টারর্কি মুজাহিদ এরদোগানের বীরচিত উথান ও তার ভয়ে ভীতদের যত আজব প্রচারনা
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ২১ জুলাই, ২০১৬, ০২:৪২:৪৪ দুপুর
টারর্কি মুজাহিদ এরদোগান ও টারর্কি আম জনতা মিলে গণতন্ত্র ও মানবিকতা বিরোধী সামরিক ক্যুকে রুখে দিয়ে বিরল ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। ফলে এখন আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি আগামী দিনের তুরস্ক হবে শক্তিশালী তুরস্ক যারা সারা বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের সাহায্য করতে পারবে, ঐক্যবদ্ধ করতে পারবে অমানবিক ও শয়তানি শক্তির বিরুদ্ধে। ফলে টারর্কি মুজাহিদ এরদোগানের ভয়ে ভীত হয়ে ইসলাম বিরোধীরা বিশ্বব্যাপী তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। তার প্রচার করছে যে টারর্কি মুজাহিদ এরদোগান ক্ষমতা লোভী, সে তার বিরুদ্ধবাদীদের শক্তি প্রয়গের মধ্য দিয়ে দমন করেন ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু প্রকৃত সত্য হল, এরদোগান এর ক্ষমতা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রত হয় এবং সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল এরদোগানের ক্ষমতা থাকা সত্বেও সে আইন প্রণেতাদের সহায়তা নিয়ে না তার ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে, না ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করেছ। অথচ তার মত একজন যোগ্য ও বিরল প্রতিভার অধিকারী নেতার জন্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করাটা অত্যান্ত জরুরী। তার বিরুদ্ধবাদী প্রচারনার ধরন দেখে এখন বুঝতে পারছি কেন সে তার ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কোন চেষ্টা করেনি।
এরদোগান জনগণ দ্বারা নির্বাচিত একজন প্রেসিডেন্ট অথচ সে জনগণকে দেওয়া ওয়াদা বাস্তবায়নে বার বার বাধা গ্রস্ত হচ্ছে প্রশাসনের মাঝে ঘাপ্টি মেরে থাকা জন বিরোধী অপশক্তির দ্বারা তাই সে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে অথচ তার বিরুদ্ধবাদীরা এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাছছে। এরদোগানের শুদ্ধি অভিযানের ফলে সর্ব সাকুল্যে এক লক্ষ লোক কোন না কোন ভাবে আক্রান্ত হবে। আথচ ১৯৮০ সনে সামরিক ক্যুর ফলে সেই সময়ে ছয় থেকে দশ লক্ষ ভিন্ন মতাবলী নিপীড়ন নির্যাতনের শিকার হয় ও চাকরী হারায়; এর সাথে যদি আমরা এরদোগান শুদ্ধি অভিযানকে তুলনা করলে সেটা কিছুই না।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩২ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
টারর্কি মুজাহিদ এরদোগান ও টারর্কি আম জনতা মিলে গণতন্ত্র ও মানবিকতা বিরোধী সামরিক ক্যুকে রুখে দিয়ে বিরল ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
>>> আমার কাছে মনে হয়েছে অধিকতর সত্য কিংবা ফ্যাক্টসচ্যুয়াল হবে যদি বলা যায় 'অদৃশ্য আমেরিকার ফারদার আগ্রাসন রুখে দিয়েছে'।
আর কারন সম্ভবতঃ এই যে মোয়াদ বিন জাবাল রাঃ কে বলা রাসুলুল্লাহ সঃ এর কনস্টিনটিনোপল বিজয়ের ভবিষ্যত বানী সংবলিত সে হাদীসটি বাস্তবায়নের সময় সন্নিকটতস্থ হয়েছে (জেরুজালেমের উত্থান, মদীনার আইসোলেশান, মালহামা ও কনস্টিনটিনোপল বিজয় ---- )।
- যে কনস্টিনটিনোপোলিস অর্থোডক্স খৃষ্টানদের কব্জা হতে ব্রিটিশ সেবাদাস অটোমন এর প্রক্সিতে ব্রিটিশরা নিয়ন্ত্রন করেছিল আর গত ৫০ বছরের বেশী সময় ধরে ন্যাটোর কুক্ষিগত হয়ে আছে - তা উদ্ধারের সময় প্রায় সন্নিকটে হয়েছে।
ফলে এখন আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি আগামী দিনের তুরস্ক হবে শক্তিশালী তুরস্ক যারা সারা বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের সাহায্য করতে পারবে, ঐক্যবদ্ধ করতে পারবে অমানবিক ও শয়তানি শক্তির বিরুদ্ধে।
>>>> এটা দিবা স্বপ্নের মত বাস্তবতা হতে বহু দুরের একটা প্রত্যাশা বই অন্য কিছু মনে হয় না। বরং ফ্যাক্টস বরং এমনটাই ইংগিত দেয় - ইসরাইল ও ন্যাটো থ্রেটেন্ড উত্তোরোত্তর থ্রেটেন্ড ফিল করবে এবং এরদোগানের তার্কিকে ট্রাফ এ ফেলতে বাধ্য হবে এবং এরদোগানকে রাশিয়ার সাথে একাট্টা হতে হবে এবং আপকামিং নিউক্লিয়ার ওয়ার এর পর ন্যাটোর সফল নিশ্চিত করে কনস্টিনটিনোপল পরিপূর্নভাবে ইভিল হতে মুক্তি পাবে। মুসলিম বিশ্বের উপর তার্কি আর কোন দিন ও অটোম্যানিয় ছায়া বিস্তার করতে পারবে না, তারা তা চাইবে বলেও আমি মনে করিনা বরং তারা অন্যান্য মুসলিম এর ন্যায় আপকামিং আরব কোন এক লিডারশীপ এর নেতৃত্বে মুসলিম খেলাফতের জন্য ফাইট করবে বলেই আমার মনে হয়।
>>> আমার কাছে মনে হয়েছে অধিকতর সত্য কিংবা ফ্যাক্টসচ্যুয়াল হবে যদি বলা যায় 'অদৃশ্য আমেরিকার ফারদার আগ্রাসন রুখে দিয়েছে'।
আর কারন সম্ভবতঃ এই যে মোয়াদ বিন জাবাল রাঃ কে বলা রাসুলুল্লাহ সঃ এর কনস্টিনটিনোপল বিজয়ের ভবিষ্যত বানী সংবলিত সে হাদীসটি--
যেখানে চার বার সফল ক্যুর রেকড রয়েছে সেখানে জনতার শক্তি দিয়ে তা রুখে দেওয়া অব্যশ্যই বিড়ল ঘটনা। এই ধরনে আর কোন ঘটনা আমার জানা নাই। এরদোগানের একজন বিচক্ষণ মুসলিম নেতা মুসলমানদের বিপক্ষে গিয়ে আমেরিকা বা অন্য কোন দেশের পক্ষে কাজ করবে, এটা বিশ্বাস করার মত কোন কারন দেখছি না। আমরা হদীস ও কুরআন থেকে ১৪০০ বছর আগে জানি যে, কেয়ামত সন্নিকটে কিন্তু কেয়ামত কখন ঘটবেব সে সম্পকে আল্লহ ছাড়া কারও কোন জ্ঞান নেই। কেয়ামত সন্নিকটে এই জন্য আমেরিকা এরদোগানের পিছনে থেকে তাকে রক্ষা করছে মনে করা হাস্যকর। বিশেষ ভাবে ফেতনার এই যুগে আমাদের কুরআন হাদীসের ব্যখ্যার বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।
>>>> এটা দিবা স্বপ্নের মত বাস্তবতা হতে বহু দুরের একটা প্রত্যাশা বই অন্য কিছু মনে হয় না। বরং ফ্যাক্টস বরং এমনটাই ইংগিত দেয় - ইসরাইল ও ন্যাটো থ্রেটেন্ড উত্তোরোত্তর থ্রেটেন্ড ফিল করবে এবং এরদোগানের তার্কিকে ট্রাফ এ ফেলতে বাধ্য হবে---------
আপনার ব্যাখার সাথে দ্বিমত পষন করছি। কারন এরদোগান ও টার্কি আম জনতা একটি চাপিয়ে দেওয়া ইসলাম বৈরী পরিবেশ থেকে তুরস্ককে বের করে নিয়ে আসতে পারাটা অব্যশই বিশাল সাফল্য। তাছাড়া অতীতে এই জাতি মুসলিম খেলাফতের ঘান্ডাকে তুলে ধরে ছিল। সব কিছু বিবেচনায় আনলে এরদোগানের উপর আস্থা রাখতে কোন সমস্যা দেখছি না।
>>>> গত ১৫ বছরের ফ্যাক্টস্, ফিগার নিয়ে বেসিক গবেষনা করলে দিনের আলোর ন্যায় নিশ্চিত হবে যে এরদোগান ন্যাটোর হয়ে - আফগানিস্থানে, ইরাকে, লিবিয়ায়, সিরিয়ায় লক্ষ লক্ষ মুসলমানের রক্ত বইয়ে দেবার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। (স্টেইটমেন্ট টি রূঢ় মনে হলে এভাবে পড়তে পারেন যে রক্ত বইয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে)।
কেয়ামত সন্নিকটে এই জন্য আমেরিকা এরদোগানের পিছনে থেকে তাকে রক্ষা করছে মনে করা হাস্যকর। বিশেষ ভাবে ফেতনার এই যুগে আমাদের কুরআন হাদীসের ব্যখ্যার বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।
>>> আমি বলিনি কিংবা বলতে ও চাইনি কিংবা কখনো ভাবি নি যে, 'আমেরিকা এরদোগানের পিছনে থেকে তাকে রক্ষা করছে'। বরং আমি উল্টোটা মনে করি। 'আমেরিকা এরদোগানের পেছনে থেকে তাকে ধ্বংশ করছে'।
এরদোগান ও টার্কি আম জনতা একটি চাপিয়ে দেওয়া ইসলাম বৈরী পরিবেশ থেকে তুরস্ককে বের করে নিয়ে আসতে পারাটা অব্যশই বিশাল সাফল্য।
>>>> কোন সন্দেহ নেই।
তাছাড়া অতীতে এই জাতি মুসলিম খেলাফতের ঘান্ডাকে তুলে ধরে ছিল।
>>>> না। বরং সত্য স্টেইটমেন্ট হবে হবে এই জাতি প্রতারকের খপ্পরে পড়ে জাজিরাতুল আরব ও কোরাইশদের হাত - হতে খেলাফতের ঝান্ডাকে ছিনিয়ে নিয়ে বৃটেন এর কাছে পার্টলী বন্ধক রেখেছিল। (যেভাবে আর্টিফিশিয়ালী সৃষ্ট সৌদি আরব মুসলমানের মক্কা ও মদীনাকে ছিনিয়ে নিয়ে বৃটেন/আমেরিকা/ইসরাইলের কাছে পার্টলী বন্ধক রেখেছে)
সব কিছু বিবেচনায় আনলে এরদোগানের উপর আস্থা রাখতে কোন সমস্যা দেখছি না।
>>>>> একজন মুসলমান হিসাবে 'এরদোগান এর উপর আস্থা রাখা আর লাত মানাত উজ্জার উপর আস্থা রাখার মত আমার কাছে মনে হয়।' আমি বরং এ স্টেইটমেন্ট কে সত্যের কাছাকাছি মনে করি - সমসাময়িক মুসলিম লিডারশীপের মধ্যে এরদোগান নিজের পায়ে নিজে দাঁড়াতে চেষ্টা করছে। মুসলমান হিসাবে আমরা তাকে কোরান ও সুন্নাহ ব্যাপারে সাহায্য সহযোগীতা করতে পারি।
ধন্যবাদ।
>>>> কোন সন্দেহ নেই।)
কিন্তু সেই আপনিই তার সম্পকে বলছেন,একজন মুসলমান হিসাবে 'এরদোগান এর উপর আস্থা রাখা আর লাত মানাত উজ্জার উপর আস্থা রাখার মত আমার কাছে মনে হয়।
আবার ফেলাফত এর বিষয়ে বলতে যেয়ে আপনি ইসলামী ব্রাদারহুডকে দূরে ছুরে ফেলে দিয়ে ইসলাম বিরোধীদের (divide and rule policy)বুলি আওরে মুসলমানদের মাঝে বিভাজন তৈরি করছেন, আরব, আনারব ইত্যাদি জাতীয়তাবাদী বিষয়কে তুলে ধরে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি মনে করি কোন কিছুর প্রতি অতি ভক্তি অপেক্ষা ইসলামের বিষয়াদিতে খোলামনে এ্যাকাডেমিক্যালী রিএ্যাকজামিন করা এখন সময়ের দাবি।
আবারো ধণ্যবাদ।
I am alwayes judge the people base on their positive side and achievement not their negative and failure. Also some islamic principle such as islami brotherhood.
Nice to know that you are following a principle while judging. As you have quoted 'I am always judge the people base on their positive side and achievement not their negative and failure'.
If you do not mind and allow me to be truthful in my thoughts for the shake of Allah and His messenger SA, 'I have found the principle you have illustrated perfectly matches the teachings of west and the secular world who indoctrinated and then exported this principle to other parts of the world over 100s of years and more specifically last 100 years in Muslim lands.
Contrary to this secular principle - I found Islam forces us to judge based on the facts (considering both positives and negatives) with maximum possible fairness. It also confirms if someone judges otherwise surely be dealt in Akhirah.
Jajak Allah Khayer. With salam and regards.
knowledge. Also it is important that our deeds are not good enough to enter Junnah but the marcy of Allah And obviously we think positively that we will enter into Junnah with the marcy of Allah
মন্তব্য করতে লগইন করুন