ইসলাম এবং আরব রাষ্ট্র দখলে ইহুদীদের নীলনকশা!

লিখেছেন লিখেছেন ফাহিম মুনতাসির ২৮ মার্চ, ২০১৩, ০১:১০:৪৪ দুপুর

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের উষ্কানীদাতা ছিল ইহুদীরা। ইহুদীদের গোপন দলীল (Protocol of Jews) এ তিনটি মহাযুদ্ধ বাধানোর পরিকল্পনা রয়েছে তন্মধ্যে ২ টি শেষ হয়েছে। ইহুদীদের বিশ্বাস, পরবর্তী তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে তারা বিশ্বব্যাপী ইহুদী রাষ্ট্র কায়েম করবে।

ইহুদীদের গোপন পরিকল্পনায় একটি মানচিত্র রয়েছে। উক্ত মানচিত্রে সমগ্র বিশ্ব শাসনে ইহুদীরা নিদৃষ্ট কিছু ভূখণ্ড দখল করতে বদ্ধপরিকর। ইহুদীদের দখল তালিকায় রয়েছে প্রায় সমগ্র ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, ইরানের কিছু অংশ, মক্কা বাদে সৌদি আরবের বাকি অংশ ও সমগ্র মিশর! এই নিদৃষ্ট ভূখণ্ডের মধ্যে অবস্থিত যে শক্তি বা জাতিকে ইহুদীরা নিজেদের পথের কাঁটা মনে করবে ইহুদীরা তাদেরকে উৎখাত করতে বদ্ধপরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় ইহুদীরা ইতিমধ্যে জাতিসংঘের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ন পদে অধিষ্ঠিত রয়েছে এবং আফগানিস্তান ও ইরাককে ধ্বংস্তূপে পরিণত করেছে। বর্তমান আরব বিশ্বের অধিকাংশ সরকারই ইহুদীদের আজ্ঞাবাহক। ব্যতিক্রমীদের মধ্যে রয়েছে সিরিয়া, সুদান, ও লিবিয়া। বর্তমান আমেরিকা মূলত ইহুদী শাসিত খ্রিস্টানদের দেশ। আমেরিকার গুরুত্বপূর্ন সরকারি বেসরকারি পদে ইহুদীরা অধিষ্ঠিত রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি, অর্থনীতি, সংবাদপত্র ও মিডিয়া ইহুদীরা নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে ইহুদীবাদ আমেরিকাকে পৃথক করা যাবেনা। খ্রিস্টান আমেরিকায় ইচ্ছায় অনিচ্ছায় বিশ্বব্যপী ইহুদী স্বার্থ ও মার্কিন স্বার্থের মধ্যে কোন তফাৎ নেই। এছাড়া বৃটেন, নরওয়ে ও প্রাক্তন কমিনিস্ট বিশ্ব পুরোপুরিভাবে ইহুদবাদীদের দ্বারা পরিচালিত। ফলে ইহুদীরা কোন দেশে আক্রমণের সিদ্বান্ত নিলে মার্কিন নেতৃত্বে সামরিক জোট গঠনে বিলম্ব হয় না এবং জাতিসংঘ ইহুদীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।

ইহুদীদের ব্যপক ষড়যন্ত্রে বর্তমান বিশ্ব সভ্যতা হুমকির মুখে। জার্মানি ও ফ্রান্স ব্যতীত খ্রিস্টান বিশ্ব ইহুদীবাদ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। হিন্দু ধর্ম ও ইহুদী ধর্ম, উভয়ের মধ্যে দুইটি প্রধান বিষয় মিল হলো উভয় ধর্মই গোত্রীয় ধর্ম এবং উভয় ধর্মের অনুসারীরাই মুসলমান নিধনে বদ্ধপরিকর। এমতাবস্থায় বর্তমান বিশ্বসভ্যতাকে রক্ষা করার জন্য জার্মানি, চীন ও মুসলিম বিশ্বের ঐক্য সময়ের দাবি। এ দাবি উপেক্ষিত হলে বিশ্ব সভ্যতা ধ্বংস হতে বাধ্য। কেননা বিশ্ব সভ্যতার ধ্বংস্তূপের উপর ইহুদীরা তাদের স্বপ্নের সাম্রাজ্য কায়েম করতে চাই।

আরও অধিক শক্তি সঞ্চয়ের লক্ষে ইহুদীবাদীরা বিশ্বের সমস্ত সম্পদ বিশেষ করে তেল সম্পদ কুক্ষিগত করতে চাই। মধ্য এশিয়ার বিপুল পরিমাণে তেল ও গ্যাস কুক্ষিগত করার মানসে ইহুদীরা আফগানিস্তানের উপর দিয়ে পাকিস্তানের সমুদ্র পথ পর্যন্ত পাইপ লাইন নির্মাণ করতে চাই। আফগানিস্তানের তালেবান সরকার তাদের এই উদ্যোগে বাধা সৃষ্টি করায় আমেরিকা আফগানিস্তান দখল করে। আফগানদের প্রতিরোধের দরুন পাইপ লাইন স্থাপন অনিশ্চিত হওয়ার ঠুনকো অজুহাতে তেল সমৃদ্ধ ইরাক দখল করে। ইরাক দখল দীর্ঘস্থায়ী করার প্রধান বাধা হচ্ছে ইরান। তাই বর্তমানে আমেরিকা ইরান দখলের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। ইরান দখল হলে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পথে আর কোন অবশিষ্ট বাধা থাকবেনা।

বলে রাখা ভাল যে আমি এক জন ইতিহাসের ছাত্র, এই তথ্য গুলো সংগ্রহ করতে আমাকে সহায়তা নিতে হয়েছে:

♦Protocol of the Jews, সম্পাদনা-আব্দুল খালেক।

♦চেপে রাখা ইতিহাস, গোলাম আহমদ মোর্তাজা।

♦বর্তমান বিশ্ব সমস্যা ও সম্ভাবনা, আকরামুজ্জামান।

♦আন্তজাতিক সংকট ও আজকের রাজনীতি, ইকবাল কবির মোহন।

♦জাতির উত্থান-পতনের সূত্র, এস.এম নজরুল ইসলাম।

বিষয়: আন্তর্জাতিক

১৪১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File