হত্যা করা হয় বিএনপি-জামায়ত এর কর্মীদের,নিরাপত্তা পায় আওয়ামি-নাস্তিকরা.এই কেমন স্বাধীনতা??

লিখেছেন লিখেছেন ইরফান ভাই ১৬ মে, ২০১৬, ১০:২৩:১৮ রাত





যুবদল নেতার পরিবারের আহাজারি পাষাণ মনকেও হার মানায়



রক্তাক্ত ছাত্রদল কর্মী

(১)

প্রথমেই শুরু করব একটি তথ্য দিয়ে,২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া আলোচিত(?) হত্যাকাণ্ডের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ জন ব্যক্তি রয়েছেন যারা:শিক্ষক,ব্লগার,পীর,হিন্দু ও খ্রিস্টান ধর্মগুরু,বিদেশি এবং অন্য ধর্মমতের বিশ্বাসী।উল্লেখ্য এখানের বেশীরভাগের মধ্যেই ইসলাম ধর্মের অবমাননার অভিযোগ

রয়েছে।এই নিয়ে সরকার বেশ বেকায়দায় রয়েছে।দেশ বিদেশের মানুষ সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করছে।এর জন্য দায় স্বিকার করছে জঙ্গী গোষ্ঠী আইএস।যদিও সরকার বারবার আইএসএর অস্তিত্বের অস্বিকার করছে এবং দেশের আইন শৃঙ্খলা ভাল বলে প্রচার করছে।সম্প্রীত একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্তা (নাম প্রকাশ করেনি সরকার সমর্থক মিডিয়া) মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষক,সাহিত্যিক,সাংবাদিক,লেখক, ব্লগারসহ প্রগতিশীল(?) ব্যক্তিদের নিরাপত্তা জোরদারে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে।ইতিমধ্যে কয়েকজন "বিশিষ্ট" ব্যক্তি সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন।সরকারও তাদের

নিরাপত্তা দিতে বদ্ধ পরিকর বলে জানিয়েছে এবং নিরাপত্তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম এভাবে হত্যা হচ্ছে যার ধরণ প্রায় একই।এদিকে বিএনপি সরকারের সময় কঠোরভাবে জঙ্গীদের ধমন করা হয়।এই সময় দেশের বড় বড় জঙ্গীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। যার ফলে দেশে দীর্ঘদিন জঙ্গিবাদ ছিল না।

(২)

২০১৫ সাল থেকে এই পর্যন্ত বিএনপি-জামায়ত এর শত শত নেতা-কর্মী সরকারী দল,পুলিশ,র্যাব,RAB,গোয়ান্দা সংস্তা সহ বিভিন্নভাবে হত্যা হয়েছে।যদিও মিডিয়া এই ব্যাপারে কখনো আগ্রহ দেখায়নি।সরকারের শুরু থেকে এই পর্যন্ত "গুম" হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের শতাধিক নেতা-কর্মী।সর্বশেষ শিবিরের এক কর্মীকে পুলিশ

নির্মমভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা করার

অভিযোগ রয়েছে।বিএনপিসহ দেশের বড় বড়

ইসলামী দলের নেতা-কর্মীরা রয়েছে মারাত্মক

নিরাপত্তা ঝুকিঁতে।যে কোন মুহুর্থে সাদা

পোশাকের কিছু মানুষ গোয়েন্দা বা সরকারি

বাহিনী পরিচয় দিয়ে তাদের গ্রেপতার করা

এবং পরবর্তীতে সেটা অস্বিকার এবং

কিছুদিন পরে তাদের লাশ খুঁজে পাওয়া যেন

প্রতিদিনের রুটিন কাজ হয়ে গিয়েছে।এরপরও

সরকারের তরপ থেকে নেওয়া হচ্ছে না কোন

ব্যাবস্তা।তার ওপর পুলিশের কাছে যাওয়াটা

বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের অনেকটা

স্বপ্নের মত হয়ে গিয়েছে।কেননা,তাদের

প্রায় সকলেই একাধিক মামলার আসামী।



শিবির কর্মী সোহাগ



বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলি



কারাগারে নির্যাতিত শিবির কর্মীর এই ছবি শত শত লোকের চোখের পানি ফেলেছে



নিহত শিবির সমর্থকদের একটি ছোট্র পোস্টার



মাত্র এপ্রিল অর্থাই এক মাসেই নিহত/ধর্ষিত/খুন হওয়ার চিত্রই বলে দেয় এখন আইন শৃঙ্খলা পরিস্তিতি

=>>>>৩

বিএনপি-জামায়ত সহ দেশের জাতীয়তাবাদী সাধারন মানুষ,ব্লগার,মসজিদের ইমাম,সাবেক আমলা থেকে শুরু করে কেউই সরকারী পুলিশ বাহিনী বা তাদের নিজস্ব বাহিনী তথা আওয়ামি,ছাত্রলীগ,যুবলীগ সহ কতিপয় সব দলের নেতা-কর্মীদের হামলার স্বিকার হচ্ছে।মজার ব্যাপার হচ্ছে বেশীরভাগ সময়ই দেখা যাচ্ছে যে,বিভিন্ন হামলার সাথে সরকারেই লোকজন জড়িত থাকে।সম্প্রীত হিন্দুদের মন্দির ভাংচুর,এবং এক হিন্দু শিক্ষককে অপমান করার সময় আওয়ামি নেতা উপস্তিত থাকাই তার সবচেয়ে বড় উদাহরন হিসেবে কাজ করছে।

##অবশেষে ##

সবশেষে জনগনের মনে এখন একটাই প্রশ্ন দেশের মানুষ এত নিরাপত্তাহীনতার স্বীকার হলেও কেন শুধুমাত্র মুষ্টিমেয় নাস্তিক ব্লগারদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়? কেন তথাকথিত "সাদাপোশাকের" বাহিনীর লোকেরদ্বারা আক্রান্ত হয় বিরোধী মতে মানুষ??? কেন হাতে গুণা কিছু মানুষের জন্য সরকার প্রধানরা ব্যাস্ত হয়ে যায় অথচ অন্যদের বেলায় সরকার চুপ করে থাকে???? তাহলে কী এই দেশের স্বাধীনতা তথাকথিত এই মুষ্টমেয় লোকের হাতে বন্দী? তবে কেন একটি স্বাধীন দেশে বাংলাদেশের অন্যতম দুইটি বৃহৎ দলের নেতা-কর্মীরা নিরাপত্তা পায় না?????

বিষয়: বিবিধ

১৯৬৬২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

369325
১৬ মে ২০১৬ রাত ১০:৩৬
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : বিএনপি জামাতের আমলে আলীগাররা ঠিক এভাবেই মার খেয়েছে। তাই এখন তারা খাচ্ছে।
369384
১৭ মে ২০১৬ সকাল ১০:৫৩
হতভাগা লিখেছেন : এসব ছুপা ইসলামবিদ্বেষীদের পেছনে আমেরিকা-জার্মানদের ব্যাকআপ আছে ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File