পদ্ম পাতা ভাই এর পোষ্ট এর জবাব

লিখেছেন লিখেছেন সঠিক ইসলাম ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৭:২৯:১৮ সন্ধ্যা

তার পোষ্ট এ http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/detail/8441/Podmo/72579#.VnAMul7cwdU জবাবটি দিতে গিয়ে দেখি উনি আমাকে ব্লক করেছেন !!! একজন জামায়াতে ইসলামী পন্থি ভাই এর কাছ থেকে এরুপ কর্মকান্ডে নিদারুন হতাশ ও বিষ্মিত হলাম। তাই অনিচ্ছা সত্বেও জবাবটি পোষ্ট আকারেই দিলাম।

প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভুল গুলো ধরিয়ে দেবার জন্য। তবে ভন্ড/ভন্ডামী এ সকল অযাচিত শব্ধ ব্যাবহার না করেও কারো ভুল ধরা যায়। আপনি মূলত দুটি জিনিসকে কেন্দ্র করে এ কাসিদার অস্তিত্বকেই অস্বিকার করতে চেয়েছেন যা আপনার অজ্ঞতার ই পরিচায়ক। এটি মূলত ফর্সি ভাষাতেই লিখেছেেলেন তিনি, আরবীর কথাটি আমার ভুল ছিল তবে আরবী এবং ভার্ষী দু ভাষাতেই এ সকল কবিতাকে কাসিদা বলা হয়। সাল নিয়ে হয়ত তথ্য বিভ্রাট আছে আমার লিখাতে। আর হাসিনাহ শব্দটি আরবী কিন্তু সবাই এটি ব্যাবহার করে থাকে বাংলায় এবং (হ) ছাড়াই সবাই ব্যাবহার করে থাকে নামটি, কারন বাংলা ভাষায় বেদেশী শব্দগুলো সঠিক উচ্চারন সহ ব্যাবহার করা হয় না। তবে এক্ষেত্রে এটি শেখ হাসিনা না হয়ে শেক মুজিবর রহমান ও হতে পারে। কারন তার মাধ্যমেই এ দেশে হিন্দুয়ানী ভারতীয় আগ্রাসনের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছে। এ ব্যাপার আমার পোষ্ট এ দুজন তাদের নিজস্ব অভিমত ব্যাক্ত করেছেন। যাই হোক এটি যার যার ব্যাক্তিগত অভিমত। কিন্তু শুধৃুমাত্র এটির কারনেই আপনি মূল কাসীদার অস্তিত্বকেই অস্বিকার করে বসতে পারেন না।

আপনি মূলত যে দুটি বিষয়কে কেন্দ্র করে এটিকে অস্বিকার করার চেষ্টা করেছিলেন সেদুটি বিষয় হল ১. কাশফ-কারামত, ২. এ যুগে জিহাদ/চরমপন্থা অবলম্বন।

১. কাশফ-কারামত এর ব্যাপারে সহিহ হাদীস সহ বিস্তারিত দলীল পাবেন নিচের বইটিতে - https://islamiboi.wordpress.com/2013/02/21/bn_tasauf/

২. আপনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আদর্শে অনুপ্রানীত আমিও তাদের আদর্শে পরিচালিত, আপনি আমার সকল পোষ্ট পড়লেই তা জানতে পারবেন। বিশেষ করে এ দুটি পোষ্ট দেখুন - http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/detail/4803/TrueIslam/72486#.VnARy17cwdU

http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/detail/4803/TrueIslam/71988

আশা করি বুঝতেই পারছেন যে আমিও চরম পন্থার বিরোধী। ব্লগ এ যারা চরম পন্থার পক্ষ্যে বিভিন্ন পোষ্ট দেন তাদের পোষ্ট গুলোতে আমার মন্তব্যগুলো দেখলেও বুঝতে পারবেন। তবে ভারত বর্ষ যে এক দল মুসলিম মুজাহিদদের দ্বারা শেষ যুগে বিজিত হবে সে ব্যাপারে কিন্তু অনেকগুলো সহিহ হাদীসও রয়েছে। তবে আমরা জানিনা সেটা কবে ঘটবে হয়ত হাজার বছর পরেও ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে কিছু হাদীস দেখুন -

গাযওয়ায়ে হিন্দ সম্পর্কে রেফারেন্স সহকারে ৫টি হাদিস

==========================

(১) হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) এর প্রথম হাদিস

সর্বপ্রথম হাদিসটি আবু হুরায়রা(রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত । তিনি বলেন আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) আমকে বলেছেন যেঃ

“ এই উম্মাহর মধ্যে একটি দল সিন্ধ এবং হিন্দ এর দিকে অগ্রসর হবে ”

হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) বলেন আমি যদি এই অভিযানে শরীক হতে পারতাম এবং শহীদ হতে পারতাম তাহলে উত্তম হত ; আর যদি আমি গাজী হয়ে ফিরে আসতাম তবে আমি একজন মুক্ত হযরত আবু হুরায়রা হতাম, যাকে সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিতেন ।

রেফারেন্সঃ

এই শব্দগুলো দিয়ে শুধুমাত্র ইমাম বিন হাম্বল(রঃ) তার ‘মুসনাদে’ হাদিসটি বর্ণনা করেছন । এবং ইবনে কাসির এই রেফারেন্সে হাদিসটির অনুলিপি তার ‘ আল-বিদায়া ওয়া নিহায়া ’ –তে উল্লেখ করেছেন ।

ক্বাজী আহমাদ শাকির এই হাদিসের একটি সুন্দর স্থায়িভাব দিয়েছেন ‘মুসনাদে আহমাদের’ ব্যাখ্যা ও খোঁজে।

ইমাম নিসাই হাদিসটি তার উভয় গ্রন্থঃ ‘ আস সুনান আল মুজতাবা ’ এবং ‘ আস সুনান আল কুবরা’ –তে বর্ণনা করেছেন ।

এর মাঝে নিম্নোক্ত শব্দ ব্যবহার করে উল্লেখ করেছেন যে, হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) বলেন, হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) আমাদেরকে গাযওয়ায় হিন্দ সম্পর্কে ওয়াদা করেছেন । আমি যদি এতে অংশগ্রহণের সুযোগ পেতাম তাহলে আমি এর জন্য আমার সকল শক্তি ও সম্পদ ব্যয় করে দিতাম। যদি আমি এতে নিহত হতাম, তাহলে আমি অতি উত্তম শহীদদের একজন হতাম । আর যদি ফিরে আসতাম তবে একজন মুক্ত আবু-হুরায়রা হতাম ।

ইমাম বায়হাকি(রঃ) অনুরুপ শব্দগুলোর উল্লেখ করেছেন ‘ আস সুনান আল কুবরা’র। তার আরকটি বর্ণনায় একটি শব্দ যোগ হয়েছে ।ইবনে দাউদের রেফারেন্সে, মাসদাদ আবু-ইসহাক ফাযারি সম্পর্কে বলেন যে তিনি বলতেনঃ ‘ আমি যদি রোম শহরের যে গাযওয়াত গুলোতে অংশগ্রহণ করেছি তার বদলে মারবাদ(ভারত থেকে আরবের পূর্বে কিছু অঞ্চল) এর গাযওয়াতে অংশগ্রহণ করতে পারতাম’।

ইমাম বায়হাকি(রঃ) একই বর্ণনা সম্পর্কে তার ‘দালাইল আন নুবুওয়াহ’তে বলেছেন । এবং তার এই রেফারেন্সে, অনুরূপ বর্ণনা তুলে ধরেছেন ইমাম সুয়ুতি(র) ‘ইন আল খাসাইস আল কুবরা’তে ।

অধিকন্তু, নিম্নোক্ত হাদিস বর্ণনাকারীরা একই হাদিস সামান্য ভিন্ন শব্দ ব্যবহার করে বর্ণনা করেছেনঃ

শায়খ আহমাদ শাকির(রঃ) এই হাদিসটিকে অনুমোদন করেছেন ।

ইবনে কাসির অনুরূপ হাদিসটি ‘ আল বিদায়া ওয়া আন নিহায়া ’-তে ব্যবহার করেছেন ।

আবু নাঈম(রঃ) এটি ‘হুলিয়াত উল আউলিয়া’তে বর্ণনা করেছেন

ইমাম হাকিম(রঃ) এই হাদিসটি ‘আল মুস্তাদরাক আল সাহিহ’তে বর্ণনার পর নীরব থেকেছেন । তথাপি, ইমাম যাহাবী (রঃ) তার মুস্তাদরাক এ এটি তুলে দিয়েছেন ।

সাঈদ ইবন মানসুর এটি তার বই ‘আস সুনান’ -এ এটি বর্ণনা করেছেন ।

খতীব বাগদাদী তার বাগদাদের ইতিহাসে লিখেছেন যে ‘ এর জন্য আমি নিজেকে অস্থির বানিয়ে ফেলতাম ’।

নাঈম বিন হাম্মাদ; ইমাম বুখারীর শিক্ষক এটি ‘আল ফিতান’ -এ লিখেছেন ।

ইবনে আসিম (রঃ) তার ‘আল জিহাদ ’ গ্রন্থে লিখেছেন ।

ইবনে হাতীম (রঃ) তার ‘ আল লা’ল ’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে ‘ যদি আমি নিহত হই, তবে আমি জীবিত থাকব আহার্য পেয়ে(শহীদ হিসেবে) এবং যদি ফিরে আসি, তবে হব মুক্ত ।

ইমাম বুখারী (রঃ) ‘আল তারিক আল কাবির ’-এ বর্ণনা করেছেন ।

ইমাম মাযী করেছেন ‘তেহজিব উল কামাল’-এ এবং

ইবনে হাযার আসকালানী হাদিসটি ‘ তেহজিব আল তেহজিব ’-এ বর্ণনা করেছেন ।

উপরোক্ত সকলের লিখা অনুযায়ী এই হাদিসটি পুরোপুরি সঠিক এবং সুন্দর।

(২) হযরত সা্ওবান(রাঃ) এর হাদিস

হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) হিন্দুস্তানের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন্নঃ

“ অবশ্যই আমাদের একটি দল হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন, আর তারা রাজাদের শিকল/বেড়ি দিয়ে টেনে আনবে । এবং আল্লাহ্ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন (এই বরকতময় যুদ্ধের দরুন)”। এবং সে মুসলিমেরা ফিরে আসবে তারা ঈসা ইবন-ই-মারিয়াম কে সিরিয়ায়(শাম) পাবে ।

হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) বলেন “ আমি যদি সেই গাযওয়া পেতাম, তাহলে আমার সকল নতুন অ পুরাতন সামগ্রী বিক্রি করে দিতাম এবং এতে অংশগ্রহণ করতাম । যখন আল্লাহ্(সুবঃ) আমাদের সফলতা দান করতেন এবং আমরা ফিরতাম, তখন আমি একজন মুক্ত আবু হুরায়রা হতাম; যে কিনা সিরিয়ায় হযরত ঈসা(আঃ) কে পাবার গর্ব নিয়ে ফিরত । ও মুহাম্মাদ(সাঃ) ! সেটা আমার গভীর ইচ্ছা যে আমি ঈসা(আঃ) এর এত নিকটবর্তী হতে পারতাম, আমি তাকে বলতে পারতাম যে আমি মুহাম্মাদ(সাঃ) এর একজন সাহাবী ।”

বর্ণনাকারী বলেন যে হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) মুচকি হাসলেন এবং বললেনঃ ‘ খুব কঠিন, খুব কঠিন ’ ।

রেফারেন্সঃ

ইমাম আহমাদ(রঃ) ‘মুসনাদ’

ইমাম নিসাই(রঃ) ‘আস সুনান আল মুজতাবা’

শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানী(রঃ) হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন

তদ্রূপ ‘আস সুনান আল কুবরা’

ইবনে আবি আসিম(রঃ) ‘কিতাবুল জিহাদ’

ইবনে আদি(রঃ) ‘আল কামিল ফী যাউফা আর রীযাল’

তাবরানী(রঃ) ‘আল মজাম আল অস্ত’

বায়হাকী(র) ‘আস সুনান আল কুবরা’

ইবনে কাসীর (রঃ) ‘আল বিদায়া ওয়া নিহায়া’

ইমাম ওয়েলমি(রঃ) ‘মুসনাদ আল-ফিরদাউস’

ইমাম সুয়ুতি(রঃ) ‘আল জাম্য আল কাবীর’

ইমাম মানভী(রঃ) আল জামায় আল কাবীরের তাফসীর ‘ফায়েয আল কাদের’

ইমাম বুখারী (রঃ) ‘আল তারীক আল কাবীর’

ইমাম মাযী(রঃ) ‘তেহজিব আল কামাল’

ইবনে আসাকার(রঃ) ‘দামাস্কাসের ইতিহাস’

(৩) হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) এর দ্বিতীয় হাদিস

হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) হিন্দুস্তানের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেনঃ

“ অবশ্যই তোমাদের একটি দল হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন, আর তারা এর রাজাদের শিকল/বেড়ি পরিয়ে টেনে আনবে । এবং আল্লাহ্ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন (এই বরকতময় যুদ্ধের দরুন)”। এবং সে মুসলিমেরা ফিরে আসবে তারা হযরত ঈসা ইবন-ই-মারিয়াম কে সিরিয়ায়(শাম) পাবে ।

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন “ আমি যদি সেই গাযওয়া পেতাম, তাহলে আমার সকল নতুন ও পুরাতন সামগ্রী বিক্রি করে দিতাম এবং এতে অংশগ্রহণ করতাম । যখন আল্লাহ্(সুবঃ) আমাদের সফলতা দান করতেন এবং আমরা ফিরতাম, তখন আমি একজন মুক্ত আবু হুরায়রা হতাম; যে কিনা সিরিয়ায় হযরত ঈসা(আঃ) কে পাবার গর্ব নিয়ে ফিরত । ও মুহাম্মাদ(সাঃ) ! আমার তীব্র ইচ্ছা হয় সে সময়টা পেতে যখন আমি ঈসা(আঃ) এর এত নিকটবর্তী হতে পারতাম, আমি তাকে বলতে পারতাম যে আমি মুহাম্মাদ(সাঃ) এর একজন সাহাবী ।”

বর্ণনাকারী বলেন যে হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) মুচকি হাসলেন এবং বললেনঃ ‘ খুব কঠিন, খুব কঠিন ’

রেফারেন্সঃ

নাঈম বিন হাম্মাদ হাদিসটি উল্লেখ করেন তার ‘ কিতাব আল ফিতান ’ গ্রন্থে ।

ইসহাক বিন রাহুইয়া(রঃ) ও হাদিসটি উল্লেখ করেন তার ‘মুসনাদে’ , যেখানে তিনি আরো কিছু বাড়তি কথা যোগ করেছেন, তাই আমরা এখানে সেই বর্ণনাটিও তুলে ধরছিঃ

হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) বলেন, একদিন হুজুর(সাঃ) হিন্দুস্তানের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেনঃ

“ অবশ্যই, তোমাদের একটি দল হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ সেই দলের যোদ্ধাদের(মুজাহিদ) বরকত দান করবেন, আর তারা সিন্ধের রাজাদের শিকল পরিয়ে আনবে, আল্লাহ্ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন । তারপর, তারা যখন ফিরে আসবে তখন তারা ঈসা ইবন-ই-মারিয়ামকে সিরিয়ায় পাবে ।

হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) বলেন “ আমি যদি সেই গাযওয়া পাই, তাহলে এতে অংশগ্রহণ করার জন্য আমার সকল নতুন ও পুরাতন সামগ্রী বিক্রি করে দিতাম । যখন আল্লাহ্ আমাদের সফলতা দান করতেন তারপর আমরা ফিরতাম, তখন আমি একজন মুক্ত আবু হুরায়রা হতাম, যে কিনা সিরিয়ায় আসত এবং সেখানে হযরত ঈসা(আঃ) এর সাক্ষাৎ পেতাম । ও আল্লাহ্র রাসুল(সাঃ)! সে সময়টায় আমার গভীর ইচ্ছা যে আমি ঈসা(আঃ) এর নিকটবর্তী হয়ে তাকে বলতে পারি যে, আমার সেই সম্মান হয়েছে মুহাম্মাদ(সাঃ) এর সাহচর্য পাওয়ার ।

বর্ণনাকারী বলেন যেঃ মুহাম্মাদ(সাঃ) এটি শুনে হাসলেন ।

(৪) হযরত কা’ব (রাঃ ) এর হাদিস

এটা হযরত কা’ব (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে মুহাম্মাদ(সাঃ) বলেনঃ

“ জেরুসালেমের(বাই’ত-উল-মুক্বাদ্দাস) একজন রাজা তার একটি সৈন্যদল হিন্দুস্তানের দিকে পাঠাবেন, যোদ্ধারা হিন্দের ভূমি ধ্বংস করে দিবে, এর অর্থ-ভান্ডার ভোগদখল করবে, তারপর রাজা এসব ধনদৌলত দিয়ে জেরুসালেম সজ্জিত করবে, দলটি হিন্দের রাজাদের জেরুসালেমের রাজার দরবারে উপস্থিত করবে, তার সৈন্যসামন্ত তার নির্দেশে পূর্ব থেকে পাশ্চাত্য পর্যন্ত সকল এলাকা বিজয় করবে, এবং হিন্দুস্তানে ততক্ষণ অবস্থান করবে যতক্ষন না দাজ্জালের ঘটনাটি ঘটে । ”

রেফারেন্সঃ

নাঈম বিন হাম্মাদ (রঃ) উস্তায ইমাম বুখারী (রঃ) এই হাদিসটি বর্ণনা করেন তার ‘আল ফিতান’ গ্রন্থে । এতে, সেই উধৃতিকারীর নাম উল্লেখ নাই যে কা’ব(রাঃ) থেকে হাদিসটি বর্ণনা করেছে । কিন্তু কিছু আরবী শব্দের ব্যবহার করা হয়েছে, তাই এটা এর সাথে সংযুক্ত বলেই বিবেচিত হবে ।

এসব শব্দাবলী নিম্নরূপঃ

(আলমুহকামউবনু না’ফি-ইন আম্মান হাদ্দাসাহু আন কাবিরিন)

(৫) হযরত সাফওয়ান বিন উমরু((রাঃ)

এই পঞ্চম হাদিসটি হযরত সাফওয়ান বিন উমরু (রাঃ) এবং হাদিসটি এর ক্রমানুযায়ী বিতর্কের পর্যায়ে আছে।

তিনি বলেন কিছু লোক তাকে বলেছেন যে হুজুর(সাঃ) বলেছেনঃ

“ আমার উম্মাহর কিছু লোক হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ তাদের সফলতা দান করবেন, এমনকি তারা ইন্ডিয়ান রাজাদেরকে শিকলবদ্ধ অবস্থায় পাবে ”। আল্লাহ্ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন। যখন তারা সিরিয়ার দিকে অগ্রসর হবে, তখন তারা ঈসা ইবনে মারিয়ামকে(আঃ) সেখানে পাবে”।

রেফারেন্সঃ

নাঈম বিন হাম্মাদ এই হাদিসটি ‘আল ফিতান’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন ।

================================

সর্বশেষ কথা হল আমার পোষ্ট এ কোন তথ্য/ব্যাখ্যাগত ভুল থাকার অর্থ এটাই নয় যে,শাহ নেয়ামতুল্লাহ (র.) এর কাসীদাটাই একটি ভুয়া বানোয়াট বিষয়। আজ থেকে ৪৩ বছর আগেই এটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন দৈনিক ইনকিলাবের নির্বাহী সম্পাদক স্বনামধন্য কবি ও আলেম মাওলানা রুহুল আমীন খান। নিচের লিঙ্ক এ বইটির প্রচ্ছদ সহ অনুবাদটি পাবেন। http://www.social-peek.com/Keywords/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE

বর্তমানে এ দেশ প্রকাশ্যে না হলেও অলিখিত ভাবে গোপনে যে ভারতের কাছে চলে গিয়েছে আশা করি এ ব্যাপারে সকল সচেতন নাগরিক ই অবগত আছেন। আমার নিচের পোষ্ট দুটিুতে এ ব্যাপারে কিছু তথ্য পাবেন

http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/detail/4803/TrueIslam/62073#.VlQz7K_mjVI

http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/detail/4803/TrueIslam/47759#.VlQ0Fq_mjVI

আল্লাহ আমাদেরকে আরো বেশী বেশী গবেষণা করার তৌফিক দান করুন, আমীন। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। ধন্যবাদ।

বিষয়: বিবিধ

৩৪৪০ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

354171
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:০৩
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন :
তবে এক্ষেত্রে এটি শেখ হাসিনা না হয়ে শেক মুজিবর রহমান ও হতে পারে।

হতে পারে নয়, যা লিখা আছে, তাই উল্লেখ করতে হবে।
আরবীর কথাটি আমার ভুল ছিল

লেখা পোস্ট করার আগে বার কয়েক ভাল করে দেখে নেয়ার অনুরোধ থাকল।
আপনি মূলত দুটি জিনিসকে কেন্দ্র করে এ কাসিদার অস্তিত্বকেই অস্বিকার করতে চেয়েছেন যা আপনার অজ্ঞতার ই পরিচায়ক।

উনি যে ভাষায় কথা বললেন, আপনিও তাই, তাহলে যে এই কাদা ছুড়াছুড়ি চলতেই থাকবে।
সাল নিয়ে হয়ত তথ্য বিভ্রাট আছে আমার লিখাতে।

যে তথ্যে বিভ্রাট থাকবে, তা এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ নয় কি।
আপনাকে ধন্যবাদ। সবাই স্বাচ্ছন্দে গ্রহণ করবে, উপকৃত হবে, এমন লিখা নিয়ে পোস্ট করার আন্তরিক অনুরোধ রইল। জাযাকাল্লাহু খাইর।
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:১৮
294026
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : শত শত বছর যাবত এ কাসীদা নিয়ে অনেকেই গবেষণা করেছেন আরো যাতে বেশী বেশী করে গবেষণা হয় সে জন্যই আমার পোষ্ট। মূল কাসীদাও আমি উল্লেখ করেছি । ব্যাখ্যায় এক এক জনের আলাদা অভিমত থাকতেই পারে। আপনাকেও ধন্যবাদ।
354173
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:১৬
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনার সারগর্ভ পোস্টটির জন্য। অনেক কিছু জানতে পারলাম। আমি বেশ ক'বছর আগে একটি ছোট পুস্তিকা (সম্ভবত : হাদীসের আলোকে হিন্দুস্তানের জিহাদ-লেখকের নাম মনে নেই)পড়েছি।আপনার লেখাটি পড়ে অণুপ্রাণিত হলাম।
জাযাকাল্লাহ...
354180
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৩৬
পদ্ম পাতা লিখেছেন : গাজওয়ায়ে হিন্দের বিরাট ফিরিস্তি টানলেন অথচ আমি এর বিরুদ্ধে একটা কথাও বলি নাই ।
কাশফ কারামত দ্বারা ভবিষ্যত জানা যায় না ভাই । এটা সরাসরি কুরানের বীপরীত কথা , আপনি আমাকে যে বই এর লিঙ্ক দিয়েছেন সেটি
আপনি নিজেই পড়েন নাই । ভবিষ্যত জানতে পারা ত দূরের কথা ওখানে কাশফ এর পক্ষে একটা হাদীসও নাই । কোরানের দলিলও নাই ।
আর মাওলানা রুহূল আমীনের ঐ বইয়ের লিঙ্ক কাজ করে না ।

এ লেখাটি এবং ব্যাখ্যা কোনটাই আপনার নিজের নয়


আমি সুনির্দিষ্ট তথ্যের তুলে ধরে আপনার কথার অসাড়তা প্রমান করেছি । আপনি সেগুলোর ব্যাপারে কিছু বললেন না ।
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৫১
294033
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : অদৃশ্য জগতের কোন কথা প্রকাশিত হওয়াকে কাশফ বলে। কাশফ কখনো সঠিক হয় আবার কখনো মিথ্যও হয়। তবে কাশফ শরীয়তের কোন দলীল নয়। - ১৪২ পৃষ্ঠা।

আমার ব্রাউজার এ তো ওপেন হচ্ছে ভাই !
http://www.social-peek.com/Keywords/ক্বসিদা

354182
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৪৫
পদ্ম পাতা লিখেছেন : আপনার ঐ লেখাটি পুরোটাই কপিপেস্ট । আপনার নিজের নয় । অন লাইনে সার্চ দিয়ে আপনার অনেক আগের কয়েকজনের এই ধরণের লেখা দেখলাম । মজার ব্যাপার হলঃ সবাই একই ব্যাখ্যা লিখেছে, একই ভুল করেছে, লাইন বাই লাইন একই লেখা । তার মানে একটি উৎস থেকেই এই কপি পেস্টের উৎপত্তি ।
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৫৬
294035
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : সর্ব প্রথম এটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন রুহুল আমীন খানই। পরে আরো অনেক দেওবন্দী আলেমও অনুবাদ করেছেন। তবে সবার ব্যাখ্যা এক নয়্।
354190
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:০০
পদ্ম পাতা লিখেছেন : আবারো না বুইঝা কমেন্ট করলেন ভাই, আমি কি বলেছি কাশফ নাই ?

আমি বলেছি
ভবিষ্যত জানতে পারা ত দূরের কথা ওখানে কাশফ এর পক্ষে একটা হাদীসও নাই । কোরানের দলিলও নাই ।


আছে কি ??
354192
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:০২
পদ্ম পাতা লিখেছেন :
সর্ব প্রথম এটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন রুহুল আমীন খানই। পরে আরো অনেক দেওবন্দী আলেমও অনুবাদ করেছেন। তবে সবার ব্যাখ্যা এক নয়্।


অন্য একটি ব্যাখ্যার খোঁজ দেন ত ভাই ?? রুহুল আমিনের যাস্ট একটা প্রচ্ছদ, বই ত নাই ।
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:১৩
294038
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : see more link এ ক্লিক করুন। এক পৃষ্ঠায় পাচটি পোষ্ট এ পাচ পর্ব করে দেয়া আছে, মূল ফার্সি ভাষার কবিতাটি সহ আরেক জনের অনুবাদ দিচ্ছি, অপেক্ষা করুন।
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০১:৩৪
294056
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : এই নিন, মূল ফর্সি টেক্স সহ আরেকজনের অনুবাদ
https://ia801502.us.archive.org/27/items/Kasida_20151128/Kasida.pdf
354193
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:০৪
পদ্ম পাতা লিখেছেন : কারো ভবিষ্যত জানতে পারার ব্যাপারটা বিশ্বাস করাটা কত বড় আকিদার গলৎ আপনি কি বুঝতে পারছেন না ??
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:০৯
294037
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : অপেক্ষা করুন দলীল দিচ্ছি।
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:১৬
294039
পদ্ম পাতা লিখেছেন : আমি দেই দাড়ানঃ
ল্লাহ তায়ালার যে অর্থে عالم الغيب (নিজের থেকে নিজে সব কিছু জানেন) সে অর্থে কোন নবী, রাসূল, অলী, বুযুর্গعالم الغيب নন। তবে আল্লাহ তাআলা যাকে যতটুকু জানান, তিনি ততটুকুই জানেন। আর এভাবে যিনি জানেন তাকে পরিভাষায় عالم الغيب বলা হয় না। যখন নবী-রাসূলগণই عالم الغيب নন, তখন গণক, জ্যোতিষী, টিয়া পাখী ওয়ালা,জ্বীন-শয়তান বা কোন অলী-বুযুর্গ, কোন পীর ফকরি হুজুর عالم الغيب হওয়ার বা গায়েব জানার প্রশ্নই আসে না।

জাহিলী যুগে যেভাবে গণক, জ্যোতিষী এবং এক শ্রেণীর পীর-বুযুর্গ গায়েব জানার দাবী করতো বর্তমানেও এক শ্রেণীর জ্যোতিষী, গণক, টিয়া পাখী ওয়ালা এবং এক শ্রেণীর ভন্ড আলেম যারা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে অতীত, বর্তমান,ভবিষ্যত সবকিছু জানে বলে দাবী করে, তারা মূলতঃ কুরআন এবং সহীহ হাদীস থেকে সম্পূর্ণ দূরে সরে গেছে। কেননাعالم الغيب (অদৃশ্যের জ্ঞান) একমাত্র আল্লাহ তাআলায় জানেন। ইরশাদ হচ্ছেঃ

“ আপনি বলুন: আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই। আমি এমন বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমি তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে। আপনি বলে দিন: অন্ধ ও চক্ষুমান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা কর না ?” (আনআম, ৬: ৫০)





“তাঁর কাছেই অদৃশ্য জগতের চাবি রয়েছে। এ গুলো তিনি ব্যতীত কেউ জানে না। স্থলে ও জলে যা আছে, তিনিই জানেন।

কোন পাতা ঝরে না; কিন্তূ তিনি তা জানেন।

কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না

এবং কোন আর্দ্র ও শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না; কিন্তূ তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে”। (আনআম, ৬: ৫৯)

“তিনিই সঠিকভাবে নভোমন্ডল সৃষ্টি করেছেন। যেদিন তিনি বলবেন: হয়ে যা, অত:পর হয়ে যাবে। তাঁর কথা সত্য। যেদিন শিঙ্গায় ফুৎকার করা হবে, সেদিন তাঁরই আধিপত্য হবে। তিনি অদৃশ্য বিষয়ে এবং প্রত্যক্ষ বিষয়ে জ্ঞাত।তিনিই প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ”। (আনআম, ৬: ৭৩)

“আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তূ যা আল্লাহ চান।আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য” । (আরাফ, ৭: ১৮৮)

“তারপর তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে সেই গোপন ও আগোপন বিষয়ে অবগত সত্তার নিকট। তিনিই তোমাদের বাতলে দেবেন যা তোমরা করছিলে”। (তাওবা, ৯: ৯৪)

“আর তুমি(হে নবী) বলে দাও, তোমরা আমল করে যাও, তার পরবর্তীতে আল্লাহ দেখবেন তোমাদের কাজ এবং দেখবেন রসূল ও মুসলমানগণ। তাছাড়া তোমরা শীঘ্রই প্রত্যাবর্তিত হবে তাঁর সান্নিধ্যে যিনি গোপন ও প্রকাশ্য বিষয়ে অবগত। তারপর তিনি জানিয়ে দেবেন তোমাদেরকে যা করতে”। (তাওবা, ৯: ১০৫)

“তারা বলে, তাঁর কাছে তাঁর পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশ এল না কেন? বলে দাও গায়েবের কথা আল্লাহই জানেন। আমি ও তোমাদের সাথে অপেক্ষায় রইলাম”। (ইউনুছ, ১০: ২০)

“আর আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে এবং একথাও বলি না যে, আমি গায়বী খবরও জানি; একথাও বলি না যে, আমি একজন ফেরেশতা; আর তোমাদের দৃষ্টিতে যারা লাঞ্চিত আল্লাহ্ তাদের কোন কল্যাণ দান করবেন না। তাদের মনের কথা আল্লাহ্ ভাল করেই জানেন। সুতরাং এমন কথা বললে আমি অন্যায় কারী হব”। (হুদ, ১১: ৩১)



“এটি গায়বের খবর, আমি আপনার প্রতি ওহী প্রেরন করছি। ইতিপূর্বে এটা আপনার এবং আপনার জাতির জানা ছিল না। আপনি ধৈর্যধারণ করুন। যারা ভয় করে চলে, তাদের পরিণাম ভাল, সন্দেহ নেই”। (হুদ, ১১: ৪৯)

“আর আল্লাহর কাছেই আছে আসমান ও যমীনের গোপন তথ্য; আর সকল কাজের প্রত্যাবর্তন তাঁরই দিকে;অতএব, তাঁরই বন্দেগী কর এবং তাঁর উপর ভরসা রাখ, আর তোমাদের কার্যকলাপ সম্বন্ধে তোমার পালনকর্তা কিন্তূ বে-খবর নন”। (হুদ, ১১: ৪৯)

“বলুন, আল্লাহ ব্যতীত নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে কেউ গায়বের খবর জানে না এবং তারা জানে না যে, তারা কখন পুনরুজ্জীবিত হবে”। (নামল, ২৭: ৬৫)

“এগুলো অদৃশ্যের খবর, আমি আপনার কাছে প্রেরন করি। আপনি তাদের কাছে ছিলেন না, যখন তারা স্বীয় কাজ সাব্যস্ত করছিল এবং চক্রান্ত করছিল”। (ইউছুফ, ১২: ১০২)

“তিনি সকল গোপন ও প্রকাশ্য বিষয় অবগত, মহোত্তম, সর্বোচচ মর্যাদাবান”। (রা’দ, ১৩: ৯)

“নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের গোপন রহস্য আল্লাহর কাছেই রয়েছে। কিয়ামতের ব্যাপারটি তো এমন, যেমন চোখের পলক অথবা তার চাইতেও নিকটবর্তী। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান”। (নাহল ১৬: ৭৭)

“তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী। তারা শরীক করে, তিনি তা থেকে উর্ধ্বে”। (মুমিনুন, ২৩: ৯২)

“যখন আমি সোলায়মানের মৃত্যু ঘটালাম, তখন ঘুণ পোকাই জিনদেরকে তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করল। সোলায়মানের লাঠি খেয়ে যাচিছল। যখন তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন, তখন জিনেরা বুঝতে পারল যে,অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান থাকলে তারা এই লাঞ্চনাপূর্ণ শাস্তিতে আবদ্ধ থাকতো না”। (সাবা, ৩৪: ১৪)

“আল্লাহ্ আসমান ও যমীনের অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত। তিনি অন্তরের বিষয় সম্পর্কেও সবিশেষ অবহিত”। (ফাতির,৩৫: ৩৮)

“বলুন, হে আল্লাহ্ আসমান ও যমীনের স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী, আপনিই আপনার বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করবেন, যে বিষয়ে তারা মত বিরোধ করত”। (যুমার, ৩৯: ৪৬)

“আল্লাহ্ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের অদৃশ্য বিষয় জানেন, তোমরা যা কর আল্লাহ্ তা দেখেন”। (হুজরাত, ৪৯: ১৮)

“...না তাদের কাছে অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান আছে যে, তারাই তা লিপিবদ্ধ করে”? (তুর, ৫২: ৪১)

“তার কাছে কি অদৃশ্যের জ্ঞান আছে যে, সে দেখে”? (নাজম, ৫৩: ৩৫)

“তিনিই আল্লাহ্ তা'আলা, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা”। (হাশর, ৫৯: ২২)

“...না তাদের কাছে গায়বের খবর আছে? অত:পর তারা তা লিপিবদ্ধ করে”। (কলম, ৬৮: ৪৭)

“তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না”। (জ্বিন, ৭২: ২৬)



“যেদিন আল্লাহ্ সব পয়গম্বরকে একত্রিত করবেন, অত:পর বলবেন তোমরা কি উত্তর পেয়েছিলে?

তাঁরা বলবেন: আমরা অবগত নই, আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে মহাজ্ঞানী”। (মায়েদা, ৫: ১০৯)

“যখন আল্লাহ্ বললেন: হে ঈসা ইবনে মরিয়ম! তুমি কি লোকদেরকে বলে দিয়েছিলে যে, আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে ও আমার মাতাকে উপাস্য সাব্যস্ত কর? ঈসা বলবেন; আপনি পবিত্র! আমার জন্যে শোভা পায় না যে, আমি এমন কথা বলি, যা বলার কোন অধিকার আমার নেই। যদি আমি বলে থাকি, তবে আপনি অবশ্যই পরিজ্ঞাত; আপনি তো আমার মনের কথা ও জানেন এবং আমি জানি না যা আপনার মনে আছে। নিশ্চয় আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞাত”। (মায়েদা, ৫: ১১৬)

“সুলায়মান পক্ষীদের খোঁজ খবর নিলেন, অত:পর বললেন, কি হল, হুদহুদকে দেখছি না কেন? নাকি সে অনুপস্থিত?” (নামল, ২৭: ২০)







আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও গায়েব জানতেন না।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عن عائشة رضى الله عنها انها قالت .....فقال له ورقة هذا الناموس الذى نزل الله على موسى ياليتنى فيها جذعاً، يا ليتنى اكونحياّ اذ يخرجك قومك فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اَوَ مُخرجىَّ هم قال نعم، لم يأت رجلٌ قطّ بمثل ما جئت به الاعودى وان يدركنى يومك انصرك نصرا مؤزرا ثم لم ينشب ورقة ان توفى وفتر الوحى. بخارى حـ٣

হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন :...... (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নবুওয়ত প্রাপ্ত হলেন। তখন হযরত খাদিজা (রাHappy তাঁকে ওরাক্বাহ ইবনে নাওফাল এর কাছে নিয়ে যান।) তখন ওরাক্বাহ ইবনে নাওফাল বলেনঃ .....হায় আফসোস! যদি আমি তখন জীবিত থাকতাম যখন আপনার কওম আপনাকে (নিজ দেশ থেকে) বের করে দিবে। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন : “তারা কি আমাকে (নিজ দেশ থেকে) বের দিবে? তিনি (ওরাক্বাহ) বললেনঃ হাঁ,.......।

এ হাদীসটি থেকে বোঝা যায়, আল্লাহর রাসূল (সাHappy গায়েব জানতেন না। কারণ যদি তিনি গায়েব জানতেন তাহলে ওরাক্বাহ কথার উত্তরে তিনি (তারা কি আমাকে নিজ দেশ থেকে বের দিবে?) এ কথা বলতেন না।

অন্য হাদীসে আছেঃ

হযরত আয়েশা (রাHappy থেকে বর্ণিত...........সেই অবস্থায় আল্লাহর রাসূল (সাHappy আগমন করলেন। তিনি বসে শাহাদাহ পাঠ করে বললেন, হে আয়েশা, তোমার সম্পর্কে আমার কানে এ ধরনের কথা এসেছে। যদি তুমি এসব থেকে মুক্ত থাকো তবে শীঘ্রই আল্লাহ তায়ালা তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করবেন। আর যদি আল্লাহ না করুন, তুমি কোন পাপ করে থাকো, তবে তুমি আল্লাহর কাছে মাগফেরাত চাও, তাওবা করো। বান্দা যখন নিজের পাপের কথা স্বীকার করে এবং আল্লাহর কাছে তাওবা করে, তখন আল্লাহ তায়ালা সেই তাওবা কবুল করেন......শেষ পর্যন্ত। (বুখারী)

এই হাদীসটি হচ্ছে ইফকের হাদীসের অংশবিশেষ। এইখানে আল্লাহর রাসূল (সাHappy হযরত আয়েশা (রাHappy কে বললেন: (তুমি যদি কোন পাপ করে থাকো.....)। বুঝা গেল আল্লাহর রাসূল (সাHappy গায়েব জানেন না কারণ যদি জানতেন তাহলে তিনি বলে দিতেন যে, আয়েশা (রাHappy কোন পাপ কাজ করেননি।

এমনিভাবে আল্লাহর রাসূল (সাHappy কে যখন হুদায়বিয়ার এখানে আটকে দেওয়া হলো। তখন হযরত উসমান (রাHappy আসতে দেরী হওয়ায় গুজব ছড়িয়ে পড়লো যে, উসমান (রাHappy কে হত্যা করা হয়েছে। তখন আল্লাহর রাসূল (সাHappy সকল সাহাবীদের কাছ থেকে বায়আত নিলেন এই মর্মে যে, “যতক্ষণ পর্যন্ত উসমান হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণ না করবো ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পলায়ন করবো না। এই হাদীস দ্বারাও বুঝা গেল আল্লাহর রাসূল (সাHappy গায়েব জানতেন না কারণ উসমান (রাHappy কে তারা হত্যা করেনি বরং বন্দী করেছিল।

নিম্নে আরো একটি হাদীস পেশ করা হচ্ছে। যেখানে আল্লাহর রাসুল (সাHappy কে যাদু করা হয়েছিল এবং যে যাদু করেছিল তার নাম ছিল লাবিদ ইবনুল আসাম। এ যাদুর কারণে আল্লাহর রাসূল (সাHappy অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, শেষে দুই ফেরেশতার মাধ্যমে জানতে পারেন যে, তাকে যাদু করা হয়েছে। বুঝা গেল আল্লাহর রাসূল (সাHappy যদি গায়েব জানতেন তাহলে ফেরেশতাদের মাধ্যমে জানানোর প্রয়োজন হতো না। হাদীসটি এইঃ

عن عائشة رضى الله عنها: أن النبى صلى الله عليه وسلم سحر حتى إنه ليخيل إليه أنه يفعل الشىء وما يفعله، وأنه قال لها ذات يوم: (أتانى ملكان، فجلس أحدهما عند رأسىوالآخر عند رجلى، فقال: ما وجع الرجل؟ قال: مطبوب. قال: ومن طبّه؟ قال لبيد بن الأعصم فى مشط ومشاطة، وفى جف طلعة ذكر فى بئر ذروان). رواه البخارى

হযরত আয়েশা (রাHappy থেকে বর্ণিত, লাবিদ ইবনুল আ’সাম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যাদু করেছিল, এবং জিব্রাঈল (আHappy সূরায়ে ফালাক্ব দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করেছিলেন। এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে গেলেন। (বিস্তারিত দ্র সহীহ বুখারী)



অন্য এক হাদীসে আছে যে, খায়বার যুদ্ধের পরে সালাম ইবনে মুশকিম এর স্ত্রী যয়নব বিনতে হারেছ আল্লাহর রাসূল (সাHappy কাছে বকরির ভূনা গোশত বিষ মিশিয়ে উপঢৌকন হিসেবে পাঠায়। সেই মহিলা আগেই খবর নিয়েছিলো যে,আল্লাহর রাসূল (সাHappy বকরির কোন অংশ বেশী পছন্দ করেন। শোনার পর পছন্দনীয় অংশে বেশী করে বিষ মেশায়। অন্যান্য অংশেও বিষয় মেশায়। এরপর আল্লাহর রাসূল (সাHappy এর সামনে এনে সেই বিষ মিশ্রিত গোশত রেখে দেয়। রাসূল (সাHappy পছন্দনীয় অংশের একটুকরো মুখে দেন। কিন্তু চিবিয়েই তিনি ফেলে দেন। এরপর তিনি বললেন, এই যে হাড় আমাকে বলছে যে, আমার মধ্যে বিষ মেশানো রয়েছে। যয়নবকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসা করা হলো, যে স্বীকার করলো। তিনি বললেন, তুমি কেন একাজ করেছ? মহিলা বললো, আমি ভেবেছিলাম যদি এই ব্যক্তি বাদশাহ হন, তবে আমরা তার শাসন থেকে মুক্তি পাবো, আর যদি এই ব্যক্তি নবী হন, তবে আমার বিষ মেশানোর খবর তাকে জানিয়ে দেয়া হবে। এ নির্জলা স্বীকারোক্তি শুনে রাসূল (সাHappy সেই মহিলাকে ক্ষমা করে দিলেন।

এ ঘটনার সময় আল্লাহর রাসূল (সাHappy সাথে হযরত বাশার ইবনে বারা ইবনে মারুরও ছিলেন। তিনি এক লোকমা খেয়েছিলেন। এতে তিনি বিষক্রিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন। রাসূল (সাHappy সেই মহিলাকে ক্ষমা না হত্যা করেছিলেন, এ সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে। একাধিক বর্ণনার সমন্বয় এভাবে করা হয়েছে যে, প্রথমে রাসূল (সাHappy তাকে ক্ষমা করলেও, হযরত বাশার-এর ইন্তেকালের পর কেসাসস্বরূপ তাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। (ফতহুল বারী, সপ্তম খন্ড, পৃ.৪৯৭, ইবনে হিশাম, ২য় খন্ড, পৃ. ৩৩৭)

এ হাদীস দ্বারা ও বুঝা যাচ্ছে যে, আল্লাহর রাসূল (সাHappy গায়েব জানতেন না। কারণ যদি গায়েব জানতেন তাহলে তিনি বিষ মেশানো গোশাত খেতেন না। এবং এর কারণে একজন সাহাবী ও মৃত্যুবরণ করতো না।



উল্লেখ্য, যে ব্যক্তি “গায়বী ইলম” তথা কোন মাধ্যম ছাড়াই অদৃশ্যের খবরাদির জ্ঞান দাবি করে সে তাগুতের অন্তর্ভুক্ত।সহজ কথায় তাগুত হলো এমন প্রত্যেক জিনিস যা দ্বারা মানুষ সীমা লঙ্খন করে। চাই তা মা‘বূদ (উপাস্য) হোক যেমন : মূর্তি অথবা অনুসরণীয় ব্যক্তি হোক যেমন : জ্যোতিষ-গণক ও ধর্ম ব্যবসায়ী পীর-বুজুর্গ এবং বদ আমল আলেম সমাজ অথবা মান্যবর ব্যক্তিরা হোক যেমন : শাসক, সর্দার ও নেতাজি ও প্রধানরা যারা আল্লাহর অবাধ্য।

তাওহীদের পূর্ণতা ততক্ষণ সম্ভব নয় যতক্ষণ পর্যন্ত একমাত্র আল্লাহর এবাদত ও সর্বপ্রকার তাগুত তথা শিরক মুক্ত না হয়। আল্লাহ বলেন “আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা এক আল্লাহর এবাদত কর এবং তাগুত তথা শিরক থেকে দূরে থাক।” [সূরা নাহল : ৩৬ ]Tongue
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:২৪
294040
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : আপনি যেখান থেকে কপি করেছেন তার সাথে আমিও একমত। উনি প্রথমেই লিখেছেন - ল্লাহ তায়ালার যে অর্থে عالم الغيب (নিজের থেকে নিজে সব কিছু জানেন) সে অর্থে কোন নবী, রাসূল, অলী, বুযুর্গعالم الغيب নন। তবে আল্লাহ তাআলা যাকে যতটুকু জানান, তিনি ততটুকুই জানেন। আর এভাবে যিনি জানেন তাকে পরিভাষায় عالم الغيب বলা হয় না।

আমিও একমত যে তাকে আলিমুল গায়েব বলা হয় না, কারন আলেমুল গায়েব তাকেই বলা হয় যিনি নিজ ক্ষমতা বলেই গায়েব জানেন, যদিও আল্লাহর নিকট কিছুই গায়েব নয়, তার কাছে বর্তমান, ভবিষ্যত সকল কিছুই জাহের গায়েব নয়। তবে আলিমুল গায়েব এই উপাধি শুধুমাত্র তার জন্যই প্রযজ্য। আর যাকে কাশফ/এলহামের মাধ্যমে গায়েবের খবর জানানো হয় তাকে বলা হয় সাহেবুল কাশফ, আর যাকে গায়েবের খবর নাবা করা হয় তাকে বলা হয় নবী।
354195
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:২০
পদ্ম পাতা লিখেছেন : আর ব্লকের ব্যাপারেঃ সচেতনভাবে ব্লক করা হয়নি, হয়ত কোনভাবে হইছে
354206
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৫০
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : নিজের মত করে ব্লগে আপনার মতামত প্রকাশ করেছেন সেই লেখাটা আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। নস্তড্রাম ও জিনডিকশনের ভবিষ্যত বানীর মত মনে হয়েছে আমার কাছে। পদ্ম পাতা ভাই ওনার মতামত ওনার মত করে প্রকাশ করেছেন।
খিয়াল করে পড়েছিলাম সম্মানিত পদ্মপাতা ভায়ের পোস্টটা একটু বেশি কড়া হয়ে গেছে।
আাপনার শালিন জবাবটা পড়ে আপনার প্রতি আরও শ্রদ্ধা বেড়ে গেল।
জাজাকাল্লাহ খায়ের


১০
354207
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১২:০৩
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : ধন্যবাদ লিংকটা দেওয়ার জন্য।
"ফারসী ভাষায় রচিত হযরত শাহনেয়ামত উল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি এর সুদীর্ঘ কবিতায় ভারত উপমহাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের ঘটিতব্য বিষয় সম্পর্কে অনেক ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছে। ----------------------------- (আমার হাতে বইটির একটি বঙ্গানুবাদ আছে যা আজ থেকে ৪৩ বছর আগের, মূল্য মাত্র ৩ টাকা। কবিতাটিতে মোট ৫৮টি প্যারা আছে। একবারে সমগুলো কম্পজ করা সম্ভব নয়। তাই প্রতি পর্বে ৯ প্যারা করে লেখার ইচ্ছা পোষন করছি।)"
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:৪৩
294064
পদ্ম পাতা লিখেছেন : আমার মূল ফারসীটাই চাই, আছে কারো কাছে ??
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:১২
294105
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : উপরে দিয়েছিতো ! এই নিন আবার দিলাম
https://ia801502.us.archive.org/27/items/Kasida_20151128/Kasida.pdf
১১
354209
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১২:১৯
সালাহউদ্দিন নাসিম লিখেছেন : পদ্মপাতার ভাষাটা ঠিক হয় নাই আমিও বলে গেলাম। এরকম সমালোচনা কাম্য নয়। তবে সঠিক ইসলাম ভাই এর আরো সেচতন হতে হবে এবং স্টাডি করতে হবে। আমার এই মুহুর্তে সময় নাই নাহলে আমিও অংশ নিতে পারতাম আলোচনায়।
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:৪৩
294065
পদ্ম পাতা লিখেছেন : ঠিক আছে, স্যরি !
১২
354211
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০১:০৭
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..


আমার মনে হয়-
উভয়েরই উচিত পরস্পরের দিকে ক্ষমা ও সৌহার্দের হাত প্রসারিত করা-
আর এভাবেই ইবলিশের চক্রান্ত নস্যাত হোক!!

Praying Praying Praying Praying Praying
১৩
354221
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:৫০
পদ্ম পাতা লিখেছেন : আল্লা, সবাই আমারে এমনে ধরলে তো মইরা যামু ভাই । ছোট ভাই একটা ভুল করছে, মাফ কইরা দিলেই তো হয় । যদি কান ধরতে, ত ধরি !
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২৪
294095
আবু জান্নাত লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইর
১৪
354312
১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০১:৫৯
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ,তথ্যভুরপুর এই পোষ্টই আপনি দুদিন পড়ে ডিলেট করে দিতে চাচ্ছেন । অনুরোধ থাকলো ডিলেট না করার । অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File