৫ জানুইয়ারি ২০১৪ : ফিরে দেখা বাংলাদেশ-রাজনীতি নয় আসুন সত্য ইতিহাস জানি"

লিখেছেন লিখেছেন রঙ্গিন স্বপ্ন ০৫ জানুয়ারি, ২০১৮, ০৬:৪৮:৩৮ সকাল

এক)

১৯৭০ সালের নির্বাচনে যেই দলটি সর্বাধিক ভোট পেয়ে "ইউনাইটেড পাকিস্তানের" নেতৃত্বের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিল, ২০১৪ সালে সেই দলটিই মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে , রাজনৈতিক দেউলিয়ায়, আদর্শহীনতায় অগণতান্ত্রিকভাবে গায়ের জোড়ে ক্ষমতায়।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামত পাকিস্তানিরা উপেক্ষা করার জন্যই স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

আর আজ সেই আওয়ামিলীগ-ই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামত উপেক্ষা করে চলেছে।

কোথায় ১৯৭০ এর নির্বাচন!

আর কোথায় ৫ জানুয়ারি ২০১৪!!

যেখানে শোষণ আর বঞ্চনার বিরুদ্ধেই ছিল স্বাধীনতার হুঙ্কার,

যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতই ছিল স্বাধীনতা-সংগ্রামের ভিত্তি;

তাহলে ৫ জানু ২০১৪,

এ কোন বাংলাদেশ?

এ কেমন মুক্তি?

নোটঃ ৭ ডিসেম্বর ১৯৭০ - ১৭ জানুয়ারি ১৯৭১, পাকিস্থানের সংবিধান রচনার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব পাকিস্থানের ১৬৯ টি আসনের ১৬৭ টিই পায় আওয়ামিলীগ।

উৎসঃ স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র, মুজিব নগর সরকারঃ http://en.banglapedia.org/index.php?title=Proclamation_of_Independence

দুই)

সংবিধান মতে এই সরকার ও ৫ জানুয়ারি ২০১৪ নির্বাচন অবৈধ

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫ (২) মতে,

''একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাসমূহ হইতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচিত তিন শত সদস্য লইয়া সংসদ গঠিত হইবে; সদস্যগণ সংসদ-সদস্য বলিয়া অভিহিত হইবেন। ''

বলা হয়েছে ''প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে'', কিন্তু ৫ জানুয়ারি ২০১৪ আওয়ামিলীগের ১৫৩ এম পি অনির্বাচিত হয়ে সংসদ-সদস্য হওয়ায় বর্তমান সংসদ ও সরকার অবৈধ ও আইন বহির্ভূত।

আওয়ামিলীগ বলার চেষ্টা করে যে, বি এন পি নির্বাচনে আসেনি, তাতে কি? তারা নির্বাচন করে সংসদে এসেছে।

কিন্তু আসল কথা হল- বি এন পি আসেনি সেটা নয় বরং সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫ (২) মতে এই সরকার বিধি সম্মত নয়।

যদিও বড় একটি রাজনৈতিক দলের জোট ভুক্ত ( ৪ দলীয় জোট) প্রধান প্রধান দল সমুহ ৫ জানুয়ারির ভোটের উপর সঙ্গত কারণেই আস্থা রাখতে পারেনি।

বিষয়: বিবিধ

৯৮৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

384649
০৫ জানুয়ারি ২০১৮ সকাল ১০:৩৪
হতভাগা লিখেছেন : আওয়ামী লীগ যেমন বলে থাকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্যই ৫ই জানুয়ারীর (২০১৪) নির্বাচন করতে হয়েছে ঠিক বিএনপিরও এরকম বাধ্যবাধকতা ছিল ১৫ই ফেব্রুয়ারীর (১৯৯৬) নির্বাচনের ।

আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে সবচেয়ে বড় ফারাক হচ্ছে যে, আওয়ামী লীগ দাঙ্গা ফ্যাসাদ করতে পারে ব্যাপক আকারে যেটা বাংলাদেশের জনসাধারণ পছন্দ করে । ৫ই জানুয়ারী ২০১৪ এরপর বিএনপি পারে নাই আওয়ামী লীগের মত ১৫ই ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনে না গিয়ে তত্ত্বাবধায়কের জন্য হরতাল-অবরোধ করতে , জনগনের মাঝে একটা আতন্কের পরিবেশ সৃষ্টি করতে । সেরকম জনবল তাদের নেইও।

বোকা বিএনপি আওয়ামীগের দাবীর কাছে নত হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনিয়েছিল । সেরকম বোকামী আওয়ামী লীগ ২০১৪ তে করে নি । পিটিয়ে মামলা দিয়ে সাইজ করে রেখেছে। বিএনপির উচিত ছিল ১৯৯৬ এ ২৯০+ আসন পেয়ে সেরকমই করা ।

বাংলাদেশের মানুষ সে সব দলকে ক্ষমতায় বসায় যারা হরতাল , অবরোধ এর মত ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম করতে পারে।

গত ৯ বছর ক্ষমতায় বসে আওয়ামী যে কাজে সাকসেসফুল হয়েছে সেটা হল - তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতন্ক ও ত্রাসের সন্চার করে দিয়েছে , তাই আমরা এখন খুবই ধৈর্য্যশীল হয়ে গেছি এবং প্রায়ই বলি''সমস্যা নাই'' '' কিছুই করার নাই'' ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File