বাংলাদেশ ট্রাভেল এক্সিকিউটিভ নেটওয়ার্ক আরব আমিরাতের ডেজার্ট সাফারি সম্পন্ন...

লিখেছেন লিখেছেন ইছমাইল ১৯ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৬:৫৯:৪৬ সন্ধ্যা



সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্হানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংঘঠন বাংলাদেশ ট্রাভেল এক্সিকিউটিভ নেটওয়ার্ক” এর বার্ষিক পারিবারিক বনভোজন ও ডেজার্ট সাফারি অনেক সুন্দরভাবে আনন্দঘন উৎসব মুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছ. দুবাই, শারজাহ, আবুধাবি তথা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ছোট বড় মিলে ৩৮০ জন উপস্হিতি ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। দুপুর ২টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ছলে অনুষ্ঠান।

অভূতপূর্ব উৎসবমুখর মিলন উৎসবে পরিনত হয়েছিলো এ অনুষ্ঠান, ফ্যামিলি প্রোগ্রাম হলে ও এই অনুষ্ঠানে ফ্যামিলি সদস্যদের পাশাপাশি কিছু ব্যচেলরের উপস্হিতি ছিলো উল্লেখ করার মত, যাদের আড্ডা, হাসি, উচ্ছলতা অনুষ্ঠানে আগত ফ্যামিলি সদস্যদেরকে বাড়তি আনন্দ দিয়েছে।



উষ্ণ বালির বুকে নওশের আংকেল ও নাহিদা আন্টির সাথে..



ব্যচেলরদের উচ্ছলতা শূরূ যেখান থেকে.....



সাহসী নারীদের একজন



আমরা যখন মরুভুমির জাহাজের আরোহী



আনন্দের পাশাপাশি কিছুটা ভয় ও কাজ করে



হাঁসির কারণ নাহিদা আন্টির হাতে বানানো পেয়াজু....

ডেজার্ট সাফারি, কেমেল রাইড, তানুরা ডেন্স, বেলী ডেন্স, মহিলাদের হাতে মেহেদি লাগানো, আরবিদের জগৎ বিখ্যাত খোরমা খেজুর, গাওয়া, রং চা আনলিমিটেড কোল্ড ড্রিংকস, এরাবিক শিসা, বুফেট ডিনার সহ অনেক আয়োজনে ভরপুর ছিলো পারিবারিক বনভোজন অনুষ্ঠান.



আমাদের এ দু'বোন ব্যস্ত রেফেল ড্র'র টিকেট বিক্রিতে..



উনারা ব্যস্ত পরানো বাংলা গান নিয়ে.



বাংলাদেশী মোয়তেন..

মাগরিবের নামাজের পরে শুরু হয় ডেজার্ট সাফারির মূল আকর্ষন Tanoura (dance) যা সত্যিই বড় ছোট উপস্হিত সবার মনে আনন্দ দিয়েছে, Tanoura (dance) এর পরই চলে আরবদের বিখ্যাত বেলি ডেন্স।



বেলি ডেন্স



আন্ডা নোয়াখাইল্লা আপা আর হেতেনর জামাই

নিজেদেরকে বাংলা ঐতিহ্যের সাথে মিলিয়ে পুরাতন বাংলাগান নিয়া ব্যস্ত ছিলেন অনুষ্ঠানে আগত আংকেলদের একটা অংশ, আরবি শিশায় টান দিতে ব্যস্ত ছিলেন আগতদের অনেকেই যেখানে ছেলে মেয়ে কেউই সুযোগের হাতছাড়া করেনি, এর মাঝেই চলতে থাকে রাত্রের বুফেট ডিনার, রেফেল ড্র সহ অনেক আয়োজন.

রেফেল ড্রতে ছিল দুবাইর নামকরা পাঁছ তারকা হোটেল হায়াত রেজিন্সিতে দুজনের লান্স/ ডিনারের ফ্রি কুপন, বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনস এর সৌজন্যে দুবাই ঢাকা দুবাই'র টিকেট, ইমিরেটস মূল এয়ার লাইনস এর সৌজন্যে ছিল দুটি টিকেট, এছাড়া ও আরো অনেক ধরনের পুরষ্কার ছিলো





“বাংলাদেশ ট্রাভেল এক্সিকিউটিভ নেটওয়ার্ক” এর বার্ষিক পারিবারিক বনভোজন হলে ও এটি কোনো সমিতি বা সংগঠনের ব্যনারে বা প্রচেষ্টায় হয়নি, এই পারিবারিক বনভোজন মূলত অনেকের পরিচিত জনাব আলী আহসান ভাইয়ের ব্যক্তিগত উদ্যেগে হয়েছে। পারিবারিক বনভোজনের ৩য় আয়োজন ছিলো এটি , গত দু'বছরেরে দুটি অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র দুবাইর পরিবার সমুহ অংশ নিলে ও এই প্রথম আরব আমিরাতের সব প্রদেশে থেকে বাংলাদেশি অনেক পরিবার অংশ গ্রহন করে। মূলত বাংলাদেশি পরিবার গুলোকে সামান্য সময়ের জন্য হলেও একত্রিত করা বা আনন্দ দেওয়াই ছিল আয়োজকের মূল উদ্দেশ্য।

উষ্ণ বালির বুকের শীতের তীব্রতা আমাদেরকে নিজ গন্তব্যে ফিরতে বাধ্য করলে ও বার বার নচিকেতার সেই লাইন গুলোই মনে পড়ছিলো..

বারে বারে যেন আসি ফিরে এমন দেশে

উষ্ণ বালির বুকে সূর্য যেথায় ওঠে হেসে,

ভালোবাসা কত আশা ছড়ানো এই বাতাসে

স্বপ্ন মাখা মেঘের নকশা জড়ানো এ আকাশে

স্বপ্ন জড়ানো মন চেয়ে থাকে অনুক্ষণ

এ কথা জানাই বারেবারে,

সোনালী প্রান্তরে.......

Muhammad Ismail



বিষয়: বিবিধ

১৩৭৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

300835
১৯ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:১৩
আফরা লিখেছেন : মুসলিম দেশে থাকতে পারাটা আমি গর্বের মনে করতাম । আজকে আপনার পুষ্ট পড়ে আর মেয়েদের ছবিগুলো দেখে আমার ভুল ভেঙ্গেছে ।

ভাল লাগল ধন্যবাদ ।

300845
১৯ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:২৪
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : ভালো লাগলো লেখাটা। বিদেশের মাটিতেও যে আমাদের সংস্কৃতিকে ভোলেনি সেটা দেখে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File