ক্ষমতালোভী ধর্মজীবী সম্প্রদায় + ইসলাম বিদ্ধেষি সেকুলারজীবী সম্প্রদায় = নামাজ পড়ার "অপরাধে" ৩ ছাত্রীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার।

লিখেছেন লিখেছেন এমরুল কায়েস ভুট্টো ০৯ নভেম্বর, ২০১৪, ০২:২৫:০৯ দুপুর

সেকুলারের সরাসরি বাংলা কোন প্রতি শব্দ নাই। যদিও বাংলাদেশে সেকুলার বলতে ধর্মনিপক্ষতা বলে দাবী করা হয়। সেই হিসেবে তারা প্রচার করে যে তারা "সাম্য" প্রতিষ্টা করতে চাই। সেটা প্রমান করতে গিয়ে তারা দুর্গা পুজাকে সর্বজনীন বলে ঘোষনা করে এই পুজা মুসলিমদেরও পালন করা উচিৎ বলে দাবী করে। দুর্গা পুজা আসলে হিন্দুদের মত কপালে চন্দন দিয়ে পুজা আড্ডার আসর বসে যা সেকুলার পন্থী মিড়িয়ার মাধ্যমে আমরা দেখি। আবার শ্বরস্বতী পুজা আসলে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেলসহ দেশের স্বনামধন্য সব স্কুল কলেজে শ্বরস্বতী পুজা উৎযাপন করা হয় স্ব-স্ব প্রতিষ্টান কর্তৃক। এমন কি গতবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামি ইতিহাস বিভাগেও শ্বরস্বতী পুজা মন্ডপ করে ভিন্ন ধর্মালম্বিদের প্রতি সম্পৃতির নজির গড়েছিল।

এছাড়াও দেওয়ালী পুজা এবং হলি পুজার সময়ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে বিশ্ববিদ্যাল কর্তৃক জমকালো ভাবে পুজা উৎযাপন করা হয়। আবার খ্রিষ্টানদের বড়দিন এবং বোদ্ধদের বোদ্ধ পুর্ণিমার সময়ও বিশ্ববিদ্যাল কর্তৃক কর্মসূচি দিয়ে পালন করা হয়। যদিও মুসলিমদের তুলনায় তাদের সংখ্যা খুবই কম।

এবার আসি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে মুসলিমদের ধর্মচর্চার অধিকার সম্পর্কেঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলে নামায পরার [b]"অপরাধে" তিন ছাত্রীকে আটক করে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে প্রশাসন ও ছাত্রলীগ ঐ তিন ছাত্রী সংস্থা ও হিযবুত তাহরীরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে হয়েছে। যদিও দুই দফা দীর্ঘ ৬ ঘন্টার জিজ্ঞাসবাদের পরও কে কোন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত তা বলতে পারেন নি কর্তৃপক্ষ।[/b]

পরে ভুক্তভোগী ৩ ছাত্রীর রুমে অভিযান চালিয়ে তিনটি ইসলামিক বই উদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ। বই গুলো হলঃ

### নারী-পুরুষের পর্দা’,

### আসুন সঠিকভাবে রোজা পালন করি’,

### বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কোরআন শিক্ষা’

এর কিছু দিন আগেও সুফিয়া কামাল হলে অভিযান চালিয়ে যারা নামাজ কালাম পড়ে এবং ইসলামিক বই পড়ে এরকম অনেক ছাত্রিকে

এই বই গুলো নাকি জঙ্গি বই!!!??

বর্তমানে এটি একটি ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে, ধর্মীয় বই বা ইসলামী পুস্তক দেখামাত্র সেগুলোকে জিহাদী পুস্তক নামে আখ্যায়িত করা।

সংবাদপত্রে দেখা যায়, কোনো মানুষের অপরাধ হিসেবে লেখা হচ্ছে, তার কাছে ‘ইসলামী বই’ পাওয়া গেছে। যারা নিয়মিত ‘নামাজ’ পড়ে তাদের হয়রানি ও গ্রেফতার করা হয়। যেসব মেয়ে ‘হিজাব’ পরে, যে সব ছেলে ‘দাড়ি’ রাখে তারাও নির্যাতন, অপবাদ, হয়রানি ও ধরপাকড়ের শিকার হচ্ছে। এ দেশে কোটি কোটি মানুষ নামাজ পড়েন, বোরকা-হিজাব ব্যবহার করেন, কোরআন-কিতাব পড়েন, দাড়ি-টুপি ধারণ করেন, তাহলে কি এরা সবাই জঙ্গি? চে গুয়েভারা, ফিডেল ক্যাস্ট্রো, কার্ল মার্কস, লেনিন এবং মাও সে তুং-এর বই রাখা যদি অপরাধ না হয়, তাহলে কোরআন-হাদীস এবং ইসলামী বই রাখা অপরাধ হবে কেন?

এখানে উল্লেখ যে নির্যাতানে স্বীকার তিন ছাত্রীর মধ্যে ১ জন মুক্তিযুদ্ধা এবং আওয়ামীলীগ পরিবারের মেয়ে!!! সব কিছু পরিচায় দেওয়ার পরও রেহাই মেলেনি ইসলাম বিদ্ধেষিদের হাত থেকে । বিস্তারিত লিংক ঃ Click this link

দুনিয়ার এমন কোন পংকিলতা, অন্যায়, দুর্নীতি ও পাপাচার নেই যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত হয় না। কুসংস্কার, অপসংস্কৃতি ও ধর্মদ্রোহিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে উন্মুক্ত। কিন্তু যত বাধা সব কেবল ইসলামের বেলায়। আমাদের কাছে খবর আছে যে, জেনা-ব্যভিচার, বিবাহবহির্ভূত যৌনতা, কলগার্ল, নাইট ক্লাব, মাদক ব্যবহার, ইত্যাদি নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। যত ষড়যন্ত্র সব নামাজ, কোরআন পাঠ, বোরকা, হিজাব, দাড়ি, টুপি ও ধর্মীয় জ্ঞানচর্চা নিয়ে।

এবার আসি ক্ষমতালোভী ধর্মজীবী সম্প্রদায় সম্পর্কে


ভারত এত বড় দেশ হওয়া সর্তেও সেখানে রয়েছে ১টি মাত্র ধর্মীয় দল কিন্তু বাংলাদেশে বর্তমানে ৬৪টার উপরে ধর্মীয় দল আছে যার সবাই প্রধান দু দলের ইসলামের দালালী করে বেড়ায়। এবং সবাই নিজেকে হক পন্থ দাবী করে অন্যদের বাতিল বলে ঘোষনা করে। কদিন পরপর সামন্য ইস্যু পেলেই হরতাল ডেকে বসে। তাদের অনুসারীরাও ফেইচবুক/ ব্লগে রাজনীতি নিয়ে খুব বিতর্ক সমালোচান করতে দেখা যায়। সে তুলনায় ধর্ম প্রচার করে না। তার মানে কি তার কেবল রাজনীতিকে ধর্ম মনে করে? কয় জনের ফেইচবুক এবং ব্লগে এই ঘটনা গুলো স্থান পায়। এখন তার চুপ কেন? ৬৪ দলের মধ্যে কোন দলইতো এই ব্যাপারে কিছু বলতে দেখলাম না। কিন্তু তাদের কোন নেতাকে গালি দিয়ে দেখেন, দেখবেন আপনার বিরোদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করে বসবে। তার মানে কি তাদের ধর্ম বলতে শুধু মাত্র তাদের হুজুর কেন্দ্রিক?

আমরা কথায় কথায় দাবী করে থাকি ৯০% মুসলিম দেশ বাংলাদেশে কোন নাস্তিক থাকতে পারবেনা। সবাইকে ফাঁসি দিয়ে মারতে হবে। কিন্তু আজ সেই ৯০% মুসলিমদের মধ্যে কয় % ইসলাম কে মানি??

নির্যাতিত বোনদের প্রতিও আমার কিছু অভিযোগ আছে। তারা এতো শিক্ষিত হবার পরও কেন পারলনা এই অন্যায়ের বিরোদ্ধে সংবাদ সংম্মেলনে নির্যাতনের কাহিনী গুলো তুলে ধরতে? দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হয়েও যদি অন্যায় গুলো তুলে ধরতে না পারেন তবে আপনাদের এই শিক্ষা কি কাজে আসবে?

বিষয়: বিবিধ

২১২২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

282620
০৯ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:২৩
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : এ নিয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু সকলে দেখি একদম নির্বিকার! খুউব দুঃখজনক।
০৯ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৮
226013
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন : কাকে নিয়ে দুর্বর আন্দোলন করবেন? ক্ষমতালোভী ধর্মজীবী সম্প্রদায়কে নিয়ে??

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File