বৈশাখী মচ্ছব এবং আমাদের বাঙ্গালীয়ানা

লিখেছেন লিখেছেন মহুয়া ১৯ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:৩০:৪৫ রাত



বিরিঞ্চি বাবা ! পুব আকাশে রক্তিমাভা! সূর্য উঠি উঠি করছে-! ট্রেনের উপরে বসে বিরিঞ্চি বাবা দুই হাত দিয়ে টেনে সূর্য বাবাজীকে দিগন্তের উপরে উঠিয়ে দিচ্ছেন! ‘ওঠ – ওঠ বলে চিৎকার, তার সাথে সাথে দুহাতে টেনে উঠানোর ভঙ্গি- তার এ প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা না হলে হয়তো ‘সূর্য মামা উঠতই না! সহযাত্রীদের আশ্বস্ত করছেন তার ‘পারিষদগণ, আহা! বাবা না থাকলে এ ধরাধাম উচ্ছন্নে যেত, সূর্যদেবকে কে উঠাত, আকাশে! !

পাশাপাশি আরেকটা দৃশ্য! রমনা বটমূলে সারি সারি ভক্ত/ পূজারীগণ প্রস্তুত! হাতে বাদ্যযন্ত্র! কোন এক ‘বিরিঞ্চি বাবার হাত ইশারার অপেক্ষায়! টান টান উত্তেজনা! যেন সে ‘বিরিঞ্চি বাবা্র হাতের টানে- ‘সূর্যদেব দিগন্ত রেখায় তার প্রথম রশ্মি ছড়িয়ে দিল! ভক্তের দল সমস্বরে জয়গান করে উঠল- এসো হে বৈশাখ এসো এসো! তারা না ডাকলে হয়তো বৈশাখ আসত না ! আর এমন ধারা সমস্বরে তার আবাহন না করলে হয়তো ‘চরম পাপ করা হবে! বিরিঞ্চি বাবা না হলে যেমন সূর্য না উঠার সম্ভাবনা ছিল, এ ছায়ানট / নটিদের আবাহন ছাড়া বৈশাখও হয়তো আসত না! জগতে মহা অনর্থ হয়ে যেত, হয়তো। হয়তো! তাই বৈশাখী হয়ে উঠছে অনাবশ্যক ‘জাতীয় উদযাপনের উপকরণ!

বাংলার মানুষ কি এ নিয়ে কখনও চিন্তা ভাবনা করছে! কি করছি, কেন করছি – এর উদ্দেশ্য, প্রয়োগ বা উপকারীতা বা উপযোগ! বৈশাখ তো কিছুই নয়- এক মাসের নাম, দিন রাতের হিসেব রাখতে প্রয়োজন! এ গতিশীল বিশ্ব প্রতিটি মুহূর্তে পরিভ্রমণরত, সূর্যের চারপাশে ঘুরছে, এর হিসেব রাখা শুরু হয়েছে কখন তা সঠিক বলা যাবেনা, তবে অনেক দিন ধরেই – এটুকু বলা যায়!

আধুনিক মানুষের জন্য দিন কালের হিসেব রাখাটা জরুরী ! যারা নয়টা পাঁচটা ‘টিটুয়েন্টি করেন তাদের মাস গেলেই মাসোহারার নগদ কারবার- কাজেই মাসের হিসেব রাখতেই হবে~ ! কাজের বুয়া বা রিকশাওয়ালাও দিন গোণে, বেতন নেয়া বা মাস গেলে বাড়ি ভাড়া গুণতে হবে বা মোবাইলের চার্জ দিতে হবে-এজন্য ! ব্যাংকের সুদের বা লাভ লোকসানীর মাত্রা হিসেব, স্কুলে কলেজে পরীক্ষা-ব্যাবসায়ী কৃষক- থানা আদালত -জেল জরিমানা পুলিশ র্যালব মন্ত্রী সান্ত্রী সবার দরকার দিনপঞ্জি। কাগজ কলম যখন মাঙ্গা- ছিল, তখন চাঁদ দেখে দিনের হিসেব রাখাটা ছিল সহজ, চোখের সামনে চাঁদ কমত, বাড়ত আকৃতিতে, অমাবস্যা পূর্ণিমা, এ দেখেও শুধু দিনের হিসেব নয়, আমার কৃষক বড় চাচা হিসেব করে বলতে পারতেন আবহাওয়া কেমন হবে, টিভি রেডিওর ঘোষণার আশায় মানুষ তখন বসে থাকত না, এগুলো ছিল ও না! ভারত উপমহাদেশ এক সময় চাঁদের হিসেব- হিজরি দিনপঞ্জী অনুসরণ করত, কিন্তু সে ‘সোনালী ক্রিসেন্ট অস্তপ্রায়, - এখন রেড ‘ক্রসের দখলে গেছে প্রায় সব কিছু- এমনকি দিনপঞ্জীও। আর এখন তো হাতে হাতে মোবাইলের অ্যাপ, সেই গ্রেগরিয়ান ‘ক্রস ক্যালেন্ডারের হিসেব! কেবল ঈদ আর পালা পার্বণে আর পহেলা বৈশাখের হিসেব করতে বছরে দু-একবার ধুলোমাখা বাংলা পঞ্জিকা বা চাঁদের হিসেবের দরকার পড়ে! ।

এক সময় মানুষ দেয়ালে বা পাথরে দাগ কেটে দিনের হিসেব রাখতো, এখন দেয়ালে ঝুলানো সুদর্শনা তরুণী নিদেন পক্ষে সুদৃশ্য প্রাকৃতিক শোভার কণ্ঠলগ্ন হয়ে ঝুলে থাকে দিন তারিখ’ । কিছু দেয়াল পঞ্জিকাতে বড় হরফের ইংরেজি তারিখের নীচে ভিন্ন রঙে ছোট সাইজে বাংলা মাসের দিন তারিখ মুখ লুকিয়ে ইজ্জত রক্ষা করছে!

মোদ্দা কথা, সবার জন্যই দিন তারিখের হিসেব রাখা জরুরী - । হয় ধর্মীয় না হয় রাজস্ব – এ দুই কারনেই দিনপঞ্জীর দরকার হয়েছে শাসকের বা ধর্ম গুরুদের, কাজেই এ দুই কারনেই ক্যালেন্ডারের উদ্ভব হয়েছে। আজকের দিনে সবচেয়ে ব্যবহৃত যে ক্যালেন্ডার – গ্রেগরিয়ান –(খৃষ্টান বা ইংরেজী ক্যালেন্ডার ও বলা হয় একে) তা হয়েছে ধর্মীয় কারনে, ইস্টার উদযাপনের তারিখ স্থির করতে, আর আমাদের বাংলা ক্যালেন্ডারের সূচনা হল- খাজানা! কিন্তু সে উপলক্ষ্যে বিশাল মচ্ছব কিসের? এই মচ্ছব কে শুরু করল, আর এর দরকারটাই বা কি? পহেলা বৈশাখের ‘শুভ নববর্ষ উচ্চারন বা ‘এসো হে বৈশাখ’ এর বন্দনা না করলে বোধ হয় আরেকটা বছরের শুরুই হবে না! এমন মাতম না করলেও তো বৈশাখ আসবে এবং চলেও যাবে জ্যৈষ্ঠ আষাঢ় এর জন্য পথ খুল দিয়ে! তাই নয় কি! ঢাকায় ‘পূর্ববঙ্গের চাষাভুষোদের জন্য’ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধিতার জন্য খ্যাত এক ‘বিশ্বকবি এ গান না লিখলে বাঙ্গালী যে কিভাবে ‘বর্ষ বরণ করত! আজকের দিনের সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয় পড়ূয়া শিক্ষার্থীরাই তা হয়তো অনুমান করতে পারবে না! ‘পূর্ববঙ্গের চাষাভুষোদের ছানাপোনা’ বইতো নয়!

কবে থেকে বৈশাখ তথা বাংলা দিনপঞ্জির এই গণনা শুরু হয়েছিল?

৯৬৩ হিজরি! এই দিন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের হিসেবে ৫ নভেম্বর, ১৫৫৬। বাদশা আকবর হিমুকে পরাজিত করেছেন পানিপথের যুদ্ধে! যদিও ৯৬৩ হিজরি এই বাংলা দিনপঞ্জির সূচনা বা ভিত্তি লগ্ন, কিন্তু এটা কার্যকর হয়েছে ১৫৮৪ সালে মার্চ মাসে, ১০ অথবা ১১ মার্চ! যেমনটা হিজরি সনের ক্ষেত্রেও হয়েছে, ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত এর সালকে ‘ভিত্তি বা বেস- হিসেবে ধরলেও (এর শুরু গ্রেগরিয়ান হিসেবে ৬২৩) এর কার্যকারিতা শুরু হয়েছে হজরত উমর (রাঃ) এর সময়ে, হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) ওফাতের বেশ পরে । তাহলে, দাঁড়াচ্ছে- বাংলা পঞ্জিকার সূচনা লগ্ন কমবেশি ৫০০ বছরের ইতিহাস! বাঙ্গালী জাতি স্বত্বার বয়স তার চেয়ে অনেক বেশী, ক্যালেন্ডারের বয়স অতটা নয়! হতাশ হওয়ার কিছু নেই, বাঙ্গালী উদ্ভাবনার দিক দিয়ে ( কেজো বাংলায়, নকল করাতে) অতি ওস্তাদ জাতি ! – আমরা যাদের অনুকরণে এই ‘নববর্ষ’ পালন করতে শিখেছি- তারাই কদিন বাদে আমাদের বৈশাখী উদযাপনের ‘আতিশয্য দেখে লজ্জা পাবে!

নওরোজ বা নূতন দিন নামে পারস্যবাসী এই উৎসব পালণ করত! এখনো করে! প্রাক- ইসলামিক এ উৎসব চালূ আছে আগের প্রথা হিসেবে, কমবেশী প্রায় তিন হাজার বছর ধরে। এদিন উত্তর গোলার্ধে দিন রাতের দৈর্ঘ সমান হয়ে যায়! ২১ মার্চ বা এর আগে- সময়টা হিসেব করে এ দিনটা উদযাপন করে! জরথুস্ত্রিয়ান ধর্মে এর শেকড় থাকলেও এখন বোধ করি তাতে আর সীমিত নেই!

আপনি যদি ঘোর বাঙ্গালী হন, বাংলায় ২১শে ফেব্রুয়ারী বাদ দিয়ে ৮ই ফাল্গুন উদযাপন করার আপনার অধিকার- উদ্দেশ্য এবং বিধেয় সবগুলোই রয়েছে, তবে বাংলায় ‘নববর্ষ উদযাপনের মত আদৌ কোন বিষয় ছিল না বা নেই, সব কারন গত হয়ে গেছে । আর কে না জানে গতস্য শোচনা নাস্তি! কারন যে মুঘলরা বাংলায় খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে এর সূচনা করেছিল; তারা আর নেই! এখন বৈশাখের প্রথমে আমরা আর খাজনা দেই না, এমন কি ইনকাম ট্যাক্সওয়ালারা তাদের খেরো খাতা ওদিন ‘অবমূক্ত করেন না! তারপরেও কেউ যদি বাংলা নববর্ষ আধুনিক উদযাপন করতে চান, তার উচিত, মুঘল বাদশা আকবরকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে তা শুরু করা‍, সূর্য দেবতাকে স্মরণ করে নয়, অগ্নিস্নানে ধরাকে পবিত্র করে নয়! ! এরপর নাচা গানা খানা কিম্বা পানীয় – যার যার অভিরুচী, কারন এ সবেরই কোন উপলক্ষ্য মাত্র দরকার হয়! আর বৈশাখ হয় তো সে উপলক্ষ্য মাত্র‍ ! ঢাকা আর্ট কলেজের নরসুন্দর (নন্দিত নর হিসেবে!) আর ‘চিত্রাঙ্গদাদের বিনে পয়সায় হনুমান লাফালাফির ঠিকেদারি আর চেতনাবিলাসীদের অতি চেতনাবিলাস’ মিলিয়ে, এ সবই বিজ্ঞানের সকল অনুপ্রাসকে ভুল প্রমাণ করে, কোন কারন ছাড়াই এ কর্ম সম্পাদিত ‘হইতেছে! আর আমরাও ছাগলের তৃতীয় বাচ্চার মত তাদের সাথে ‘ অনাবশ্যক ফালাফালিতে অংশ ‘নিতেছি ! ( নাহলে হয়তো আমাদের বাঙ্গালী জাতির বাঙ্গালীয়ানা ‘বজায় থাকবে না! ) সব মিলিয়ে নরক গুলজার! পত্র পত্রিকায় বৈশাখী ক্রোড়পত্র, এখন বৈশাখী ‘বোনাস নাকি শুরু হচ্ছে, হয়তো বৈশাখী শেখ’ মেডাল চালু হলেও হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে! ( আলফ্রেড নোবেল এর অনুকরণে, নোবেল প্রাইজ হতে পারলে, শেখ হাসিনার নামে ‘শেখ প্রাইজ হতে অসুবিধা কি! আমাদের স্তাবক বাহীনি ভেবে দেখতে পারেন, এ এক প্রস্তাবনায় আপনি শেখ হাসিনার যতখানি প্রিয়তম হতে পারবেন, ১০০০ বছরের চেষ্টাতেও অন্যরা তা পারবেনা!)

আজকে সাড়া বিশ্ব ‘গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকার লেজ ধরে উঠা বসা করছে ! আনলাকি ১৩ পোপ গ্রেগ্ররি ১৫৮২ সালে এর সূচনা করেন, ‘ইস্টারের দিন ক্ষণের নির্বাচনের জন্য এর উৎপত্তি। এটা যে নির্ভুল তা নয় !

গ্রেগরিয়ান হিসেবে ভুলের মাত্রা ০.০০২%। ৩৬৫ দিনে বছর ধরা হলেও, আসলে তা ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড! এই বাড়তি সময় চার বছরে একবার গোঁজামিল- লীপ ইয়ারএর একদিন বেড়ে যায়! বাঙ্গালী কি করবে! বালা একাডেমী বছরের প্রথম পাঁচ মাস ( বৈশাখ থেকে ভাদ্র) ৩১ দিনে আর শেষের সাত মাস (আশ্বিন থেকে চৈত্র) ৩০ দিনে করার প্রস্তাব দিয়েছে! লীপ ইয়ারে কি হবে? সে বছর ফাল্গুন মাসে একদিন যোগ হবে! মুশকিল আসান!

তাতেও সমস্যা ছিল না – দিনটা যদি বাঙ্গালীর ঐতিহ্য অনুসারে শুধু বাঙ্গালীর হত! তা নয়! ভারতে শুধু বাংলা নয়, পাঞ্জাবী শিখ, তামিল, কেরালা, মনিপুর, আসাম, ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা, নেপালী এবং আরও অনেক জাতি গোষ্ঠী এ দিনটাকে বিশেষ ভাবে পালন করে! শুধু তাই নয়, বার্মা, থাইল্যান্ডেও এটা বিশেষ দিন হিসেবে পালিত হয়! - তাহলে বাঙ্গালীর জন্য যে এটা ‘একচ্ছত্র কোন দিন নয় তা বুঝা গেল!

যে উৎসবে বাঙ্গালীর ঐতিহ্যের একক অংশ নেই, তা বাঙ্গালী ঐতিহ্যের ধারক বাহক হিসেবে প্রমাণ করতে গেলেই সমস্যা! এখন রাষ্ট্রীয় ছত্রছায়ায় এটাকে এক ‘মহা দিবস হিসেবে প্রচার ও প্রসারের ‘সর্বাঙ্গীণ প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে যা সত্যিকারের বাঙ্গালী ঐতিহ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল তাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে!

সময় সময় মুল উদ্দেশ্য হারিয়ে যায়, প্রথাটাই বড় হয়ে উঠে! অপ্রয়োজনীয় কোন বিষয়কে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় ‘অতি প্রয়োজনীয় বলে প্রচার প্রসার করার চেষ্টা দেখলে কারো মনে হতেই পারে, ডালমে কুচ কালা হ্যায়! আমরা সাধারন মানুষ তো ছাগলের তৃতীয় বাচ্চা-! ‘আমরা এই সরকারি তালে তাল দিয়া নাচিতে নাচিতে এক সময় দেখিব আমাদের সবেধন নীলমণি - বাঙ্গালিয়ানার লুঙ্গী ফতুয়া কেউ খুলিয়া লইয়া গিয়াছে, আর আমরা বিদেশী বা বিজাতীয় কোন ঐতিহ্যের অনুকরণে সেটাকেও নব্য কোন উৎসবে রূপ দিয়া আনন্দ করিতে থাকিব! জয় আমাদের নকল বাঙ্গালীয়ানা- এসো বৈশাখ জৈষ্ট !!

বিষয়: বিবিধ

১২৪২ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

366175
১৯ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০১:০৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কান ধরে নতুন বছর কে না আনলে যে উনাদের দুই নাম্বারি খানা হজম হবেনা!!!
চমৎকার পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ।
366197
১৯ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৬:০২
তট রেখা লিখেছেন : পহেলা বৈশাখ যে, শুধু বাঙ্গালীর সার্বজনীন উৎসব নয়, অন্যদেরো এতে হিস্যা আছে, এটা যত দ্রুত এরা বুঝবে ততই মঙ্গল। তবে চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী!
২১ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৭:৪১
304106
মহুয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ ।
366206
১৯ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৯:১১
শেখের পোলা লিখেছেন : হায় হায়! কি সর্বনাশ৷ আমাদের অনুষ্ঠানে অন্যেরও হক আছেে! সে যাই হোক, কেউ আমাদের মত করে রং মেখে বানর হণুমান সেজে বিশেষ পোষাকে হত দরিদ্র কৃষকের দৈনিকের পান্তা ফ্রীীজ থেকে যা চাষীর বাবাও দেখেনি, মরিচ পেঁয়াজ নয় দেড় দু হাজার টাকা যা পেলে কৃষকের ৫ বছরের থামী গামছার অভাব মিটত দামের একটা ইলিশ ভাজা দিয়ে খেয়ে কারা পারে দেখাকতো দেখি!

লেখাটি আমাদের গালে চপেটাঘাত করলেও উপভোগ করলাম৷ ধন্যবাদ৷
২১ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৭:৪২
304107
মহুয়া লিখেছেন : অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে!
366230
১৯ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:০৩
আবু জান্নাত লিখেছেন : তাতেও সমস্যা ছিল না – দিনটা যদি বাঙ্গালীর ঐতিহ্য অনুসারে শুধু বাঙ্গালীর হত! তা নয়! ভারতে শুধু বাংলা নয়, পাঞ্জাবী শিখ, তামিল, কেরালা, মনিপুর, আসাম, ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা, নেপালী এবং আরও অনেক জাতি গোষ্ঠী এ দিনটাকে বিশেষ ভাবে পালন করে! শুধু তাই নয়, বার্মা, থাইল্যান্ডেও এটা বিশেষ দিন হিসেবে পালিত হয়! - তাহলে বাঙ্গালীর জন্য যে এটা ‘একচ্ছত্র কোন দিন নয় তা বুঝা গেল!


বাঙ্গালীর ইজ্জত পাঞ্চার হয়ে যাবে রে ভাই!!

সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।

২১ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৭:৪২
304108
মহুয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File