***ডাঃ তসলিমা নাসরিনের প্রতি খোলা চিঠি***

লিখেছেন লিখেছেন মুক্ত কন্ঠ ১৪ অক্টোবর, ২০১৪, ০১:৫৪:৩১ রাত



ডাঃ তসলিমা নাসরিনের প্রতি খোলা চিঠি।

(এটা সকল ধর্মদ্রোহী, নাস্তিকদের জন্যও। তবে, ইসলামদ্রোহীতাই যাদের নেশা, তাদের জন্য নয়।)

..........,(কোন সম্বোধন করতে না পারার জন্য দুঃখিত।)

মানুষ লাগামহীন জীবনের সফর উপভোগ করতে করতে একসময় যখন লাগামহীন চলার পথ এবং আগ্রহ সব ফুরিয়ে যায়, তখন নিজেই নিজের লাগামকে টেনে ধরে, শৃঙ্খলহীন জীবনকে শৃঙ্খলিত করে, জীবনের শৃঙ্খলাপূর্ণ সফরকেই নিজের জীবনের স্বাধীন বিচরনস্থল মনে করে, নিয়মতান্ত্রিক জীবনের মধ্যেই অবশেষে সুখের জীবন খুজে। এটাই স্বাভাবিক। সেদিন পত্রিকায় পড়লাম, একসময়ের বলিউড দাপিয়ে বেড়ানো অভিনেত্রী, স্বল্প বসনের জন্য আলোচিত অভিনেত্রী, টপলেস পোষাকে অভিনয় করার জন্য আলোচনা সমালোচনার ঝড় তোলা অভিনেত্রী, মমতা কুলকার্নীও আজ ইউরোপের কোন এক দেশে মিডিয়া এবং বাইরের জগত থেকে নিজেকে সম্পুর্ণ বিচ্ছিন্ন রেখে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সংসার জীবন পরিচালনায় মন দিয়েছেন। মনীষা কৈরালাও শুনেছি একই পথ ধরেছেন। তোমারও তেমন একটি ইউ টার্নের প্রত্যাশায় সম্পূর্ণ দাওয়াতি মানষিকতা নিয়েই আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।

শৈশব থেকেই তোমার পদে পদে হোচট খাওয়া, মেয়েত্বের প্রতি অন্যায় অবিচার, নারীত্বের প্রতি জুলুম নির্যাতন, ধর্মের নামে অধর্মের সংস্কারের বেড়াজালে পড়ে নিস্পেষিত হওয়া, রুদ্রকে নিয়ে তোমার জীবনের ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ট্রাজেডি, সবই আমি হৃদয় দিয়ে অনুভব করার চেষ্ঠা করেছি, সবসময়। যখনই করেছি, তখনই, আমি হৃদয়ে নিদারুন যন্ত্রনা অনুভব করেছি। আমি কাঁদতে না চাইলেও আমার আঁখিযুগল দুফোঁটা অশ্রু বিসর্জন দিয়েছে নীরবে, অথবা হৃদয় বিগলিত হয়ে চোঁখ দিয়ে ঝরেছে। তোমাকে নিয়ে যতই ভাবি, যতই অনুভব করার চেষ্ঠা করি, আমার সামনে তোমার দুটি পরস্পর বিরোধী রুপ ততই পরিস্কার হতে থাকে। একটি সৃষ্টিশীল রুপ, খুব মানবিক। আরেকটি ধংসাত্বক রুপ, খুবই ধংসাত্বক। তুমি যেন এমন এক দু ধারি তলোয়ার, যা আগাছা পরিস্কার করতে গিয়ে গাছও কেটে ফেলে, তুমি যেন এমন এক চিকিৎসক, যে ক্যানসারাক্রান্ত পঁচা অঙ্গের অপারেশন করতে গিয়ে সুস্থ অঙ্গের হানি ঘটায়।...‘এখন কেবল দুঃস্বপ্ন দেখি, পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়ার দুঃস্বপ্ন। এখন আর সৃষ্টির স্বপ্ন নয়, এখন ধ্বংসের, ভাঙ্গনের দুঃস্বপ্ন দেখি।’ তুমি নষ্ট হয়ে যাওয়ার দুঃস্বপ্ন দেখ বলেই কি তুমি সে পথে এগিয়ে চলেছো। ধ্বংসের স্বপ্ন দেখ, ভাঙ্গনের স্বপ্ন দেখ বলেই কি তুমি নিজেকে পরিবারকে সমাজকে ভাঙ্গনের দিকে, ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছ। নিজের জীবন ধ্বংস হয়েছে বলেই কি তুমি সবার ধ্বংস চাও, অথবা তুমি কি মনে করো সব নারীর জীবন তোমার মতোই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, আর তুমি তাদেরকে বাচাবার জন্য লড়াই করে চলেছো। নিজের জীবনের ক্ষতি হয়েছে বলে স্রষ্টার বিরোধিতা আর কতকাল! তোমার বাবা যা করতেন তোমাদের ভালোর জন্যই তো করতেন, যদিও সে ভালোর জন্য করাটা সীমা ডিঙ্গোত, সেগুলো তোমার পছন্দ নয় বা তোমার স্বভাব বিরোধী বলেই কি তিনি তোমার বাবা নন? শতবার লক্ষবার সারা জীবন তোমার বাবাকে অস্বীকার করলেও তো তোমার বাবা বাবাই থেকে যাবেন। তোমার লেখা মেয়েবেলা, উতল হাওয়া, দ্বিখন্ডিত, আমি ভালো নেই, সেই সব অন্ধকার এবং আরও যেসব গদ্য-পদ্যের বই, যেগুলোকে অনেকেই পর্ণোগ্রাফী বলেন, দুনিয়ার সবাই যদি বলে এ সাহিত্য কর্মগুলো তোমার সৃষ্টি নয়, অথবা এগুলোর স্রষ্টা তুমি নও। কিছু আসে যায়? তসলিমা নাসরিন-ই তো এগুলোর স্রষ্টা! এই মৌলিকতা বা এই মৌলবাদকে কি কেউ কখনও অস্বীকার করতে পারে!

তুমি পীরবাড়ী গেছ, কিন্তু সত্যিকারের পীরের নাগাল তুমি পাওনি। ভন্ডপীরের ভন্ডামী আর বৈরাগ্যবাদী পরিবেশ তুমি দেখেছো, সত্যিকারের পীরের স্বর্গীয় পরিবেশ তুমি প্রত্যক্ষ করনি। মায়ের মুখে ধর্মের কিছু শোনা কথা শুনেছ, সাথে কিছু অধর্মেরও, অথবা অনির্ভরযোগ্য কিছু ধর্মীয় বইয়ের কেচ্ছা কাহিনীর জ্ঞান তুমি আহরণ করেছ, কিন্তু সত্যিকার ঐশী জ্ঞানের সন্ধান, কোরআন হাদিসের শ্বাশ্বত সুন্দর জীবনধর্মী বানীর স্পর্শ কোনদিন তুমি পাওনি। কোরআনকে তুমি ১৪০০ শত বছর আগের একটি রচনা বলো। অথচ, এই কোরআন কোন রচনা নয়, স্বয়ং স্রষ্টার কালাম বলেই যে আজও কোন মনগড়া পরিবর্তন পরিবর্ধন ও বিকৃতি থেকে মুক্ত এবং হুবহু বিদ্যমান, তা তুমি অবলোকন করোনি। কোরআন যে দুটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল অবতির্ণ হওয়ার কালেই, ‘কোরআনের সুরাহ-র মতো একটি সুরাহ তৈরী করে আনো এবং তোমাদের সাহায্যকারীদেরকেও ডাকো ’ আর ‘এই কোরআন আমি অবতির্ণ করেছি, এবং নিশ্চয়ই আমিই এর সংরক্ষক’, আজও কোন আরবী সাহিত্যিক কোরআনের মত ভাব ও ভাষা শৈলী, শব্দ ও বাক্য বিন্যাসের এমন অভিনব অলংকরণ করে এবং প্রতিটি শব্দের নিগুঢ় অর্থপূর্ণ কোন সুরাহ তৈরী করতে অক্ষম। তেমনি ভাবে সারা দুনিয়ার ইসলামবিরোধীরা মিলেও কোরআনকে বিকৃত করা তো দুরের কথা একটা হরফেরও এদিক সেদিক করতে পারেনি আজও। এই বিষয়টি কখনও তোমার চিন্তার জগতে প্রবেশ করেনি। তুমি পারলে একটা চ্যালেঞ্জ নাও না! ইঞ্জিল তো সংস্কার হতে হতে বাইবেল হয়ে গেল, দেখ না কোরআনের একটি সংস্করণ করা যায় কি না!

আমি তোমার প্রতিটি অভিযোগের জবাব দেব সে যোগ্যতা বা সামর্থ্য, সে বাকশক্তি লিখনি শক্তি কোনটাই আমার নেই। তোমার মতো একজন লেখককে কলমের ভাষায় জবাব দেবার মতো সাহস বা স্পর্ধা আমি কল্পনায়ও করতে পারি না। তোমার ‘দ্বিখন্ডিত’ বইয়ে মহানবী মোহাম্মাদ সাঃ সম্পর্কে দুই পৃষ্ঠাব্যাপি যে চরম লজ্জাজনক বিষোদগার করেছ সে ব্যাপারেও কিছু বলতে চাই না। যে মহানবীকে মাইকেল এইচ হার্টের মত অমুসলিম লেখক ‘দি হান্ড্রেড’ এর মধ্যে এক নম্বর স্থান দিতে পারেন সেই নবীর বিরুদ্ধে তোমার ইসলামের ইতিহাসকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা ওই বক্তব্যকে প্রবল জ্বরে আক্রান্ত রোগীর অজ্ঞান অপলাপ ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারি না। তবে এটুকু বুঝতে পারি যে, কারো বিরুদ্ধাচরন করতে গিয়ে মানুষ যে কোন স্থুল এবং ভিত্তিহীন বিষয়কেও অভিযোগের ডক্যুমেন্টারী হিসেবে দাড় করার চেষ্ঠা করে, এটা মানুষের প্রকৃতিগত স্বভাব। সুতরাং এ বিষয়েও কিছু বলতে চাই না। কিন্তু যখন দেখি, স্রষ্টার বিরুদ্ধে তোমার ঔদ্বত্ত্য মাত্রাতিরিক্ত, সীমাহীন, তখন দুরুদুরু বুক নিয়ে এই সাহসটুকু না করেও পারি না। এর দ্বারা আমার বুকের মধ্যে বাস করা হৃদয়ের, তোমার মতে ব্রেইনের মধ্যে, যন্ত্রনা বা রাগ বা অথবা আক্রোশ কিছুটা হলেও উপশম হবে। আচ্ছা, এই যে বুকের যন্ত্রনা বা মাথার ব্যথা যা আমি দেখতে পাই না, তোমরা ডাক্তাররা দেখতে পাও কিনা জানি না! দেখতে পাও বা না পাও, তুমি আমি সবাই ঠিকই তা অনুভব করি। তুমি বুক ফেড়ে অথবা মাথা কেটে যন্ত্রনার কোন দেখা না পেলে কি বলবে যে, নাহ! তোমার মাথা ব্যাথা, বুক ব্যাথা কিছুই নেই। তুমি ফুলের সৌরভ, ফুলের ঘ্রান শুকে মুগ্ধ হও। কখনও কি তুমি ফুলের সৌরভ দেখা যায় না বলে অস্বীকার করে বসবে যে, ফুলে কোন সৌরভ নেই !

প্রকৃতিকে যে ভাবে তুমি উপভোগ কর, যে গভীরতা নিয়ে তুমি দেখো, কলমের খোঁচায় যেভাবে প্রকৃতির সৌন্দর্যকে ভাষায় ফুটিয়ে তুলো, তা আমি কল্পনায়ও আনতে পারি না। অথচ, এই তুমি, কখনও কি ভেবে দেখেছো, এই মেঘময় মেঘহীন নীল আসমান, খাল-বিল-নদীময় সাগর-সমুদ্রময় নির্ঝরনী পাহাড় পর্বতময় সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলা এই পৃথিবী কি এমনি এমনি হয়ে গেল? প্রকৃতিকে উপভোগ করতে করতে যখন তুমি অন্য এক জগতে হারিয়ে যাও তখন কি এ প্রশ্নটা তোমার মনে একটুও নাড়া দিয়ে যায়না? আকাশ আর জমীনে ব্যাপৃত এত সুন্দর শিল্পময় জীবন্ত ছবিটির কি কোন শিল্পী নেই? বাতাশের শন শন গুঞ্জন, পাখির কিচির মিচির সংগীতের গুঞ্জরণ, নির্ঝরিনীর কলতান, সাগরের গর্জন কি কোন এক মহা শক্তিমান মহা মহিম স্রষ্টার অস্তিত্ব তোমাকে জানান দিয়ে যায়না! ‘...ডাক্তার হয়ে উনি ধর্ম বিশ্বাস করেন!’ উক্তিটি তুমি রুদ্রর বাবার ব্যাপারে করেছিলে। আমি বরং আশ্চর্য হই, ডাক্তার হয়ে তুমি কেমনে স্রষ্টাকে অস্বীকার করতে পারো! আমি জানি, ডাক্তাররাই বরং, ধর্মভীরু হোক বা নাই হোক, নামাজ কালাম করুক বা নাই করুক, স্রষ্টার অস্থিত্ব হাড়ে হাড়ে, শুধু হাড়ে হাড়ে নয়, রক্তে মাংসে, নিঃশ্বাসে ধমনীতে, চামড়ায় লোমকোপে অনুভব করে। তোমরা ডাক্তাররাই তো লাশ পড়, কাটাকুটি করো। মানবদেহের প্রতিটি জটিল যন্ত্র, তন্ত্র, অন্ত্র তোমরাই ঘনিষ্ঠভাবে পড়, দেখো, জানো এবং বুঝ। সারা দুনিয়া মিলেও যেখানে মানুষের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটি অকৃত্রিম অঙ্গ বানাতে অক্ষম, সেখানে, তুমি কেমনে ভাবো, এই মানবদেহের কোন স্রষ্টা নেই!

কল্পনার রং তুলিতেও যা তুমি আঁকতে পারোনি, তার চেয়ে শত সহস্রগুন সুন্দর ও বিশাল সমুদ্রের সামনে দাড়িয়ে যখন তুমি অবাক হয়ে চেয়ে থাক, আমিও তোমার দিকে অবাক হয়ে চেয়ে থাকি, যে সমুদ্রের সৌন্দর্যকে তুমি এত গভীর ভাবে উপভোগ করো, সে সমুদ্র কি এমনি এমনি হয়ে গেল! এই সমুদ্রের কি কোন শিল্পী নেই! এ কথাটি কি একবার ও তোমার মনে উদয় হয় না। এত বিশাল সমুদ্রের কাছে কি নিজেকে বড় তুচ্ছ মনে হয়না? এই বিশাল সমুদ্রের যে একজন স্রষ্টা থাকতে পারেন, সেই স্রষ্টার বিশালতা যে কত বিশাল হতে পারে, তা কি তোমার মনের দোয়ারে একবারও কড়া নাড়ে না? এই বিশাল মহাসমুদ্রের মাঝে আবার ছোট বড় দ্বীপ, আ্যটল দ্বীপ, আ্যটল দ্বীপের লেগুন! আমি অবাক হতেই থাকি, ঠিক তোমার মত। তার চেয়েও বেশি।

দুটি সাগর। আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগর, মিলিত হয়েছে জিব্রালটার প্রনালীতে গিয়ে। একটির পানীর স্বাদ মিষ্ট, আরেকটির তিক্ত। পানীর স্বাভাবিক স্বভাব অনুযায়ী দুটিই মিশে গিয়ে স্বাদটাও মিশে যাওয়ার কথা, কিন্তু মেশে না। স্বাদ অপরিবর্তিতই থেকে যায়। কেন? কি যুক্তি দাড় করাবে এখানে তুমি? বিজ্ঞানী ‘জ্যাক ভি কষ্টো' দুই সাগরের মিলনস্থলে পানীর তলদেশ নিয়ে গবেষনা করে যে থিওরী দাড় করালেন তা চৌদ্দশত বছর আগে আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে বলে দিয়েছেন, যে সময়ে বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানী বলে কোন কিছু সভ্যতার ধারণায়ও ছিলোনা-‘আমি দুটি সমুদ্রকে একত্রিত করে দিয়েছি, আর তাদের মাঝখানে দাড় করেছি একটি বাঁধ, যা তারা অতিক্রম করতে পারে না।’ আমি অবাক হতেই থাকি। তুমি যা হও তার চেয়ে লক্ষগুন বেশি। তোমার না ভাবার কথা ভেবে, তোমার মনে উদয় না হওয়ার কথা ভেবে।

তুমি আকাশের দিকে তাকাও। আকাশের উদারতাকে উপভোগ করো। কখনও কি ভেবেছ, একটি ছোট্র মাটির ঘর তুলতেও তো কত খুটি দাড় করাতে হয়, আর এই বিশাল আকাশের ছাদটা পুরোটাই খুটিহীন। শুন্যের উপর বিছানো। কেমনে সম্ভব? বাদ দাও আকাশ। ধরো মেঘের ভেলার কথাই। এই যে খন্ড খন্ড মেঘ, মাথার উপরে উড়ে বেড়ায়, ভেসে যায়, পুরো পৃথিবীর মানুষ মিলে কি এরকম একটি মেঘ খন্ড শুন্যে ওড়ানো সম্ভব? তাহলে কি এর পেছনে কোন সুনিয়ন্ত্রনকারী বিদ্যমান? কখনও কি তোমার ভাবনা এখানে এসে হোচট খায়না?

এই সৌরজগত। মহাশুন্য। গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সি, চন্দ্র, সুর্য্য কখনও কি তোমাকে বলে দেয়নি তার স্রষ্টা কে? এগুলোর প্রতিটিই যার যার কক্ষপথে চলমান, ঘুর্ণায়মান, উদীয়মান, অস্তমান, জাজ্বল্যমান। চন্দ্র কখনও ভুলেও সুর্য্যরে পথে পা বাড়ায়না। শনি কখনও যায়না মঙগলের পথে। বুধও কখনও বৃহঃস্পতির পথ আগলে দাড়ায়না। ...পনেরো বিলিয়ন বছর আগে কিছু একটা ঘটে মহাশুন্যে ছিটকে পড়ল কিছু, সেই ছিটকে পড়া কিছু থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন নক্ষত্র, নক্ষত্রপুঞ্জের জন্ম, তার পর পৃথিবী নামক গ্রহের জন্ম। সেই কিছু একটা ঘটে মহাশুন্যে এতকিছুর জন্ম তার পর থেকে এই এতকিছু প্রসারিত হচ্ছেতো হচ্ছেই! একবারও এই বিলিয়ন বিলিয়নের একটার সাথে আরেকটার সংঘর্ষ ঘটলো না, ঘটে না, ব্যাপারটি অতিশয় কাল্পনিক নয় কি! অথচ, এগুলোর একটিও যদি কক্ষচ্যুত হয়, তাহলে এই সৌরজগতের ধ্বংস অনিবার্য। বিবেক বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষও যেখানে নিজেকে পুরোপুরি নিয়মতান্ত্রিকতার সাথে পরিচালিত করতে পারে না, সেখানে এই বিলিয়ন বিলিয়নের কঠিন নিয়মতান্ত্রিকতাপূর্ণ বিচরণ কি কোন মহাশক্তিমানের সুনিয়ন্ত্রনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়না? তুমি বিজ্ঞানের ছাত্রী, তোমার ভাষায় অমানবিকের ছাত্রী, যদি কখনও কোরআন খুলে পড়তে, তাহলে দেখতে পেতে, মহান আল্লাহ এই বিজ্ঞানময় সৌরজগতের দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, কিভাবে স্রষ্টাকে, স্রষ্টার অস্থিত্বকে অনুভব করতে হয়।

তুমি লিখেছ, ‘...এত মায়া এত ভালবাসা এত স্বপ্ন নিয়ে এই যে জীবন, যে কোন মুহুর্তে জীবনটি ফুরিয়ে যাবে, কি লাভ! কি লাভ বেচে থেকে! ...আমার কেবলই উল্টো বিশ্বাস, মরে যাওয়া মানে সব শেষ হয়ে যাওয়া, কোনও ফল পাওয়ার নেই, আবার জন্ম নেই, কিছু নেই, সব ফাঁকা। জীবনের কোন মানে নেই, অর্থ নেই। এই বিশ্বাস আমাকে ভয়াবহ বিষন্নতা দেয়, জীবনবিমুখ করে।’ জীবনের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ এবং সবচেয়ে জটিল বিষয়টি নিয়েই তুমি ভেবেছ, কিন্তু এর পেছনের দর্শন নিয়ে তুমি হয়ত মাথা ঘামাওনি। মানুষ যাতে জীবনের প্রতি বেহিসেবী হয়ে ভোগ-বিলাসের স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে নিজেদেরকে ধ্বংস করে না দেয়, অথবা জীবনের প্রতি বিমুখ হয়ে বিতৃষ্ণ হয়ে জীবনের স্বাভাবিক চলমান গতিকে বাধাগ্রস্থ না করে, জীবনকে বিপর্যস্থ করে না তুলে, সে জন্য ইহলৌকিক জীবনকে পরলৌকিক জীবনের সাথে জুড়ে দিয়ে জীবনকে ভারসাম্যপূর্ণ করে তুলেছেন এবং জীবনের একটি লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। মানুষ একটি সুশৃংখল ব্যবস্থার মধ্যে থেকে জীবনকে উপভোগ করবে, জীবনের সকল প্রয়োজন সম্পাদন করবে, কিন্তু জীবনের মূল উদ্দ্যেশ্যকে বিস্মৃত হবে না- “আমি জ্বীন এবং মানবকে সৃষ্টি করেছি আমার ইবাদতের জন্যই।” এখানেই জীবনের স্বার্থকতা, এখানেই জীবনের অর্থ। ধরো, তোমাকে তোমার মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে মাদ্রাজ প্রেরণ করা হলো কোন এক জরুরী কাজ দিয়ে, যাবার সময় বিভাগীয় অধ্যাপক যোবায়েদ স্যার বলে দিলেন আর হ্যা, শুন নাসরিন! ইন্ডিয়া যেহেতু যাচ্ছ, দেখার মত অনেক জায়গা আছে, কোথাও বেড়াবার ইচ্ছে থাকলে বেড়াতে পার, তবে তোমার উপর দেয়া দায়িত্বের ক্ষেত্রে যেন কোন অবহেলা না হয়। স্যারের এই ঘুরে বেড়াবার সুযোগ দেয়ার অর্থ এই নয় যে, ঘুরে বেড়াতে গিয়ে নিজের ইন্ডিয়া সফরের মুল উদ্দেশ্যকে বেমালুম ভূলে যাওয়া! আর কাজ সম্পাদন না করেই ফিরে আসা। এমন যদি কখনও হতো, তাহলে যোবায়েদ স্যারের প্রতিক্রিয়ার মূর্তিটা কেমন হতে পারতো কল্পনা করতে পারো!

তুমি আল্লাহকে একচোঁখা বলো, আল্লাহ নারীকে পুরুষের অধীনস্থ বলেছেন, এটাই তুমি দেখলে, তুমি দেখলে না যে, আল্লাহ কোরআনে নারী ও পুরুষ পরস্পর পরস্পরের পোষাক স্বরুপ বলে আখ্যায়িত করেছেন, একজন আরেকজনের পরিপূরক। নারী পুরুষের মুল্যায়নে এতো ভারসাম্যপূর্ন এবং তাৎপর্যপুর্ণ শব্দ কোন মানব সন্তান দিতে পেরেছে! কবির ভাষায় যা ‘অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’ তো কোরআনের এই শব্দ নির্যাসের একটি ফোটা মাত্র। যে কোন সমষ্টিগত কাজ সুচারু ও শৃঙখলাপূর্ণ ভাবে পরিচালনা বা সম্পাদনের জন্য একজনের উপর দায়িত্বভার বা কর্তৃত্ব প্রদানের প্রয়োজন হয়, মানুষ তার প্রয়োজনেই তো মেম্বার, চেয়ারম্যান, এমপি, মন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট বানায়, সমাজ বা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য এদের হাতে ক্ষমতাও অর্পন করে, তাদেরকে শাষক বানায়, নিজেকে শাষিত বানায়। পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানকে সুষ্ঠু পরিচালনার জন্যই, সকল প্রতিকুল পরিস্থিতি সামলাবার মতো সৃষ্টিগত ভাবেই যোগ্যতার অধিকারী পুরুষকে যে দায়িত্বভার দেয়া হলো, তাকেই তুমি এমন উদ্ভটভাবে চিন্তা করতে পারলে! তুমি দেখলেনা রাসূলের বানী, আল্লাহর পরে কাউকে সিজদা করার অনুমতি থাকলে আল্লাহর পরেই রাসূল এবং রাসূলের পরেই স্থান থাকতো মায়ের। রাসূল মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত তথা গোঠা মানব সন্তানের বেহেশত বলেছেন তাও তুমি দেখলে না। রাসূল ছেলে জাতিকে নিজের ছেলে বলেননি, অথচ, গোটা মেয়ে জাতিকে নিজের মেয়ে বলে তাদের প্রতি জুলুম না করার নির্দেশ দিয়ে গেছেন, তা তুমি দেখোনি। তোমার বাবা বেহেশতে গিয়ে ৭২ জন হুর নিয়ে ফুর্তি করবে আর তোমার মা এক বাবাকেই পাবে এই কথাটি তুমি কোত্থেকে পেলে, আমি চিন্তা করে পাইনা। আল্লাহ পুরুষের জন্য যেমন রেখেছেন হুর, তেমনি নারীর জন্য রেখেছেন ‘গিলমান’ বা তরুণ বয়সের পুরুষ। স্বামী তো থাকছেই। সুতরাং নারীর জন্য বেহেশতে কোন প্রতিদান নেই, এটা তোমার একটি মারাত্বক ভুল ধারণা।

‘...তোমাকে চিঠি লিখেছি, প্রেম করেছি, তোমার বাড়িতে গিয়েছি, নিজেকে সমর্পণ করেছি।’ রুদ্রর সাথে এগুলোর প্রতিটি পর্যায়ই ছিল তোমার চরম ভুল, ম্যারিজ পেপারে সাইন করাটা আইনী বৈধতার সনদ ছাড়া আর কিছু ছিলনা। এটা ছিল নিয়ন্ত্রনহীন নারীদেহলোভী এক পুরুষের উদ্দ্যেশ্য হাসিলের চাতুর্যপূর্ণ ফাঁদ। যার মর্মান্তিক পরিণতি তুমি নিজেই ভোগ করেছ এবং করছো। আমি মনে করি, রুদ্রের সাথে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনা-ই তোমাকে এই বিদ্রোহী তসলিমা বানিয়েছে। প্রতিটি মানুষের মধ্যে মনুষত্ব এবং পশুত্ব পাশাপাশি অবস্থান করে। কিন্তু এটা দৃশ্যমান নয় বলেই পশুত্বের ক্ষতি থেকে বাচাঁতে, স্রষ্টা সার্বিক ভাবে নারী ও পুরুষের মধ্যে দুরত্ব বজায় রাখার জন্য একটি সীমারেখা বেধে দিয়েছেন। আর এ সীমারেখার সামান্যতম লঙ্গন হলেই ঘটে যেতে পারে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। আমি বলি, ঘটাটাই স্বাভাবিক, না ঘটাটাই ব্যতিক্রম। যেমনটি ঘটেছে তোমার ক্ষেত্রে, অনেকটা তোমার বোন ইয়াসমিনের বেলায়ও। এ ধরনের দুর্ঘটনার পথ রুদ্ধ করার জন্যই নারী পুরুষের বিবাহ বহির্ভূত একান্ত বা ঘনিষ্ঠ মেলা মেশাকে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। এবং বিবাহকেও সুনির্দিষ্ট কিছু রীতি নীতি ও সামাজিক কিছু কর্মকান্ডের অধীন করা হয়েছে, যাতে ইচ্ছে হলেই পেপারে সাইন করে নিলাম আর শুয়ে পড়ার পথ খোলাসা হয়ে গেল, এমন ধরনের কোন সুলভ সুযোগের সৃষ্টি না হয়। ‘শুতে হলে কি সই করে শুতে হয়! সই না করেও তো হয়!’ হ্যা, ঠিকই বলেছ, তুমি যে স্থান-কাল-পাত্রে যেভাবে সই করেছ তা করা না করায় আসলেই কিছু যায় আসে না। এ ধরণের সই এর কোন ভিত থাকে না, সুতরাং, এ সই করেও হয়, না করেও হয়! তবে এই হওয়াটা শুধু শুয়া হয়! দাম্পত্য জীবন হয় না, সংসার জীবন হয় না। তোমার কাছে ‘বিয়ে’ শব্দটি অশালীন মনে হয়, অদ্ভুতুড়ে মনে হয়। তবে কি ইমদাদুল হক মিলন এর মতো বিবাহিত পুরুষের সাথে পরকিয়া করে কাশ্মীরে গিয়ে ‘মধুচন্দ্রিমা’ করার মধ্যেই শালীনতা? তবে কি তোমার ‘নিয়তি’ কবিতার ...‘দুহাতে মুঠো করে ধরে স্থন...মুখে পোরে, চোষে,’ শব্দগুলোর মধ্যেই সব শালীনতা? পরপুরুষ নাইমের, যার জন্য একবিন্দু ভালবাসাও তোমার মনে সৃষ্টি হয়নি, স্পর্শে স্পর্শে তোমার শরীর জেগে ওঠা’র মধ্যেই কি তুমি সব শালীনতা খুজে পাও? রুদ্র যখন অন্য মেয়ের প্রেমে নিমগ্ন, তখন তাকে তোমার বেডে আনতে স্বাচ্ছন্দ বোধ কর? তোমার সবকিছুই আমার কাছে কেমন গোলমেলে ঠেকে, তোমার রুচিবোধটাও যেন কেমন বিচিত্র বিদঘুটে রুপ নিয়ে সামনে এসে দাড়ায়। তোমার মাথা থেকে পা অবদি গোঠাটাই আমার কাছে অদ্ভুতুড়ে মনে হয়।

পরিশেষে মহান আল্লাহর একটি বাণী দিয়ে শেষ করছি।

(হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের উপর অবিচার করেছ, জুলুম করেছ, আল্লাহর রহমত থেকে তোমরা নিরাশ হয়ো না। -আল কোরআন)

সেলিম সামীর

১৭.০৫.২০১২ ইং

(অপ্রকাশিত)

বিষয়: বিবিধ

২৬৭৮ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

274112
১৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৩:০০
বন্যা ইসলাম লিখেছেন : ১। কোরাণের চ্যালেঞ্জ! "কোরআন যে দুটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল অবতির্ণ হওয়ার কালেই, ‘কোরআনের সুরাহ-র মতো একটি সুরাহ তৈরী করে আনো এবং তোমাদের সাহায্যকারীদেরকেও ডাকো"

এ ধরনের চ্যালেঞ্জ হকার-ফেরিওয়ালা রা তাদের ভেজাল মলম বিক্রির ক্ষেত্রে দিয়ে থাকে। কিন্তু ফাইজার, গ্লাস্কো, স্কোয়ার.......এর ঔষধ প্রস্তুত কারক বিজ্ঞানীরা এসব চ্যলেঞ্জ মোকাবেলায় তাদের মুল্যবান সময় অপচয় করে না। তারচেয়ে বরং আল্লাকে মোনালিসার মত একটি বিখ্যাত ছবি একে দিতে বলেন তো? দেখি পারে কিনা??

২। লিভটুগেদার-পরকিয়া-যৌনতা :

এ বিষয়ে ইসলামের নবী ছিলেন অন্যতম ওস্তাদ। তিনি ব্যাক্তি জীবনে অনৈতিক ভাবে সিরিয়ালী বিয়ে করেছন। নিজের সুন্দরী পুত্রবধুও তার যৌন লালসার শিকার হয়। ঘরে ১ ডজন স্ত্রী থাকারপরও তিনি ক্রীতদাসীদের সাথে বিয়ে বহিঃভুত যৌনতা লিভটুগেদার করতেন। যুদ্ধক্ষেত্রে বন্ধি নারীর পিতা-স্বামী-ভাই কে হত্যা করে ঐ রাতেই তিনি বিছানার সয্যা সঙ্গিনী করতেন। এমনকি শিশু বালিকারাও তার যৌন নির্যাতন থেকে রেহাই পায় নি।

নবীর এসব নিয়ে বিস্তারিত খোলা চিঠি লিখতে গেল কোরাণের চেয়েও মোটা বই লেখা যায়।

১৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:০৬
218044
শেখের পোলা লিখেছেন : যোগ্যতা দেখাতে নিষেধ নাই৷
১৪ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:০৫
218094
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন : "বন্যা ইসলাম লিখেছেন : এ বিষয়ে ইসলামের নবী ছিলেন অন্যতম ওস্তাদ। তিনি ব্যাক্তি জীবনে অনৈতিক ভাবে সিরিয়ালী বিয়ে করেছন।"

বিয়ে করলে আবার সম্পর্কটি অনৈতিক হয় কি ভাবে??
অনৈতিক তখনই হবে যখন কৃষ্নের মত মামির (রাধা)সাথে পরকিয়া করবে। বিয়ে বর্হিভূত ১৬১০৮ জন্য রক্ষিতার (গোপি) সাথে যৈানলীলা খেললে।
কথায় আছে না " কৃষ্ন করলে লীলা আমরা করলে লুচ্চামী"Crying Crying Crying Crying
১৪ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:২৮
218211
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন :

বিয়ে করলে আবার সম্পর্কটি অনৈতিক হয় কি ভাবে??
অনৈতিক তখনই হবে যখন কৃষ্নের মত মামির (রাধা)সাথে পরকিয়া করবে। বিয়ে বর্হিভূত ১৬১০৮ জন্য রক্ষিতার (গোপি) সাথে যৈানলীলা খেললে।
কথায় আছে না " কৃষ্ন করলে লীলা আমরা করলে লুচ্চামী"

চমৎকার বলেছেন। গনেশ কাম লিলা করে তার মা পার্বতীর সাথে(দুর্গা)। এসব তাদের কাছে নৈতিক।
274125
১৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:০৩
কাহাফ লিখেছেন :
"চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী।"
"কয়লা ধুইলেও ময়লা যায় না।"
" অরণ্যে মুক্তা ছড়ানো।"
কয়েকটা প্রবাদ বাক্য ই শুধু দিলাম মন্তব্যের ঘরে..............!
১৪ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৯
218204
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : ভাইরাসকে ক্লিন এবং কোয়ারেন্টাইন দিয়ে যখন কাজ হয় না তখন ডিলিট করে দিতে হয়।
ইসলামের এন্টি ভাইরাস এটেম্পট (যুদ্ধ) কাফেরের বিরুদ্ধেও নয়, নাস্তিকের বিরুদ্ধেও নয়, ইমান আনা না আনার স্বাধিনতা আল্লাহ তাদেরকে দিয়েছেন। ইসলামের যুদ্ধ মুরতাদ ও ইসলাম বিদ্বেষিদের বিরুদ্ধে। যারা ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তাদের বিরুদ্ধে। সে যেই হোক।
274126
১৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:০৭
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : তোমার নাম বন্যা ইসলাম?
ফিনাইল দিয়ে ধুলেও তোমার গায়ের গোবরের দুর্গন্ধ ঢাকা পড়ছে না। বিডি টুডের ওয়েবসাইট পর্যন্ত পুঁতি- গন্ধময় হয়ে উঠেছে ! ওয়াক থুঃ !
একটু বিবেকের কাছে সৎ হও ! তারাই লম্পট যারা নিজের ‘গায়ের গন্ধ আর শয়তানী ষড়যন্ত্র আড়াল করতে মুসলিম নামের পেছনে আশ্রয় নেয়! তোমার চরিত্রের মানুষগুলো ক্ষমার অযোগ্য!
১৪ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:০২
218193
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : এরা অমুসলিম। বিদ্বেষ ছড়ানোর সুবিধার্থে মুসলিম নিক নেয়। এদের ব্যাপারে চুপ থাকাই ভাল। কোন সাড়া না পেলে এমনিই পালাবে।
274258
১৪ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:৩৯
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : বন্যা ইসলামের মন্তব্য মুছে দেয়ার জন্য বলছি। এই নতুন তাসলিমা আমরা আমাদের এই প্রিয় অঙ্গনে দেখতে চাই না। প্লিজ।
274277
১৪ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৬
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : প্রিয় ব্লগারগণ! এখানে একজন ইসলাম বিদ্বেষীর আগমন ঘটেছে। যে মন্তব্য সে করেছে সবগুলোরই জবাব আছে। এসব অপপ্রচার আর অপব্যাখ্যা। সেও জানে। সমস্যা হল এরা নাস্তিক নয়। ধর্মবিদ্বেষিও নয়। ইসলাম বিদ্বেষী। এগুলো শুধুমাত্র ইসলাম বিদ্বেষের কারণেই লেখে। সুতরাং অযথা এদের মন্তব্যের জবাব দিয়ে সময় নষ্ট করবেন না।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File