বসন্তের লিলুয়া বাতাস

লিখেছেন লিখেছেন আহসান সাদী ১৯ মে, ২০১৫, ০৪:০১:৩২ বিকাল

আমার বন্ধু এনাম প্রতিটা বসন্তের মাতাল করা বিকেলে এস.এম.এস. করতো। তাগিদ দিতো বসন্তের এমন বিকেল যেনো বদ্ধঘরে না কাটাই। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাসের মনোরম প্রকৃতিতে বসন্ত-বাতাস তাই ছুঁয়ে যেতো আমার শরীরটাকে, মনকে তো অবশ্যই। বসন্ত মোটামুটি সবারই প্রিয় ঋতু। মনকে মাতাল করে দেয়া বসন্তের হাওয়া পুরোটা ঋতুজুড়ে একইভাবে পাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে একটানা তিন-চারদিন প্রকৃত বসন্তকে পাওয়া যায়, তারপর কিছুদিন প্রচন্ড গরম আবার কিছুদিন সেই মোহনীয় হাওয়া। এবারের বসন্তের প্রায় পুরোটা সময় আমি আছি হাওর এলাকাতে। বসন্ত এবার তাই বিস্তীর্ণ হাওরের মাঝে আরো বিপুলভাবে আমার কাছে ধরা দিয়েছে। প্রতিবছর বসন্ত উপভোগের তাগিদ দেয়া এনাম বাস করে সিঙ্গাপুরে। সেখানে এনামের প্রিয় বসন্তটা কেমন কে জানে!

বসন্ত শেষ হতে আর ক'টা দিন বাকী। বসন্তের শেষ দিকের এক দুপুরে হাওরের রাস্তার পাশে বসা ছিলাম। জনাবিশেক মানুষের একটা দল এগিয়ে আসছে। কাছাকাছি আসার পর বুঝলাম এটা একটা বরযাত্রীর দল। সামনে বর এবং তার পাশে বন্ধুস্থানীয় একজন লোক 'ইদ্রিস ছাতা' ধরে বরকে রোদের আড়াল করছে। হাঁটছে সাবাই। পেছনে আছে সাত-আটজনের একটা শিশু-কিশোরের দল এবং কিছু পুরুষ মানুষ। বরের পরনে সাদা রঙের উপর নীল স্ট্রাইপের একটা শার্ট আর একটা আকশী রঙের জিন্স প্যান্ট। জিন্স প্যান্টের মাঝ বরাবর ইস্ত্রির ভাঁজ আর হাঁটুর অংশ থেকে উরু পর্যন্ত সাদা রঙে ইরেজীতে লেখা 'ধুম-২'। পায়ে পুরনো স্যান্ডেল আর মাথায় একটা সস্তা পাগড়ী। হেঁটে যাওয়া বরযাত্রীর দলকে খানিকটা সময়ে ওই পর্যন্তই পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পেলাম। হাওরের অতি দরিদ্র মানুষের সাথে অনেক কাছে থেকে নিবিড়ভাবে মেশার অভিজ্ঞতার সাথে যদি কল্পনার রঙ লাগাই তবে পুরো চিত্রটা ধরা যাবে। বরটি নিশ্চিতভাবে একজন দিনমজুর অথবা জেলে হয়ে থাকবে। সরকারী খাসভূমি অথবা অন্যের জমিতে একটা একচালা তৈরী করে পুরো পরিবারের সাথে আটোসাঁটো সে হয়ে বসবাস করে। বিয়ের জন্য তাঁকে নিতে হয়েছে চড়া সুদে মহাজনী ঋণ। বিয়ের পরপরই তাঁকে আরেকটা ছোট্ট কুটির তৈরী করে আলাদা ঘর তৈরী করতে হবে। নিতে হবে আবারো চড়া সুদে মহাজনী ঋণ। যে নতুন বউ ঘরে আসবে সে তার বাবার চরম অভাবী সংসার ছেড়ে আরেক অভাবী সংসারে আরো কঠিন আর চরমভাবে অনিশ্চিত এক জীবনে পা রাখবে। তার সদ্যবিবাহিত স্বামী অভাবের তাড়নায় স্ত্রীকে যেকোনো সময় তালাক দিয়ে দিতে পারে। তখন মেয়ের বিয়ের জন্য বহু ঋণে জর্জরিত 'কণ্যাদায়মুক্ত' পিতা স্বামী-পরিত্যক্তা কণ্যার দায় নিতে থাকবে অক্ষম। মেয়ের তখন একটা শ্বাস-প্রস্বাসসর্বস্ব জীবন কেবল অবশিষ্ট থাকবে। এরকম চরম অনিশ্চিত জীবনের প্রবল সম্ভাবণা স্বত্ত্বেও এখানকার মনুষের জীবনে বসন্ত আসে। মনে লাগে মাতাল হাওয়া। জীবনের বসন্তকালে তারাও স্বপ্ন দেখে এক সুন্দর ভবিষ্যতের, সহনীয় মাত্রার দারিদ্রের সাথে একটা সুখী সংসারের।

বসন্তের এমন সময়ে আমার এক পরিচিতজনের জীবনেও বসন্ত এসেছে। সেই মেয়েটি আর আরো ক'জন, আমরা একসাথে চাকুরী করতাম জাতিসংঘের একটা সহযোগী প্রতিষ্ঠানে। তার বিয়ের প্রায় মাসদেড়েক আগে আমরা পুরনো কিছু সহকর্মী ঢাকার একটা আভিজাত ফাস্টফুড শপে খাওয়া-দাওয়া করছিলাম। জামিল প্রশ্ন করলো, 'তোমার বিয়ের কেনাকাটার কী খবর'? মেয়েটি উত্তর দিলো, 'চলছে মোটামুটি'। বিয়ের মাসদেড়েক আগেও পুরোদমে কেনাকাটা শুরু করতে না পারার ব্যর্থতায় দুজনেই বেশ চিন্তিত। আমার সাথে ভালো ফটোগ্রাফারের ব্যপারেও আলাপ চললো কিছুক্ষণ। বেশ ধুমধামের সাথেই পরবর্তীতে বিয়ের আয়োজন চলতে থাকলো। গায়ে-হলুদ, বিয়ে, বৌ-ভাত এবং আরো বিভিন্ন স্তরে সম্পন্ন হলো বিয়ের প্রক্রিয়া। অফিসের কাজে হঠাৎ ডাক পড়ায় ওই সময়টায় পূর্ণ ইচ্ছা আর সবধরণের প্রস্তুতি থাকার পরেও আমাকে কিশোরগন্জে যেতে হয়েছিলো। গায়ে হলুদে স্লাইড-শো প্রজেন্টেশনের মাধ্যমে কণের শিশুকাল থেকে বড় হওয়া অবধি তোলা অনেকগুলো ছবি দেখানো হলো। একসাথে কাটানো আমাদের ক্ষণকালের চাকুরী জীবনটাও সেই প্রজেন্টেশনে স্থান পেয়েছিলো। ধানমন্ডির একটি অভিজাত হলে বিয়ের অনু্ষ্ঠান সুসম্পন্ন হয়। ফেসবুকে ছবি দেখে আমি বিয়ের ধুমধামের কিছুটা আঁচ করতে পারি। সমৃদ্ধি আর প্রপ্তিতে পরিপূর্ণ অতীত পেছনে ফেলে সে শুরু করেছে আরো বেশী পরিপূর্ণ ভবিষ্যতের আশায় এক স্বপ্নীল যাত্রার। এবারের বসন্তের প্রায় প্রারম্ভে আমার একসময়ের সহকর্মী মেয়েটি জীবনের বসন্তকে বরণ করে নিয়েছিলো মহা ধুমধামের সাথে।

এবারের বসন্তে এই দুটি বিপরীত জায়গায় জীবনের বসন্তকে বরণ করার প্রক্রিয়ার আংশিক দর্শক হিসেবে অনেক চিন্তা ভীড় করছিলো মাথার ভেতর। অর্থনীতির পেছনের সারির নিয়মিত ছাত্র হওয়ার পরও আমার চিন্তায় খেলা করতে থাকে দারিদ্রকে 'জাদুঘরে' পাঠিয়ে দেবার সেইসব দৃপ্ত কথাগুলো, চোখে ভেসে আসে পত্রিকা পড়তে শেখার বয়স থেকে আজ পর্যন্ত সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিভিন্ন নেতাদের অভিন্ন উক্তি, 'দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে'। আমার কানে বাজে দাতাগোষ্ঠীর পিঠচাপড়ানো বুলি, 'বাংলাদেশ অমিত সম্ভাবনা আর মানবসম্পদে সমৃদ্ধ এক দ্রুত উন্নয়নশীল দেশ'। চোখে সর্ষেফুল দেখার মতো আমি দেখি কেবলমাত্র সায়েন্টফিক ক্যালকুলেটরে হিসাবযোগ্য অংকে রাজনৈতিক নেতা আর ব্যবসায়ীদের দূর্নীতির ওপর প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন। অর্থনৈতিক বৈষম্যের এমন করুণ বাস্তবতায় আমার চিন্তায় ভেসে ওঠা এসব বিষয়গুলো যেনো এক বর্বর প্রহসন।

শিবপাশা নামক এলাকায় জীর্ণ চায়ের দোকানে বসে ভাবছিলাম এসব কথা। চায়ের দোকানের পাশেই বিস্তীর্ণ হাওর। মৃদুমন্দ হাওয়া বইছে। জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছি বাইরের দিকে। হাওরের ওপর দিয়ে উড়ে এসে আমার গায়ে লাগছে মনকে মাতাল করে দেয়া বসন্তের লিলুয়া বাতাস।

'বসন্তের লিলুয়া বাতাস' শিরোনামে আমার লেখাটা এখানেই সমাপ্ত।

এই লেখাটা লিখেছিলাম ২০১২ সালের এপ্রিলে। আমি তখন হাওরে চাকুরি করতাম। এর অনেকদিন পরে এই লেখাটা ফেইসবুকে শেয়ার করেছিলাম। তখন লেখার ভূমিকায় কিছু কথা লিখেছিলাম। সেই কথাগুলো আমার মনে হলো এখানে সংযোজন করে দেয়া প্রয়োজন। এই পোস্টের বাকী অংশটা তাই 'বসন্তের লিলুয়া বাতাস' অংশের ভূমিকা নয় কেবল, বরং অন্য কিছু, আমি নাম দিতে পারছি না। প্রাসঙ্গিক সংযোজন বলা যেতে পারে।

নোটটা বেশ অনেকদিন আগে লেখা। আমি যখন হাওরে চাকুরী করতাম, সেই সময়টায়। হাওরের সহজিয়া জীবন আর ব্যতিক্রম দৃষ্টিভঙ্গি আমার জীবনে একটা ভালো প্রভাব ফেলেছে। একদম গ্রাউন্ড লেভেলে জীবনকে নিয়ে চিন্তা করার বিষয়ে হাওরে কাটানো আমার সাড়ে চার মাস মোটামুটি একটা বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রির মতো ছিলো। আমি কত মানুষের সংস্পর্শে এসেছিলাম, তার সবটা মনেও নেই।

সিনিয়র কলিগ প্রদীপদার সাথে ছিলো আমার বেশ ভাব। কিশোরগন্জের ইটনা উপজেলার এক গ্রামে একজনের বাড়ীতে দাওয়াত খেতে গেলাম। প্রদীপদার পরিচিত লোক, পেশায় হাতুড়ে ডেন্টিস্ট। উনার বাড়ীতে কী নিদারুন দারিদ্রের মধ্যে সে কী আপ্যায়ন! দেশী মোরগের তরকারী, মাছ দিয়ে কয়েকপদের তরকারী, ডাল, সবজি এবং আরো কিছু। চলে আসার আগে আয়োজনের সীমাবদ্ধতার জন্যে সেই লোকটার বিনম্র ক্ষমাপ্রার্থনা আমার ভদ্রতাজ্ঞানের ভিতটাই নড়িয়ে দিয়েছিলো। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষগুলোই এমন। বড় সহজ আর দিলখোলা। এমন আরো অনেক অনেক দিলখোলা, অমায়িক আর আন্তরিক লোকের কাছে আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ।

আমাদের অফিসের হয়ে কাজ করতো একজন লোক। আব্দুল কুদ্দুস নাম। হওরের এক অতি প্রত্যন্ত এলাকা ছিলো মানুষটার কর্মক্ষেত্র। সেই এলাকাতে আমাকে একদিন ফিল্ড ভিজিটে যেতে হয়েছিলো। সেইদিন ইউনিয়ন পরিষদের টিউবওয়েল থেকে কয়েকঢোক পানি পান করার প্রায় সাথে সাথে আমার পেটের পীড়া শুরু হয়ে গেলো। আব্দুল কুদ্দুস কাজ করতো সেখানে। কী এক অসুখ যে তার হলো! পেটের পীড়া, ডাক্তার বলে আলসার, কখনো বলে অন্যকিছু। চিকিৎসাটা ভালোভাবে শুরু হবার আগেই লোকটা মারা গেলো। বয়স তার আমার চাইতে কমই হবে। বিয়ে করেছিলো মারা যাবার কিছুদিন আগে। লোকটা ফিল্ডে কাজ করতে গিয়ে একদিন এক বৃদ্ধা মহিলাকে একশ টাকা দিয়ে এসেছিলো। কতই ছিলো তার নিজের বেতন! আমি তো জানি। আব্দুল কুদ্দুস লোকটা ছিলো ভীষণ পরহেজগার। নামায পড়তো সবসময়, মুখে ছিলো দাঁড়ি আর ছিলো অন্যের মন ভালো করে দেয়া মিষ্টি হাসি। সে যখন উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়, আমি এবং অফিসের ম্যানেজার তাকে দেখতে যাই। সে ঘুমিয়ে ছিলো তখন। পাশে ছিলেন তার বৃদ্ধ বাবা। তার বাবার মায়াবী চেহারাটা আমি মনে হয় কখনো ভুলতে পারবো না। ধবধবে সাদা চুল-দাড়ি, অসম্ভব অমায়িক ব্যাবহার আর আলাপে জানলাম উনি সন্তানের অসুস্থতায় ব্যকুল নন। আল্লাহর ইচ্ছার উপরে তিনি সর্বদা সন্তুষ্ট। এই মানুষটার বড় সন্তান ছিলো আব্দুল কুদ্দুস। আমি চাকুরি ছেড়ে দেয়ার পর জানলাম সে মারা গেছে। আল্লাহ তার নববিবাহিতা স্ত্রী, বয়োবৃদ্ধ বাবা এবং তার আরো যারা স্বজন আছেন তাদেরকে কবুল করুন।

সেই হাওরে আমার এক কলিগ ছিলেন। নাম বলছি না। উনার ছেলের বয়স পাঁচ-ছয় হবে। কী জানি এক কঠিন রোগ আছে তার। প্রতিমাসে রক্ত বদলাতে হয়। তার এই রোগ নাকি সেরে যাবার নয়। সিঙ্গাপুর নিয়ে গেলে অবশ্য সেটা সম্ভব। তাতে চল্লিশ লাখ টাকার মতো লাগবে। আরো বেশী হয়তো। সেই ছেলেটার সাথে আমার বেশ ভাব ছিলো। তার নাম ছিলো মিরাজ। বাবা-মা তার চিকিৎসা করতে অক্ষম। ডাক্তারের হিসেব অনুযায়ী মিরাজ বেশীদিন বাঁচবে না। অদ্ভুত এক অপেক্ষায় তাই কাটছে বাবা-মায়ের দিনগুলো। চোখের সামনে হেসে খেলে বেড়ানো ছেলেটার চিকিৎসা করানোর অক্ষমতা আর একটা করুণ পরিণতির জন্যে বিষাক্ত অপেক্ষায় উনার মানসিক অবস্থাটা কেমন এরকম কোনো প্রশ্ন করার সাহস আমার কখনো হয় নি। তবে যতটুকু দেখেছি, সব দুঃখ একপাশে রেখে সেই মানুষটা সদা হাস্যোজ্বল এবং অতি অন্তরিক একজন। কী কঠিন এই কাজটা কিন্তু কত সহজেই তিনি ছালিয়া যাচ্ছেন!

আমার ক্ষুদ্র জীবনে এমন অনেক স্মার্ট লোকের সাথে আমি মেশার সুযোগ পেয়েছি। হাওরের সেই হাতুড়ে ডেন্টিস্ট, আব্দুল কুদ্দুসের বাবা কিংবা আমার সেই কলিগ, এদের মতো স্মার্ট মানুষ কোনো প্রতিষ্ঠানের গড়া নয়। তারা হলেন প্রকৃত স্মার্ট। আমার সাড়ে চার মাসের হাওর জীবনটা যদি জীবন সম্পর্কে আমার গভীর জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে একটা বিশ্ববিদ্যালয় হয় তবে এইসব স্মার্ট লোকজন আমার একেকজন অধ্যাপক। আমি আনন্দিত এমন স্মার্টদের ছাত্র হতে পেরে।

সর্বশেষঃ

১. জানতে পারলাম মিরাজ ছেলেটা মারা গেছে।

২. আমার বন্ধু সিঙ্গাপুর ছেড়ে এখন যুক্তরাস্ট্রে বসবাস করছে।

বিষয়: বিবিধ

১৬০৩ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

321030
১৯ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:২৩
চোথাবাজ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৯ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:২৫
262158
আহসান সাদী লিখেছেন : লম্বা লেখাটি ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্যে আপনাকেও ধন্যবাদ।
321051
১৯ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩২
রাইয়ান লিখেছেন : আপনার লেখাটি খুবই ভালো লাগলো। বসন্তের লিলুয়া বাতাসে পাগল হওয়াদের মধ্যে আমিও একজন। হাওরের এক বরযাত্রী এবং তাদের জীবন ছবিটি এত সুন্দর এঁকেছেন যে পড়া শেষ হবার পরও মুগ্ধতাবোধ অনেকক্ষণ ছড়িয়ে ছিল মনে !

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
১৯ মে ২০১৫ রাত ০৯:১৬
262199
আহসান সাদী লিখেছেন : ভালো তো! বসন্ত খুঁজে পাওয়া একটা কঠিন কাজ। সবাই টের পায় না।

আপনাকে ধন্যবাদ, ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্যে।
321059
১৯ মে ২০১৫ রাত ০৮:১৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : হৃদয়ছোঁয়া পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। কর্মসুত্রে সিলেট- ময়মনসিং অঞ্চলের হাওর এরাকায় গিয়েছি অনেক। ২০০৫ সালের বন্যায় হাওর এর রুদ্ররুপ দেখার অভিজ্ঞতাও আছে। দেখেছি হাওরের প্রাক্তন এক লাঠিয়াল কে যে সব হারিয়েছে।
তবে একটা কথা বলতেই হয় সিলেট অঞ্ঝলে বিয়ে শাদিতে খুব অপচয় করা হয়। সম্ভবত এটা সেই মহাজন দের তৈরি সামাজিকতা ।
২০ মে ২০১৫ সকাল ১০:০১
262275
আহসান সাদী লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ, লম্বা লেখাটি পড়ার জন্যে। হাওরের রূপটা একদমই আলাদ।

হাহাহা, বিয়ে-শাদীতে সবখানেই অপচয় করা হয়। আমি যার বিয়ের কথা বললাম, সে আমার একসময়ের সহকর্মী ছিলো এবং সে ছিলো ধানমন্ডির মেয়ে। তার মূল বাড়ী সিলেটে না। তবে আপনার কথা আমি অস্বীকার করছি না। সিলেটে অনেক বিয়েতেই অপচয় হয়।
321065
১৯ মে ২০১৫ রাত ০৮:২৮
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : অনেক সুন্দর কাহিনী! হৃদয়স্পর্শী ! ধন্যবাদ।
২০ মে ২০১৫ সকাল ১০:০২
262277
আহসান সাদী লিখেছেন : কাহনী তো অনেকগুলো, আপনার কোনটা ভালো লাগলো!

যাইহোক, আপনাকে ধন্যবাদ।
২০ মে ২০১৫ সকাল ১১:২৪
262294
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : স্বাগতম, সুস্বাগতম!!
321072
১৯ মে ২০১৫ রাত ০৮:৫৫
আফরা লিখেছেন : লেখাটা বড় হলে কি যেন একটা আকর্ষন আছে শেষ না করে পারলাম না । রাধুঁনী ভাইয়া লেখাটা খুব ভাল হয়েছে কিন্তু আমি সুন্দর করে কমেন্ট করতে পারলাম তাই মনের মাঝে একটা অতৃপ্তি রয়ে গেল ।

লেখায় লবন বেশি হয়নি একেবারে পারফেক্ট হয়েছে ।ধন্যবাদ রাধুঁনি ভাইয়া ।
২০ মে ২০১৫ সকাল ১০:০৫
262278
আহসান সাদী লিখেছেন : কথায় আছে, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। আমার লেখাটা পুরনো, তাই হয়তো লবন-টবন সব ঠিক আছে!

লেখার কোন অংশটা বেশী ভালো লেগেছে?
321082
১৯ মে ২০১৫ রাত ০৯:৫০
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।

৫ মিনিট আগেই পুত্র এবং তাঁর পিতাজ্বির অপেক্ষায় বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম । সামনের বাগানের ঘন সবুজ গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে পরামানন্দে বাতাসের সাথে সুখানন্দে নড়ে যাওয়া পত্র পল্লবীর মিতালী দেখতে দেখতে বষন্তের বাতাসে দোলায়িত হচ্ছিলাম আমি নিজেও! এই বাতাসটাকে চোখ বন্ধ করে গ্রহন করতে, ঘ্রান নিতে খুব খুব ভালো লাগে!

ব্লগ ওপেন করেই আপনার লিখাটা পড়লাম, আবারো ভালোলাগায় আপ্লুত হলাম! চমৎকার শিরোনাম এবং বাস্তব ঘটনাগুলোর প্রবাহে মনের মাঝে এখনো বষন্তের লিলুয়া বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে!

মিরাজকে আল্লাহ জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করে নিন! ওর পিতামাতাকে যথাযোগ্য পুরুষ্কারে ভূষিত করুন! আমীন।

আপনার বন্ধুর জন্য শুভকামনা রইলো!

আরো লিখুন, বেশী বেশী সুন্দর লিখা উপহার দিন - এই শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো! Good Luck
২০ মে ২০১৫ সকাল ১০:১৩
262279
আহসান সাদী লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি একটা বিশেষ কারণে। আপনার মন্তব্যগুলো খুব লাইভ। মনে হয় যেনো সরসসরি আলাপ করছি। দায়সারা মন্তব্য ব্লগের আকর্ষণ নষ্ট করে। ব্লগ বিষয়টাই যেখানে ইন্টারঅ্যাকশনের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে সরব উপস্থিতি যদি না থাকে তবে ব্লগিংয়ের কি লাভ, ফেইসবুকই তো এর চাইতে ভালো। যাইহোক,আপনাকে ধন্যবাদ আবারও।

লেখাটা যখন ফেইসবুকে শেয়ার করি তখন একজন সাবেক সহকর্মী মন্তব্যে জানিয়েছেন মিরাজ ছেলেটা মারা গেছে।

মিরাজকে আল্লাহ জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করে নিন! ওর পিতামাতাকে যথাযোগ্য পুরুষ্কারে ভূষিত করুন! আমীন।

আপনি সহ সবাই দোয়া করবন আমার জন্যে প্লিজ। শুভকামনা আপনার জন্যেও। Good Luck
321136
২০ মে ২০১৫ রাত ০৩:৫৯
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ভালো লাগলো প্রানবন্ত উপস্থাপনায় আপনার প্রিয় ব্যাক্তিদের কথা জেনে। শিরোনামটাও চমৎকার
Good Luck
২০ মে ২০১৫ সকাল ১০:১৭
262280
আহসান সাদী লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ। শিরোনামটা আমারও বিশেষ পছন্দের। আমার হাওরজীবনে এক সহকর্মী ছিলেন বাংলায় অনার্স পাশ। উনাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম লিলুয়া বাতাসের অর্থটা জেনে দেবার জন্যে। উনার বাড়ী হাওর এলাকায়। লিলুয়া হাওরের শব্দ।

আপনাকে ধন্যবাদ।
321179
২০ মে ২০১৫ দুপুর ১২:০১
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ’লিলুয়া’ শব্দটির মধ্যে কেমন যেন একধরণের আকর্ষণ অনুভূত হয়। চট্টগ্রামের গেঁয়ো গীতির ভাষায় এটাকা ’নিলুয়া’ বলতে শুনেছি।

চমৎকার একটি লেখনি,যা পড়তে পড়তে সামনে বাড়ার যথেষ্ট প্ররণা জাগ্রত হয়।
শুভ কামনা আপনার জন্য।
২০ মে ২০১৫ দুপুর ০২:০৭
262331
আহসান সাদী লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম,

লিলুয়া শব্দটা হাওর অঞ্চলের শব্দ। আমার সহকর্মীদের কাছে শুনেছি লিলুয়া বাতাস মানে হলো হাওরের উপর দিয়ে ভেসে আসা মৃদুমন্দ বাতাস। যদি এটাই লিলুয়া বাতাস হয় তবে বিশ্বাস করুন এর চমৎকার পরশ অন্য কোথাও নেই।

আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। এগিয়ে যাওয়ার জন্যে সিনিয়রদের উৎসাহ নিঃসন্দেহে অনেক মূল্যবান। অনেক অনেক ধন্যবাদ এখানে আসার জন্যে।

আপনার জন্যেও অনেক শুভকামনা থাকলো। দোয়া করবেন আমার জন্যে।
321214
২০ মে ২০১৫ দুপুর ০১:২১
নন্টে ফন্টের মামু লিখেছেন : আঁই নন্টে ফন্টের মামু। আঁই এক্কেরে লতুন আইচি। আঁই আন্নের বন্ধু হবার চাই। আন্নে কি আমারে এইহানে গিয়া দেইখ্যা আইবেন?
২০ মে ২০১৫ দুপুর ০২:২১
262334
আহসান সাদী লিখেছেন : দেখে আসলাম তো। আপনার ছড়ার হাত ভালো। লেখার ধরনটা সাবলীল। আবারও স্বাগত জানাচ্ছি এই ব্লগে।
২০ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:০৪
262354
নন্টে ফন্টের মামু লিখেছেন : ধইন্যেবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File