আর কত খুন করলে একজন সিরিয়াল কিলারের সাজা মওকুফ হবে না ?

লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ০২ আগস্ট, ২০১৪, ১২:২২:২২ দুপুর

কারাগারে থেকে বিয়ে করলেন তাহেরপুত্র বিপ্লব



কারাগারে বসেই বিয়ে করলেন লক্ষ্মীপুরের পৌর মেয়র আবু তাহেরের বড় ছেলে খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি এইচ এম বিপ্লব। গতকাল শুক্রবার এই বিয়ে হয়।

বিএনপির নেতা ও আইনজীবী নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় আদালত বিপ্লবকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছিলেন। অবশ্য পরে রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমায় বিপ্লবের এই ফাঁসির দণ্ড মওকুফ হয়। তবে শিবিরের নেতা এ এস এম মহসিন হত্যা মামলায় তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। বর্তমানে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে আছেন।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে জেলা কারাগার ফটকে বিপ্লবের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লামচরী গ্রামের পণ্ডিতবাড়ির মৃত আবুল খায়েরের মেয়ে সানজিদা খায়েরের ফোনে বিয়ে হয়। বর-কনে মোবাইল ফোনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন। এরপর নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) কারা ফটকে গিয়ে কাবিনে বর বিপ্লবের সই গ্রহণ করেন।

কারা সূত্র জানায়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তথা জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে এই বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়।

এ বিষয়ে গত রাতে মুঠোফোনে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক এ কে এম টিপু সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, কনের সম্মতি থাকলে কাজি সাহেব কারা ফটকে গিয়ে বরের সই নিয়ে বিয়ে পড়াতে পারেন। কারাবিধি অনুযায়ী, এ বিষয়ে অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিপ্লবের বাবা পৌর মেয়র আবু তাহেরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ অনুমতি দেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পরপরই কনেকে তাঁর বাড়ি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিপ্লবের বাবা আবু তাহেরের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আইনজীবী নুরুল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর লাশ কয়েক টুকরা করে মেঘনা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় আদালত তাহেরপুত্র বিপ্লবকে ফাঁসির দণ্ড দেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই সাজা মওকুফের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন বিপ্লব। ২০১১ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান মৃত্যুদণ্ড মাফ করে দেন।

পরের বছর রাষ্ট্রপতি আরও দুটি হত্যা মামলায় (মহসিন ও কামাল হত্যা) বিপ্লবের যাবজ্জীবন সাজা কমিয়ে ১০ বছর করেন।

এর আগে ২০০৯ সালে স্কুলছাত্র জাহিদ হত্যা মামলা ও এতিমখানায় অগ্নিসংযোগের মামলা থেকে বিপ্লবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা’ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে মামলা দুটি প্রত্যাহার করা হয়।

সূত্র : প্রথম আলো

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/280999

*******************************************************************************************************

এভাবে একজন খুনীকে বার বার ক্ষমা প্রদর্শন করা কি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সাথে যায় ?

এরকম সিরিয়াল কিলারকে ক্ষমা কেন করেন আমাদের রাষ্ট্রপতিরা ?

বিষয়: বিবিধ

১১৫৫ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

250075
০২ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭
আহ জীবন লিখেছেন : দুধ দেওয়া গরুর লাথি খাওয়া ভালো লাগে তাই গরুর বেছে থাকার জন্য ঘাস খাওয়ানো অপরিহার্য।
250084
০২ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
আহমদ মুসা লিখেছেন : এটা বাংলাদেশ এবং মুজিব তনয়া শেখ হাসিনার শাসন আমল। সুতরাং আইনের ব্যাখ্যা এবং তার প্রয়োগ নিয়ে কারো প্রশ্ন করার অধিকার থাকা উচিত নয়।
250092
০২ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:৫৯
সুন্দরের আহবান লিখেছেন : আওয়ামী সুশাসনে বাস করছেন। যে যত বড় কিলার,স্মাগলার,খুনী, ডাকাত, বাচাল, মিথ্যাবাদী সে তত বড় নেতা হবে। এটাই আওয়ামী গণতন্ত্রের নমুনা। কেন পত্রিকায় দেখেন নি স্বরাস্ট্রমন্ত্রী বিরোধি দলের কাউকে ঘর থেকে বের হতে নিষধে করেছেন। আর যদি বের হয় তবে এ কিলাররাই ব্যবস্থা নিবে।
250106
০২ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:৫৮
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এগুলো তো মনে হয় মূলা নয়, যে গন্ধ ছড়ালো আর একবারে তুলে খেয়ে হেগে দিলো!

এগুলো হচ্ছে বেগুন, বাচিয়ে রাখলে বে-গুনী ফল দিতেই থাকে, তাইতো এসবের এতো যত্ন!
250229
০২ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:০০
আফরা লিখেছেন : দারুন মজা তো .....শুনেছি কারাগারে বসে পরিক্ষা দেয়া যায় এখন বিয়ে ও করা যাবে এই না হলে মামাবাড়ি ।

মেয়েটা এখন খুন করে শশুর বাড়ি চলে যাক ।তার পর ওখানেই হবে .......।
250310
০৩ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:০৯
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : খুন.... খুন... খুন... m/m/m/ m/m/m/
251197
০৫ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:২১
জিসান লিখেছেন : ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File