ভারতের সাথে সম্ভাব্য বিতর্কিত চুক্তির আগে পরে

লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১৬ মার্চ, ২০১৭, ০৭:৫৮:২৫ সকাল

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আগামী মাসে ভারত সফর ও সম্ভাব্য চুক্তি(বিশেষ ভাবে সামরিক চুক্তি) নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা শুনা যাচ্ছে। এই চুক্তির ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বি, এন, পি ইতিমধ্যে এই চুক্তিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা হরণকারী, গোলামী চুক্তি বলে অভিহত করেছে। কম বেশী প্রায় সকল বাংলাদেশী এই চুক্তির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন এই চুক্তি দেশের স্বাধীনতা হরণকারী গোলামী চুক্তি। তাই এই চুক্তিতে সই করার আগে এবং পরে দেশের ভিতরে এবং বাহিরে ব্রাহ্মবাদের সহায়তার ঘটানো হতে পারে ইস্যু তৈরীকারী বিভিন্ন ঘটনা যাতে করে আমজনতার দৃষ্টি এই চুক্তি থেকে সরিয়ে অন্য দিকে ফেরানো যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা হরণকারী যে কোন যে কোন ধরনের গোলামী চুক্তি মোকাবেলার জন্য এখনেই দেশে ও দেশের বাহিরে সচেতনতা সৃষ্টির প্রকৃষ্ট সময়। উদাহরণ স্বরূপ নিন্মে আজকের সংবাদপ্ত্র থেকে কিছু ইস্যু সৃষ্টিকারী ঘটনা তুলে ধারা হল ঃ – প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণের আজকের লিডিং নিউজ() তাংঃ ১৬/০৩/২০১৭

১। সীতাকুণ্ডে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চলছে

২। সিরিয়ায় আত্মঘাতী জঙ্গি চট্টগ্রামের নিয়াজ

৩। সাক্ষাৎকার-- বাংলাদেশের জন্য সন্ত্রাসবাদের হুমকি দীর্ঘ মেয়াদে থাকবে

(অধ্যাপক রোহান গুণারত্নে সিঙ্গাপুরের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর পলিটিক্যাল ভায়োলেন্স অ্যান্ড টেররিজম রিসার্চের প্রধান। সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত পুলিশ প্রধানদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন গোলাম মর্তুজা)

বিষয়: বিবিধ

৯৬১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

382277
১৬ মার্চ ২০১৭ দুপুর ১২:০৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : যে জাতি মননে পরাধিন তাদের েএমন চুক্তিতে কোন সমস্যা নেই।
১৬ মার্চ ২০১৭ দুপুর ০৩:০৭
316020
আনিসুর রহমান লিখেছেন : আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ । বিভিন্ন দেশের লোকদের সাথে কথাবার্তা বলার ও মেলামেশা করার সুযোগ হয়েছে। কিন্ত আমি একমাত্র বাংলাদেশী ছাড়া আর কারো কাছে স্বাধীনতা – স্বাধীনতা বিরোধী এই শব্দ দুইটি শুনেছি বলে মনে করতে পারছি না। তাই আমার মনে হয় বাঙ্গালী যদি স্বাধীনতা নিয়ে মাথা না ঘামায় তবে আর মাথা ঘামাবে কে?
382291
১৬ মার্চ ২০১৭ রাত ০৯:৩৭
হতভাগা লিখেছেন : স্বাধীনতার অব্যহতি পরে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জন্য যে প্রস্তাব ছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল - পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসনে যেসব পশ্চিম পাকিস্তানী ছিল সেটার জায়গা পূরণ করবে ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের লোকেরা এবং বাংলাদেশের নিজস্ব কোন সেনাবাহিনী থাকবে না । নিরাপততার দিকটা দেখবে ভারত। ভূটানকে মনে হয় এটার ফাঁদে তারা ফেলেছে। পররাষ্ট্র বিষয়ে ভারতের আনুমোদন ছাড়া বাংলাদেশ কিছুই করে না - এটা একটা দূধের শিশুও বুঝে ।

ভারতের সাথে যে প্রতিরক্ষা বিষয়ক চুক্তি হবে সেটা সেরকম কিছুই হবে । বোঝাই যাচ্ছে সেনাবাহিনী ভারতের কথায় উঠবে বসবে এবং তাদের টপ লেভেলে ভারতের লোকই বসবে এবং নেপথ্যে থেকে নিয়ন্ত্রন করবে।

সামনে এমন দিন আসছে যে সিভিল সার্ভিস ও আমর্ড ফোর্সেস বাহিনীতে ভারতীয় লোকদের নিয়োগ দেওয়া হবে ।
১৭ মার্চ ২০১৭ সকাল ০৯:৫১
316023
আনিসুর রহমান লিখেছেন : আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । বাংলাদেশকে ভারত নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করবে এটা স্বআভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশীরা ব্রাহ্মবাদের ফাঁদে ধরা দিবে তা মেনে নেওয়া কঠিন। কিন্তু বাস্তবে তাই ঘটছে। বাংলাদেশের স্বধীনতার গ্যারান্টি হল ইসলাম। কিন্ত ভারত বাংলাদেশের ইসলামী শক্তিকে দুর্বল করনে বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে। বর্তমান বাংলাদেশ সরকার দুর্বল এবং ইসলামী জঙ্গীরা প্রবল এই ধরনের বিভিন্ন ইস্যুকে রেখে বাংলাদেশ বিরোধী আন্তর্জাতিক প্রচারনা চালাচ্ছে ভারত; এমন কী নিজ দেশে গণতন্ত্র থাকলেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রধান অন্তরায় ভারত। পরিস্থিতি এতটাই ভারতের অনুকূলে এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্র হাসিনা ও তার দলকে যে কোন আলোচনার টেবিলে বলীর পাঠা বানানো সময়ের ব্যাপার মাত্র।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File