মুসলমান খুনের প্রতিবাদে ভারতের দূতাবাস কখন ঘেড়াও করবে আওয়ামি নাস্তিকরা?

লিখেছেন লিখেছেন ইরফান ভাই ০৯ জুন, ২০১৬, ০২:৩৫:১২ রাত



আজকে সরকার,ভারত ও বামপন্থি দালাল মিডিয়া আওয়ামি-বামদের পাকিস্তান দূতাবাস ঘেরাওয়ের খবর ডালাওভাবে প্রচার করতেছে।এমনভাবে প্রচার করতেছে যেন বাংলাদেশে পাকিস্তান ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি চালাচ্ছে! স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলার সাধারন মানুষের ব্যাপক ক্ষতিসাধন ও নির্বিচারে মানুষ হত্যার ফলে আমরা পাকিস্তানের বিরোধীতা করি।কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে ধর্মীয়সহ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের বৃহত্তর স্বার্থে পাকিস্তানের সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উটে।যার গুরুত্ব বোঝতে পেরে শেখ মুজিব নিজেও পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করেছিল।যদিও ভারতীয় চক্রান্তে তা ব্যার্থ হয়েছিল।ফলশ্রুতিতে শেখ মুজিবকেই জীবন দিতে হল!





এবার ভারতের কথায় আসি :-স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের সাহায্য করার ফলে বাংলাদেশ ভারতের প্রতি কৃতঙ্গ।সেই সুবাধে বিভিন্নভাবে তৎক্ষালীন সময় ভারতে একচাটিয়ে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছিল শেখ মুজিব।কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশে তাদের নতজানু সরকার বসিয়ে সাধারন বাংলাদেশীদের প্রতি এক ভয়ংকর আচরন শুরু করে দেয় তারা।স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত তারা বাংলাদেশের যত ক্ষতি করেছে পরধীন বাংলায় পাকিস্তানও এত ক্ষতি করেনি।তারা প্রতিদিন সীমান্তে যতগুলো মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে,কোন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশেও সিমান্তে তত মানুষ হত্যা করে না।এমনকি ইহুদিবাধী ও মানবতার শত্রু ইসরায়েলও ফিলিস্তিন সিমান্তে এত মানুষ হত্যা করে না। বাংলাদেশের সাবেক জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যায়ও ভারতীয় ভয়ংকর গোয়েন্দা সংস্থা "র" এর সংযুক্তা নিয়ে জনমত আছে ।এমনকি তাদের বন্ধু শেখ মুজিব হত্যায়ও "র" এর হাত রয়েছে বলে মনে করা হয়। এমনকি ৫৭ জন মেধাবী সেনা অফিসার হত্যায় ভারতীয় সংযুক্ততার সরাসরি প্রমান পাওয়া যায়।আওয়ামি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিরোধী দমনেও তাদের উপস্থিতির প্রতিবেদন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এসেছে। এর ফলে বাংলাদেশের একটা বিশাল জনগোষ্ঠী ভারতে ঘৃনা করে।এমনি ভারতের নিজস্ব দল(?) আওয়ামি লীগের একটা বড় অংশও ভারতের অগ্রাসী ও সাম্রাজ্যবাদী নিতীকে ঘৃনা করে। নিচে বাংলাদেশের মানুষ কেন ভারতকে ঘৃনা করে তার ১২ টি কারন উল্ল্যেখ করা হল :- (১)সীমান্তে নির্বিচারে মানুষ হত্যা।(২)জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামি সরকারকে নির্লজ্জ সমর্থন দিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিল করে নেওয়া।(৩)ইসলামী ও ভারত বিরোধী আন্দোলনের নেতাদের হত্যায় সরাসরি সমর্থন ও নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ।(৪)বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের সাধারন নিরহ মানুষের বিরোদ্ধ অপপ্রচার।(৫)বাংলাদেশকে তাদের অংঙ্গরাজ্য বানানোর জন্য সাম্রাজ্যবাদী নিতী। (৬)কাশ্মীরে মুসলমানদের নির্যাতন,গুজরাটে মুসলমানদের গনহত্যা,হায়দারাবাদে গণহত্যা সহ সারা ভারতজুড়ে মুসলমানদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন।(৭)হিন্দু দাঙ্গাবাজদের সহযোগীতা,সমর্থন।(৮)মুসলিম বিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে কূটনীতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার পয়তারা।(৯)কট্টর ইসলাম বিরোধী নাস্তিক ও কতিপয় হিন্দুদের নগ্ন সমর্থন ও সহযোগীতা।(১০)সাংস্কৃতিক অগ্রাসন করো বাংলার পারিবারিক বন্ধন নষ্ট করে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্টার নগ্ন প্রচেষ্টা (১১)পার্বত্য চট্টগ্রামে মুসলমান বিরোধী "স্বাধীন জুম্মাল্যান্ড" নামে একটি রাষ্ট্র গঠনের পয়তারা এবং (১২) দেশপ্রমীক ৫৭ জন সেনা অফিসার হত্যা করা। উল্লেখিত কারন থেকে এইটা স্পষ্ট যে,পাকিস্তানের চেয়েও ভারত বাংলাদেশের বড় শত্রু এবং তাদের বিরোদ্ধী বাংলাদেশ সরকারকে ক্ষমতার লোভের উর্দ্ধে উঠে প্রতিবাদ করতে হবে।বাংলার দল,মত,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকলের উচিত ভারতের অগ্রাসী নিতীর বিরোদ্ধে সোচ্চার হওয়া=

বিষয়: বিবিধ

২৪০৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

371495
০৯ জুন ২০১৬ রাত ০৪:৫৮
শেখের পোলা লিখেছেন : সোচ্চার অধিকাংশই। কিন্তু তা জানাবার কোন প্লাটফর্ম নাই। তাই সব কিছুই অরণ্যে রোদন হয়ে চলেছে।
০৯ জুন ২০১৬ দুপুর ১২:২৮
308308
ইরফান ভাই লিখেছেন : র এবং বিএসএফ এর হত্যাকান্ড ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আওয়ামি-বাম নাটক চলিতেছে...

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File