নির্দিষ্ট মালিকানা নেই এমন বস্তুতে সবাই সমান অংশীদার। অপর হাদীসে এসেছে-

আবূ হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিনটি জিনিস সংগ্রহে (কাউকে) বাধা দেয়া যাবে না- পানি, ঘাস ও আগুন। (ইবনে মাজাহ:২৪৭৩)

পানি: যে পানি কারো মালিকানাধীন নয়, অর্থ দিয়ে সংগ্রহ করতে হয় নি এমন প্রবাহমান পানি তাতে সবার হক রয়েছে। যেমন- বৃষ্টির পানি, নদী-নালা, ঝর্ণা, সমুদ্রের পানি। তাছাড়া সরকারি ব্যবস্থাপণার পানিতে সবার সমানাধিকার। তাছাড়া নিজ মালিকানার পানি থেকে উদ্ধৃত অংশ কাউকে দেয়া অনেক সওয়াবের কাজ।

ঘাস: কারো আয়ত্বাধীন বা উৎপাদিত ঘাস ছাড়া পরিত্যক্ত ভূমি বা খাস জমির ঘাস সবার জন্য সমান। তৃণভোজীর প্রাণীদের তাতে বাঁধা দেয়া যাবে না।

আগুন: আগুন বলতে আগুন ধরাতে সাহায্য করা।

অপর একটি (দূর্বল সনদের) হাদীসে "লবণ" চাইলে বাঁধা না দেয়ার কথা এসেছে। (দ্রষ্টব্য: ইবনে মাজাহ:২৪৭৪, তাবারানীর মুজামুল আওসাত:৬৫৯২)

বস্তুত: নিত্য প্রয়োজনীয় গৃহস্থালীর টুকটাক জিনিস দিয়ে সাহায্য করা বা ধার দেয়া খুবই কল্যাণকর এবং সমাজিক দায়বদ্ধতার সাথে জড়িত। সুখি ও সুন্দর সমাজ গঠনে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে পরস্পরকে সাহায্য করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

#বর্ণনাকারী: রাসূলের একজন মুহাজির সাহাবী (রা.), ইবনে আব্বাস (রা.)

#মান:সহীহ

#গ্রন্থ: আবু দাউদ:৩৪৭৭, মুসনাদে আহমাদ:২২৫৭৩/২৩১৩২, মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ: ৩১৫৬, বাইহাকীর সুনানুল কুবরা:১১৫০২, সহীহ আততারগীব:৯৬৬, ইবনে মাজাহ:২৪৭২

#সংকলন ও সম্পাদনায়: সামসুল আলম (#নীলমুসাফির)

#দরসে_হাদীস

বিষয়: বিবিধ

৫০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File