তনুর বাবাকে দুবার হত্যার চেস্টা!

লিখেছেন লিখেছেন সিয়াম মেহরাফ ২১ জুন, ২০১৬, ০২:১৬:০০ দুপুর

তনু মারা যায় মার্চ মাসে।সেদিন থেকে সাধারন জনগন প্রতিবাদ করতে শুরু করে যায়া চায় তনু বিচার পাক।আর অন্য তনুরা বেঁচে যাক।ব্যাপারটা তখনো মিডিয়াতে আসেনি।না আসার কারন ছিলো হয়ত সেনাবাহিনীদের তনুর হত্যায় যুক্ত থাকার ব্যাপারটা।ব্যাপারটাকে হত্যা বললে ভুল হবে।খুন করে পরে হত্যা।কাহিনিটা আবার শুরু থেকেই বলছি আরেকবার।

.

অত্যন্ত নির্মমভাবে ধর্ষণের শিকার হওয়া নাট্যকর্মী ও কলেজছাত্রী তনুকে খুন করা হয়েছে। প্রতিভাবান এই নাট্যকর্মী আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে করা একটি টিউশনি শেষে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষকরা তাকে খুন করে লাশ ফেলে রাখে।

.

নিহত সোহাগী জাহান তনু (১৯) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের (ভিসিটি) সদস্য ছিলেন। সোহাগী ময়নামতি সেনানিবাস এলাকার অলিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইয়ার হোসেনের মেয়ে। পরিবারের বরাত দিয়ে ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্র মাইনুল হক স্বপন জানান, আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে সোহাগী অলিপুর গ্রামেই এক বাসায় টিউশনি করতেন। রোববার সন্ধ্যায় টিউশনি শেষে বাসায় ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন। পরে তার লাশ পাওয়া যায়।

.

আমাদের দেশটা কতটা নিচে নেমে যাচ্ছে ভেবে পাচ্ছিনা।দিনে দিনে অপকর্ম বেড়ে যাচ্ছে তো যাচ্ছে।কেউ পদক্ষেপ গ্রহন না করলে কবে না আমাদের দেশটা অতলে হারিয়ে যাবে।বিচার ব্যবস্থা হারিয়ে গেলে প্রত্যেকদিনই নিউজ চ্যানেল ছাড়লেই শুনা যাবে এখানে ধর্ষন,ওখানে ধর্ষন।আমরা কবে রুখে দাঁড়াতে পারবো? পুলিশ, র‍্যাবের চোখ ফাঁকি দিয়ে ধর্ষকেরা তাদের উদ্দেশ্য সফল করে বেরিয়ে যাচ্ছে নাকের ডগা দিয়েই।তারা কিছু করতে পারছেনা।আমরা সাধারন জনতা তো কিছু বললেও সেটা কেউ গায়ে মাখবেনা।তবুও বলছি, আমাদের আইন ব্যবস্থা কোন কালেই ভালো ছিল না।আস্তে আস্তে তা আরো বিলুপ্তির দিকে।কবেনা একদিন আবার আমাদের দেশকে ধর্ষকের দেশ নাম দেয়া হয়।যেদিন এখানে আসতে কেউ পাবে।ভাববে এই সেই দেশ যেখানে দিনে-দুপুরেও ধর্ষন হয়।

.

মানুষের মানুষকিতাও কতটা নিচে।নিজেদের শারীরিক সুখের জন্য তারা নস্ট করে একেকটা মেয়ের জীবন।ভেঙ্গে ফেলে একেকটা পরিবার।যেই আইনের ভরশায় মানুষ চলে,সেই আইনও আজ অসহায়।তারাও কিছু করতে পারেনা।তারা সবকিছুর উর্দ্ধে হয়েও পা গুটিয়ে বসে থাকে।সত্য বলতে শুনতে খারাপ লাগলেও পুলিশেরাও অন্যরকম একধরনের ধর্ষক।তারা শুধু স্বার্থ বিবেচনা করে আর কিছুই নয়।মানুষের মানুষকিতার মত পুলিশের মানুষকিতাও জানোয়ারের পর্যায়ে নেমে গেছে।দাম নেই প্রানের,শারীরিক সুখ লাভের আশার নস্ট হয় জীবন।নগ্ন অবস্থায় দেহ পাওয়া যায় রাস্তার ধারে,খালের পাড়ে নয়ত গহীন বনের এক প্রান্তে।আসামী ধরা পরলেও টাকা দিয়ে বেরিয়ে যায় দুদিনে।আবারো শুরু করে এক অসামাজিক কাজগুলো যা আমাদের কারো কাম্য নয়।যার বিপরীতে ১৬ কোটি মানুষের পুলিশ আর সরকারী কিছু বাজে মুখোশধারী লোকজন ছাড়া সবাই।

.

মানুষিকতা ছাড়া মানুষ হয়া যায়নারে ভাই।কেউ একজন বলেছিল-" একটা কুকুর কখনো মানুষ হতে পারেনা,একটা জানোয়ার কখনো মানুষ হতে পারেনা কিন্তু একটা মানুষ ঠিকই কুকুর,জানোয়ার হতে পারে"....তনুকে ধর্ষন আর হত্যাই এটার মুল একটা উদাহরন।আর কত নিচে নামবো আমরা? আমরা কি নাম লেখাবো ধর্ষক জাতি হিসেবে? নাকি হারিয়ে ফেলবো আস্তে আস্তে নিজেদের মানুষিকতা যা কিনা পশুর মতো? আমাদের সমাজের মানুষগুলো মাঝে মাঝে কিছু কাজ করে আমাদেরকে চমকে দেয়।কেউ কেউ ভেবেও পায়না এগুলা তারা কিভাবে করে।আসলে তাদের মানুষিকতা সাধারন মানুষের মত নয়।তাদেরকে একপ্রকারের জানোয়ার বলা চলে।যারা নিজেদের শারীরিক সুখের জন্য কোন মেয়েকে টার্গেট করে তাকে ধর্ষন করতে পারে তারা কুকুর ছাড়া আর কিই বা হতে পারে? কিন্তু আমার প্রশ্ন, ১৬ কোটি মানুষের প্রশ্ন..."এভাবে আর কত?"..... কতদিন আমাদের মা-বোনেরা নিজেদেরকে লুকিয়ে রাখবে,বন্দি করে রাখবে নিজেদের ঘরের প্রান্তে? কতদিন ধর্ষকেরা এভাবে ধর্ষন চালিয়ে যাবে আর ধরা পরলেও বেরিয়ে যাবে? কবে তারা শাস্তি পাবে? যা দেখে ভয় পাবে ১৬ কোটি প্রান।আর কেউ দুঃসাহস করবেনা এরকম জঘন্য কাজ করবার? কবে আসবে সেই প্রত্যাশিত দিন? নাকি অকালেই এরা পার পেয়ে বেরিয়ে যাবে,আর একটার পর একটা অপকর্ম করেই যাবে?

.

হে বাঙ্গালি জাগো।অনেক হয়েছে ভরশা।নিয়ে নেও প্রতিশোধ।কেউ যেন আর ১৬ কোটি প্রানের মাটিতে কলার উঁচু করে কাউকে নিয়ে ধর্ষন না করতে পারে।খুন না করতে পারে পুলিশের দিকে তাকিয়ে আর কি হবে? তারা কখনোই আমাদের সাধারনের দিকে দেখবেনা।সাধারনদের তারা আরো সাধারন মনে করে।কিন্তু আমরা সবাই মিলে কিছু একটা করতে চাইলে কোন পুলিশের বুকে এমন সাহস নেই আমাদের আটকাবে।কোন সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যাক্তির সাহস নেই আমাদের আটকাবে।হে জননীরা,যারা জন্ম দিয়েছেন এমন চরিত্রকে তারাই এগিয়ে আসুন এদেরকে বিলুপ্ত করতে,নয়ত যে এরা একদিন আপনাকেও ছাড়বেনা।শারীরিক সুখের কারনে যে পারে অন্য একটা বাবার মেয়েকে ধর্ষন করতে, খুন করতে সে যে আপনাকে ছাড়বে এর নিশ্চয়তা কি? জানি নিশ্চয়তা নেই।এদের মারতে হাত কাঁপলে চলবেনা।এদেরকে ফাঁসির রায় দিতে হাত কাপলে চলবেনা। আমি একা, আপনি একা,কিন্তু আমরা সবাই মিলে একা নই।এর প্রতিবাদ কেউ করবেনা আপনি, আমি ছাড়া।জানি এর বিচারও হবেনা।কারন তনু কোন মিনিস্টারের মেয়ে ছিল না।তিলে তিলে কাঁদবে মেয়েটির বাবা,মেয়েটির পরিবার।আর আমি, আপনি দুরে দাঁড়িয়ে দর্শকের মত তাদেরকে শান্তনা দিব।এটা তো হতে পারেনা।সময় হয়েছে জাগবার।আর না।আমরা আর হতে দিবোনা।প্রতিবাদ করার জন্য আমরাই রয়েছি।ওদের বিচারের জন্য আমরাই থাকবো।সেদিনটার অপেক্ষা যেদিন বিচার করবো আমরাই, শাস্তি দিবো আমরাই,নিজ হাতে। কোন দঁড়িতে ঝুলিয়ে ফাঁসি নয়,নিজ হাতে অস্ত্র দিয়ে গর্দানছেদ করব আমরাই।সেদিনই হবে ধর্ষকহীন বাংলাদেশ।নয়ত আমরা জাতি হিসেবে চিরকালই ধর্ষকের খাতাতেই থাকব।

.

এবারে আসি সত্য ঘটনা কি ঘটেছিল সেইদিন।আমার মতে হত্যাকারী এবং খুনিরা সেনাবাহীনির মধ্যের কেউই।তার প্রমানটাও দিচ্ছি এবারে।

.

তনু হত্যাকান্ড সম্পর্কে আপাতত আমরা সবাই জানি কম বেশি।যেখান থেকে তনুর ধর্ষিত হয়া লাশ উদ্ধার করা হয় সেখান থেকে খানিকটা দুরে দুপাশে দুটো সেনা তাবু রয়েছে।

.

তনু মুলত থিয়েটারে কাজ করত।নাট্যকর্মী হিসেবে।মাঝে মাঝে বিকেল,কিংবা রাত হতো তার বাসাতে ফিরতে।সেদিন ৭.৩০ কি ৮ টা নাগাদ সোহাগী বাড়ি ফিরছিল ক্যান্টনমেন্ট এর দিত্বীয় গেট দিয়ে।তনুর বাবা বাসায় ফিরতে রাত করেন।তনু সাধারনত ৯ টার বেশি থিয়েটারে থাকতো না।ওইদিন তনুর বাবা বাড়িতে ফিরল রাত ১০ টার খানিক বাদেই।এসে শুনলেন তার মেয়ে বাসায় ফেরেনি এখনো।হতাশ হয়ে এগুতো লাগলেন মেয়েকে খুঁজতে।আস্তে আস্তে কালভার্ফ এলাকায় আসতেই তার বাবার চোখে পরে তার মেয়ের জুতো।আরো সামনে যেতে লাগলেন।দেখলেন মেয়ের চুল।বুঝতে পারলেন অবশ্যই খারাপ কিছু হয়েছে।কষ্টে কেঁদেই ফেললেন।এরপর কান্না শুনে সেখানকার এমপি এসে হাজির।তনুর বাবা সাহায্য চাইতেই এমপি চুপ হয়ে গেলেন।কিন্তু আসলে কেন? কিছুদুর এগুতেই তনুর লাশ পাওয়া যায়।আশেপাশে কোন প্রমান মেলেনি।মিলবেই বা কেন তনুকে সেখানে ধর্ষন বা মার্ডার করাই হয়নি।

.

আরো শুনেছি আমি ওই এলাকার কয়েকজনের কাছ থেকে যে ওই ২নং গেট নাকি সন্ধ্যার পর থেকে ওইদিন বন্ধ ছিল।ওই এলাকায় সিসি ক্যামেরা আছে।ওইদিন কি আসলেই বন্ধ ছিল নাকি বন্ধ বলে আসল ফুটেজ সরিয়ে দেয়া হয়েছে তার হদিশ মেলেনি।তনুর লাশ যেখানে পাওয়া যায় ওই এলাকার আশেপাশে ৫-৬ মিনিট অন্তর অন্তর সেনাবাহিনির টহল চলে।ওই এলাকায় ঢুকতে গেলেও পারমিশন লাগে।দাদা,বাবা, সহ সবার সার্টিফিকেট নিয়েই ঢুকতে হয়।তাও সিওর না ঢুকতে দেয়া হবে কিনা।ওই এলাকার মানুষগুলোই শুনেই হতবম্ব যে এই এলাকায় এগুলো হয়ার সম্ভাবনাই নাই।কারন তারা যানে সেখানে কতটা সিকিউরিটি উপস্থিত।প্রত্যেকটা গেটে আলাদা আলাদা সিকিউরিটি।

.

তনুকে হত্যার আগে তারা পুরোপুরি সুরক্ষা সহ ধর্ষন করেছে।যাতে ধরা খাওয়ার সুযোগ না থাকে।কয়েকজন সাধারন মানুষ ওই এরিয়ার মধ্যে ঢুকে ধর্ষন করে, তাকে খুন করে বেরিয়ে যাবে তাও আবার সুরক্ষা সহ এটা কখনোই সম্ভব না।ধর্ষনের পিছনে কারা ছিল তা আপনারা আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

.

আরো শুনেছি কয়েকটা অনলাইন পোর্টাল আর কিছু পোস্ট ঘেটে যে তনুকে যেভাবে মারা হয়েছিল সেইভাবে মারার ট্রেনিং সেনাদেরকে দেয়া হয়।এটা পরিকল্পিত ছিল।প্রথমত সুরক্ষা,পরবর্তিতে সেনাদের ট্রেনিং স্টাইলে হত্যা,এটা পরিকল্পনা ছাড়া সম্ভব না।বিশেষ করে ওই এলাকাতে কখনোই না।তনুকে আগে গলায় এবং পরবর্তীতে পেটে আঘাত করা হয়েছিল।এটা কোন সাধারন মানুষের মারার ধরন হতে পারেনা।সেনাদের ট্রেনিং-এ সাধারনত এই ধরনের মারার ট্রেনিং দেয়া হয়।যখন শত্রু ঢুকে আসবে প্রথমত তার গলার আঘাত করা যাতে সে কথা না বলতে পারে এবং পরবর্তীতে পেটে যাতে তার শরীর অকেজো হয়ে পরে। এবার বাকিটা বুঝে নেয়ার চেস্টাটুকু করুন।বুঝে যাবেন।সব উত্তর পাবেন।আপনারা নিজেরাই।

.

তনুর পোস্টমর্টেম এর রিপোর্টটা সঠিকভাবে প্রকাশ করেনি মেডিকেল কতৃপক্ষ।তার উপর তনুর বাবা এবং পুরো ফ্যামিলিকে হুমকীও দেয়া হয়েছে বেশ কয়েকবার।সাগর,রুনির হত্যার বিচার হয়নি।তনুর ধর্ষনের কাহিনি মিডিয়াতে দেয়া হয়নি,তার আগেই ধামাচাপার মতো হয়ে গেছে ব্যাপারটা।মিডিয়াতে না দেয়ার পিছনে কি কারন ছিল?কোন মিডিয়া সাহস করেনি এটাকে নিউজ করবার,কারন তারা যে জানেনা তা নয়।উপরের প্রেসার রয়েছে।হয়ত দেখালে তাদের চ্যানেল বাংলাদেশে বন্ধ করে দেয়া হয়ে যেত।আমার সন্দেহের সাথে সবার সন্দেহ মিলে গেছে।স্বয়ং গনজাগরন মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারো এরকম ধারনাই করেছেন।তনুকে মাথায় আঘাত করা হয়েছিল যার ফলে তার নাক,কান এবং মুখ থেকে ব্লেডিং হচ্ছিল।তার চুল ছিড়ে গেছি হস্তাধস্তিতে।

.

জানি এর বিচারো হবেনা। কারন এটা করেছে স্বয়ং সেনারাই।সরকার নির্বাচিত সেনারা।তাই তারা চেপে যাচ্ছে।মিডিয়াতে দেয়নি।মেডিকেল থেকে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দিতে চায়নি।ধর্ষনের সময় প্রোটেকশন।পুরোটাই সাজানো ছিল।আগে সাধারন মানুষ খুন হলেই তার বিচার হতো না।ধর্ষন করে পালিয়ে গেলেও ৩ দিনের মাথায় আর তাকে দেশেই পাওয়া যেত না।বিচার হতোনা। সেখানে স্বয়ং সেনাসদস্যরা যে কাজ করেছে তার বিচার আদৌ হবে কি? মনে হয় না।তনু আমাদের মাফ করবে না।আমরাও অসহায়।সেনারা ধর্ষন করে আমরা দেখি।শুনি।কিছু করতে পারিনা।পারবোওনা।আমরা সাধারন আর তারা অসাধারন এটাই তফাৎ।বেশি কিছুই বলবোনা।শুধু বলবো তনু হত্যার বিচার চাই,তনু ধর্ষনের বিচার চাই।এমন বিচার যা দেখলে পরবর্তীতে কেউ দুঃসাহসও না করে কারো দিকে চোখ তুলে তাকাবার।শুধুই বিচার।কারো কি চোখে পরেনা সাধারনদের লেখাগুলো? তারা কেন আজ চুপ? কেন জাগবে না আজ? নিজের বোন হলেও কি এভাবেই চুপ থাকতো? সন্দেহ জাগে মনে।শুনতে খারাপ লাগলেও বলছি।ওরা নিজেরা নিজেদের বোনকে ধর্ষন না করলেও অন্যকে বাধা দিচ্ছে না।মুলত ওদের বোনের ধর্ষনে ওরাই দায়ী।কারন ওরা প্রশ্রয়দানকারী। দেখেন ভান করছে না দেখার।এবার তো চোখটা খুলুন।জেগে উঠুন।আপনার বোনও তো হতে পারে পরবর্তী স্বীকার।আজই জাগুন।প্রত্যেকে আমরা একা,সবাই মিলে আর আমরা একা নই।একটা মৃত বোনের জন্য প্রতিবাদ করুন এতে হয়ত ভবিষ্যতে আপনার জীবিত বোনটা বেঁচে যাবে এ পরিস্থিতি থেকে।

.

এই ঘটনার কিছুদিন পরেই তনুর ভাইয়ের এক বন্ধুকে গুম করা হয় বলে জানিয়েছে তনুর ভাইয়ের সেই বন্ধুটির পরিবার।এ ব্যাপারে থানাতে নিখোঁজ হয়ার একটা রিপোর্ট লেখানো হয়।যেখানে বলা থাকে পুলিশধারী কয়েকজন এসে তাকে তুলে নিয়ে যায়।অথচ পুলিশেরা জানায় এমন কাউকে তারা তুলেই আনেননি।

.

পরে তনুর লাশে প্রথমবার ময়না তদন্তে কোন রিপোর্ট আসেনা।পরেরবারের জানা যায় তনু আসলে ধর্ষনই হয়নি।তৃতীয়বার আবার শুনা গেল তার লাশে ৩জনের আঙ্গুলের ছাপ পাওয়া গেছে।ব্যাপারটা হচ্ছে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন যখন সবাই করেছে তার পরেই।

.

কিছুদিন আগে এক সাংবাদিককে তনুর বাবা কিছু আশ্চর্য জিনিস জানায় যেটা আবারো বলছি।

.

কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট-এ প্রথমে ধর্ষন এবং পরে খুন করা তনুর সেই দিনের ঘটনার সবটা এক সাংবাদিককে বললেন তনুর বাবা।সেখান থেকেই কিছু অজানা তথ্য পাওয়া গেছে।

.

রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পরে দক্ষিন দিকে প্রথম দুইটা বিল্ডিং ৪ তলা।ওইটার কাছে যাওয়ার পর দেখা যায় ৩ টা ছেলে দৌড়াদৌড়ি করতেছে।তনুর বাবার সাথে যে কর্মকর্তা ছিলো সেও দেখতে পেয়েছে।এবং হাক পেড়ে বললেন কে ওখানে? ওখান থেকেই একজন উত্তর দিলো ওরা এই এলাকারই। তখন বাজে রাত ১০.৩০ বা এর বেশি।দ্রুত চলাফেরার পরে সেই তিনজনের চেয়ারা দেখতে পাননা তনুর বাবা।তাছাড়া তখন সেখানে আলো ছিলোনা।চাঁদের হালকা আলোতে অল্প কিছু দেখা যাচ্ছিল।পুরোটা না।তাদের বয়স ২০/২৫ বছরের মধ্যে।সম্ভবত তনুর বাবার মতে তারা ৩জন শার্ট, প্যান্ট পড়া ছিলো।

.

তনু তার বাবাকে কখনোই এসব বলেনি যে তাকে কেউ বিরক্ত করছে।লাশ পাওয়ার পরে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি জানালেন তনু মারা গেছে।তার আগে ওখানকার ডাক্তারেরা তনুর বাবা কোথায় থাকে বা কোন এলাকার জিজ্ঞেস করলো।তনুর বাবা অসহায় দাবী করে তাদের বললো যাতে তার মেয়ের জ্ঞান আছে কিনা তা দেখে একটু জানায়।একজন মহিলা ডাক্তার এসে হাতের পালস চেক করে বললো তনু নেই।এবং একটা ট্রলি এনে তনুকে নিয়ে গেল। তখন বাজে রাত ১১.৩০ এর মত।

.

এরপরে তনুর বাবার আর কিছু খেয়াল নেই।পোস্টমর্টেম করে লাশ দেয়া হয়েছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ থেকে।কিন্তু তাহলে স্থানীয় ডাক্তারেরা লাশটাকে নিয়ে কি করলো? এটাই হলো তনুর বাবার প্রশ্ন।

.

তনুর বাবা যখন লাশ পায় তখন সে দেখতে পায় তনুর মাথার পিছনের অংশটা ফুলা।এবং তার চুল ছিড়া ছিলো।মনে হলো কেউ জোর যবরদস্তি করে টানাটানি করেছে চুল নিয়ে।

.

যেই জায়গায় তনুর লাশ পাওয়া গেছে সেখানেই খুন করা হয়েছিল কিনা এ সম্পর্কে তনুর বাবার তেমন ধারনা ছিলোনা।কিন্তু সে দাবি করে তার সাথে যারা যারা ছিলো সবাই সেখানে পায়েরছাপ তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে ছড়ানো ছিটানো তনুর চুল,কাপড়,চোপড় দেখতে পেলো।তিনি এতটুকু ধারনা করেছেন।আরো বলেন যে তিনি সাধারন মানুষ এসব খুন সম্পর্কে আল্লাহ সব জানেন।তারা মানুষ হিসেবে যা ধারনা করেছেন তা ভুল হতেও পারে কিন্তু আল্লাহ সব দেখেছেন।আল্লাহ তাআলা যেন তার মেয়েকে জান্নাতবাসি করে এবং অপরাধীদের বিচার করে।

.

তবে তনুর বাবা জোর দিয়ে বলেন যে ধর্ষন এবং খুন ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতরে হয়েছে বাইরে নয়।লাশ ভিতরে এবং আশেপাশে যেহেতু কাপড়-চোপড় ছড়ানো ছিটানো পাওয়া গেছে এ থেকে তনুর বাবার ধারনা ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতরেই যা হবার হয়েছে বাইরে নয়।

.

যেখানে তনুর লাশ পাওয়া গেছে ওখান থেকে আশেপাশে কোন রাস্তা নেই।এবং সেখানে ঘের দেয়া হচ্ছে।ওপাশ থেকে কেউ এসে এসব কাজ করবে তা প্রায় অসম্ভব।ক্যান্টনমেন্ট এর এত ভিতরে কোন সাধারন মানুষের যাওয়া সম্ভব না বলেও জানান তিনি।

.

তিনি যখন তনুর লাশ খুঁজতে বের হয় তখন সেখানে আর্মি বাহিনির টহলের গাড়ি ছিল।এবং তার মেয়েকে পাচ্ছেনা বলতেই তারা বিষয়টাকে এড়িয়ে গেলো।বললো তারা কিছুই জানেনা এ ব্যাপারে।

.

সর্বশেষে তনুর বাবা দাবী করে যারা তার মেয়ের সাথে এগুলো করেছে তাদের যেন বাংলাদেশ সরকার বা প্রশাসন অতি দ্রুত ধরে ফেলে এবং যথাযথ শাস্তি তাদেরকে প্রদান করে।

.

সর্ববেশ গতকাল তনুর ধর্ষকদের বিচার দিবে বলে তনুর বাড়ি থেকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অনেক রিপোর্ট,সার্টিফিকেট নিয়ে যায়।পরে তাদের ডিশ লাইন বিছিন্ন করে দেয়া হয়।অন্যদিকে তনুর বাবাকে হত্যার চেস্টা করা হয় বাড়ি ফেরার সময়।প্রথমবারে গাড়ি চাপা দেয়ার চেস্টা করলে বেঁচে যান তিনি এবং পরেরবার আবার মোটরবাইল দিকে তাকে হামলা করা হয়।এগুলো সাংবাদিককে জানিয়েছে তনুর মা।

.

পুরো ঘটনাটা বারবার ধামাচাপা দেয়া আবার জাগিয়ে তুলাটা স্বাভাবিক কোন দিক ইঙ্গিত করছেনা।তবে যে এর পিছনে বিশাল ষড়যন্ত্র কাজ করছে তা বলতে বাকি রাখেনা।তবে কি সেনাবাহিনীর কেউ করেছে বলে তাদের বাঁচানোর জন্যেই ইস্যুটাকে আস্তে আস্তে জনগন থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে? নাকি কোন তৃতীয় উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা এখানে উপস্থিত আছেন,যারা এদেশের জনগনই নয়!হয়ত এর উত্তর অজানা।আর এভাবে অজানাই থেকেও যাবে!

.

স্বাধীনতা আজ নেই

পরাধীনতা পাবে ঠাই,

এভাবেই ধর্ষন করে

বেঁচে যাবে কি ধর্ষক সবাই?

বিষয়: রাজনীতি

১৩৪৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

372734
২১ জুন ২০১৬ দুপুর ০৩:৩৮
কুয়েত থেকে লিখেছেন : জানলাম অনেক কিছুই
372755
২১ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:২৩
ক্রুসেড বিজেতা লিখেছেন : অনেক তথ্যবহুল লেখা,,, যা নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে।
372827
২২ জুন ২০১৬ দুপুর ০২:০৪
সিয়াম মেহরাফ লিখেছেন : ধন্যবাদ সবাইকে Happy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File