ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করবে অথচ প্রতিবাদ করছে না সরকার

লিখেছেন লিখেছেন ইরফান ভাই ২৫ মে, ২০১৬, ১২:০৩:১৮ রাত

বিতর্কিত আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প দ্রুত এগিয়ে নিচচ্ছে ভারত।যে প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে বাংলাদেশে।তাদের পানিসম্পদমন্ত্রী উমা ভারতী বিবিসিকে বলেন,"নদী সংযোগ প্রকল্প আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিক কার্যক্রম।দ্রুত এ প্রকল্প এগিয়ে নিতে আমরা বদ্ধপরিকর" ভারত-বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদীগুলো আন্তর্জাতিক নদী হিসেবে চিহ্নিত।এসব নদীর উজানে কিছু করতে হলে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে।অথচ ভারত আন্তর্জাতিক নিয়ম নীতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক নদীতে তিন হাজার ৬০০টি বাঁধ তৈরি করেছে।খোদ ভারতেই এই বিরোদ্ধে পরিবেশবাদীরা আন্দোলন করছে।অথচ হাসিনা সরকারের নিরবতার কারনে বাংলাদেশ জোরালো কোন প্রতিবাদ করছে না।যদিও এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতের প্রতি নতজানু পররাষ্ট্রনীতি করে যাচ্ছে।ফলশ্রুতিতে ভারত আমাদের ন্যায্য অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নিতে দিদ্বাবোধ করছে না। বাংলাদেশে প্রবাহিত ৫৫টি নদীর উৎস ভারতে।তারা প্রত্যেকটি অভিন্ন নদীতে বাঁধ,পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প,রিজার্ভারসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করে পানির প্রবাহ আটকে রেখেছে।ফলে শুষ্ক মওসুমে বাংলাদেশের নদ-নদীতে পরিমাণমতো পানির প্রবাহ থাকছে না।আবার বর্ষা মওসুমে অতিরিক্ত পানিতে বন্যায় ভাসছে এ দেশের মানুষ।অথচ সরকার এর কোন সমাধান করছে না।যদিও এসবের চুক্তি করবে বলে ক্ষমতায় এসেছিল তারা। বাস্তবে তারা এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে নদীমাতৃক এই দেশে ব্যাপক অরাজিকতা সৃষ্টি হবে।ইতিমধ্যে তাদের সাম্রাজ্যবাদী নিতীর ফলে তারা বিভিন্ন বাঁধ দেওয়ার ফলে দেশে মরুকরণ দেখা দিয়েছে।তারা যদি অভিন্ন নদীগুলোর পথ পরিবর্তন করে তাদের দেশের ভিতরে রেকে দেয় তবে গ্রীষ্মকালে বাংলার মানুষ ভয়াবহ খড়ায় পতিত হবে।এমন একটি ক্ষতিকর প্রকল্পের বিরোদ্ধে কোন প্রতিবাদ করছে না হাসিনা সরকার।এই নিয়ে দেশের সচেতন মহলে চলছে নানা সমালোচনা।যদিও ভারতের এই তৎপরতার খবর বাংলাদেশের মিডিয়া এড়িয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত অভিন্ন নদীগুলোকে তারা দখল করে আছে।আন্তর্জাতিক আইন পর্যন্ত তোয়াক্কা করছে না দেশটি।তারউপর সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি তাদেরকে আরও উৎসাহিত করছে।প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত যদি তবুও বাংলার মানুষের ক্ষতি করে তবে এইটা হবে ভারতের আন্তগ্যাতি সিদ্ধান্ত।এই প্রকল্পের বন্ধ করার জন্য দ্রুত ভারতে চাপ না দিলে তাহলে বাংলাদেশের পানিশূন্য হয়ে যাবে।নদীতে পানি না থাকলে আমাদের দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন কঠিন হয়ে যাবে।এইটা আমাদের জীবন-মরন প্রশ্ন। সুতরাং ভারতের একচাটিয়া সাম্রাজ্যবাদী নিতী প্রত্যাহার করার জন্য হাসিনা সরকার এবং জনগন তীব্র প্রতিবাদ করা প্রয়োজন।দরকার হলে আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিরোদ্ধে আমাদের ন্যায্য পানির অধিকারের জন্য মামলা করতে হবে।সরকার তাদেরকে ট্রানজিটসহ সবকিছু দিয়ে দিল অথচ জীবন বাচানোর জন্য পানিটাও আমাদের জন্য নিতে পারবে না???? তাহলে তারা কেমনে তথাকথিত বন্ধপ্রতিম দেশ হয়?? সরকার ক্ষমতার বলি হিসেবে যেন আমরা সাধারন মানুষের পানির জন্য জীবন দিতে না হয়।

বিষয়: বিবিধ

১৪১০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

370027
২৫ মে ২০১৬ রাত ০১:৪০
কুয়েত থেকে লিখেছেন : শুষ্ক মওসুমে বাংলাদেশের নদ-নদীতে পানির প্রবাহ থাকছে না।আবার বর্ষা মওসুমে পানিতে বন্যায় ভাসছে এ দেশের মানুষ তার পরেও টু-সব্দটুকুও করা যাবেনা্ কারন ক্ষমতায়তো তারাই টিকিয়ে রেখেছে দেশের মানুষ ডুবে মরলেও সরকারের কিইবা যায় আসে..? ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে
370034
২৫ মে ২০১৬ সকাল ০৮:৫৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সব দিয়েদিচ্ছি এতে আর কি!!!
370035
২৫ মে ২০১৬ সকাল ০৮:৫৫
হতভাগা লিখেছেন : ভারত বৃহৎ দেশ + আন্চলিক সুপার পাওয়ার বিধায় বাংলাদেশের কিছুই করার নাই ভারতের বিপক্ষে ।

মাঝে মাঝে মনে হয় বাংলাদেশ ভারতের একটা অংশ হবার আবেদন করুক , এতে যদি ভারতের নদীবিনাশী কার্যকলাপ বন্ধ হয় ।
370077
২৫ মে ২০১৬ বিকাল ০৫:৫৬
পুস্পিতা লিখেছেন : শেখ হাসিনা ও ভারতের ইচ্ছা ট্রানজিট-কোরিডের জন্য ভুমি হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করা। আর ট্রানজিট-কোরিডের হিসেবে তৈরির জন্য নদীর প্রয়োজনীয়তা নেই। বরং এসব আরো সমস্যা। তাই প্রতিবাদ কেন করবে বরং খুশি!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File