পুলিশের নির্মম নির্যাতনের বিচার হয় না। কারণ চেতনার বাজারের পুলিশী নির্যাতন বৈধ।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২১ নভেম্বর, ২০১৩, ০৪:৫৭:৫৯ বিকাল
মনে আছে - পুলিশের নির্যাতনের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আবদুল কাদেরের কথা ?২০১১ সালের ২৭ জুলাই অনেক পত্রিকাতে ‘সবাই বলছে ভালো, পুলিশ বলছে ডাকাত’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বলছি -
আবদুল কাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের ২০২ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়।
২০১১ সালের ১৫ জুলাই রাতে হলি ফ্যামিলি স্টাফ কোয়ার্টারে খালার বাসা থেকে হেঁটে হলে ফেরার পথে সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ের সামনে থেকে কাদেরকে আটক করে খিলগাঁও থানার পুলিশ। তাঁকে বেদম মারধর করা হয়। পা ভেঙ্গে দেয়া হয়। পুলিশ তাঁকেসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে পরদিন ৩৯৯/৪০২ এবং অস্ত্র আইনের ১৯-এ ধারায় মামলা করে। তাঁকে আদালতে পাঠালে আদালত কারাগারে পাঠান। কিন্তু অস্ত্র কোথায় ?
আবদুল কাদের ৩৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁকে শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্মকমিশন সুপারিশ করেছে।
কাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগ থেকে গত বছর স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন।
এক আব্দুল কাদেরের কথা এই পর্যন্ত। কিন্তু এমন হাজার মেধাবী ছাত্রকে সরকারী ও সরকারের মদদ পুষ্ট বাহিনী গুম করেছে , হত্যা করেছে , অনেকের লাশ বেওয়ারিশ হিসাবে নদী , নালা , জঙ্গলে পাওয়া গেছে , এখনো পাওয়া যাচ্ছে। এরা অনেকে এই আব্দুল কাদেরের মত জাতির জন্যে কাজ করতে পারতেন। পিতা মাতার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারতেন। কিন্তু না , হচ্ছে না , সরকার , তাদের প্রসাশন প্রতিদিন গুম করে ফেলছে মেধাবী তরুনদের।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক মেধাবীর আজও পথ চেয়ে আছেন তার স্বজনেরা। বাংলাদেশের এমন কোনো কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বাকি নেই , সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে গুম করা হয়েছে জাতির মেধাবী ছাত্রদের। হত্যা করা হয়েছে অনেককে। আবার মিথ্যা মামলা দিয়ে দিনের পর দিন রিমান্ডে নিয়ে পঙ্গু করা হয়েছে , হচ্ছে। থানার বারান্ধায় হাত কড়া লাগানো অবস্থায় গুলি করা হয়েছে , হচ্ছে। তার পর ও আমাদের কতিত চেতনা , চেতে না। চেতনা কথা বলে না। বিবেককে বিসর্জন দেয়া হয়েছে ধিকৃত ক্ষমতার আবরণে।
বিষয়: বিবিধ
১৪৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন