অচিরেই শুনা যাবে ২য় শ্রেনীতে পড়া একটা মেয়ে গর্ভবতী! এটাই যদি হয় ডিজিটাল তাহলে ব্যাকডেটেডই ভালো!

লিখেছেন লিখেছেন সিয়াম মেহরাফ ০৭ জুন, ২০১৬, ১০:০৯:৪৬ রাত

বর্তমানে অত্যাধিক ভাইরাল একটা বিষয় হলো স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রপোজ।ভবিষ্যৎ যেন আরো কাছে এগিয়ে আসছে ইদানিং।আগে সাধারনত এমন টাইপ ভালবাসা বলতেও অত্যাধিক লজ্জা লাগতো মানুষগুলোর মধ্যে।আর আজ এই দিনে বর্তমানে যুগে পা দেয়ার সাথে সাথে পুর্বকালের সেই মানুষদের অর্ধেক বয়সেই এসে শুরু হয় প্রপোজ,প্রেম, ভালবাসা।ভালবাসা কি না বুঝেই হালকা ইম্প্রেসের ভাড়ে তারা ঝুঁকে পরে ভালবাসায়।ক্লাস ৫/৬ এ থাকতেই বর্তমানে ভালবাসাকে কি তা সম্পর্কে হালকা জ্ঞান থাকে।পুরোপুরি না থাকাতেও ৭/৮ ক্লাসের মধ্যেই জড়ায় রিলেশনে।ফলাফল হয়ে দাঁড়ায় ১ মাসে ব্রেক'আপ।

.

একটা মানুষ অন্য একটা মানুষকে ভালবাসতে পারে কিন্তু সেটা ঠিক তখন যখন সে লাইফের সব ধাপগুলো বুঝতে পারে।তার ধারনা থাকে ভালবাসা,ফিউচার সম্পর্কে।ক্লাস ৫/৬/৭ এ পড়া একটা মেয়ে বা একটা ছেলে কখনোই নিজের লাইফ সম্পর্কে ধারনা করতে পারেনা।আর সেই বয়সে কিনা জরিয়ে যায় প্রেমে।এটাকে অবশ্য ভালবাসা বলা যায়না।এসবে আলাদা চাহিদা থাকে একটা।হতে পারে সেটা শারীরিক বা হতে পারে আর্থিক।অনেক আছে রিলেশন করে শারীরিক সুখ লাভের আশায় এবং সেটা হয়েও যায়।ফলাফলে কম বয়সেই কিছু জানার আগেই সমাজের চোখে খারাপ হয়ে যায়।চলে যায় একটা নিষ্পাপ প্রান।৫/১০ মিনিটের সুখের আশায় মানুষ বর্তমানের প্রেম ভালবাসার বেড়াজালে আত্মহত্যা করে নিজের শরীরকে অন্যের কাছে বিলিয়ে দিয়ে।তবুও তারা মনে করে সত্যিই তো ভালবাসে তাহলে দিতে সমস্যা কোথায়।সেই দেয়া থেকেই একটা মেয়ে কলঙ্কিত হয়ে থাকে সমাজের বুকে।হয়ত এর ফলাফল হয়ে দাঁড়ায় আত্মহত্যা।তবুও ছেলেটা স্বাধীনভাবেই ঘুরতে পারে।ছেলেটার দোষের থেকে মেয়েটার দোষ বেশি দেখে সবাই।আর সেটাই সত্য।কেননা সে কেন ভালবাসা টিকিয়ে রাখতে শরীর বিলিয়ে দিবে? ভালবাসা টিকাতে গেলে লাগে শুধু মনের মিলন,শারীরিক নয়।মুলত তারা ভালবাসার মানেও বুঝেনা সঠিকভাবে।বলা যায় ভালবাসা বলতে তারা যা বুঝে সেটা নিরক্ষরতা ছাড়া আর কিছুইনা।

.

অল্প বয়সের ছেলে মেয়েরা একে অন্যকে প্রপোজ করছে।রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে কিস করছে,জরিয়ে ধরছে এটা দেখে বাকিরা সাহস করছে সেটা করার।আর করেও নিচ্ছে।এই নিয়ে টোটাল ৩বার ৩টি ভিডিও আসলো সামাজিক মাধ্যমে।অল্প বয়সে করে নিজেদের ক্ষতির সাথে সাথে পারিপার্শ্বিক এর মানুষগুলোকে হতাশায় ফেলছে। আর সবচেয়ে বড় কথা ধংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে অল্প ক্লাসে পড়া ছেলে মেয়েগুলোকে।তারা মনে করছে কিস,জরিয়ে ধরা এটাই যেন কত মধুর।কত সুন্দর।এটাই যেন সব।আস্তে আস্তে দেশ ডিজিটালের দিকে আর আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাচ্ছে ধংসের দিকে।

.

বদলাবেই বা কিভাবে? একজনের জন্য ক্ষতি হয় ৫ জনের।একজনের ভুল সিদ্ধান্তে নষ্ট হয় অনেক জীবন।একজনের দেখাদেখি ভুল করে অনেকজন।এভাবে একজন করে অনেকজনকে আগিয়ে দিচ্ছে তারা ধংসের দিকে। তাহলে এই একজনটাকে থামাতে না পারলে ভবিষ্যৎ আর ভবিষ্যৎ থাকবেই না।

.

ডিজিটাল পুরো ধাপ সম্পন্ন হয়ার আগেই সামাজিক মাধ্যমে হয়ত ভেসে উঠবে বিশাল বিশাল কয়েকটি শিরোনাম।"২য় শ্রেনীতে পড়া একটি মেয়েকে প্রপোজ করলো ৩য় শ্রেনীর একজন ছাত্র।"...আর সেই ঘটনার পরেই শুনা যাবে -"সেই মেয়েটা কোন এক ছেলের পাল্লায় পরে শরীর বিলিয়ে দিয়ে গর্ভবতী হয়ে আত্মহত্যা করেছে গলায় দড়ি দিয়ে"..... সবাই দেখবে হয়ত মেয়েটার দোষ।মেয়েটাকে বানাবে কলঙ্কিতা আর তার পরিবারকে থাকতে হবে মুখ লুকিয়ে।এটাই যদি ডিজিটাল হয় তাহলে সেই ডিজিটালের থেকে ব্যাকডেটেড থাকাটাই শ্রেয়।

বিষয়: বিবিধ

১২১৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

371330
০৮ জুন ২০১৬ রাত ০১:৫৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এটাকে যে এখন রাষ্ট্রিয় ভাবে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রাকৃতিক ভাবে এমন ঘটা বোধহয় অসম্ভব!!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File