তনু হত্যাকান্ডের নাটক মঞ্চায়নের আয়োজন প্রায় শেষ, শিগগিরই দেখতে পাবে জনগণ

লিখেছেন লিখেছেন খাস খবর ২৬ মার্চ, ২০১৬, ০২:৪৭:৩২ রাত



-অহিদুজ্জামান

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে সামরিক বাহিনীর অত্যান্ত সুরক্ষিত নিরাপত্তা এলাকায় খুন করা হয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে তনুকে ধর্ষণ শেষে খুন করার কথা প্রকাশ করা হচ্ছে।কিন্তু পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।শীর্ষ সংবাদপত্রের স্থানীয় প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, তারা ধর্ষণের কথা না লেখলেও ঢাকা অফিস থেকে 'ধর্ষণ' শব্দটি জুড়ে দিচ্ছে।কোনো কোনো সংবাদপত্র একটি পরিপাটি কক্ষের ভিতরে একটি অর্ধনগ্ন লাশের ছবি এবং রক্ত মাখা পায়ের দাগ প্রকাশ করছে।স্থানীয় একটি পত্রিকার প্রতিনিধি ছাড়া সকলেই বলছেন এজাতীয় ছবি পুরোটাই মিথ্যা।এটা পরিকল্পিতভাবে মেয়েটির চরিত্রকে কলংকিত করতেই কেউ উদ্দেশ্য মূলকভাবে সরবরাহ করছে।ওখানে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেছে এমনটা পুলিশ নিশ্চিত করেনি । কারণ এখন পর্যন্ত মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়া যায়নি এবং সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতকালে পুলিশ কোনো আলামত পায়নি।

গত রবিবার সন্ধ্যায় সোহাগী জাহান তনুকে হত্যা করে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা সেনানিবাসসংলগ্ন এলাকার পাওয়ার হাউসের পানির ট্যাংকসংলগ্ন কালভার্টের পাশের একটি জঙ্গলের ভেতর মাথা থেত্লানো সোহাগীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন সোমবার তনুর বাবা ইয়ার হোসেন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন তনুর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে তাদের বাড়িতে যান। এ সময় তিনি জেলা প্রশাসন ও মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা তার বাবা-মাকে প্রদান করেন এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক খণ্ড খাস জমি তনুর পরিবারকে বন্দোবস্ত দেয়ার ঘোষণা দেন।

হত্যা রহস্য বের করতে পুলিশের একাধিক টিম ছাড়াও জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি টিম এরই মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সম্ভাব্য কারণ চিহ্নিত করতে বেশ কিছু ক্লু নিয়ে মাঠে অভিযান চালাচ্ছে বলে ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

মজার বিষয় হচ্ছে সেনা বাহিনীর লোকজন তনুর বাসা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, তনুর ব্যবহারিক জিনিসপত্র সহ এবং এঘটনার সাথে সংস্লিষ্ট সবকিছু জব্দ করে নিয়ে গেছে। যা পুলিশ তদন্তের সার্থে বার বার চাইলেও সেনাবাহিনী দিচ্ছে না।এনিয়ে পুলিশ সুপার একাদিকবার সেনাকর্মকর্তাদের অনুরোধ করলেও তা সেনাবাহিনী আমলে নেয়নি। এনিয়ে বর্তমানে পুলিশ প্রশাসনের সাথে ক্যান্টনমেন্টের দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।অবশেষে তনুর মোবাইলটি পুলিশকে দেয়া হলেও এর ডাটা ঠিক আছে কিনা তা নিয়ে পুলিশ সন্দেহ করছে। স্থানীয় পুলিশের একাধিক সুত্র ব্যক্তিগতভাবে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন খুব শিগগির এনিয়ে একটি ধামাচাপা দেয়ার নাটক তৈরী করা প্রায় শেষ হয়েছে। যা অল্পের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। আর তা হলো এক নিরীহ সেনা সদস্য সহ অকুস্থলের পাশের গ্রামের এক বেসামরিক ব্যক্তিকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

অপরদিকে প্রশাসন থেকে তনুর পরিবারকে একখন্ড পরত্যাক্ত জমি ও ২০ হাজার টাকা দেয়ার যে খবর প্রকাশ হয়েছে তা পত্রিকার ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলতে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের।

বিষয়: রাজনীতি

১২১৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

363626
২৬ মার্চ ২০১৬ সকাল ০৫:১১
শেখের পোলা লিখেছেন : বৃহৎ নাট্যমঞ্ছের ক্ষুদ্র নাটক৷ আর কতকাল এমনটি চলতে থাকবে কে জানে৷ধন্যবাদ৷
363627
২৬ মার্চ ২০১৬ সকাল ০৬:২৯
তট রেখা লিখেছেন : ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড সংক্রান্ত আইনটি মন্ত্রী সভায় ওঠার পরই এ রকম একটি ঘটনা ঘটল । কেমন কাকতালিয় না?
363688
২৬ মার্চ ২০১৬ বিকাল ০৫:৩২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কত কেরামতি দেখব!!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File