গোপনে দখল হয়ে গেল আরও একটি বিলবোর্ড।

লিখেছেন লিখেছেন বিদ্রোহী ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০১:৩৬:৪৫ দুপুর



নিজস্ব প্রতিবেদক।। হঠাত্‍ করে গজিয়ে ওঠা রাজনৈতীক বিলবোর্ড ব্যবসার ভিড়ে নীরবে নিভৃতে দখল হয়ে গেল আরও একটি বিলবোর্ড। বিলবোর্ডে রাজনৈতীক মুখ হিসেবে যাঁকে দেখা যাচ্ছে, ময়না তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে তিনি এই প্রোফাইলের মালিক। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। কেননা তাঁর ব্যক্তিগত 'তালাশ'এ বেরিয়ে এসেছে তিনি কোন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নন। গত চার দিন ধরে তাঁর পিছনে ঘুরাঘুরি করার ফলশ্রুতিতে বিরক্ত হয়ে তিনি এমনটাই দাবি করেন (খবর তৈরী করার মত কোন ইস্যু এই সাংবাদিক খুঁজে পাচ্ছিলেন না)। তবে ভবিষ্যতে রাজনীতি করার ইচ্ছা আছে বলে জানান। এই ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়ে থাকতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান তাঁর কাছে কোন 'তথ্য' নেই। তবে তাঁর মত একজন উদীয়মান রাজনীতিবিদকে অপদস্ত করতে এই হীন প্রচেষ্টা কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান হতেও পারে।

এদিকে তিনি এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান এসব করে তার রাজনৈতীক প্রক্রিয়া বানচাল করা যাবেনা। তিনি এর তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ এবং ধিক্কার জানান। এই ঘটনাকে অবৈধ, বেআইনী, ফ্যাসিবাদী, অগণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারী, রাজনৈতীক হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অসাংবিধানিক দাবি করে সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, ফিল্টারকৃত, বিশুদ্ধ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের জোরালো দাবি জানান। মিথ্যা, বানোয়াট, অসত্য, অগ্রহণযোগ্য, মূল্যহীন, কুরুচিপূর্ণ, রাজনৈতীক শিষ্টাচার বহির্ভূত তথ্য, কথাবার্তা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে দাবি করে এই অপপ্রয়াস জনগণকে সাথে নিয়ে রুখে দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তিনি। এহেন দেশদ্রোহী, স্বার্থান্বেষী, নাস্তিক, স্বাধীনতা বিরোধী, চেতনার পরিপন্থী, নন বাং গালিআন চক্র থেকে দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহবান জানান। জানা গেছে জনগণ এই কথা শুনে স্পীকার হয়ে গেছে।

বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি যথারীতি চিত্‍কার দিয়ে ওঠেন, "ওরে বাপরে! আমি ইহা পাত্তাম ন। বাঘ সিংহর সামনে যাইতে পারি কিন্তু পুলিশের সামনে না।" এসময় তাঁকে বেসম্ভব রকম উত্তেজিত দেখাচ্ছিল। তাঁর চিত্‍কারে এই ছাম্বাদিক তাঁকে আর কোন প্রশ্ন করার সাহস পাননি।

আরও আশ্চর্যের বিষয় যে, এই বিলবোর্ড কোথায় স্থাপন করা হয়েছে সেটাও এক গুঢ় রহস্যের জন্ম দিয়েছে। এটাকে কোথাও দেখা গেছে বলে জানা যায়নি। আইন শৃংখলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তাঁরা জানান অজ্ঞাত স্থান থেকে কোন মানবাধিদুশ্কৃতিকর্মী ছবিটি টুইটবার্তা করে থাকতে পারে। বিষয়টি 'তদন্তাধীন' দাবি করে বিস্তারিত জানাতে তারা রাজি হননি। তবে আপাতত জিপিএস দিয়ে এর অনুসন্ধান চলছে। মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী।

বিষয়: বিবিধ

১৪০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File