বাঘ কে কী ঘাস খাইয়ে গরু বানানো হচ্ছে?

লিখেছেন লিখেছেন তিতুমির ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:৫৬:৪৮ সকাল

গতকাল মসজিদে নামাজের পর দেখলাম (অবশ্য এটা প্রায় ই দেখা যায় ) , কিছু লোক গোল হয়ে ঈমান আমলের কথা বলছে , তারপরেও কী বলে দেখার জন্য আমিও বসলাম , বলছে , ঈমান ঠিক না হলে , কিছুই ঠিক হবে না , ঈমানের পর নামায যা কাফের আর মুসলমানে র মধ্যে ফারাক তৈরি করে , আর এই নামায আমাদের নবীজী (স Happy যে ভাবে পড়েছেন , যে ভাবে দাড়িয়েছেন , যে ভাবে রুকু করেছেন , যে ভাবে সেজদাহ করেছেন , সে ভাবেই করতে হবে , অন্য ভাবে করলে হবে না , খুবই ভাল লাগলো , তারপর বলছে , নমায ই সব , নামাজই সবচে বড় আমল , এরপরই আমার খটকা লাগা শুরু , আমি তখন ঘামতে শুরু করলাম , মনে মনে ভাবছি , জীবনের উদ্দেশ্যই নামায , বলে কী ? ঈমান মানে বিশ্শ্বাস , আর সেই অনুসারে কাজ না হলে ঈমানের মানে ধোকা তাও আবার নিজের সাথে , আল্লাহ কী মানুষকে পাঠিছেন নামায পড়ার জন্য ? আল্লাহ নিজে বলছেন , তার প্রতিনিধি হিসাবে পাঠিয়েছেন তার আইন কে জয়ী করে প্রতিষ্ঠিত করতে ,

আর এটাকেই আল্লাহ মানুষের জীবনের লক্ষ বলে অভিহিত করেছেন , তাই মনে মনে ভাবলাম , দেখি একটু কথা বলে , এই বলে একজনকে ডাকলাম আর বললাম , ভাই , আপনি বললেন হুজুর যে ভাবে নামায পড়েছেন সেভাবেই পড়তে হবে , টু ভাই , আমি তো দেখলাম , বুখারী শরীফের হাদিছে , রুকুতে যাওয়ার সময় উনি তাকবীর করছেন হাত তলে যেটাকে বলে রফে ইয়া ডাইন , আবার রুকু থেকে উঠার পর ও রফে ইয়া ডাইন করছেন , আমরা তো এটা করি না , আপনি কী বলেন? সাথে বলেন , এটা তো মুরববি র জানে । আমি বললাম , সহি হাদিছ পেলাম , তারপর ও মুরববি , আমাদের কে সাফাত কে দিবে মুরববি নাকি আমাদের নবী স;।? তখন সে আমাকে এক মুফতি র কথা বলে , তারপর আমি তাকে বললাম , আপনার যে ফাজায়েলের বই পড়েন , আপনি কী জানেন ওখানে অনেক জাল , জইফ হাদিছ আছে , আর জেনে শুনে এগুলি বলা আর আমল করা কী গুনার কাজ হচ্ছে না ?

তখ সে আমাকে বলে , ফাজায়েলের জন্য জায়েজ । আমি আশ্চর্য হয়ে বললাম , ইসলামে কী সত্তী কথার অভাব আর এটা করলে ঈমান থাকে ?

এর উত্তরে ও সে বলে , তাদের মুরব্বীরা জানে , আমি আর কথা না বাড়িয়ে চলে এলাম , ভাবলাম এভাবে তাবলীগ জামাত মানুষদেরকে অন্ধ বানিয়ে বাঘের জাতিকে ছাগল বানিয়ে ছাড়ছে , এ জন্য লক্ষে লক্ষে কাতারে কাতারে মুসলমান থাকার পর ও কয়েক হাজার মুসলমান যা করেছিল , আজ তা হচ্ছে না ,

বিষয়: বিবিধ

১৩৯৮ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

181108
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫
মদীনার আলো লিখেছেন : সহি হাদিছ, গায়রে সহি, যয়িফ,মওযো এর অর্থ কি বুযানু হয়েছে
181115
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:১১
শফিউর রহমান লিখেছেন : এরা হলো মসজিদে বসে বসে জান্নাতের মেওয়া খাওয়ার আশা করা মুসলমান।
181116
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:১৭
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : ফাজায়েলে আমল পড়েন বহুত ফায়দা হপে...হা হা হা
181117
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:১৭
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : ফাজায়েলে আমল পড়েন বহুত ফায়দা হপে...হা হা হা
181178
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৩০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : নেতা বা মুরুব্বিদের অন্ধ অনুকরন প্রবনতা তাবলীগের প্রধান দুর্বলতা। এর জন্য অবশ্য আমাদের সামাজিক অবস্থা ও দায়ি যেখানে মুরুব্বিদের বা বড়দের শ্রদ্ধার নামে প্রায় দেবতার আসনে বসান হয়। মুরুব্বি হওয়ার কারনে অনেকের অন্যায় আচরন বিনা প্রতিবাদে মেনে নিতে বলা হয়। তুলনামুলক ভাবে বিদেশি তাবলিগি ভাইরা অনেক মুক্ত মনের অধিকারি।
181248
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:২৯
তিতুমির লিখেছেন : সহীহ হাদিছ মানে যাতে কোনও সন্দেহ নাই , যার বিষয়ে সবাই একমত বুখারী মানে এরকম হাদিছ । তাবলীগ মানে দাওয়াত যা একটি অন্যতম অংশ কিন্ত সমপূর্ণ মনে করা ই বেদআত যেমন মিলাদ যা তবলীগ ওয়ালরা ই মনে করে । অনেক ধন্যবাদ
181323
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪২
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : ওরাতো কুরআন হাদিস থেকেও ফাজায়েল কে বেশি গুরুত্ব দেয়।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File