উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের বৌদ্ধমন্দিরের পাশের একটি খাল থেকে উদ্ধার নাটকের নির্মাতাদের সাজানো নাটক নতুন নয়।

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১৯ জুন, ২০১৬, ০১:২২:৫১ দুপুর



উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের বৌদ্ধমন্দিরের পাশের একটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ। পুলিশ ও র‌্যাবের উপস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সেগুলো উদ্ধার নাটক দেখে অবাক হইনি।

বাংলাদেশের এই নাটকের নির্মাতাদের সাজানো নাটক নতুন নয়।

একটি খাল থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার টিভিতে দেখে মনে হয়ছে এরা মাছ ধরছে।

অজ্ঞাত ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার প্রক্রিয়ায় নাটকটি সাজানো প্রমাণিত হয়েছে।

সাঁড়াশি অভিযানের নামে বিরোধী দল-মতের লোক ও নিরীহ মানুষকে গ্রেপ্তার করে যদি দেশে বিদেশে বিতর্ক তৈরী হয় , তাহলে পাল্টা জবাবের জন্য আওয়ামীলীগের পুলিশ ও র‌্যাবের নাটক।

বেশির ভাগ অকেজো অস্ত্র সরবরাহ করে পুলিশ ও র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগ।

আসুন দেখে নেই নাটকের নির্মাতাদের অভিনয়ের সংলাপ -

র‌্যাব-১ এর উপ-অধিনায়ক কাজী মো. সোয়ায়েব জানান, এই খালটি তুরাগ নদীর একটি শাখা। উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের ভেতরে পড়েছে খালটি। খালের পাশেই বড় সড়ক। খালে ১০ থেকে ১৫ ফুট পানি রয়েছে।

ডিএমপির ডিসি (উত্তরা) বিধান ত্রিপুরা বলেন, ‘সাঁড়াশি অভিযানের কারণে এ জায়গাটি নিরাপদ মনে করে অস্ত্রগুলো ফেলে যাওয়া হতে পারে।’

দমকলের পরিচালক (অপারেশন) একেএম শাকিল বলেন, 'খবর পেয়ে প্রথমে আমাদের দু’টি ইউনিট এসেছিল। পরে পর্যায়ক্রমে আরো সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। এছাড়াও কয়েকটি বোট আনা হয়েছে। রাতের কারণে কিছু লাইটও আনা হয়েছে। অভিযান অব্যহত রয়েছে।’

বৌদ্ধমন্দিরের পাশে বিপুল অস্ত্র সন্ধানের নেপথ্যে সাজানো নাটকের দৃশ্য

আগে থেকেই পুলিশ ও র‌্যাবের উপস্থিতিতে কয়েকটি সচল , বাকি সব অকেজো , নষ্ট , অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ কিছু খেলনার অস্ত্র ও উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের বৌদ্ধমন্দিরের পাশের একটি খালে ফেলা হয়েছিল।

সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া -

এক মিনিট্রাক ড্রাইভার বলেন, ‘হাউজবিল্ডিং থাইক্কা এইখানে আইতে তিনবার পুলিশ আটকাইছে। যারা আকাম করে তাদের ধরতে পারে না। হুদাই আমাগো জ্বালায়!’

এতগুলো অস্ত্র নিয়া খালের কাছে চলে গেল আর পুলিশ কি না পরে খবর পাইছে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় শুধু শুধু মানুষকে তল্লাশি করে। তাইলে ওদের আটকাইতে পারলো না।

নাটকের শুরু যেমন , সেই সাথে মিডিয়ার কারসাজি -

শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তুরাগ থানা এলাকা দিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একজন কনস্টেবল স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। ষোলহাটিতে পৌঁছলে তার সন্তান প্রস্রাব করতে চায়। তাই কনস্টেবল মোটরসাইকেলটি দাঁড় করিয়ে শিশুটিকে নিয়ে তখন খালের পাড়ে যান।

তখনই তিনি লক্ষ্য করেন খালের পাড়ে একটি নম্বরবিহীন কালো রঙের পাজেরো গাড়ি দাঁড়ানো অবস্থায়। ওই গাড়ি থেকে তিনজন লোক তাড়াহুড়ো করে কিছু ট্রাভেল ব্যাগ নামাচ্ছে। বিষয়টি সন্দেহ হলে তিনি দ্রুত তুরাগ থানার ওসি মাহবুবে খোদাকে ফোন দিয়ে তা জানান। কিছুক্ষণ পরই ওসি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই তিনজন খালের পাড়ে ব্যাগগুলো ফেলে গাড়িতে করে পালিয়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে - পুলিশ ও র‌্যাবের উপস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সেগুলো উদ্ধার করলেও এর নেপথ্যে ছিলেন এক পুলিশ কনস্টেবল। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তার পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।

উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের বৌদ্ধমন্দিরের পাশের সব সিসিটিভি ক্যামেরা কি গত এক সপ্তাহ কার্যকর ছিল ? উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে কিছু পাবে না , কারণ যখন এই অকেজো অস্ত্র আনা হয় তখন বন্ধ রাখা হয়েছিল।

এর পর বলা হচ্ছে একটি নম্বরবিহীন কালো রঙের পাজেরো গাড়ি। বতর্মান সময়ে পুলিশ ও র‌্যাবের উপস্থিতিতে একটি নম্বরবিহীন কালো রঙের পাজেরো গাড়ি রাজধানীতে চক্কর দেয়ার সাহস কারই নাই।

বিষয়: বিবিধ

১২৯১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

372483
১৯ জুন ২০১৬ দুপুর ০২:৩৫
হতভাগা লিখেছেন : বছর কয়েক আগে র‍্যাবও হবিগন্জের গহীন বন থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করেছিল
372486
১৯ জুন ২০১৬ দুপুর ০৩:২০
বিবেক নাই লিখেছেন : হায়! বৌদ্ধ মন্দিরের জায়গায় আজ যদি কোন মাদ্রাসা হত...?
372500
১৯ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০৯
শেখের পোলা লিখেছেন : আজকাল যত নাটক হয় সবই সিরিজ নাটক। সরকারই শুধু একক নাটকের প্রজোজনা করে আমাদের বিনোদন দিয়ে চলেছে। জিতে রহো সরকার।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File