আত্মহত্যা কি ও কেন?

লিখেছেন লিখেছেন হৃদয় আমার তলোয়ার ২০ এপ্রিল, ২০১৬, ০৬:২২:০১ সন্ধ্যা

আত্মহত্যা বা আত্মহনন (ইংরেজি: Suicide) হচ্ছে একজন নর কিংবা নারী কর্তৃক ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের জীবন বিসর্জন দেয়া বা স্বেচ্ছায় নিজের প্রাণনাশের প্রক্রিয়াবিশেষ।

আত্মহত্যা কবিরা গুনাহ বা মহাপাপ,আত্মহত্যাকারী জাহান্নামী এটা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে জানে। এরপরও মানুষ এই পথটি বেছে নেই। আত্মহত্যাকারীতোও একজন মানব। তারও তো অনেক স্বপ্ন থাকে।সেই তো কত রঙিন স্বপ্ন দেখে। সেও তো এই পৃথিবীতে নিজেকে সুন্দর করে সাঝাতে চাই। নিজেকে সমাজে উচ্চ স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক সংগ্রাম করে। সর্বপরি এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে কেহ চাই না। তবুও কিছু মানুষ এই পৃথিবীটাকে নিজের জন্য অভিশপ্ত মনে করে এই পথটি বেছে নেই। কিন্তু কেন ? পরিস্থিতি ----

আমাদের আসে পার্শ্বে যা ঘটে তা হলো পরিস্থিতি। Cambridge dictionary অনুযায়ী পরিস্থিতির অর্থ হচ্ছে-

the set of things that are happening and the conditions that exist at a particular time and place:

পরিস্থিতি একজন মানবকে সুন্দর করে জীবনযাপন করতে সাহায্য করে আবার এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে বাধ্য ও করে। পরিস্থিতি সবময় একজন মানুষের অনুকূলে থাকেনা। শত প্রতিকুলতার মধ্যেও মানুষ নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য শেষ চেষ্টা পর্যন্ত করে। যখন পরিস্থিতি কারোর জন্য ভয়াভহ হয়ে যায় তখন সে হতাশায় ভোগে।

হতাশা কি? কোনও ইচ্ছেপূরণ না হলে বা কাজের আশানুরূপ ফল না পেলে যে মানসিক অবসাদের সৃষ্টি হয় তা হলো হতাশা। লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব না হলে হাল ছেড়ে দেয়ার প্রবণতা-ই হতাশার লক্ষণ। হতাশা একটি মানবিক অনুভূতি যার মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি কখনও মানসিক বিপর্যয় সৃষ্টি করে।

হতাশাগ্রস্ত মানুষের বিবেক বুদ্ধি লোপ পাই। তার কাছে কোনো সান্তনা বাণী, ধর্মীয় বা বিজ্ঞানের কোনো যুক্তি গ্রহনযোগ্য হয়না অর্থাত তার মাথায় কোনো কিছুই খেলেনা। তবু ও এই হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তি শেষ পর্যন্ত বেছে থাকার আশা করে, থাকিয়ে থাকে কেহ নতুন করে স্বপ্ন দেখাবে , তার পাশে এসে দাড়াবে, তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবে, তাকে নতুন করে বাচতে শিখাবে। যখন দেখে কেহ আসেনা তখন তার জন্য এই পৃথিবীটা জাহান্নামের মত হয়ে যায় ! অবশেষে নিজের জীবনকে বিসর্জন দেয় ! অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আত্মহত্যাকারী ব্যক্তিকে পূর্বে কেহ বুজতেই পারেনা সে এই কাজ করতে পারে।কারণ সে সবার সাথে হাসিখুশিতে থাকে, নিয়মিত নামাজ বা পার্থনা করে। কাউকে বুজতে দেয়না তার অন্তরে কি কম্পন হচ্ছে।

একজন ব্যক্তি আত্মহত্যার পিছনে অনেকাংশ দ্বায়ী থাকে তার পরিবার। তারপর সমাজ। অতঃপর রাষ্ট্র।

পরিস্থিতি থেকে হতাশা সৃষ্টি, হতাশাগ্রস্থ ব্যক্তিই এই পথ বেছে নেই।

আসুন আমরা একে অপরের প্রতি হাত বাড়িয়ে দিই। সবাই মিলে সুন্দর জীবন গঠন করি।

বিষয়: বিবিধ

১৩৯৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

366496
২০ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:০৮
শেখের পোলা লিখেছেন : আত্মহত্যার দায় সব থেকে বেশী তার নিজের৷ কোন খাঁটি মুসলীম কখনও আত্মহত্যা করতে পারেনা৷ ধন্যবাদ৷
366502
২০ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:২৯
আফরা লিখেছেন : কে হতাশায় আছে বুঝব কি ভাবে !! যে সাহায্যের হাত বাড়াব । আমার চাচাজান যা বলেছে আমার ও একই কথা ।

ধন্যবাদ তলোয়ার ভাইয়া ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File