দয়া করে পাঁচ বছর বলবেন না !!! (রম্য রচনা)

লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ১০:৫৭:৫৭ সকাল

গত সপ্তাহে আম্বাপন্থী এক লোকের সাথে দেখা হাই হ্যালো বিনিময়ের পর fun করে যখন তাকে বললাম যে, আজকে তাকে এতো খুশী খুশী লাগছে কেন? জবাবে সে বলল, কি কন মিয়া ভাই, বেজাই খুশীর খবর পান নাই!! আমগো আম্বালীগ পাঁচ বছরের জন্য আবার দেশ শাসনের জনগণের ম্যন্ডেট পেয়েছে! আমারতো আক্কেল গুরুম অবস্থা। আমি বললাম তা কি করে সম্ভব। সে বলল, আম্বা-কুবুদ্ধি থাকলে খুনই কন আর গুমই কন আর গণ হত্যাই কন আর ----- আমি তার এই ফর্দ ক্রমান্ইয়ে লম্বা হতে দেখে বললাম ভাই বুঝেছি বুঝেছি কিন্তু ভাই আম্বাশাহী পাঁচ বছরের জন্য আবার দেশ শাসনের জনগণের ম্যন্ডেট কিভাবে পেয়েছে যদি একটু খোলসা করে বলতেন। তখন সে বলল কইবার পারি কিন্ত শর্ত হল গোপন আম্বা তথ্য গোপন রাখবেন, কোন রকম উত্ত-বুত্ত ঐলে কলম আম্বা কোর্ট এর মাধ্যমে হালাল কইরা আপনারে হক্কলের সামনে কাবাব বানাইয়া খাইমু। তখন সে আমার কানে কনে যা বললো তা হল, “ বুঝলেন না ভাই আম্বা-কুবুদ্ধি খাটাইয়া, ডান্ডা মাইরা হক্কলের মুখ বন্ধ কইরা, বিনা প্রতিদন্দীটায় এবং ৪% আম্বা ভোটকে ৪০% দেখাইয়া ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে এই বিজয় আসে। আমি বললাম ভাই আম্বা-কুবুদ্ধির মাধ্যমে শুধু পাঁচ বছর কেন, বছরের পর বছর এই কিছিমের জনগণের ম্যন্ডেট নিয়া আম্বাশাহী ক্ষমতায় থাকতে পাড়বে। আমার এ কথায় সে খুশীতে বাক বাকু হয়ে বলল ভাই আফনে একখান খাটি কথা কইছেন, তয় মাঝে মাঝে ভয় হয় যদি কেউ আম্বাশাহীকে ধাক্কা মাইরা হলাইয়া দেয়। আমি তাকে বললাম কাল কি হবে তা নিয়ে মাথা খারাপ না করে শুধু পাঁচ বছর কেন বরং আমৃত্যু আম্বাশাহী ক্ষমতায় থাকতে পাড়বে এ চিন্তা করে বাড়ী যান। জয় বাংলার জয়, আজীবন জনগণের ম্যন্ডেটে ক্ষমতাসীন আম্বাশাহীর জয়, সাংবিধানিকভাবে পাঁচ বছর কিন্তু আম্বা কুবুদ্ধিতে আজীবন জনগণের ম্যন্ডেটে ক্ষমতাসীন আম্বাশাহীর জয়! বলতে বলতে সে বাড়ীর পথ ধরল।

বিষয়: বিবিধ

১০১৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

162418
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:২৩
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় যায়, তখনই দেশে ব্যাপক চুরি-ডাকাতি শুরু হয়। ফলে আওয়ামী লীগ থাকতে কি ডাকাতদের আর আলাদা ডাকাত দল গড়া লাগে? ডাকাত দল নিয়ে রাতের আঁধারে বনবাদাড় পাড়ি দিয়ে ডাকাতি করা ও জনগণের হাতে লাঠিপেটা খাওয়ার ঝুঁকি কে নেয়? তারা বরং আওয়ামী লীগে যোগ দেয়। তাতে যেমন উপার্জন বাড়ে, তেমনি নিরাপত্তাও বাড়ে। গোটা প্রশাসন তখন ডাকাতদের আজ্ঞাবহ সেবকে পরিণত হয়। এসব ডাকাত তখন রাজনৈতিক নেতা, এমপি ও মন্ত্রী সাজে। তাদের নামের আগে জনগণ তখন মাননীয় খেতাব লাগায় ও বিনয়ের সঙ্গে কুর্ণিশও করে। এসব ডাকাত মুজিবের আমলে যেমন প্রচুর লুটেছে, তেমনি লুট করেছে শেখ হাসিনার আমলেও। এসব ডাকাত বিশ্বব্যাংকের অর্থেও হাত দিয়েছিল। আর সে কারণে বাতিল হয়ে গেল পদ্মা সেতুর নামে বিশ্বব্যাংকের বরাদ্দকৃত ঋণ।

ফিরোজ মাহবুব কামাল
আমার দেশ

ধন্যবাদ
162476
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২০
আনিসুর রহমান লিখেছেন : Thanksজেদ্দাবাসী for reading my post and comment.

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File