কুরআনের বৈজ্ঞানিক কিছু নিদর্শন

লিখেছেন লিখেছেন মুিজব িবন আদম ০৫ জুন, ২০১৪, ০৩:২৮:২৮ দুপুর

কুরআন কী বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ? না, এটি নাজিলকৃত আয়াতের সমাবেশ। এর প্রতি আয়াত যেন অজানা কিছু নিদর্শন দেখায়। কেউ হয়তো বুঝে, আবার কেউ বুঝতে চায় না। সেই হাজার হাজার নিদর্শন থেকে গুটি কতক এখানে সংকলিত করা হল।

পবিত্র কুরআনের সর্ব প্রথম বাক্য হল "বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম"। এ বাক্যটিতে আছে ১৯ টি অক্ষর। আর কুরআনে সূরা আছে ১১৪ টি, যা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য। মোট ১১৪ টি সূরার ১১৩ টির শুরুতে "বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম" বাক্য বিদ্যমান। সূরা তওবার শুরুতে বিসমিল্লাহ নেই। তাই আপাতভাবে বেমিল লাগে। কিন্তু সূরা নামলের মধ্যিখানে আবার "বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম" রয়েছে। ফলে কুরআনে মোট বিসমিল্লাহ এর সংখ্যা ১১৪। তাই বেমিল আর রইল না। সেইসাথে স্মরণীয় যে বিসমিল্লাহ বিহীন সূরা তওবা এবং ডাবল বিসমিল্লাহ বিশিষ্ট সূরা নামল এর সংখ্যাগত দুরত্ব ১৯।

নবী (সHappy এর নিকট হেরা গুহায় সূরা আলাকের প্রথম ৫ আয়াত নাজিল হয়। এই ৫ আয়াতে শব্দ আছে ১৯ টি এবং তাতে অক্ষর আছে ৭৬ টি, যা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য। আবার সূরা আলাকের মোট আয়াত হচ্ছে ১৯ টি এবং তাতে অক্ষর আছে ৩০৪ টি, যাও ১৯ দিয়ে বিভাজ্য। আর একটি ব্যাপার, কুরআন শরীফের সূরাগুলো উল্টোভাবে গুনতে থাকলেও ১৯ তম স্থানে সূরা আলাক পাওয়া যায়।

নবুয়ত প্রাপ্তির ২৩ বছর পর বিদায়ী সূরা হিসেবে পরিচিত নাসর (১১০ নং সূরা) নাজিল হয়। এই সূরায় শব্দসংখ্যাও ১৯।

এছাড়া কুরআনে বিভিন্ন শব্দ এমন সংখ্যকবার আছে, যা চিন্তাশীলদের জন্য সুন্দর উপকরণ। উদাহরন সরূপ - দুনিয়া ও আখেরাত সমান সংখ্যক অর্থ্যাৎ ১১৫ বার, মালাইকা (ফেরেস্তা) ও সয়তান সমান সংখ্যক অর্থ্যাৎ ৮৮ বার, জীবন ও মরন সমান সংখ্যক অর্থ্যাৎ ১৪৫ বার, যাকত ও বারাকাত সমান সংখ্যক অর্থ্যাৎ ৩২ বার, নর ও নারী সমান সংখ্যক অর্থ্যাৎ ২৪ বার উল্লেখ আছে। কুরআনে মাস কথাটি আছে ১২ বার ও দিন ৩৬৫ বার। সমুদ্র ও ভূমি যথাক্রমে ৩২ ও ১৩ বার উল্লেখ আছে। যদি ৩২ ও ১৩ এর শতকরা হিসেবে ভাগ করা হয়, তাতে সমুদ্র ও ভূমির অনুপাত যথাক্রমে ৭১.১১% ও ২৮.৮৯% হয়। এটি সাধারন হিসেবের চেয়েও সুক্ষ।

ছোটবেলায় শেখানো হতো যে, কুরআনে সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরার কথা বলছে; যা বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল। আসলে কুরআনে বলা হয়েছে - সকল গ্রহ নক্ষত্র সাঁতার কাটছে। কুরআনের কথা না বুঝেই আমাদেরকে এমন শেখানো হয়েছিল বলে মনে হয়। তাই কুরআনকে বুঝা দরকার। আল্লাহ যেন আমাদেরকে বুঝে বুঝে কুরআন পড়ার তৌফিক দান করেন।

বিষয়: বিবিধ

১৭৬০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

230939
০৫ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৬
সন্ধাতারা লিখেছেন : মহান গ্রন্থ আল কোরআনে এমন সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম অনেক বিষয় আছে যা তামাম বিশ্বের অধিপতির সুনিপুণ কারুকার্য। এজন্য এই অলৌকিক ও অবিশ্বাস্যকর গ্রন্থের উপর আরও বেশী বেশী গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। ইতিপূর্বের বেশ কিছু কোরানিক তথ্য, ওয়াজ ও হাদিসের ঘটনা সত্যিই মনটাকে ভীষণভাবে আলোড়িত করেছিল। দয়াময় আমাদের সকলকেই কোরআন বুঝে এবং সেভাবেই অনুশীলন করার তৌফিক দিন। আমীন।
০৬ জুন ২০১৪ রাত ১২:০২
177925
মুিজব িবন আদম লিখেছেন : মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে কোরআন অনুশীলন করার তৌফিক দান করুন।
230999
০৫ জুন ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৪
হারিয়ে যাবো তোমার মাঝে লিখেছেন : ভালো লাগলো আপনার বিশ্লেষণধর্মী লেখাটা। আসলে কুরআন থেকে অনেক দুরে এবং কুরআনের নির্দেশিত পথে আমরা চলি না বলেই আজকের দুনিয়াতে মুসলমানদের এই অবস্থা।
০৬ জুন ২০১৪ রাত ১২:০৪
177926
মুিজব িবন আদম লিখেছেন : মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আসলেই আমরা কুরআন থেকে অনেক অনেক দুরে। মহান আল্লাহ আমাদের সকাইকে কোরআন বুঝার তৌফিক দান করুন।
247134
২২ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০২:২২
হামজা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খাইর

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File