ঈসা আঃ এর অবতরণ, ইমাম মাহাদী এবং কাদিয়ানির 'ভ্রান্ত মতবাদ' পর্ব-৩

লিখেছেন লিখেছেন সত্য প্রিয় বাঙালী ২৪ জুন, ২০১৪, ০৩:২৬:৫৭ দুপুর

‘আহমাদিয়া বাংলা’ ওয়েভসাইট এ দেয়া আছে, আয়েশা রাঃ বলেছেন,

“বলো নিশ্চয়ই তিনি খাতিম্যুন নাবিয়্যিন, একথা বলনা যে তার পরে আর নবী নেই” (তাফসির দূররি মানসূর, তাকমিলাহ মাজমা উল বিহার)

কাদিয়ানি দের এই ওয়েভসাইটের প্রথম মিথ্যাচার দিয়ে শুরু করলাম.........

আয়েশা রাঃ এটা কোন হাদীস গ্রন্থে বলেছেন?????? তাফসির দুররি মানসুর কিংবা তাকমিলাহ মাজমা উল বিহার এগুলো কিসের গ্রন্থ?? মুসলিম, বুখারীতে ‘শেষ নবী’ সংক্রান্ত হাদীস থাকতে এগুলোর উদাহরণ কেন??

(আহমেদিয়া বাংলা ওয়েভসাইট, প্রতিশ্রুত আহমদির ব্যখ্যা)

আরেকটি মিথ্যাচারঃসূরা ছফ এর ৬ নং আয়াতে উল্লেখিত 'আহমাদ' হচ্ছে গোলাম আহমদ কাদিয়ানি।

আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, “(আর স্মরণ কর) যখন মারইয়াম পুত্র ঈসা বলল, হে বনী ঈসরাইলের লোকেরা, আমি তোমাদের কাছে পাঠানো আল্লাহর এক রাসূল, আমার আগের তাওরাত কিতাবে যা কিছু আছে আমি তার সত্যতার স্বীকার করি এবং তোমাদের জন্য আমি হচ্ছি একজন সুসংবাদ দাতা, (তার একটি সুসংবাদ হচ্ছে), আমার পর একজন রাসূল আসবে, তার নাম আহমদ, অতপর (আজ) যখন সে (আহমদ সত্যি সত্যিই) স্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে তাদের কাছে হাজির হল, তখন তারা বললো এ হচ্ছে এক সুস্পষ্ট যাদু”

এখানে, ঈসা আঃ তার জাতিকে ‘আহমাদ’ এর সুসংবাদ দিচ্ছেন। এই আহমাদ হচ্ছে মুহাম্মদ সাঃ যিনি একজন রাসূল। আয়াতের শেষ অংশেই বলা আছে, “অতপর (আজ) যখন সে (আহমদ সত্যি সত্যিই) স্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে তাদের কাছে হাজির হল, তখন তারা বললো এ হচ্ছে এক সুস্পষ্ট যাদু”। এই আয়াত নিশ্চয়ই ১৯০০ সালে নাযিল হয়নি। এটি ১৪০০ বছর আগেই নাযিল হয়েছিল। অথচ কাদিয়ানিরা এই আয়াতকে ‘মির্জা গোলাম আহমদের’ ওপর চালিয়ে দিচ্ছে কী করে!!!

আহমদিয়া বাংলা ওয়েভসাইট অনুযায়ী কাদিয়ানি ই হচ্ছে মাহাদী এবং বলা হচ্ছে............

দারকুতনী হাদিসে বর্ণিত ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী হযরত ইমাম মাহ্‌দী তাঁর দাবীর সত্যতার নিদর্শন রূপে চন্দ্র ও সূর্যের বিশেষ গ্রহণ ১৮৯৪ খৃস্টাব্দে পূর্ব গোলার্ধে এবং ১৮৯৫ খৃস্টাব্দে পশ্চিম গোলার্ধে সংঘটিত হয়ে বিশ্বাবাসীকে তাঁর আগমন বার্তা জানিয়ে দিয়েছে।

কাদিয়ানিদের একটা কৌশল হচ্ছে, হাদীসের সনদ সহকারে না বলা। এই হাদীসটি সম্পূর্ণরুপে জাল, এর সনদে মোহাম্মদ সাঃ পর্যন্ত উল্লেখ নেই, আছে মোহাম্মদ বিন আলী পর্যন্ত এবং এই সনদের দুই জন রাবী আমর বিন শামের এবং জাবির অবিশ্বাসযোগ্য।

একটা কথা উল্লেখ্যঃ কোরআনে ইমাম মাহাদী সংক্রান্ত কিছুই বলা হয়নি। “আহমদিয়া বাংলা” ওয়েভসাইটে তারা যেইসব আয়াতে ইমাম মাহাদী আগমণের নিদর্শক বলে উল্লেখ করেছে, তা যে ইমাম মাহাদী সংক্রান্ত নয়, তা আয়াত গুলো পড়লে যে কেউই বুঝতে পারবে, এ সংক্রান্ত পরবর্তীতে একটি পোস্ট দিব, ইনশাআল্লাহ।

মির্জা গোলাম আহমদ কখনো নবী, কখনো ইমাম মাহাদী, কখনো ঈসা আঃ অথবা কখনো রাসূল আবার কখনো সকল নবী রাসূলের চাইতে উত্তম বলে দাবি করেছে। মির্জা গোলাম তার ‘দূররে ছামীন’ গ্রন্থে লিখেছে, “সমস্ত নবী রাসূলকে যা দেয়া হয়েছে তার সমস্তটাই আমাকে দেয়া হয়েছে” । এছাড়া কাদিয়ানি পত্রিকা ‘আল ফজল’ লিখেছে, “আমাদের বিশ্বাস যে গোলাম আহমাদের সত্যতা প্রমাণ করার জন্য আল্লাহ এতো নিদর্শনাদি এবং প্রমাণাদি প্রেরণ করেছেন, যদি তা এক হাজার নবীর মধ্যে বন্টন করে দেয়া হতো তবে তাদের নব্যুয়াত প্রমাণিত হওয়ার জন্য এগুলো যথেষ্ট হবে...” (আল ফজল ১৬ ই অক্টোবর ১৯১৭)।

এইবার একটা মজার কথা শুনুন......

মির্জা গোলামের দাবী তার কাছে ইলহাম (আল্লাহর ওহী) নাযিল হয়েছে, আরবী, উর্দু এবং ইংরেজী ভাষায়...(বিঃদ্রঃ তার ভাষা ছিল হিন্দি/উর্দু) (কাদিয়ানীদের “আল ওয়াসিয়াত” ৯ পৃষ্ঠা, এই গ্রন্থটি আহমদিয়া বাংলা ওয়েভসাইটে এখনও আছে)



আর আল্লাহ বলেন, “আমি কোন রাসূল পাঠাইনি নিজ গোত্রীয় ভাষা ছাড়া। যেন সে তাদের কাছে বর্ণনা করতে পারে......” (সূরা ইব্রাহিম-৪)

তাই সেই সব ভ্রান্ত পথিকদের আবারও অনুরোধ, কাদিয়ানির প্রতি কোন ওহী নাযিল হয়নি, এটা তার মিথ্যা কথা। আর একজন মিথ্যুক অবশ্যই ‘ইমাম মাহদী’ হবেন না।

পৃথীবীর ইতিহাসে কোন নবী রাসূলকে আল্লাহ তার সজাতীর ভাষা ব্যতীত অন্য ভাষায় ওহী নাযিল করার প্রমান নাই। আল্লাহ বিভিন্ন নবী ও রাসূলকে বিভিন্ন জাতীর কাছে প্রেরণ করেছিলেন তাদের কে নিজস্ব ভাষায় ওহী দিয়ে, যেমনঃ মূসা আঃ এর তাওরাও ছিল ‘হিব্রু’ ভাষায় কিংবা ঈসা আঃ এর বাইবেল/ইঞ্জিল ছিল ‘আ্যরামিক ভাষায়/হিব্রু’ যা তাঁদের নিজস্ব ভাষা, যাতে তারা তাঁদের স্বজাতির কাছে ভালোভাবে বুঝাতে পারে কি নাযিল করা হয়েছে, এমনকি মোহাম্মদ সাঃ পুরো মানব ও জীন জাতীর জন্য নবী হয়ে আসা সত্ত্বেও তাঁর কাছে প্রেরিত কোরআন ছিল আরবী ভাষায়।

আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই আমি একে নাযিল করেছি কোরআন রুপে আরবীতে যেন তোমরা বুঝ” (সূরা ইউসূফ-২)

যদিও মোহাম্মদ সাঃ এসেছিলেন সকল জাতীর জন্য......

“আমি তো আপনাকে সব মানুষের সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরুপে প্রেরণ করেছি, তবে অনেকেই তা অবগত নয়” (সূরা সাবা-২৮)

“বলুন, হে মানুষ! আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহর প্রেরিত রাসূল...” (সূরা আল আ’রাফ- ১৫৮)

আসুন, মির্জা গোলামের প্রতি একটি ইংরেজী ওহী শুনি......তার নিজের ভাষায়.........

“আমার প্রতি ইংরেজী ভাষায় কয়েকবার ইলহাম হয়েছে, শেষবার এ ইলহাম হয়, I can do what I will অর্থাৎ আমি যা করতে চাই তাই করতে পারি” (গোলাম কাদিয়ানির রচিত ‘বারাহীনে আহমদিয়া’ গ্রন্থ থেকে)

আমরা বলিঃ হ্যাঁ তোমার প্রতি ইংরেজী, ফার্সি ভাষায়-ই ইলহাম হবে, আর এই ইলহাম আল্লাহ থেকে নয়, এই ওহী নাযিল হয়েছে ব্রিটিশদের কাছ থেকে।

এই ‘গাঁজা সেবনকারীর’ নিজেই বলেছে-

“কথার উচ্চারণ ও বাক্য ভঙ্গী দেখে বুঝতে পারলাম, একজন ইংরেজ আমার মাথার কাছে দাঁড়িয়ে কথা বলছে” (বারহীনে আহমদিয়া)

‘গাঁজা সেবনকারী’ বলায় কাদিয়ানি ভাইয়েরা রাগ করবেন না। যিনি গাঁজা সেবন করেন তাকেই গাঁজা সেবনকারি বলা যায়......

গোলামের পুত্র তার ২য় খলীফা বলেছে, “আমার পিতা আল্লাহর নির্দেশে ও তত্ত্বাবধানে তিরিয়াকে এলাহি নামক একটি ঔষুধ তৈরি করেছিলেন, যার অর্ধেক অংশ ছিল আফিম” (আল ফজল পত্রিকায় প্রকাশিত, ১৯ জুলাই, ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দ)

এছাড়া গোলাম আহমেদ তার এক মুরিদের কাছে লাহোরে চিঠি পাঠায়, “বলুমর নামক ব্যক্তির কাছ থেকে ওয়াইন কিনে যেন তার কাছে পাঠায়, মুরিদ যখন বলুমুরকে বলল, ওয়াইন কি?? বলুমুর উত্তর দিল, ইহা এক প্রকার শক্তিশালী নেশাদার মদ যা সিল করা বোতলে ইংল্যান্ড থেকে পাঠানো হয়” (কাদিয়ানি ডাক্তার মোহাম্মদ হুসাইনের ‘মাকতুবুল ইমাম বিইসমিল গোলাম’ ৫ পৃষ্ঠা)

“মদ, জুয়া, মূর্তি ও ভাগ্য নির্ণয়ের তীর এসব নোংরা ও অপবিত্র, শয়তানের কাজ ব্যতীত আর কিছুই নয়; সুতরাং তোমরা এসব বর্জন কর, আশা করা যায় তোমরা সফল হবে” (সূরা-আল মা’য়িদা-৯০)

মির্জা কাদিয়ানি তার ‘নূরুল কুরআন’ গ্রন্থে এমন কিছু আয়াত ‘কোরআন’ এর নামে চালিয়ে দিয়েছে যা কোরআনের কোথাও নাই। এই বিষয়ে পরে পোস্ট দিব ইনশা আল্লাহ।

এছাড়া মির্জা গোলামের মিথ্যাচার দেখুন। সে তার ‘এজালাতুল আওহাম’ গ্রন্থে লিখেছে, “রাসূলকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল, কিয়ামত কখন হবে? উত্তরে তিনি বললেন, সমগ্র মানবজাতীর উপর আজকের দিন হতে একশত বৎসরের মধ্যে কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে”।

এই কথা কোন হাদীসে আছে?? এটা একটা ‘ডাহা মিথ্যা’ কথা এবং মোহাম্মদ সাঃ এর নামে মিথ্যাচার। আর মোহাম্মদ সাঃ বলেছেন, “যে কেউই আমার নামে মিথ্যাচার করবে তার বাসস্থান হবে জাহান্নাম” (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, সূনানে আবু দাঊদ)

এছাড়া মির্জা গোলাম আরো বলেছে, “সহীহ হাদীসে আছে যে, মসীহে মাওউদ শতাব্দীর প্রান্তে অবতীর্ণ হবেন। এবং তিনি চৌদ্দ শতাব্দীর ইমাম হবেন” (মির্জা গোলাম কাদিয়ানী রচিত ‘নুসরতুল হক’ গ্রন্থ হতে)

এছাড়া মির্জা গোলাম তার ‘শাহাদাতুল কোরআন’ গ্রন্থে লিখেছে যে, “বুখারীতে আছে, আকাশ থেকে একটি আওয়াজ মির্জা গোলামের জন্য ঘোষণা করবে যে ইনি-ই আল্লাহর খলীফা মাহাদী”। কিন্তু বুখারীতে এই রকম কোন হাদীসই পাওয়া যায়না।

এছাড়া সে তার ‘আরবাঈন’ গ্রন্থে বলেছে, “পূর্ববর্তী সকল নবীর ওহী একবাক্যে বলে যে মসীহে মাওউদ চৌদ্দ শতাব্দীতে জন্ম গ্রহণ করবেন এবং তিনি পাঞ্জাবেই জন্মগ্রহণ করবেন”।

এই ‘মিথ্যুক’ এটি কোথায় পেল?? কোন সহীহ হাদীসে এই সব কথা আছে?? এই ভাবেই তার মিথ্যাচার শুরু হয়...

‘আহমদিয়া বাংলা’ ওয়েভসাইট ও মির্জা গোলামের রচিত ‘বারহীনে আহমদিয়া’ তে আছে......

আল্লাহ মির্জা কাদিয়ানিকে বললেন, “আমি তোমাকে এক বিরাট জা’মাত দান করব”।

আমরা বলিঃ হ্যাঁ, তাকে জা’মাত দেয়া হয়েছে, তবে এই প্রতিশ্রুতি আল্লাহ দেন নি, দিয়েছে ব্রিটিশ রাজের রানী ভিক্টোরিয়া, আর জা’মাত ও দিয়েছে তারা ব্রিটিশদের দালালী করেছে তখন আর এখন করছে ইসলাম বিরোধীদের দালালী।

এইভাবেই সে মিথ্যাচার করছে!! অথচ মোহাম্মদ সাঃ বলেছেন, “তোমাদের পূর্বে অতিবাহিত বনী ঈসরাইলের লোকের মধ্যে এমন লোক ছিল যাদের সাথে কথা বলা হয়েছে (আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলেছেন) অথচ তারা নবী ছিলেন না, আমার উম্মতের মধ্যে যদি এমন কেও হয় তাহলে সে হবে উমর” (সহীহ মুসলিম)

হাদীসটি স্পষ্ট। যদি কারো সাথে আল্লাহ কথা বলতেন তাহলো তিনি হতেন উমার (রাঃ)। আর ‘ভন্ড’ মির্জা কাদিয়ানি বলছে তার প্রতি ইলহাম (ওহী নাযিল) হয়। আসুন তার আরো কিছু ইলহামের নমুনা দেখি। সে তার গ্রন্থ ‘আল বুশরা’ তে বলেছে, “আমার কাছে ইলহাম হয় ’১১-ইনশাআল্লাহ’। এখন ’১১-ইনশাআল্লাহ’ এর অর্থ কি??

সে আরো বলেছে, তার কাছে ইলহাম আছে, “উপযুক্ত ব্যক্তি”, “চৌধুরী রুস্তম আলী”, “ফজলুর রহমান দরজা খুলছে” ইত্যাদি। সব গুলোই তার ‘আল বুশরা’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া, ১ম সংস্করণ। যাই হোক, এখন আল্লাহ কি এমন কোন ‘ওহী’ নাযিল করেন, যার কোন অর্থ নেই?? আল্লাহ কি ‘অনর্থক’ কাজ করেন??

১৯০৭ সালে মির্জা গোলাম শেখ ছানাউল্লাহ অমৃতসারীর সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয়। কিন্তু বিতর্কে পরাজয়ের ফলে সে একটি ঘোষনা দেয়, যার সারমর্ম এরুপ, “যদি শেখ ছানাউল্লাহ সত্য হয় মানে মির্জা গোলাম ভন্ড হয় তবে মির্জা গোলাম শেখ ছানাউল্লাহ’র জীবদ্দশায় ডায়রিয়া কিংবা কলেরা হয়ে মারা যাবে, আর যদি মির্জা গোলাম সত্য হয় তবে শেখ ছানাউল্লাহ অমৃতসারীর এই অবস্থা হবে”। (প্রচারপত্রটি ১৫ ই এপ্রিল প্রচারিত হয়)

কিন্তু দূর্ভাগ্য জনক হল, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানির মৃত্যুর প্রায় ৪০ বছর পরেও শেখ ছানাউল্লাহ অমৃতসারী জীবিত ছিল। আর মির্জার মৃত্যু, তার ছেলে বশীর আহমেদ ‘সীরাতে মাহদী’ গ্রন্থে লিখেছে, “আমার মা আমাকে বলেছে জনাবের খাওয়ার পর পরই পায়খানায় যাওয়ার প্রয়োজন হল, এরপর একটু নিদ্রা গেলেন আবার পায়খানায় যাওয়ার প্রয়োজন হল, অতপর আমাকে অবহিত না করেই আরো দু’একবার গেলেন। তারপর আমাকে জাগালেন তখন আমি দেখতে পেলাম যে তিনি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছেন...একটু পরেই আবার পায়খানায় যাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করলেন কিন্তু এবার পায়খানায় যেতে না পেরে খাটের নিকটেই প্রয়োজন সেরে নিলেন.........”

“আমাকে তিনি এই বলে সম্বোধন করলেন, আমি কলেরায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছি। অতঃপর তিনি আর কোন কথা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি এবং পরদিন সকাল ১০ টায় মারা যান” (গোলাম কাদিয়ানির শ্বশুরের ‘হায়াতে নাসির’ গ্রন্থ হতে)

পূর্বের গুলো-

কাদিয়ানি/আহমদিয়া 'সর্বশেষ নবী' ও 'প্রতিবিম্ব নবী' পর্ব-১

ঈসা আঃ এর অবতরণ, ইমাম মাহাদী ও কাদিয়ানির 'ভ্রান্ত মতবাদ' পর্ব-২

বিষয়: বিবিধ

২৩৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File