চাঁদপুরের মাস্তুলঃ স্মৃতির ঠোডা (আঞ্চলিক নাম)

লিখেছেন লিখেছেন সাইমুম হাবিব ৩০ আগস্ট, ২০১৪, ১০:৩৭:৩০ রাত

আমাদের ঠোডা (আঞ্চলিক নাম), বড় স্টেশনও বলা হয়ে থাকে। চাঁদপুরের মাস্তুল। প্রাচীনকাল হতেই মেঘনার বুকে চাঁদপুরের সগৌরব উপস্থিতি জানান দিচ্ছে এই ঠোডা। লঞ্চ হতে দূরে দাড়িয়ে স্বাগত জানানো ঠোডাকে দেখে ডেক থেকে দৌড়ে ক্যাবিনে যেতাম “ ঐ যে চাঁদপুর আইসা পড়ছে।” লঞ্চে থেকে সবাই এই ঠোডা দেখে চাঁদপুরে নামার জন্য তৈরি হতো। আমার জন্য এই ঠোডা রীতিমত স্মৃতিময়। শৈশব, কৈশর, যৌবন জড়িয়ে আছে এর অস্তিত্ব। এই ঠোডার ত্রিকোণ প্রাঙ্গণ, প্রতিটি বেঞ্চ, চারিপাশের পাথুরে ব্লক সব কিছুই স্মৃতি হাতড়ালেই পাশে এসে দাঁড়ায়। ঠোডার বটগাছটার শেকড়ে আমার শৈশব এঁকে দেয়া আছে। বটপাতায় আমার যৌবনের গান

লিখে দেয়া রয়েছে। এমনকি পাথুরে ব্লকের গায়ে এসে আছড়ে পড়া অনবরত মেঘনার ঢেউগুলো বারবার ডেকে বলে “যান্ত্রিকতা ছেড়ে চলে আসো, তোমাকে কাশবনের চরে উড়ে বেড়ানো গাংচীলের সাথে বন্ধুত্ব করাবো”। ঠোডার ডিঙ্গি নৌকার মাঝিরা হয়ত আমাকে মিস করছে। ওরা বলছে “কই গেছেন ভাই, বইডা দিয়া ফেইসবুক চালাইতে পারলে আপনারে ফেন্ড রিকুয়েস পাডাইতাম।”

কিছু স্মৃতি যা আমৃতু সুভানুভূতি দিতেই থাকবে তা এই ঠোডারই অবদান। মিস ইউ মাই সিপি ঠোডা, তুমি আমাদের প্রতিনিয়ত স্বাগত জানাতেই থাক চিরদিন। আর আমরাও দূরে সুদুরে এমনকি প্রবাসে থেকেও মিস করতে থাকব তোমাকে আর তোমার সাধের ইলিশকে।





বিষয়: বিবিধ

১২৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File