ওবামার দ্বীচারিতা ঃ কিছু প্রশ্ন

লিখেছেন লিখেছেন বাধনহারা ০৮ জুলাই, ২০১৩, ১০:২৪:১৭ সকাল

মিশরে যে ঘটনাটা ঘতে গেল, তাকে কি ক্যু না বলে অন্য কিছু বলা যায়? রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় একে ক্যু না বলে উপায় নেই যদি কারো রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জ্ঞান না থাকার কারনে মন্তব্য করেন এটা ক্যু নয় তাহলে প্রমান করার দায় আমার। বুঝে করলে দায় তার।

কিন্তু সেনাবাহিনী কর্তৃক ক্ষমতা দখলের পরমুহুর্তে ওবামা কি করলেন , তিনি লম্বা একটা ভাষন দিলেন আমরা তার ভাষন শুনে কখনই আশা পাইনা আপ্নারা পান কি জানিনা। মজার কথা হল এই যে তার ভাষন হ্যারী পটারের মুভির চাইতেও চটকদার আর তাই মনে হয় আমেরিকার মুসলমান সবাই মিলে তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন।

তিনি তার ভাষনে একবারের জন্যও ক্যু শব্দটি উচ্চারন করলেননা। ভাবার কারন নেই যে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান জানেননা তিনি একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ও আইনের অধ্যাপক। তিনি একে ক্যু হয়তো বলেন নি কিন্তু সেনাবাহিনীকে প্রদত্ত বার্ষিক সহযোগিতা ঠিকই স্থগিত করেছেন। তার মানে আপনি কি ধরে নিবেন যে ওবামা সঠিক কাজই করেছেন?

বর্তমান এই বিশ্বে মিশরের সেনাবাহিনী যে কিনা ইউ এস এ থেকে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার সাহায্য পায় সে বাহিনী মার্কিন যুক্ত্রাষ্ট্রের সম্মতি ছাড়া ক্যু করবে এটা ভাবা বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে মনে হয়না।

রবার্ট ফিস্কের প্রশ্ন ছিল একটি দেশের প্রধান্মন্ত্রী বা সরকারের জনপ্রিয়তা কমে গেলে বিক্ষোভ দেখা গেলে কি সেনাবিহীনীর ক্ষমতা নিয়ে নেয়া সেনাবাহিনীর দায়িত্বের মাঝে পড়ে?

তাহলে কেন ওবামার মুখ থেকে এর কোন প্রতিবাদ বের হলনা? কারন টা নিঃসন্দেহে অনুমেয় যে এই ক্যু এর কারনে তার অকৃত্রিম বন্ধু ইস্রাইলের অনেক লাভ হয়েছে তাই তিনি চুপ আছেন।

বিষয়: আন্তর্জাতিক

১৪৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File