তুই রাজাকার - এদেশে তোর কবর!! আমার মায়ের অপমান

লিখেছেন লিখেছেন খাস খবর ২৭ অক্টোবর, ২০১৪, ০৬:০৪:২৯ সকাল

দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই- গো-আজম একটা কুলাঙ্গার। তারচেয়েও মস্তবড় কুলাঙ্গার শেখ হাসিনা এবং তার সরকারে থাকা চঞ্চু-ষণ্ডা-পাণ্ডারা। ফলত লাখো মা-বোনের ইজ্জত লুট-হত্যা, তরুণ-যুবক, শিশু-বৃদ্ধ এবং বুদ্ধিজীবীদের গণহত্যার একমাত্র নায়ক এই গো-আজমের শেষকৃত্তে নালায়েক-অবুঝ বান্দারা অংশ গ্রহণ করে মূলত এসরকারকেই অনাস্থা জানিয়েছে। এটা কোন শুভলক্ষণ নয়। এটা দুর্ভাগা জাতির দুর্লক্ষণ।

এবঙ্গে কুলাঙ্গারের জন্ম নতুন নয়। ক্ষণের দোষে দুনিয়ার আগান-বাগানেও তা জন্মে। তবে বঙ্গকুলে একটু বেশি। ইতিহাস তো তা-ই বলে।

মরহুম সাংবাদিক বোরহান আহমেদের কাছে শুনেছিলাম যে দৈনিক জনকণ্ঠে ‌''তুই রাজাকার শিরোনামে'' একটি নিয়মিত কলাম চালু করেছিলেন অনেক ভেবেচিন্তে। তিনি জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। অনেক ভাবার কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন গো-আজমদের ঘৃণা-ধিক্কার জানানোর উপযুক্ত ভাষা খুঁজে পেতে সময়ে লেগেছিল। আমার কাছে মনে হয় তিনি সত্যিই বলেছিলেন। এই হন্তারকদের ঘৃণা জানানোর ভাষা প্রকৃতপক্ষেই নেই।

ছাত্র শিবিরের এক সাবেক নেতা কয়েকদিন আগে আমাকে বলেছেন- মূলত আল-সামস, আল-বদর বাহিনী প্রথমে গঠন করা হয়েছিল উত্তর বঙ্গের জামালপুর ও সিরাজগঞ্জ এলাকায়। এটা গো-আজম শুনতে পেয়ে সমর্থন দেয় এবং সরাদেশে জামায়াতের সাংগঠনিকভাবে অ্যানথ্রাক্স'র মত ছড়িয়ে পড়ে। এরপরের গণহত্যা-লুণ্ঠন-ধর্ষণের ঘটনা সকলেরই জানা আছে।

এই লোকটা যে অতিলোভী, ধুরন্ধর ছিল তার প্রমাণ হিসেবে অনেক আলামত রয়েছে। তার নামের আগে সে 'অধ্যাপক' যোগ করেছে। রংপুরের কারমাইকেল কলেজে সে কয়েক মাস শিক্ষকতা করেছিল। সে কখনোই প্রফেসরের যোগ্যতা অর্জন করেনি। আমি দু'বার তাকে মোক্ষম সময়ে পেয়ে জানতে চেয়েছিলাম অধ্যাপক হিসেবে সরকারি নথিতে আপনার নাম নেই কেন? প্রশ্নটি দূর্ততার সঙ্গে এঁড়িয়ে গিয়েছিল। তার দলের লোকজন ভাষাসৈনিক হিসেবে প্রচার করছে। এটা সম্পূর্ণ মিছা কথাই তারা প্রচার করছে। আর এটা জোরে-শোরে শুরু হয়েছে ২০০১ সাল থেকে। কারণ জামায়াতের ঢাকা মহানগর অফিস ৪৮ পুরানা পল্টন থেকে একটি মাসিক ম্যাগাজিন প্রকাশ করতো। নাম ছিল 'আলোড়ন''। এটার সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন সাদ বিন রাবি ভাই। তখন ২১ ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় কয়েকজন প্রকৃত ভাষাসৈনিকের সাক্ষাতকার ছেপেছিলেন। এরমধ্যে অ্যাডভোকেট কাজি গোলাম মাহবুব, আব্দুল গফুর ছিলেন। সাক্ষাতকারটি নিয়েছিল শাহিন এবং সামসুল হক বসুনিয়া। এতে আবদুল গফুর সাহেব তার সাক্ষাতকারের শেষের দিকে বলেছিলেন- গো-আজম স্মারকলিপি দেয়ায় জড়িত ছিলেন। এটা দেখে গো-আজমের সাক্ষাতকার ছাপানোর উদ্যোগ নেন সাদ বিন রাবি ভাই। পরে ভাষা মতিন সহ সকলের সাক্ষাতকার একত্রে ছাপানো হয় আলোড়ন, সোনার বাংলা এবং সংগ্রাম পত্রিকায়। এনিয়ে ব্যাক্তিগতভাবে আমার কাছে কাজি গোলাম মাহবুব ও ভাষা মতিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। আমি এক বিকেলে কাজি গোলাম মাহবুবের ধানমন্ডি লেকপাড়ের বাষায় গিয়েছিলাম আমার ব্যাক্তিগত কাজে। তার টেবিলে এই আলোড়ন ম্যাগাজিনটি দেখতে পেয়ে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন। বলেন সাদ বিন রাবি একটা ফ্রোড কাজ করছে। একইভাবে ভাষা মতিনও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। প্রকৃত অবস্থায় রা্বি ভাই এজন্য দায়ী ছিলেন না। মহানগর অফিসের জামায়াতিরাই এই জগন্য কাজটি রাবি ভাইকে দিয়ে করিয়েছিলেন। তিনি ওখানে কেবলমাত্র পেটের দায়ে কাজ করতেন।

শধু তাই নয়। গো- আজমের নামের আগে জামায়াতিরা মজলুম জননেতা লাগিয়ে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানীর সমকক্ষ বানানোর চেষ্টা চালিয়েছে। এটা পরিকল্পিত ভাবে করেছে। এরকারণ ছিল তার রাজাকার নামের কালিমা ঘোচানোর জন্য। এভাবে শত উদাহরণ রয়েছে এই কুলাঙ্গার গো- আজমের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

বিষয়: বিবিধ

১১৫৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

278556
২৭ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:৫৪
মামুন লিখেছেন : ভালো লিখেছেন, তবে মৃত মানুষকে নিয়ে কিছু না বলাটাই ভালো মনে করি।
আপনার লিখার জন্য ধন্যবাদ। Good Luck
278570
২৭ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:৩৯
বিবেকের কান্না লিখেছেন : Your language already proved YOU are a "GREAT KULANGER".
279219
২৯ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:৫৯
যা বলতে চাই লিখেছেন : ভাষা মানুষের পরিচয় বহন করে। আশা করি এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন। আপনার আলোচ্য বিষয়, উপস্থাপন কৌশল, তথ্য উপাত্ত এবং শব্দ চয়ন কোনটিই আপনার বক্তব্যের পক্ষ্যে মতামত সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারবেনা। কারণ নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File