অসাম্প্রদায়িকতার নামে কুফুরি

লিখেছেন লিখেছেন ফারাবী সোহান ২০ নভেম্বর, ২০১৮, ০৬:৩৬:৩০ সন্ধ্যা

অসাম্প্রদায়িকতার মানে এইটা না যে একজন হিন্দুকে গরু কোরবানি করে কিংবা গরুর মাংস খেয়ে প্রমাণ করতে হবে যে সে অসাম্প্রদায়িক। কারণ হিন্দু ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী গো হত্যা মহাপাপ এবং খাওয়াও। ঠিক তেমনি ইসলামি জীবনব্যবস্থার মূলনীতি ই হলো একজন মাত্র ইলাহ তে বিশ্বাস আর তাঁর সাথে অন্য কাউকে শরীক না করা সেটা তাঁর প্রভুত্বের ক্ষেত্রেই হোক কিংবা তাঁর হুকুম বা বিধানের ক্ষেত্রেই হোক। তাই মূর্তি পুজা সহ যেকোনো সৃষ্টির কাছে মাথানত হোক কিংবা হুকুমগত কারণে অন্য কারো কাছে মাথানত হোক তা করা হচ্ছে সরাসরি শিরক যা ইসলামে সবচেয়ে বড় অপরাধ এবং বড় জুলুম।

:

"" আল্লাহ অবশ্যই তার সঙ্গে শিরকের গুনাহ ক্ষমা করবেন না। এ ছাড়া অন্যান্য যত গুনাহই হোক না কেন, তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করেছে সে তো এক বিরট মিথ্যা রচনা করেছে এবং কঠিন গুনাহের কাজ করেছে। (সূরা নিসা : আয়াত ৪৮)""

:

""যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার করল, আল্লাহ তার ওপর জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন। তার পরিণতি হবে জাহান্নাম। এ সব যালিমদের কেউই সাহায্যকারী নেই। (সূরা মায়িদা : আয়াত ৭২)""

:

""হে মুমিনগণ, নিশ্চয় মদ ও জুয়া আর প্রতিমা-মূর্তি এবং ভাগ্য-নির্ধারক তীরসমূহ অপবিত্র শয়তানের কাজ, তাই তোমরা তা পরিহার কর যেন তোমরা সফলকাম হতে পার। (আল-মায়িদাহ, ৫/৯০)""

:

""আর যে সমস্ত পশুকে পূজার বেদীতে বলি দেয়া হয়েছে তা আর জুয়ার তীর দ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে, এগুলো পাপ কাজ। (মায়িদা, ৫/৩)""

তাই মুসলিমদের কোনোদিনও পূজায় গিয়ে অংশগ্রহন করে এটা প্রমাণ করার কিছু নেই যে মুসলিমরা অসাম্প্রদায়িক। মুসলিমরা ইসলামের নিয়মগত কারণেই অসাম্প্রদায়িক।অসাম্প্রদায়িকতা মানে হলো অন্য ধর্মের লোকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কিংবা তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কিংবা তাদের কোনো বিপদে আপদে এগিয়ে যাওয়া কিংবা আরো অনেক কিছু। তাই অসাম্প্রদায়িক হতে হলে একজন মুসলিমকে তাঁর ইমান বিসর্জন দেওয়ার কোনো দরকার নেই।

আর মুসলিমরা হিন্দুদের শুভেচ্ছা যদি সত্যিই চায় তবে তাদেরকে সত্য দ্বীনের পথে একমাত্র আল্লাহ মনোনীত দ্বীনের পথে আহবান ছাড়া আর কি হতে পারে।

"নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। " (3:19)

"যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত।" (3:85)

তাদের শুভ কামনা যদি আপনে সত্যিই চান তবে তাকে জাহান্নামে জ্বলতে দেখতে চান নাকি জান্নাতে দেখতে চান। অবশ্যই তাদেরকে জান্নাতে দেখতে চাওয়াটাই হলো একজনের প্রতি আরেকজনের সবচেয়ে বড় শুভকামনা.

বিষয়: বিবিধ

৬৭৮ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

386141
২০ নভেম্বর ২০১৮ সন্ধ্যা ০৭:৩৭
শেখের পোলা লিখেছেন : রাষ্ট্রের মহারথীরা বলেন, ধর্ম সবার। এটা বলে তারাতো প্রধানত মুসলীমদেরই অন্য ধর্মের অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই উদ্বুদ্ধ করেন। সাধবারণ মানুষ তাই এটাকে অন্যায় নাও ভাবতে পারে। তাই ইসলামের কর্ণধারদের উচিৎ সকলকে বিষয়টা বোঝানো। লেখাটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২২ নভেম্বর ২০১৮ বিকাল ০৫:০৫
318102
ফারাবী সোহান লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ
386142
২০ নভেম্বর ২০১৮ রাত ০৮:৪৯
হতভাগা লিখেছেন : লাকুম দ্বীনুকুম ওয়াল ইয়া দ্বীন
২২ নভেম্বর ২০১৮ বিকাল ০৫:০৭
318103
ফারাবী সোহান লিখেছেন : হুম একদম ঠিক। এর আগের আয়াতগুলো দেন
২৩ নভেম্বর ২০১৮ সকাল ০৯:২০
318104
হতভাগা লিখেছেন : সুরা কাফিরুন পড়ে নেন
২৮ নভেম্বর ২০১৮ সন্ধ্যা ০৬:২২
318127
ফারাবী সোহান লিখেছেন : হুম তাই তো বললাম

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File