রোহিঙ্গাদের জন্য যা করার তা করতে হবে বাংলাদেশকে এবং বাংলাদেশের মানুষদেরকেই

লিখেছেন লিখেছেন পটাশিয়াম নাইট্রেট ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৬:৩৩:৫০ সকাল

মায়ানমারে চলমান গণহত্যা অব্যাহত থাকলে অচীরেই আরাকান রোহিঙ্গা শুণ্য হবে। বাংলাদেশ সরকার চাক বা না-চাক সব রোহিঙ্গাই কিন্তু বাংলাদেশে ঢুকবে। বাংলাদেশের মানুষ মানবিক কারণেই দু-হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। দেবেই বা না কেন? একেতো মুসলমান, দেখতে একই রকম, পোষাক একই রকম, ভাষা ও প্রায় বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকা গুলার মতন। কি করে এই মানুষগুলাকে নিশ্চিৎ মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবে বাংলাদেশের মানুষ?

লক্ষ-লক্ষ অশিক্ষিত- অদক্ষ রোহিঙ্গা অবশ্যই ভবিষ্যতে কিছু সামাজিক সমস্যার কারণ হবে।বাংলাদেশ তাদের না পারছে ঠেকাতে, না পারছে ঠেলে দিতে।

তাই বাংলাদেশকে স্বাধীন আরাকান আন্দোলনকে স্পন্সর করে (গোপনে হলে ও), যুবকদের ট্রেনিং এবং অস্ত্র দিয়ে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। ক্রম-বর্ধমান সামরিক শক্তি অর্জন করে মায়ানমার ভবিষ্যতে অবশ্যই ভারতের মত সীমান্তে আগ্রাসী আচরণ করবে। তাই মাঝখানে একটা ফ্রেন্ডলী রাষ্ট্র বাফার জোন হিসেবে বাংলাদেশের রক্ষা কবচ হবে।

বাংলাদেশের বাজার-বৃদ্ধি এবং অন্যান্য বিষয় গুলা নাই বা উল্লেখ করলাম।

স্বাধীন আরাকানের বিষয়ে আমাদেরও আওয়াজ তোলা দরকার। রোহিঙ্গাদের মৌলিক প্রয়োজন খাদ্য-বস্ত্র ,চিকিৎসা আর আশ্রয়ের সাথে দরকার অস্ত্র আর ট্রেনিং।

বিষয়: বিবিধ

১০২২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383937
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সকাল ১১:১৩
হতভাগা লিখেছেন : রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশ দ্বিমুখী বিপদে পড়বে ।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলে /লোড নিলে মায়ানমার অখুশী না হলেও ভারত ক্ষেপে যাবে কারণ রোহিঙ্গারা মুসলমান ।

আর রোহিঙ্গাদের লোড না নিলে মায়ানমার বাংলাদেশের আকাশে চপার উড়াতে থাকবে ।

বাংলাদেশের মত পরনির্ভরশীল নতজানু পররাষ্ট্রনীতি সম্পন্ন একটা দেশ এসবের সমাধান করতে ভারতেরই দারস্থ হবে । ভারতের কথা শুনলে মুসলমান রোহিঙ্গাদের উপর মায়ানমারের নির্যাতন চোখ বুঝে দেখতে হবে ।

বাংলাদেশের যে ভৌগলিক অবস্থান এবং স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের লিডারদের যেসব মন মানসিকতা সে হিসেবে ধরে নেওয়া যায় যে ভারত বা মায়ানমার কাউকেই চটাতে চাইবে না বাংলাদেশে । আবার এ দুটো দেশ বাংলাদেশ থেকে আয়তনে কমপক্ষে ৫/১০ গুন বড় এবং সামরিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ থেকে অনেক বেশী শক্তিশালীও ।

রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে থাকলে ভারত ও মায়ানমার এবং সাথে রোহিঙ্গাদের একটা প্রচ্ছন্ন প্রেসার বাংলাদেশকে সবসময়ই একটা প্যারার মধ্যে রাখবে। রোহিঙ্গাদের সাথে শুরু হবে সন্তূ লারমাদেরও প্যারাবাজি ।

তুরষ্ক আর ইন্দোনেশিয়ার মত দরদি মুসলিম দেশ এসেছে রোহিঙ্গাদের পাশ । তারা বলছে যে তারা বাংলাদেশের পাশ থাকবে এ ব্যাপারে। ঐ দিকে সৌদি নাকি ১০ লাখ রোহিঙ্গাদের ফ্রি ভিসা দেবে সে দেশের !

বাংলাদেশের উচিত হবে রোহিঙ্গাদের এসব দেশে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিতে এসব দেশকে কনভিন্স করানো । তারা তো মনে হয় এক পায়ে খাড়া।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File