আল কুরআনের সৌর বিজ্ঞান।

লিখেছেন লিখেছেন খেলাঘর বাধঁতে এসেছি ০৮ এপ্রিল, ২০১৪, ০৫:৩৬:০৮ সকাল

২১:৩৩- তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।

৩৬:৪০- সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সাঁতার কাটে।

৫৫:৫- সূর্য ও চন্দ্র হিসাবমত চলে।

৩১: ২৯- তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন? তিনি চন্দ্র ও সূর্যকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকেই নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে। তুমি কি আরও দেখ না যে, তোমরা যা কর, আল্লাহ তার খবর রাখেন?

৩৬:৩৭- তাদের জন্যে এক নিদর্শন রাত্রি, আমি তা থেকে দিনকে অপসারিত করি, তখনই তারা অন্ধকারে থেকে যায়।

৩৬: ৩৮- সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ।

৩৯:৫- তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তিনি সুর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত। জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।


উপরের সুরা গুলো একটু সূক্ষ মাথায় খেয়াল করুন, কত জটিল অজানা আধুনিক বিজ্ঞানের বর্ননা সেখানে করা হয়েছে। সত্যিই ভাবতে অবাক লাগে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগের সেই বিজ্ঞানহীন যুগে আমাদের নবী হজরত মোহাম্মদ(সঃ) কি ভাবে আধুনিক বিজ্ঞানের জটিল এতসব খবরা খবর রাখতেন?

১। রাতের পর দিন, দিনের পর রাত আসে আর যায়।

২। চাঁদ-সরুজ আকাশে মাছের মত সাঁতার কাটে।

৩। আপন নিদৃষ্ট পথে চাঁদ-সুরুজ ধীরে ধীরে সরে যায়(যেমন সুরুজ মামা পুব থেকে পশ্চিমে)

৪ । সূর্য একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য(সকাল থেকে সন্ধা) উদিত হয়ে কাজ করতে করতে হয়রান হয়ে এক সময় উধাও হয়ে যায়। চন্দ্র মামারও একই অবস্থা।

তাহলে বুঝুন এবার : আল্পলাহ কত পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ এবং মহানিয়ন্ত্রক মহাবিজ্ঞানিক? এতকিছু কি সে আমলে নৌকার মাঝিদের পক্ষে জানা সম্ভব ছিল??

বিষয়: বিবিধ

১৫১৪ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

204251
০৮ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:৪০
টাংসু ফকীর লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই অনেক তথ্য পূর্ণ লেখা আল্লাহ আপনাকে রহমত করুন।
০৮ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৭:৩৬
153350
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : হুম!!!
204346
০৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:০২
শুভ্র আহমেদ লিখেছেন :
২। চাঁদ-সরুজ আকাশে মাছের মত
সাঁতার কাটে।

*****-----********-------********------******

কোথায় পাইলেন? বিকৃত করতে তো ভালোই লাগে।


২১:৩৩- তিনিই সৃষ্টি করেছেন
রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র।
সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ
করে। :

এর মানে হল, আধুনিক বিজ্ঞান বলে সূর্য তার নিজ অক্ষে ঘোরে। সূর্যকে তার অক্ষে ঘুরতে প্রায় ২৫ দিনের মতো সময় লাগে। আর ছায়া পথের কেন্দ্রের চতুর্দিকে একটি পূর্ন ঘুর্ণন সম্পন্ন করতে ২০০ মিলিয়ন বছর সময় লাগে। কোরআন এ কোনো ভুল নাই।
০৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
153443
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : দেখুন তো, চাঁদ-সুরুজ সাঁতার কাটে কিনা?
৩৬:৪০- সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সাঁতার কাটে

এবার আসি আপনার কথায়-
তিনিই সৃষ্টি করেছেন
রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র।
সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ
করে। :


তো, দিন-রাত্রির কথা কে না জানে? আর চাঁদ-সুরুজ যে আপন পথেই বিচরন করে এটা তো ৩০০০ বছর আগে বাংলাদেশের নৌকার মাঝিরাও খালি চোখে কোরানের চেয়ে ভাল বুঝত, এতে নতুন কি?

কিন্তু এত বড়সর সুর্যের কারবার বাদ দিয়ে আমাদের চোট্ট পৃথিবীটি যে নিজ কক্ষে এবং অক্ষে চরকীর মত অনবরত ঘুড়ছে সেই বিজ্ঞানময় কথাটা বিজ্ঞানহীন কোরাণের জানা সম্ভব হয়নি। যে কারনে মুলত পৃথিবীর ঘূর্ননের কারনেই(মাত্র ২৪ ঘন্টা, ২০০০ মিলিয়ন বছর নয়) যে দিন রাত্রি হয় যে বিষয়টি কোরাণের কোথ্থাও নেই।
207584
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
ঈগল লিখেছেন : ভাই, আপনার জানাতে একটু সমস্যা আছে, তবে যদি ভুল লিখে থাকি আলোচনার অনুরোধ রইল।
----------------
কিছু দিন আগের কথা, আমরা পাঠ্য বইয়ে পড়েছি, সূর্য স্থির!!
সুতরাং একজন মাঝিও জানত সূর্যও চলমান' এই দাবিটি অন্যায় এবং মিথ্যা।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
156157
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : সূর্য মামা দেখতে দেখতে পুব থেকে পশ্চিমে চলে যায়। তো, কোরাণ এবং মাঝিরাদের পক্ষে এটা বুঝা জটিল কিছু না।

কিন্তু পৃথিবীও যে হেলেদুলে চলমান সেটি কিন্তু আল কোরান পৃথিবীর গায়ে পেড়েক মেরে আটকে দিয়েছে।
208468
১৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:২৭
ঈগল লিখেছেন : ধারণা করছি, আপনি ঠিক বলছেন না।

'তিনি সৃষ্টি করেছে রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই স্বীয় কক্ষপথে বিচরণ করে।' ব্রদার এখানে একটি শব্দ আছে, 'ইয়াসবাহুন'। নিজের মনগড়া অর্থ করলে হবে না। অর্থের মূলের দিকে ফিরে যেতে হবে। অতএব শব্দটি দ্বারা যদি আপনি বুঝে থাকেন যে, সকাল থেকে সন্ধ্যা তাহলে অজ্ঞতাই প্রকাশ পাবে।
====================
আর পাহাড়-পর্বতগুলি পেরেক সাদৃশ্য। কোরআনের এই কথা কিন্তু ত্বত্ত্ব নয় বাস্তব। ভূ ত্বক বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করলেই ব্যাপারটি জানতে পারবেন।

আবর্তন করা আর টালমাটাল করার মধ্যে পার্থক্য আছে। আপনি কখনও ভূমিকম্পন অনুভব করেছেন। পৃথিবী যদি ঘুরে তাহলে কি পৃথিবীর টালমাটাল অসম্ভব? পৃথিবী যে সার্বক্ষণিক হেলে দুলে চলমান এটা কিন্তু আপনার মস্তিস্ক প্রসূত কল্পনা। পৃথিবী বিচরণ করছে কিন্তু হেলেদুলে নয়, নয়।' পৃথিবী যখন দুলে তখনই ভূমিকম্প অনূভূত হয়।

পৃথিবী 'ডিম্বাকতি।' নাযিআত, আয়াত ৩০। ঐখানে 'দাহাহা' শব্দটি আছে। শব্দটির ব্যাপারে খোঁজ খরব নিন।
===========================
অনুরোধ করবো, অহেতুক বিরোধীতা নয়। সত্যের জন্য বিরোধিতা করুন। কুরআনে যদি সত্যিই কিছু অসংগতি থাকে তাহলে সেগুলি প্রকাশ করে দিন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File