এক বে-আক্কেল রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছিল , পাকিস্তানিদের তালিকায় ও আওয়মীলীগ শীর্ষে

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০১:৫৯:৪২ দুপুর



প্রথমে মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন তালিকা করতে গিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলে। সোনার বদলে পিতল দিয়ে সারা দুনিয়াকে বলবো বাংলাদেশ অর্থ চোরের দেশ।



বে-আক্কেল মন্ত্রণালয় থেকে এক বে-আক্কেল রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছিল , পাকিস্তানিদের তালিকায় ও আওয়মীলীগ শীর্ষে





ক্রেস্ট জালিয়াতির জন্য জালিয়াতি চক্ররের জোটকে আটক করা হয় নাই। এটাও চেতনার একটা অংশ ?

জনপ্রশাসনের ছয় সচিব, শীর্ষ কর্মকর্তাসহ প্রায় তিন হাজার ব্যক্তির ভুয়া সনদ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয় ২০১৪ সালে। এঁদের বেশির ভাগই সনদ নিয়েছিলেন ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ছিল। তাঁদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে আইনি ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। কিন্তু গত ছয় বছরে কোনো মামলা হয়নি। এ ছাড়া চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করেননি, অথচ পরে সনদ নিয়েছেন, এমন অভিযোগ পাওয়া যায় এক সচিবসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।( পত্রিকায় প্রকাশিত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ )

সমাবেশে মন্ত্রী

১৯ ডিসেম্বর ২০১৯,

জনগণের ৬০ কোটি টাকা খরচ করে এখন আবার ফরমায়েশি তালিকা করা হবে ?আ’লীগের ভেতরে থাকা রাজাকারদেরও তালিকা কাটাছেড়া করা হবে। এখন আ.লীগকে দেখলে লোকজন বলবে ‘তুই রাজাকার’:



তাহলে কেন তালিকা স্থগিত নতুন তালিকা ২৬ মার্চ ?

জানালেন, ‘রাজাকারের তালিকাটি আমরা করি নাই -পাকিস্তান করেছে।’

তালিকাটি যদি পাকিস্তান করে থাকে, তাহলে তালিকা তৈরীর জন্য ৬০ কোটি টাকা কিভাবে খরচ হলো?



কি চমৎকার লেন্দুপ চেতনার মেশিন।

ধরা পড়লেই সংশোধনের নির্দেশ, সেই সাথে বর্বর ইতরের মতো হুঙ্কার দিয়ে বলে আর কথা না।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত রাজাকারের তালিকা নতুন করে যাচাই-বাছাই করে সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা । এমন তথ্য জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে দলের জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজাকারের তালিকায় ভুল-ত্রুটি নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনা ও এ তালিকা নতুন করে যাচাই-বাছাই করে সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং এটি নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই।



আর কত পল্টিবাজি ? এখন কি ডিজিটাল আইনের মামলা হবে না ?

শতভাগ নিশ্চিত হয়েই গেজেট প্রকাশ করেছেন সরাসরি সাংবাদিকদের বললেন আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। বাংলাদেশের সকল জাতীয় পত্রিকায় খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। এর পর এখন কেন থুক্কু , দুঃখিত , তালিকা প্রত্যাহার নাটক কেন ?

জাতির সাথে এসব তামাশা সেই ১৯৭২ থেকেই করে যাচ্ছে আওয়ামীলীগ। সময়ের সাথে সাথে আওয়ামীলীগ ৭১ সালের বাণিজ্য করেই যাচ্ছে। যখন প্রমান সহ ধরা পড়ে তখন থুক্কু , দুঃখিত বলেই যাচ্ছে।

৭১ এর তালিকা যদি ঠিক থাকে তাহলে কেন কাটাছেড়া ? আওয়ামী বাম ও বিশেষ কয়েকটি জাতি ধর্মকে সুবিধা দেয়ার জন্য সুবিধামতো কাটাছেড়া শুরু করেছিল আওয়ামীলীগ ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত। যার পরিণতি ভোগ করতেছে বাংলাদেশ।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় গত রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি পর্যালোচনা করে প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে। যাচাই-বাছাই করে ধাপে ধাপে আরও তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে সেদিন জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। মন্ত্রী আরও বলেন, যারা ’৭১ সালে রাজাকার, আলবদর, আলশামস বা স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে পাকিস্তান সরকার কর্র্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন এবং যেসব পুরনো নথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত ছিল, সেটুকু প্রকাশ করা হয়েছে।

পাকিস্থানের তালিকা অনুযায়ী যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্য থেকে সুবিধা মতো নাম কাটাছেড়া করেই কি আবার প্রকাশ ?

পাকিস্তানের তালিকা এতদিন ছিল চেতনার ভাষণের বাইবেল , যা কেউ একটু বদলানোর কথা বললেই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হতো।

এখন কেন কেটাছেড়া করা হবে ?

মুখোশ খুলে গেলেই পল্টিবাজি কেন ?

বিষয়: বিবিধ

১১৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File