"রোজা আল্লাহভীতি তৈরি করে, কিভাবে? কখনো কি ভেবে দেখেছি এর বাস্তব নমুনা কী?"

লিখেছেন লিখেছেন রঙ্গিন স্বপ্ন ১৭ মে, ২০১৮, ০৮:৪৬:১৩ রাত

রমাদানে না খেয়ে আমরা যেভাবে আল্লাহর হুকুম পালন করি এমনকি একাকিও গোপনে কিছু খাইনা, একজন বেনামজীও একাকী গোপনে কিছু খায়না, এমনকি একটা শিশুও রোজা রাখতে যেয়ে গোপনে কিছু খায় না- যদিও অন্য সময়ে তার স্বাভাবিক শিশু সুলভ অভ্যাস অনুযায়ী পড়ালেখা ও অন্যান্য কাজে বাবা-মাকে ফাঁকি দিতে চায়। আমরা সবাই নিজেই নিজের সেফগার্ড হয়ে যাই; ঠিক একই ভাবে যদি আমরা মুসলমানরা সকল কাজে আল্লাহ কে ভয় করে চলতাম............

যেভাবে কেউ দেখে না তবুও রোজা ভেঙে যায় এমন কিছু আমরা করিনা, ঠিক সেভাবে আমাদের দৈনন্দিন লেনদেন, ব্যবসা, আচার- অনুষ্ঠান -ব্যবহার, চুক্তি, বিয়ে সাদী, অর্থনীতি, রাজনীতি তথা ব্যক্তি-পরিবার- সমাজে খাঁটি মুসলিমের চরিত্র যদি আমরা ধারণ করতে পারি তাহলেই তো প্রকৃত সফলতা এবং দুনিয়াবি কামিয়াবি।

যেমন কেউ জিজ্ঞেস করছেনা বা করার সাহস পাচ্ছেনা কিংবা দেখছেনা , তবুও আল্লাহর ভয়ে রাষ্ট্রের প্রধান ও কর্তা ব্যক্তিবর্গ শাসক সুলভ আচরণ না করে "সেবক" হয়ে যাবে। জুলুম করবে না, লুটপাট করবেনা, সূদ-ঘুষ খাবেনা, স্বৈরাচার হবেনা, আমানতের খেয়ানত করবেনা, মিথ্যা বলবে না......... যেভাবে কেউ দেখেনি তবুও রোজা রেখে খায়নি কিংবা পানাহার করেনি।

সুতরাং বুঝা গেল বাহ্যিক কোন উপায় বা শক্তি প্রয়োগ নয় বরংইচ্ছা, সততা, নিষ্ঠা ও আল্লাহভীতি তৈরি হয় ব্যক্তির ভেতর থেকে। (এমনকি বাবা-মা'কেও নিজ সন্তান মানুষ করতে এই নিয়মের অনুসরণ করতে হয়। তবে হ্যাঁ পরিবেশের একটা প্রভাবতো আছেই, সেটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। সন্তানদের সেই পরিবেশে বড় করলে বরং আল্লাহভীতি অর্জনের সহায়ক হবে।) একইভাবে প্রতিটি ব্যক্তির ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য।

রোজার ন্যায় সকল কাজে যদি আমরা আল্লাহকে অনুরুপভাবে ভয় করে চলতাম............

তাহলে,

বাংলাদেশ সহ সারা মুসলিম বিশ্ব, দুনিয়ায় একটা মডেল ও জান্নাতে পরিণত হয়ে যেত। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কিংবা সামাজিক কোন মডেল সমাধান নয়, বাংলাদেশ সহ সারা দুনিয়ায় সকল সমস্যা সমাধানে "আল্লাহভীতিই" একমাত্র সমাধান। রমাদান হোক সেই চেতনা উপলব্দির মুক্ষ্যম সময়। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন।

আর সেজন্যই আল্লাহ তা'য়ালা রমাদানের ব্যাপারে বলেছেনঃ সুরা আল বাকারাঃ ১৮৩

"হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা "আল্লাহভীতি" অর্জন করতে পার।"

সুতরাং রমাদানের উদ্দেশ্যই হচ্ছে- আল্লাহভীতি অর্জন করা । আমাদের সকল কাজে এর বাস্তব প্রতিফলন ঘটুক।

আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন।

বিষয়: বিবিধ

১০১৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

385369
১৮ মে ২০১৮ রাত ১২:১৪
আমি আল বদর বলছি লিখেছেন : এই রামাদান আমাদের সবার জীবন পাল্টে নেওয়ার চেস্টা করা উচিত, হা এই রামাদানেই করতে হবে এই ৩০দিনে লাইফ পাল্টে যেতে পারে আমরা সত্যিই আসল মুসলিম হতে পারবো!
জাযাকাল্লাহ খায়র ভাই খুব মূল্যবান কথা বলেছেন , আপনাকে রামাদানের শুভেচ্ছা
385371
১৮ মে ২০১৮ রাত ০১:০৪
মুফতি যুবায়ের খান রাহমানী। লিখেছেন : মাশাআল্লাহ! খুব সুন্দর লিখেছেন।
385372
১৮ মে ২০১৮ সন্ধ্যা ০৭:২০
শেখের পোলা লিখেছেন : আমিন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File