ক্যাচাল ৩

লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ৩১ আগস্ট, ২০১৬, ০৫:৪২:২২ বিকাল

ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক স্বামী হচ্ছেন সংসারের কর্তা এবং স্ত্রী থাকে তার অনুগত ।

স্বামীর দায়িত্ব হচ্ছে স্ত্রী , সন্তান ও সংসারের যাবতীয় আর্থিক প্রয়োজনীয়তা মেটানো ।

এই আর্থিক প্রয়োজনীয়তা মেটানোর জন্য পুরুষদেরকে ঘরের বাইরেই থাকতে হয় দিনের প্রাইম টাইমে। আর স্ত্রীরা স্বামীর অবর্তমানে স্বামীর সংসারের হেফাজত করে আল্লাহর হেফাজতের মাধ্যমে। মানে - বাইরেরটা দেখে স্বামীরা আর ঘরেরটা দেখে স্ত্রীরা , মূলত।

বর্তমানে আমাদের মুসলমান সমাজে মহিলারা/স্ত্রীরাও এখন ঘরের বাইরে যাচ্ছে চাকুরী বা পড়াশুনা করতে । তার ক্যারিয়ারকে আরও এগিয়ে নিতে । ফলে স্বামীর অবর্তামনে স্বামীর সংসারের হেফাজত সুষ্পষ্ট ভাবেই হয় না ।

সংসারের কাজ মেয়েরা এখন খুব একটা করতে চায় না । সেটা তারা করায় শাশুড়ি / আয়া বুয়াদের দিয়ে।

শরিয়ত মোতাবেক বিয়ের পর সাংসারিক দায়িত্ব পালনে স্ত্রীদের খুব একটা আগ্রহী দেখা যায় না যেমনটা দেখা যায় শরিয়ত মোতাবেক নিজেরা কেমন পাবে সেটার ব্যাপারে ।

ফলে শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করেও , সাংসারিক দায়দায়িত্ব পালন করার পরেও বেচারা স্বামী শরিয়ত মোতাবেক তার পাওনাটা পায় না যেমনটা সে স্ত্রীকে দিয়ে যাচ্ছে ।

মহিলাদের সুবিধা হচ্ছে : তারা শরিয়ত মোতাবেক পাচ্ছে ঠিকই , কিন্তু সে মোতাবেক পালন করতে খুব একটা পরোয়া করে না । মানে দুদিকেই উইন-উইন সিটুয়েশন।

যে স্তীর ভরণ পোষন করছে সেই স্ত্রী তার সংসারের হেফাজতও করছে না, আবার ইনকাম করে যে সংসারে খরচ করে সেটার কিছু মেকআপ করবে সেটাও করছে না ।

০ সাংসারিক দায়িত্ব পালনে মহিলাদের এই রকম শিথিলতার জন্য কি কোন পাপ হবে ?

০ এর বিপরীতে যদি স্বামী তার স্ত্রীর ভরণ পোষন কমিয়ে দেয় বা তাকে চাকুরি বা পড়াশুনা করতে না দেয় যেটা পরবর্তীতে তার সংসারের উপর নেগেটিভ ইমপ্যাক্টই নিয়ে আসে - এরকম করা কি স্বামীর আন্যায় হবে ?

০ চাকরির এর বিপরীতে স্বামী যদি তার স্ত্রীকে সংসারে সমানভাবে মনিটারি কনট্রিবিউশন করতে বলে - সেটা কি পাপ হবে?

যেদিন থেকে মহিলারা ঘরের বাইরে বের হয়েছে অত্যাবশ্যক কারণ ব্যাতিরেকে সেদিন থেকেই মুসলমানদের সংসার তথা সমাজে অশান্তির বীজ বোনা হয়ে গেছে , যেটা এখন মহীরুহের আকার ধারণ করেছে।

বিষয়: বিবিধ

১১৭০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

377008
৩১ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৯:৩১
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

যেদিন থেকে মহিলারা ঘরের বাইরে বের হয়েছে অত্যাবশ্যক কারণ ব্যাতিরেকে সেদিন থেকেই মুসলমানদের সংসার তথা সমাজে অশান্তির বীজ বোনা হয়ে গেছে , যেটা এখন মহীরুহের আকার ধারণ করেছে।


অত্যাবশ্যক কারণ ব্যাখ্যা সাপেক্ষ এবং স্থান-কাল-পাত্র/পাত্রীভেদে ব্যাখ্যাও বিভিন্ন!

আপনার প্রশ্ন গুলোর জবাব আমভাবে হবেনা, কেস-টু-কেস বিশ্লাষণসাপেক্ষ!

তবে সমস্যাটি গুরুতর, সামাজিকভাবে কাউন্সেলিং ও সমঝোতা স্তাপনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসূচী দরকার!

আমাদের দেশে সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান আছে, কিন্তু তারা সমস্যা সৃষ্টিতা পারঙ্গম হলেও সমাধানে আগ্রহী নয়!
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ০৮:৫৮
312521
হতভাগা লিখেছেন :
অত্যাবশ্যক কারণ ব্যাখ্যা সাপেক্ষ এবং স্থান-কাল-পাত্র/পাত্রীভেদে ব্যাখ্যাও বিভিন্ন!


০ আবশ্যক কারণ কি ক্বুরআনের নিয়মের বাইরে হলেও গ্রাহ্য হবে ?
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ০১:৩৯
312534
আবু সাইফ লিখেছেন : মানবজীবনের সকল সমস্যাকেই কুরআন-সুন্নাহয় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং কর্তব্যের নির্দেশনা বা পরামর্শ দেয়া হয়েছে!
স্থান-কাল-পাত্র/পাত্রীভেদে শব্দমালা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ!
377139
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ১১:৫৯
কাহাফ লিখেছেন : ইসলামে স্ত্রীদের কাজ হচ্ছে- স্বামী_সন্তানদের প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালন করা!
সংসারের পুর্ণ দেখ-ভাল করা নয়!
স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাইরে যেতে পারবে না ঠিকই কিন্তু উপার্জিত রোজগার মনমতই ব্যবহার করতে পারবে!
আমাদের সমাজে মহিলারা সংসারের যে কাজগুলো করে তা মানবিকতা থেকে,তাদের উপর জরুরী নয়!
আপনার বর্ণিত অবস্হায় মহিলাদের পাপ হবে কী না তা আরো বিস্তারিত জানার পর হুকুম আসবে!
আল্লাহু আলাম!!
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ০৯:০৬
312650
হতভাগা লিখেছেন : সংসারের আর্থিক দিকটা দেখে স্বামীরা আর স্ত্রী দেখে সংসারের ভেতরের দিকটা ।

নাকি এটাও তার এখতিয়ারে নয় ?

স্বামীর অনুমতি নিয়ে সে যদি চাকরি করে এবং উপার্জিত অর্থ ব্যবহার না করে যদি স্বামীরটাই ব্যবহার করে এবং সংসারে যদি কন্ট্রিবিউট না করে তাহলে এটা স্বামীর নিজের পায়ে কুড়াল মারারই শামিল।

আলাপ আলোচনা সাপেক্ষে এরকম কি করা অবৈধ হবে যদি চাকরি করার অনুমতি দেওয়া হয় সংসারে কনট্রি্বিউট করবে - এই বলে? কারণ চাকরি করার অনুমতি দিয়ে সে তো স্ত্রীর কাছ থেকে নিজের প্রাপ্যটাকে শিথিল করে দিয়েছে ।

আমাদের সমাজে মহিলারা সংসারের যে কাজগুলো করে তা মানবিকতা থেকে,তাদের উপর জরুরী নয়!


০ স্বামী যে তাকে নিয়ে বিদেশে বেড়াতে যাবে বা বছর বছর অর্নামেন্টস কিনে দেবে - সেটা কি জরুরি ?

কতটুকু ব্যয় করবে একজন স্বামী তার স্ত্রীর জন্য - নিজের সামর্থ্যের বাইরে ? কতটুকু কাজ করবে স্ত্রী তার স্বামীর জন্য একেবারে মিনিমাম লেভেলে ? নাকি মর্জি হলে?
আপনাদের কথা শুনে মনে হয় যে বিয়েতে এবং বিয়ে পরবর্তী সংসারে দায়িত্ব শুধুই স্বামীর , স্ত্রীর কর্তব্য নেই বলেই চলে। আসলেই কি তাই ?


০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭
312653
কাহাফ লিখেছেন : হতভাগা ভাই,আমি মনে হয় আপনাকে বুঝাতে পারিনি!
সংসারের যাবতীয় আর্থিক-সামাজিক দিক দেখভাল করা স্বামীর দায়িত্ব!
স্ত্রীদের দায়িত্ব হল- স্বামীর খেদমত ও নিজের দ্বীনী বিষয়ের খেয়াল রাখা!
স্ত্রীর উপার্জিত কামাই-এ একমাত্র হক স্ত্রীদের! স্বামীর অনুমতি নিয়েই হোক না কেন!
বিদেশ বা বেড়াতে কিংবা উপহার ইত্যাদি স্বামীর সামর্থানুযায়ী!
স্বামীর মা-বাপের খেদমতটাও শরয়ী দায়িত্ব নয় স্ত্রীর উপর!
রান্না-বান্না করে খাওয়ানোও চাইলে স্বামী থেকে আদায় করে নিতে পারে!
তবে- স হমর্মিতা আর সামাজিকতা বলে স্ত্রীরা এসব করে যাচ্ছে! যার ফলে পরকালীন প্রতিদান অবশ্যই পাবে!!
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ০৯:২৫
312665
হতভাগা লিখেছেন : কোন একটা বন্ধনের মাধ্যমে একজন আরেকজনকে দ্বারা উপকৃত না হলে সেই বন্ধন টেকেও না এবং এরকম বন্ধনে কেউ যেতেও চাইবে না ।

এমন এক বন্ধন সেটার জন্য আপনি শুধু করেই যাবেন আর আরেকজন শুধু পেয়েই যাবে, দিবে কি দেবে না সেটা তার মর্জি ,না দিলেও কোন সমস্যা হবে না - ভাই এরকম সম্পর্কের কথা কি ইসলাম বলে ?

যেভাবে বললেন তাতে মনে হল যে পুরুষ মানুষেরা বিয়ে করে স্ত্রীদের সেবা করতে মশগুল থাকবে নিজের সামর্থ্য ঢেলে , বিনিময়ে স্ত্রীরা থাকবে রাজকণ্যা বা রানীর হালে ? এটাকে কি অনুগত থাকা বলে ? হিফাজত করা বলে স্বামীর সংসারের?

এটা আপনার চর্চা হতে পারে । বিয়ের পর একজন স্বামীর যেমন কর্তব্য থাকে স্ত্রীর উপর তেমনি একজন স্ত্রীরও কর্তব্য তার স্বামীর সংসারের হেফাজত করা , স্বামীর অনুগত থাকা ।

যে প্রহারে দাগ পড়ে না সেরকম প্রহারে অন্যায় শোধরায় না । আর যেখানে হিফাজত করা মানে শুধু স্বামীর খেদমত করা , সেটা স্বামীর অবর্তমানে কিভাবে সম্ভব ? এখানে স্বামীর অবর্তমানে হিফাজতের কথা বলা আছে । সেটা কিভাবে হতে পারে ?

অলস মষ্তিষ্ক যে শয়তানের কারখানা সেটা তো জানেন । এরকম একটা সুযোগ যাতে শয়তানের প্রভাব থেকে সে মুক্ত রাখতে পারে নিজেকে অবশ্যই আল্লাহর হেফাজতের মাধ্যমে।


স্বামীর মা-বাপের খেদমতটাও শরয়ী দায়িত্ব নয় স্ত্রীর উপর!


০ তবে কি স্বামীকে বাবা মায়ের খেদমত করা থেকে বাধা দেওয়াটা মহা শরিয়তি দায়িত্ব ? সেবা করাটা কি ঠিক নাকি বাধা দেওয়াটা ঠিক ?

আর সহমর্মিতা ও সামাজিকতার যে কথা বললেন সেটার বিপরীতে যে লাক্সারী নেয় সেটাকে কি বলবেন ? সেটা কি স্বামী দিতে বাধ্য শরিয়া মোতাবেক?

স্ত্রীর উপার্জিত কামাই-এ একমাত্র হক স্ত্রীদের! স্বামীর অনুমতি নিয়েই হোক না কেন!


০ অনুমতি না দিলে কি স্ত্রী করতে পারবে না ?



377195
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ০৪:১৮
কাহাফ লিখেছেন : আমি যে কথাগুলো বললাম তা শরিয়তি আইনি দিক!
স্বামী-র মা-বাপের খেদমতে বাধ্য নয় স্ত্রীরা,বাধা দিতে পারবে কেন?
"স্বামী অনুমতি না দিলে" এটা ব্যাখ্যা সাপেক্খ!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File