পোল্টিবাজীর পরামর্শদাতা একজন এমাজ উদ্দিন আহমেদ এর অজানা অপকর্ম
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৯:১৭:২৩ রাত
বিএনপি বুদ্ধিজিবী খ্যাত আওয়ামী দালাল এমাজ উদ্দিন আহমেদ সাহেব আবারও জামায়াতে ইসলামীকে কটাক্ষ করে উক্তি করেছেন।খবরে প্রকাশ, যার শিরোনামঃ “বিএনপি থেকে ব্যর্থ জামায়াত বেরিয়ে যাক: ড. এমাজউদ্দীন আহমদ”।
বিস্তারিত খবরে বলা হয়ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিএনপি সমর্থক বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ চেঞ্জ টিভি. প্রেসকে বলেছেন, ‘জামায়াত বেরিয়ে গেলে খুশি হবে দেশবাসী। বিএনপিরও উচিত হবে না আর জামায়াতকে ২০ দলীয় জোটে যুক্ত রাখা। কারণ, এই মুহূর্তে জামায়াতকে সঙ্গে রাখা লাভজনক কোন ব্যাপার নয়, বরং দায় হয়ে গেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াত এখন একটি পঙ্গু সংগঠনে পরিণত হয়েছে। পঙ্গু হয়ে যাওয়া কাউকে কাঁধে নিয়ে হাঁটা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। জামায়াত নিজেদের মতো করে বদ্ধ কুয়োর পানিতে লম্ফঝম্ফ করুক, সেটাই উত্তম।’ সুত্র- ব্লগার আধা শিক্ষিত মানুষ।
পাঠকদের মনে থাকার কথা, ২০১৪ সালের আন্দোলন যখন তুঙ্গে। আন্দোলনের তীব্রতায় শেখ হাসিনা বাধ্য হয়ে বলেছে,এটা নিয়াম রক্ষার নির্বাচন, আবারও নির্বাচন হবে। নির্বাচনের পর এই এমাজ উদ্দিন আহমদ গং বেগম জিয়াকে ভুল বুঝিয়ে আন্দোলন থেকে দুরে সরিয়ে নেয় এবং শেখ হাসিনার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে সহযোগিতা করে। এরপর বেগম জিয়া জেলে গেলেও এমাজ উদ্দিন গং উট পাখির মত মাথা গুজে আছে এবং জামায়াতকে খোঁচা মারতেছে।
এবার আসি আসল কথায়, এমাজ উদ্দিন আহমেদ মুলত ইন্ডিয়য়ান। তাঁর জন্ম ভারতের মালদহে। পরে উনারা চাঁপাই নবাবগঞ্জ এর শিবগঞ্জে বসতি স্থাপন করেন। দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত এমাজ উদ্দিন 'লজিং' থেকে পড়াশোনা করতে থাকেন। পরে লজিং মাস্টারের মেয়েকে বিয়ে করেন এবং শ্বশুড়বাড়ীর আর্থিক সহযোগিতায় শিবগঞ্জের আদিনা সরকারী কলেজ ও পরবর্তীতে রাজশাহী কলেজে লেখাপড়া করেন।এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে মেধাবী ছাত্র হিসাবে পরিচিত পান। তিনি উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার জন্য ঢাকার ধনাঢ্য পরিবারে বিয়ের চিন্তা করেন এবং তাঁর প্রথম স্ত্রীর সাথে পোল্টি মারার ধান্দায় থাকেন।তিনি চাঁপাই নবাবগঞ্জ গিয়ে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া লাগিয়ে তাঁর প্রথম স্ত্রীর চোখে চুন দিয়ে চোখ নষ্ট করে দিয়ে ঢাকায় পালিয়ে আসেন। পরে সেলিনা আহমেদ কে বিয়ে করে কানাডা গিয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন। প্রথম স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ীর সহযোগিতা ছাড়া যেই এমাজ উদ্দিনের হওয়ার কথা ছিল একজন কৃষক বা সেরকম কিছু সেই এমাজ উদ্দিন বুঝতে পেরেছিলেন কিভাবে পোল্টি মেরে অনৈতিকভাবে জীবনে বড় হতে হয়। অবশ্য এমাজ উদ্দিন জীবনে প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রথম স্ত্রী, তাঁর প্রথম ঘরের সন্তান ও নাতি-নাতনিরা নিদারুন কষ্টে মানুষ হয়েছেন।
প্রিয় পাঠক, এখন বুঝতে পারছেন, এমাজ উদ্দিন আহমেদ কেন বিএনপিকে জামায়াতে ইসলামীর সাথে 'পোল্টি' মারার পরামর্শ দেন।
বিষয়: বিবিধ
১২২৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন