আষাঢ়ে-গল্প ও বাসন্তী-রূপ

লিখেছেন লিখেছেন বুড়া মিয়া ২৬ আগস্ট, ২০১৪, ০৪:১১:০৭ রাত

মনে হচ্ছে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের জমি-জমাগুলো তাদের হাত থেকে ধীরে ধীরে হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে এবং এ জন্য আরও মনে হয় অল্প কিছু নিয়ামকই এর পেছনে কাজ করছে, এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে গোলামী-শিক্ষা-ব্যবস্থা, সংস্কৃতি ও উচ্চাভিলাষ।

দেশের বর্তমানের প্রচলিত সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষিত হয়ে বের হয়, সর্বোচ্চ শিক্ষা অর্জনের পর এরা কর্মক্ষেত্রে যা করে সেটা খুব বেশি হলেঃ যারা ডাক্তার হয়ে বের হয় –সিমটম দেখে রোগীর জন্য কিছু ঔষধ-পথ্যের মুখস্থ নাম লিখে দিতে পারে; মেকানিক্যাল-ইঞ্জিনিয়ার যারা তারা বড়োজোড় – মেশিন অন/অফ এবং যন্ত্রপাতির নাট/বোল্ট খুলতে-লাগাতে পারে এবং কোথায় কখন গ্রীজ-তেল দিতে হবে সেটা পারে; কেমিষ্টগুলো – কি কি কেমিক্যাল কোন কোন রেশিওতে মিশিয়ে একটা মিশ্রন পাওয়া যেতে পারে তা করতে পারে। এমনভাবে সবক্ষেত্রেই এসব শিক্ষিতরা উদ্ভাবনী কিছুই করতে পারে না, পারে সার্টিফিকেটের মতো কিছু লিখে বা ভাবের-সহিত বলে দিতে এবং নগন্য লজ্জাজনক কাজ করতে – এর জন্য একদিকে দায়ী শিক্ষা-ব্যবস্থা যারা বহাল রেখেছে তারা, অপরদিকে শিক্ষিত যারা হয়েছে তাদের অর্থনৈতিক-উচ্চাভিলাশষ। তবে দোষ বেশী যারা শিক্ষিত হয়েছে তাদের!

যারা এসব শিক্ষা অর্জন করতে যায় – তাদের মূল উদ্দেশ্যই থাকে, এসবের সার্টিফিকেট নিয়ে ভালো একটা চাকরী অথবা ব্যবসা করে আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে, যা তাকে কল্পিত এক সামাজিক মর্যাদা এনে দিবে; এদের কখনই ইচ্ছা হয় না – এর পরে আরও কোন শিক্ষা অর্জন করতে অথবা অর্জিত শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে দেশের ব্যবহারের জন্য কিছু উদ্ভাবন করতে। এদের এরকম কোন ইচ্ছা না থাকার কারণে বড় আকারের কোন রিসার্স ও ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তক ও পরিচালকরাও গড়ে তুলছে না, কেননা এর জন্য কোন আন্দোলন নেই! আবার শিক্ষা ব্যবস্থা যারা চালাচ্ছে তাদেরও দোষ রয়েছে – যেহেতু এসব শিক্ষিতরা সার্টিফিকেট পাওয়ার পরই অর্থনৈতিক সক্ষমতার পিছনে জান-মান-ইজ্জত-বাজি রেখে দৌড়ায় এবং ব্যাপারটা তারাও জানে, ইচ্ছা করলে এসব উদ্ভাবনী সেক্টরে তারা আর্থিক-প্রণোদনা দিয়ে সার্টিফিকেটধারীদের উদ্ভাবনী সেক্টরে কাজে লাগাতে পারে, কিন্তু ওরাও করে না! এখানে আসলে দুই দলের-ই (ছাত্র-ছাত্রী ও ব্যবস্থার পরিচালক) ইচ্ছা কিভাবে একটা ব্যবস্থা চালিয়ে রেখে ভয়াবহ রকমের অর্থ অর্জন করা যায়!

সার্টিফিকেট যারা পেয়েছে, তারা তো মনে করে – ‘কি যেন হয়ে গেছি আমি!’; তাই তারা চাকরী আর মনের মতো মানসম্মত ব্যবসা ছাড়া আর কিছুর চিন্তাই করতে পারে না! যেহেতু সার্টিফিকেট অর্জন করতে গিয়ে তারা এক প্রতিযোগীতামূলক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বেরিয়ে এসেছে এবং পুরোদস্তুর প্রতিযোগিতার ট্রেনিং পেয়েছে – তাই চাকরীর ক্ষেত্রেও একজন আরেকজনের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে যায় স্বাভাবিকভাবেই এবং পারলে একজন আরেকজনকে হাতে বা ভাতে মারে এবং এতে করে তারা স্বল্পমূল্যের গোলামী ছাড়া কিছুই পায় না! আবার যাদের একটু চোখ-কান খোলা, তাদেরও মূল উদ্দেশ্য যেহেতু অর্থ – তারাও রাজনৈতিক দলের বা কোন গোষ্ঠীর লেজুরবৃত্তির মাধ্যমে শুরু করে আরেক প্রতিযোগীতা, সেখানেও চলে প্রতিপক্ষকে হাতে বা ভাতে মারার আরেক খেলা।

এরকম সার্টিফিকেটধারীদের এরকম ইচ্ছার কারণে চাকরীদাতা অথবা ব্যবসা প্রদানকারী যারা রয়েছে, তাদেরও যেহেতু মূল-উদ্দেশ্য অর্থ, আরেক সুযোগ পেয়ে যায় অর্থ উপার্জনের – স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে ঘুষ আর ইন্সেন্টিভ এর প্রচলন। প্রতিযোগীরা কে কার আগে টিকে আরেকজনকে ভাতে মারবে এ জন্য ঘুষ-ইন্সেন্টিভ এর জন্য টাকা জোগার করতে গিয়ে শুরু করে দেশ-গ্রামের জমি বেচা, সব বেচে সর্বশান্ত হয়েও তাদের একটা চাকরী বা ব্যবসা লাগবেই এবং তারা পায়ও – সামান্য লাভে সাপ্লাই-ব্যবসার মাধ্যমে অথবা সরাসরি চাকরগিরির মাধ্যমে এক পার্মানেন্ট গোলামী তারা বাগিয়ে নেয়! আবার দেখা যায় যারা খুব বেশি সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারে নাই, কিন্তু অর্থ লাগবেই এমন মনোভাব – তারাও দেশে কোন ভালো চান্স না পেয়ে, জমি-জমা বিক্রি করে বিদেশমূখী ছুটছে এবং চলেও যাচ্ছে!

এছাড়াও দেশে অনেক আগে থেকেই কিছু সংস্কৃতির প্রচলন হয়েছে, যেমন ‘ছেলে হোক, মেয়ে হোক দুটি/একটি সন্তানই যথেষ্ট’, ‘ছেলে হোক মেয়ে হোক, সুশিক্ষায় শিক্ষিত করবো’, ‘শিক্ষিত হবো, স্বনির্ভর হবো, সুখী সমাজ গড়বো’ ইত্যাদী। এর অনেক বড় রকমের প্রভাবতো সমাজে পড়েই গেছে। এখন খুব কম পরিবারই দেখা যায় যেখানে এক বা দুইয়ের বেশী সন্তান আছে এবং খুব কম পরিবারই দেখা যায় যেখানে তাদের সন্তানদেরকে শিক্ষিত করার জন্য সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলিত করে না।

এভাবে পরিবারগুলো হয়ে যাচ্ছে ছোট, ভেঙ্গে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানরূপী যৌথ-পরিবারগুলো এবং নতুন প্রজন্ম সাইক্লোনের গতিতে ধাবিত হচ্ছে উপরে আলোচিত শিক্ষা ব্যবস্থায়, উদ্দেশ্য একটাই অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হবো। আর এর জন্য পরিবার থেকে নিজের প্রাপ্য, প্রয়োজনে বেচে দিয়ে সব তারা বিনিয়োগ করছে শিক্ষায় এবং ছোট-খাট ব্যবসায় অথবা প্রবাসে যেতে।

এভাবে সবাই শিক্ষিত হয়ে এখন যা করছে, সেটা আরও করুণ – তারা হেন কোন কাজ নাই যা চাকরীর নামে করে না! মাষ্টার-ডিগ্রী পাশ করে স্যুট-কোট-টাই-জুতা পড়ে অফিসে গিয়ে ফাইভ-পাশ বা পুরো অশিক্ষিত বা বিদেশ থেকে সার্টিফিকেট কিনে আনা মালিকের ব্রীফকেইস কাধে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ছুটছে অন্ধকার-যুগের ক্রীতদাসের মতো; মালিকের জুতার ফিতা বেধে দিতেও তারা কার্পন্য করছে না, মালিকের সন্তুষ্টি না থাকলে যদি চাকরী চলে যায় এ ভেবে। মার্কেটিং-এ যারা আছে ফেরিওয়ালার মতো বাড়ী-বাড়ী বা দোকানে দোকানে ঘুরতেও তারা বিব্রত বোধ করে না! আর কিছু তো শরীর-চেহারা বিক্রি করে মালিকের পণ্য বিপননে উল্লাসিত-গর্বিত হচ্ছে! আর যারা বিদেশ যাচ্ছে তারাও যে খুব ভালো কোন কাজ করছে, তাও না!

এসব করে তারা ফলাফল হিসেবে যা পাচ্ছে, তা হচ্ছে – শহরে একটা ফ্ল্যাট, অল্প দামের একটা গাড়ী আর সামান্য কিছু ভোগের উপকরণ! এভাবে এরা অভ্যস্ত হয়ে, যারা এখনও সর্বশান্ত হয়-নি, চিন্তা করেঃ দেশে-গ্রামে বাকী যে জমি-বাড়ী পড়ে রয়েছে, সেগুলো দিয়ে আমার কি হবে? বিক্রি করে এখানে নিয়ে এসে অন্য কাজে লাগাই এবং করে ফেলছে সেটা যুক্তিসঙ্গত কারনেই; কেননা একে তো ছোট পরিবার, শহরেই কাজ করছে, সন্তানের ভালো শিক্ষার জন্য শহরেই তো থাকতে হবে, তাই ছেলে-মেয়ে শিক্ষিত হলে সে বা তার ছেলে-মেয়েতো আর কখনও গ্রামে যাবে না, তাই বেচা ছাড়া কোন লাভ নাই! আর যারা বিদেশ থেকে টাকা পাঠাচ্ছে – তারাও ছোট শিক্ষিত পরিবার গড়তে ছেলে-মেয়ে নিয়ে রয়ে যাওয়া পরিবার শহরে চলে আসছে এবং পাঠানো টাকায় শিক্ষিত হচ্ছে, ফ্ল্যাট কিনছে, গাড়ী কিনছে।

এভাবে চলতে চলতে ৫০/৬০ বছর পরে হয়তো দেখা যাবে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রভাবে দেশে কোন পরিবার নেই, যাও আছে ৩/৪ সদস্যের এবং সবাই কথিত-শিক্ষিত, থাকে শহর ও শহরতলীর ফ্ল্যাটে এবং তাদের এভাবে বেচার কারনে সমস্ত জমি-জমার মালিক বড়-বড় ব্যবসায়ী আর এন.জি.ও! ইতিমধ্যেই দেশের অনেক পাহার-টিলা তো রাজনৈতিক-ব্যবসায়ীরা আগেই কিনে (লীজ নিয়ে) চা/রাবার/আগর-বাগান বানিয়েছে, এখন শহরতলীর জায়গা-জমি বেশিরভাগ কিনে ইন্ডাষ্ট্রী বানাচ্ছে এবং গ্রামেও তারা জমি কেনা শুরু করেছে এবং তারা ভালো মতোই জানে এদেশের সামান্য জমি-জমা থাকা মানুষগুলো কোনরকমে শিক্ষিত হলেই আর কোন কাজ করতে পারবে না - চাকরী অথবা তাদের সাপ্লাই এর ব্যবসা ছাড়া! তাই তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে যেন এ শিক্ষা-ব্যবস্থা এবং এমন মানসিকতা গড়ার সংস্কৃতি থেকে কোনভাবেই এ জাতি বের না হতে পারে! বের হলেই তো তারা উদ্ভাবক হয়ে যাবে গোলামী বাদ দিয়ে – পরিচালকরা তখন মনিবসুলভ আচরণ করবে কার সাথে? রাজত্ব-তো চলে যাবে!

এভাবেই হয়তো আবার ফিরে আসবে আমাদের সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা সোনার বাংলাদেশ! ব্যাপকহারে উৎপাদনের জন্য যন্ত্রপাতি কিনে বড়-বড় ব্যবসায়ী আর এন.জি.ও কৃষিক্ষেত্রের ব্যবসায় সরাসরি নেমে যাবে এবং প্রশ্ন তুলবে ট্রাক্টর/মাওয়ার কে চালাবে? শষ্যের রক্ষনাবেক্ষন করবে কে? আন্তঃদেশিয় চুক্তির মাধ্যমে কিনে আনা পানি দিয়ে সেচ ব্যবস্থাপনা কোন ম্যানেজার চালাবে? উত্তরের জন্য আজকের ব্রীফকেইস কাধে নেয়া গোলাম হোসেনদের শিক্ষিত সুসন্তানরা হাজির থাকবে এবং বিদ্যুৎ গতিতে তারা স্যুট-কোট-টাই-জুতা পরে হামলে পড়বে ক্ষেতে ট্রাক্টর/মাওয়ার নিয়ে! নইলে তো চাকরী-ই থাকবে না, ফ্ল্যাটে থেকে খাবে কি করে?

বিষয়: বিবিধ

১২৫৩ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

258297
২৬ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৫:০৪
কাহাফ লিখেছেন : সময়োপযোগী সুন্দর কথা বলেছেন বুড়া মিয়া চাই, এখন থেকে এ ব্যাপারে সচেতন না হলে বাস্তবিকই এমন ঘটবে,কিছু করার থাকবে না তখন।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে..... Rose Rose Rose
২৬ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৬:০১
201965
বুড়া মিয়া লিখেছেন : হুম, আমারও মনে হয় আমরা ঐদিকেই যাচ্ছি ...
258305
২৬ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৫:৩৯
সাদাচোখে লিখেছেন : মাশাআল্লাহ চমৎকার লিখেছেন। লিটারেলী এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম।

কাব্যিক হেডিং। কিন্তু বিষয়বস্তু বড় নিষ্ঠুর বড় বেশী বাস্তব।

আপনার লিখায় অসংখ্য বিষয়কে আপনি টাচ করেছেন - পরিবার পরিকল্পনা, শিক্ষা ব্যবস্থা, আমাদের মেনটালিটি, অলস, নন ক্রিয়েটিভ স্বভাব এবং সর্বোপরি স্লেইভ টাইপ মেনটালিটি।

আর ব্যংগ সমূহ বড় বেশী মূর্ত হয়েছে - ভাল লেগেছে।

---------------------

ব্যক্তিগতভাবে আমি 'ইমরান হোসেন' এর পরামর্শকে যথার্থ মনে করি - যেখানে তিনি বলেন ও প্রমোট করার চেষ্টা করেন - আমাদের সকলকে শহর ছেড়ে অল টাইপস অব মোডারন লিভিং থিন্জস (টিভি ইত্যাদি) বাদ দিয়ে গ্রামে গিয়ে থাকতে। তিনি বলেন আমাদেরকে কোন নদী বা পানির সংস্থান আছে এমন জায়গায় শহর হতে বিচ্ছিন্ন ও নিজেদের উৎপাদিত জিনিস এর ব্যবহার করে মারজিনালাইজড লেভেলের লিভিং করতে - তিনি মনে করেন এতে করে আমরা আমাদের ঈমান ও পরিবার পরিজন ও আল্লাহর সন্তুষ্টি ধরে রাখতে পারবো - তিনি আরো মনে করেন অমন মুসলিম ভিলেজ এ নিরিহ নির্বিবাদ টাইপ মাইক্রো খেলাফত সৃষ্টি করতে - তার মানে আল্লাহকে সব কিছুর উপরে ধারন করতে, জীবন মৃত্যু তার হাতে সফে দিতে, ৫ টাইমস মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে এবং বিবাদ হলে শরিয়া অনুযায়ী বিচার করতে। ঐ গ্রামে কোন মহিলা স্বামীহীন থাকবে না - ব্যবিচার ছড়াবার জন্য, সন্তান নেওয়ায় কোন বাধা থাকবে না ইত্যাদি ইত্যাদি।

ডেনমার্কে আমাদের বেশ কিছুর ভাইয়ের মধ্যেও আইডিয়াটা কাজ করছে, আলাপ আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু রিয়েল লাইফে - ভোগ ও বিলাসিতা পূর্ন এ জীবন ছেড়ে - তা এক্টিভেট করা যাচ্ছে না। আমরা স্যুট - প্যান্ট পরা তথাকথিত শিক্ষিত এ স্লেইভ রা - যেন চাইলেও ছাড়তে পারছি না

ধন্যবাদ অনবদ্য লিখা পড়তে দেবার জন্য।
২৬ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৬:০১
201964
বুড়া মিয়া লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এ লেখাটাও পড়ার জন্য।

এমন ফিতনার যুগের জন্য রাসূল(সাঃ) এর একটা হাদীসও মনে হয় রয়েছে যা অনেকটা এরকম – ‘এরকম সময়ে বকরী নিয়ে পাহাড়ী এলাকায় চলে যেও’। এ হাদীসের সাথে ইমরান সাহেবের দৃষ্টিভঙ্গীর কোন অমিল নেই!

সত্যি বলতে মাঝে মাঝে আমারও এমন হয়! কিন্তু এরকম টেকনো-যুগে যেখানেই যাই না কেন – খুজে বের করে ফেলবে তো কুফফারদের দল!
২৬ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:২৯
202120
সাদাচোখে লিখেছেন : আমার মনে হয় - উনি 'খুঁজে বের করে ফেলবে' এটায় ভয় পাচ্ছেন না - উনি ভয় পাচ্ছেন 'ঈমান আকিদা' নিয়ে থাকতে ইচ্ছুক ট্রু মুসলিমরা যে ভাবে সুদ, হারাম, সন্তানদের মধ্যে ফেতনা, পারিবারিক পরিমন্ডলের ফেতনা, টিভির ফেতনা, বড় শহরের আর যা কিছু ফেতনা - তথা চিন্তা ভাবনা করার ফেতনা স্প্রীচুয়ালিটির অভাব, খাবারের বিষাক্ততা, পানির স্বল্পতা ইত্যাদি হতে মুক্ত জীবনের সেন্স হতে বলছেন। তিনি অনেক বার তার বক্তব্যে বলেছেন করাচীর কথা। তিনি মনে করেন যুদ্ধ হরে করাচীর খাবার সাপ্লাই জিরো তে নেমে আসবে, পানি সাপ্লাই বন্ধ হবে এবং মানুষ খাবার ও পানির জন্য - যে কাউকেই 'রব' সাসটেইনার বলে স্বীকৃতি দেবে - যা দজ্জাল ডিমান্ড করবে - 'উপাস্য' নয়।

আপনি কি আনওয়ার আল আওলাকির বক্তৃতা শুনেন? না শুনলে শেষ জামানার সাথে রিলেট করা ওনার এই বক্তব্য শুনতে পারেন। মন খারাপ অবস্থা হতে নরমাল স্টেট এ আসতে আমার ২৪ ঘন্টার ও বেশী সময় লেগেছিল।

https://www.youtube.com/watch?v=mtZ8ei5PkVw


258308
২৬ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৬:১০
মাহফুজ আহমেদ লিখেছেন : অসাধারন একটি লেখা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
২৬ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৬:২৬
201967
বুড়া মিয়া লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ মাহফুজ আহমেদ ভাইকে, আমার মনের ধারণা সম্বন্ধে মন্তব্য করায়।
258341
২৬ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৯:৫০
সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam. It is a very valuable writing in the context of existing situation of Bangladesh. Jajakallahu khair.
২৬ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:৩৪
202035
বুড়া মিয়া লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ, বৌ-মাকে – সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
258369
২৬ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
আহমদ মুসা লিখেছেন : অত্যন্ত সুন্দর এবং বাস্তবধর্মী আলোচনা করেছেন। আমাদের তোগলকী শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে দিন দিন আমরা পশ্চাৎমূখী এবং শোষণের উর্ভর ক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছি- ব্যাপার বুঝার জন্য হয়তো আমাদের আরো ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছর লেগে যেতে পারে। তখন হয়তো আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের চিন্তা ভাবনায় একটি স্বাধীন দেশের নাগরিকের আত্মমর্যাদাবোধ লোভ পাবে। জগাখিচুড়ি মার্কা শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে আমাদের মধ্যে তৈরী হচ্ছে গোলাম-দাসীর মানসিকতায় পুষ্ট কিছু শিক্ষিত মডারেট জানোয়ার। এদের না আছে মানবিক চেতনাবোধ না আছে মর্যাদাবোধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ডিগ্রী নিতে পারলেই যেন একজন উন্নত মানের গোলাম হওয়ার মধ্যে নিজের স্বকীয়তাকে বিলিন করে দেয়াতে নিজের বিকাশ সাধনের উপযুক্ত ক্ষেত্র বিবেচনা করছে।
২৬ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:৩৭
202036
বুড়া মিয়া লিখেছেন : সত্যই বলেছেন মুসা ভাই, এভাবে চলতে থাকলে পরবর্তী প্রজন্ম নিশ্চিতভাবে গোলাম হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না – এবং এ থেকে বেরিয়ে আসতে বিদ্রোহ ছাড়াও তাদের কোন পথ থাকবে না! আমরাই যেন তাদের ঠেলে দিচ্ছি এমন করুন পরিস্থিতির দিকে।
258454
২৬ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৭
মামুন লিখেছেন : খুব সুন্দর এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে দারুন যুক্তিযুক্ত। ধীরে ধীরে আমরা একটা অসার পথের দিকে চলছি। একসময় নিজেরা ফিরতে চাইলেও পারব না। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইলো। Rose
২৬ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৮
202152
বুড়া মিয়া লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাইকে, মতামত ব্যক্ত করায় ...
258847
২৭ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:৩০
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : অনেক মূল্যবান এবং বাস্তবভিত্তিক লিখা! পরিত্রানের উপায় কি ভাইয়া?
২৭ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৪৮
202646
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এসব নিয়েই আমার বিভিন্ন ধারণা আর অভিজ্ঞতা নিয়ে পরের পোষ্টগুলোও দিয়েছি, শেষে গিয়ে হয়তো এ থেকে পরিত্রানের কিছু উপায় সম্বন্ধে আমার কিছু ধারনা নিয়ে লিখবো, মনে হয় সেসব ধারণা অনেকের কাছেই বাস্তবসম্মত হবে না।
258854
২৭ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৭
আফরা লিখেছেন : এই না হলে আমার দাদাজান ও দেশ ও দশের জন্য কত্ত ভাবনা -------- দাদাজান আপনাকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ।
২৭ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৪৯
202649
বুড়া মিয়া লিখেছেন : সময়তো কাটে না আফরামণি, তাই এভাবে লিখে মাঝে মাঝে সময় পার করছি! অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
২৭ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:২৬
202755
আফরা লিখেছেন : কেন দাদাজান আমার দাদুমনিকে সাথে নিয়ে পান খাবেন । দুজনে মিলে অতীত দিনের গল্প করবেন । আর বিকাল বেলা দুইজনে মিলে হাত ধরাধরি করে হাটতে বের হবেন ।

জানেন দাদাজান আমাদের অনেক বুড়াবুড়ি পার্কে
হাত ধরাধরি করে হাটে বসে গল্প করে তাদের দেখলে আমার অনেক ভাল লাগে ।
২৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:২১
202765
বুড়া মিয়া লিখেছেন : হুম, নাতনী পাকনা হয়ে গেছে ...

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File