আত্বরক্ষার চেষ্টা না করা কি আত্বহত্যা নয়? জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে কেন হত্যার মুখে ঠেলে দেওয়া হলো? 'হিযরত' নবী-রাসুলদের অন্যতম সুন্নাত।

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৯:২৮:৫৯ সকাল



মেধাবী রাজনীতিবিদ শহীদ আবদুল কাদের মোল্লা ও শহীদ কামারুজ্জামানকে ইন্ডিয়া তাদের প্রথম টার্গেট করেছিল কেননা উপমহাদেশের রাজনীতি তাঁদের নখদর্পনে ছিল এবং তাঁরা বেঁচে থাকলে এবং মুক্ত থাকলে তাঁদের মেধার কাছে ইন্ডিয়া পরাজিত হতো।

টার্গেটে ছিল মাওলানা সাঈদী, আমীরে জামায়াত মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ কারণ তাদের নেতৃত্বের কাছে ইন্ডিয়া ও তাঁদের দালালের পরাজিত হতো। উনারা থাকলে ই্ন্ডিয়ার ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্ট, করিডোর, দালাল সরকার সব স্বপ্নই ধুলিস্যাত হয়ে যেত। সেজন্যই ইন্ডিয়া কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে ইন্ডিয়ার দালাল সরকারের সহযোগিতায় বুদ্ধিজীবিদের দিয়ে 'ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি, সেনা অফিসার দিয়ে 'সেক্টার কমান্ডারস ফোরাম', বিচারপতিদের সমন্বয়ে 'ক্যাঙ্গারু ট্রাইবুনাল', তরুন-যুবকদের দিয়ে 'গণজাগরণ মঞ্চ', 'ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া' দখল করে মানবতা বিরোধী বর্বর আইন, ভুয়া সাক্ষী, ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে শীর্ষনেতৃবৃন্দকে বিচারিক হত্যা করা হলো। জামায়াত নেতৃবৃন্দও স্বীকার করেছেন নেতৃবৃন্দকে বিচারিক হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে, দুরদর্শী শহীদ কাদের মোল্লা বলেছেন, 'আমাদের বাদ দিয়েই তোমরা সংগঠনের চিন্তা করো' অর্থাৎ উনারাও জানতেন তাঁদের হত্যা করা হবে।

জামায়াতের শীর্ষনেতৃবৃন্দকে হত্যা করা হবে এজন্য আঁটঘাট বাধা হয়েছে এসব জানার পরেও কেন নেতৃবৃন্দ ট্রাইবুনালে আত্বসমর্পন করলেন? কেন শহীদ মীর কাশেম আলীকে দেশে ফিরে আনা হলো বা তিনি আসলেন? কেন তাঁরা 'হিযরত' করলেন না? দারুন নাদওয়ার বৈঠকে রাসুল (সাঃ) হত্যার ষড়যন্ত্র হওয়ার পরই তিনি হিযরতের সিদ্ধান্ত নেন, জীবন নাশের আশংকায় আল্লাহর নির্দেশে মুসা (আঃ), ইব্রাহিম (আঃ) সহ অনেক নবী-রাসুল হিযরত করেন এবং সেখান থেকেই জালিমদের উৎখাত করেন, ইমাম খোমেনীও ফ্রান্স থেকেই ইসলামী বিপ্লব ঘটান। ৭১ এর পরেও জামায়াতের অনেকেই দেশে আসেননি, সমস্যা বুঝতে পেরে ব্যারিস্টার আঃ রাজ্জাক দেশত্যাগ করলেন, ছাত্রশিবিরের শত শত ছেলেরা দেশ ত্যাগ করল তাহলে গোলাম আযম, মীর কাশেম আলীর মত মণি-মুক্তারা কেন তাঁরা দেশ ত্যাগ না করে নিজেদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিলেন। তাঁরা দেশ ত্যাগ করলে সমালোচনা হতো যেমন পশ্চীমা ঐতিহাসিকরা রাসুল (সাঃ) 'হিযরত' কে 'মৃত্যুভয়ে' পলায়ন বলে সমালোচনা করেছে। তবে কোরআনের আয়াত, 'ওয়ালা ইয়াখাফুনা লাওমাতা লায়িমিন' অর্থাৎ ইমানদারের কোন সমালোচকের সমালোচনার পরোয়া করে না।

শহীদ কাদের মোল্লা, শহীদ কামারুজ্জামান, শহীদ গোলাম আযম, শহীদ আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, শহীদ মীর কাশেম আলীর মত রত্ন জামায়াতে আদৌও তৈরী হবে কিনা জানিনা তবে যারা আছে তাঁরা যেন কোন ধরণের হত্যাকান্ডের শিকার না হয় সেজন্যই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কাউকে হত্যার ব্যাপারে নিউজ থাকলে তাঁকে দেশ ত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় ইন্ডিয়ার দালাল আওয়ামী সরকারের হাতে নিজেদের সপে দেওয়ার অর্থই হবে আত্বহত্যা করা।

বিষয়: বিবিধ

৯৭৪১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

377227
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ০১:২২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : মৃত্যু শুধু সমাপ্তি নয়। নতুন এর শুরু ও বটে।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ০২:২৫
312692
মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী লিখেছেন : এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয় বিচারিক খুন।
377246
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ০৩:৪৯
হতভাগা লিখেছেন : ৭১ এ যারা নিরীহ মুসলমানদের মেরেছে সেই কাদের মোল্লা , কাশেম আলী , সাঈদীদের এখন তাদের বিচার হচ্ছে । গত ৩৯/৪০ বছর সৌদি , আমেরিকা ব্যাক আপ দিয়েছিল । সেজন্য বিলম্বিত হয়েছিল , যার ফলে এদের উত্যতও বেড়ে গিয়েছিল।

এসব জঘন্য অপরাধীদের নামের আগে শহীদ বসিয়ে মূলত শহীদ খেতাবটাকেই অপমান করা হচ্ছে ।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ০৯:১১
312790
মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী লিখেছেন : আপনি আসলেই হতভাগা

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File