অর্থনৈতিক বিকারবাদী কল্লোল মোস্তফা নামের মুনাফেকরা হুঁশিয়ার সাবধান।

লিখেছেন লিখেছেন পাথরের প্রতিবাদ ০৬ নভেম্বর, ২০১৩, ১১:০৫:৪৮ সকাল



যে সময় হেফাজতে ইসলাম গার্মেন্টস শ্রমিকের নায্য মজুরী নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে শুরু করছেন, যে সময় তাদের সুন্দরবন বিষয়ে উদগ্রীব হইতে দেখা যাইতেছে, যে সময় তারা জাতীয় পরিমন্ডলে বিভিন্ন ইস্যু (শিক্ষা, নারী......ইত্যাদি) নিয়া কন্সার্ন জানাইতেছেন বা প্রশ্ন তুলে ধরতে শুরু করছেন, ঠিক সেই সময় কিছু সমাজ বিচ্ছিন্ন কলোনিয়ালাইজড আধুনিক কুশিক্ষায় (অ)শিক্ষিত ফালতু যারা নিজেদের বামপন্থী হিসাবে পরিচয় দিয়া এক ধরনের পুলক অনুভব করেন, তারা বুদ্ধিগত ও ভাবগতভাবে হেফাজতকে মোকাবেলা করতে অক্ষম হইয়া প্রতিক্রিয়াশীলভাবে হেয় করার মতন সব ধরনের ফালতামিই মার্ক্স লেনিনের নাম নিয়া চালাইয়া দিতে চাইতেছেন। এর উদাহরন জনৈক কল্লোল মোস্তফা। আমার এক মুসলিম ভাইরে দেখলাম কল্লোল মোস্তফা নামের এই ডায়াবলিক ধর্ম বিরোধি, ইসলাম বিদ্বেষী বাম ফালতুরে নসিহত করতেছেন। আমি কই- ভাইরে, লাভ নাই। বাদ দেন। মুহম্মদ (সঃ) যখন মদীনায় গেলেন তখনকার ইতিহাসে এক কুখ্যাত লোকের উল্লেখ আছে- আব্দুল্লাহ বিন উবাই। যারে কয় মুনাফেক শিরোমনি। তো কম্যুনিজমের ইতিহাসেও এমন এক পদের মুনাফেক আছে যাদের বলা হয় নারদনিক বা অর্থনৈতিক বিকারবাদী। লেনিন এদের ডিভাস্টেটিং সমালোচনা করছেন এবং এদের কম্যুনিজমের শত্রু গন্য করছেন। পবিত্র কোরানে সূরা আল মুনাফিকুনের ভিতর এই মুনাফেকদের লক্ষণ সবিস্তারিত উল্লেখ আছে। এখন ইসলামের মুনাফেক আর কম্যুনিজমের মুনাফেক তথা নারদনিকদের এক লগে মিলায়া পড়েন। মজা পাইবেন। লেনিনও তেমনি লক্ষণ সহকারে নারদনিক বা অর্থনৈতিক বিকারবাদীদের চিনায়া দেন।

বাংলাদেশেও মার্কস লেনিন মাওয়ের নামধারী এইসব ছদ্মবেশী নারদনিক প্রতিবিপ্লবীদের দেখবেন যারা সংখ্যায় এত্ত বেশী যে স্বয়ং মার্ক্স লেনিনরেই মনে হইবো এখন নারদনিক। হতাশার কথা হইলো বাংলাদেশে বাম বইলা যে আজব চিড়িয়াদের মার্ক্স লেনিন মাওদের নামে আমরা লাফাইতে দেখি তাদের ভিতর যদি এই অর্থনীতি বিকারবাদীদের যদি ছাঁইকা ফেলি তাইলে বাম বইলা আর কোন অরিজিনাল মার্ক্সবাদী লেনিনবাদী পাওয়া যাবে না। সময় আইছে যারা অরিজিনাল মার্ক্স লেনিন মাও থেকে শিখতে চান, তারা আর ভুল কইরেন না। এই নারদনিক ফালতুরা আপনাদের রোল মডেল না।

সামনে বিদ্যমান ঐতিহাসিক সামাজিক বাস্তবতার প্রথম পাঠ হইলো, কল্লোল মোস্তফার মতন নারদনিক অর্থনৈতিক বিকারবাদীদের মার্ক্স, লেনিন, মাওয়ের চিন্তার আলোকে চিহ্নিত করেন। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধে তারা প্রকান্তরে সাম্রাজ্যবাদকেই সংস্কৃতিক এবং আত্মিক বৈধতা প্রদান করতেছে। তারা তেল, গ্যাস বা সুন্দরবনে থাকুক অসুবিধা নাই। আমরাও থাকব। কিন্তু এর বাইরে জনগনের প্রানের ধর্ম ইসলামকে যারা উপনিবেশিক বিষের বাইরে এই বাংলাদেশে এখনো প্রান্তশ্রেনীর ভিতরে আকড়ে ধইরা রাখছেন, রাজনৈতিক শ্রেণী হিসাবে যারা সদা বিকাশমান আছেন, তাদের গুরুস্থানীয় মানুষ সর্বজন শ্রদ্ধেয় আল্লামা শফীকে নোংরা জঘন্য ভাষায় গালি (হেফাজতের আমির শফিকে আমি শুয়োরের মত বলেছি, শুয়োর বলি নাই- কল্লোল মোস্তফা) দিবার মতন দুঃসাহস যেন ঐসকল নারদনিক ভাঁড় না দেখায়। আপনারা যেই শ্রেনীর জন্য লড়তেছেন সেই শ্রেনীর ভিতরে ঢুইকা দেখেন তারা কি বলেন। সাব অলটার্নরা শুধুই মজুরীর জন্য পইরা থাকে না । তাদের আত্মাও আছে, সেই আত্মারো ঠাঁই আছে। সেই ঠাঁইয়ের উপর আঘাত আসলেও তারা শাপলা চত্বরে মরতেও প্রস্তুত থাকে। অর্থনৈতিক বিকারবাদী কল্লোল মোস্তফা নামের মুনাফেকরা হুঁশিয়ার সাবধান।

---Tareq Ul Huda

বিষয়: রাজনীতি

১৫৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File