সংখ্যাগরিষ্টের নীরবতা ( silent majority) বনাম ঈজমা, কীয়াস ও অনাচারের দুনিয়া

লিখেছেন লিখেছেন মহুয়া ১৬ জুন, ২০১৫, ০৯:১৯:১৮ সকাল



ইসলাম যে এক প্রাগ্রসর ধর্মবিশ্বাস তা ঈজমা (সাধারণ ঐক্যমত্য), কীয়াস যুক্তি নির্ভর সাযুজ্যতা) এর মত বিষয়গুলো অনূধাবন করলে বুঝা যায়। এই পার্থিব দূনিয়ায় চলতে গিয়ে, যে বিষয়ে সরাসরি কোন ‘রুলিং বা নির্দেশ, আল কুরআন বা আল হাদীস থেকে পাওয়া যাবে না, তখন সম সাময়িক স্কলারগণ তার সমাধানে, ‘ঈজমা বা সাধারণ ঐক্যমত্য ও ‘কীয়াস বা সাদৃশ্য মূলক যুক্তির আশ্রয় নেবেন! যে যুগে বিমান বা রকেট ছিল না, সে যুগে বিমান বা রকেটে বসে নামাজ পড়ার ফতোয়ার দরকার ছিল না, কাজেই হাদিসে তা উল্লেখ নেই! কিন্তু এখন তা দরকার পড়ছে! কিবলা বা ওয়াক্ত নির্ধারণের বিষয়-যেমন মহাশুন্যে সারাদিন সূর্য দেখা যায়, কখন ফজর আর কখন মাগরিব পড়বে মানুষ, কিম্বা ওজু গোসল বা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার বিষয়! (সীমিত পানি, খাওয়ার পানির স্বল্পতা- পানি হিসেবে পেশাবও রিসাইকল হয় সেখানে!) কাজেই – এক্ষেত্রে স্কলারদেরকে ঈজমা বা কিয়াসের আশ্রয় নিতে হবে! এটা ইসলামের দুর্বলতা নয়– বরং স্থিতিস্থাপকতা বা Elasticity ! ইসলামের যুগোত্তীর্ণ বা কালোত্তীর্ণ হওয়ার অঙ্গীকার!

রাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে, কোন বিষয়ে ‘ঈজমা বা সাধারণ ঐক্যমত্য হলে, বিরুদ্ধবাদী অল্প কিছু মানুষের জন্য, সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের সাধারন ঐক্যমত্য অনুসরণ করাই সবথেকে নিরাপদ, এবং গ্রহণ যোগ্য সমাধান। ধরা যাক একটা শহরের অধিকাংশ মানুষ একমত হল, শহরের ময়লা পার্শ্ববর্তী নদীতে ঢালা ঠিক হচ্ছে না, পানীয় জল দূষিত হচ্ছে, এর থেকে যার যার বাড়ীর পেছনে গর্ত করে ময়লা ফেলতে হবে। কতিপয় ব্যাক্তি বলল, না – আমাদের বাপ দাদার আমল থেকে যে ভাবে দেখে আসছি বা যা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে-এখনও সেভাবেই থাক, নদীতেই ময়লা ফেলা হোক। এই দ্বন্দ্বের সমাধান কিভাবে হবে? সাধারণ ঐক্যমত্য হল- বেশির ভাগ মানুষ যা মত করেছে, কাজেই কতিপয় ব্যাক্তিকে তার বিরুদ্ধাচারন করা ঠিক হবে না। গণতন্ত্রের ধারণা এই ‘ইজমা’ কনসেপ্ট কে ভিত্তি করেই ।

কিয়াস এর বিষয়টা একটু ভিন্ন। এটা logic বা যুক্তিনির্ভর । এক ধরণের বিষয়কে সমজাতীয় অন্য বিষয়ের সাথে তুলনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রচেষ্টা! এটা স্থান, কাল, পাত্র বা পরিবেশ ভেদে আলাদা হতে বাধ্য! যদিও দুটো ভিন্ন বিষয়কে একই পাল্লা দিয়ে মাপা যাবে না – কিম্বা ধর্ম, দর্শন বা বিজ্ঞানের সত্যকে এক করে দেখাও ঠিক হবে না । ইবনে রুশদ বা ইউরোপীয়দের মুখে আভেরুশ এবিষয়ে তাঁর DOCTRINE OF TWO FOLD TRUTH এ তা ব্যখ্যা করেছেন! এর মূল কারণ এই যে- ‘বিজ্ঞানের সত্য পরিবর্তনশীল’ ।– অবস্থার পরিবর্তন – সময়ের বা কালের পরিবর্তন এমণ কি যন্ত্রের পরিবর্তনের বা নূতন যন্ত্র আবিষ্কারের ফলেও বৈজ্ঞানিক সত্যের পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু ধর্ম বিশ্বাস এর পরিবর্তন কখনো হবে না । ‘ এক্ষেত্রে এই দুই বিষয়কে কি ভাবে একই পাল্লায় মাপা যাবে? আপেল এর তুলনা কেবল অন্য জাতের আপেল কিম্বা কমলার তুলনা কেবল অন্য জাতের কমলার সাথেই সম্ভব । – আপেল ও কমলার মধ্যে তুলনা চলে না! এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে!

সাধারণ ঐক্যমতেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে! যদি পৃথিবীর সমস্ত মানুষ ঐক্যমত্যে পৌঁছে যায়- যে আল্লাহ্‌ বা গড বলে কিছু নেই- তার মানে এই নয়যে, ঈমাণদার মানুষ আর আল্লাহ্‌কে বিশ্বাস করবে না, নাস্তিকদের মত সমর্থন করবে! অবশ্য মানুষ যে কক্ষনো এবিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছুবে না, এটা গ্যরান্টি দিয়ে বলা যায়।

সাধারণতঃ কোন মানুষের প্রত্যক্ষ ক্রিয়া বা কর্মের কারনে, অন্য কারো ক্ষতি হলে, সে ক্ষতির জন্য ঐ ব্যাক্তিকে দায়ী করা যায়। কিন্তু যদি কতিপয় বা একদল মানুষের নিষ্ক্রিয় থাকার কারনে, যদি আরও অনেকের ক্ষতি হয় ? সমাজ বিজ্ঞানী জন এস. মিলস এর ভাষায়, এই ক্ষতির কারণ যে নিষ্ক্রিয়তা, তার জন্যও সেই ব্যাক্তিদেরকে দায়ী করা যাবে – যেমনটি তাদের কোন প্রত্যক্ষ কর্মের কারনে কারো ক্ষতি হলে তাদেরকে দায়ী করা হত। কিয়াস! একই সমতলে –এক ধরনের বিষয়ের মধ্যে তুলনা করে।

বাংলাদেশে শতকরা চার জনের ভোটে যে প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে, তার জন্য ৯৬% এর নিষ্ক্রিয়তাকে কি দায়ী করা যাবে না? জন এস. মিলস এর ফর্মুলায় – তাদেরকে দায়ী করা যাবে। বাংলাদেশের যে দমন নীতি চলছে তা যদি সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ না চাইত- তবে প্রতিবাদমূখর হয়ে তাদের রাস্তায় নেমে আসার কথা। জনমত তৈরি করার মত অজস্র কারণ বা ইস্যু সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। কিন্তু এই সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের নীরবতার কারনে ভাল কোন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না বা তা আশা করাও যাচ্ছে না ।

সংখ্যা গরিস্টের নিষ্ক্রিয়তাকে ( সাইলেন্ট মেজরিটি ) দুনিয়া জোড়া অনেক বড় বড় অপকর্মের জন্য দায়ী করা যায়। ইউরোপে এক সময় ‘উইচ হান্টিং করা হত, অল্প কিছু মানুষ তাদের জিঘাংসা চরিতার্থ করার জন্য হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। হিটলারের ইহুদী নিধন ! – আজ যেমন প্যালেস্টাইন, বার্মা বা গুজরাট- তথা ভারত বা শ্রীলংকায় কিছু উগ্র মানুষের প্রতিহিংসার বলী হচ্ছে মুসলিম জনগোষ্ঠী । – পৃথিবীর প্রায় ১২০ কোটী মুসলিম, তার সাথে নিষ্ক্রিয় ‘অমুসলিমদের যোগ করলে তা এক অতি বড় ‘সাইলেন্ট মেজরিটি । কিন্তু তারা এ পাশবিকতা থামানোর চেষ্টা করছে না। সারা দুনিয়ায় মাত্র এককোটী ইহুদীদের সমর্থনে টিকে আছে ইসরায়েল, অথচ ইসরায়েল যখন তখন ফিলিস্তিনি মুসলিমদের হামান দিস্তায় পিষে ফেলছে গট ৬৫ বছর ধরে, তাদের থামানোর জন্য ১২০ কোটী মুসলিমের কোন প্রত্যক্ষ উদ্যোগ আছে কি! আমাকে তো মারছে না, আমার কি দরকার এ বিষয়ে মাথা ঘামানোর! আবারও মেজরিটি সম্পূর্ণরূপে ‘সাইলেন্ট ! নাকি সাইলেন্সড! এদের অনেকে আবার ভাবছে- জাতিসংঘ নামের এই ‘পশ্চিমা শিখণ্ডী’ মুসলমানদের পক্ষে দাঁড়িয়ে সেই সমস্যার সমাধান করে দেবে! ইরাকে আমেরিকান হামলা, প্রতি বছর গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলী হামলা, ইয়েমেন, আফগানিস্তান বা লিবিয়ায় পাশ্চাত্য হামলায় এই জাতিসংঘ নামের প্রতিষ্ঠান একমাত্র ‘লিপ সার্ভিস দেয়া ছাড়া আর কিছু করে নাই! করবে কিভাবে ? জাতিসংঘ তো তার পৃষ্ঠপোষকদের স্বার্থই দেখবে, এতে আশ্চর্য হওয়ার কি আছে!

সারা পৃথিবীতে নির্যাতন আর অত্যাচারের বলী হচ্ছে মুসলিমরা! আর কোথাও কোন জাতি তাদের ধর্মের জন্য এতখানি নিগৃহীত হচ্ছে না। ভারতে গরু কুরবানি বা গরুর মাংস খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা, অমুসলিমকে বিয়ে শাদির নিষেধাজ্ঞা এমন কি বাড়ী কেনা বা ভাড়া নেয়ার ব্যপারেও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে মুসলিম! বার্মার নিপীড়ন তো সহ্য করার মত নয়! তাদেরকে বাংলাদেশী হিসেবে চিহ্নিত করছে বার্মা সরকার, আর বাংলাদেশের সরকার বলছে – তারা ‘রোহিংগ্যা বার্মিজ! এরা ফিলিস্তিনিদের মতই আরও এক রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্ঠী! প্যালেস্টাইন মুসলিমদের মতই তাদের এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে! বিয়ে এমনকি সন্তানের জন্মদানের ব্যপারেও বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার তারা ! বার্মার রাষ্ট্রযন্ত্র যোগ দিয়েছে খুনী সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে! বাংলাদেশের সরকার জোরেশোরে বার্মিজদের এই নির্জলা মিথ্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করতে পারছে না, তাদের স্বাধিকার অ আত্মরক্ষার অধিকারে প্রত্যক্ষ মদদ দেয়া তো বহুদূরের কথা !

অবশ্য মুসলিমদের সংখ্যালঘু অল্পকিছু মানুষ চাইছে নিজেদের মত করে এই নির্যাতীত মানুষের পাশে দাঁড়াতে! তাদের সীমিত প্রচেষ্টায় তেমন ফল আসছে না, তারা বরং চিহ্নিত হচ্ছে ‘সন্ত্রাসী হিসেবে, তাদের এই প্রয়াসকে ‘স্তব্ধ করে দিতে রাষ্ট্রযন্ত্র তৎপর! আন্তর্জাতিক শক্তিও ! আর অধিকাংশ মুসলিম – মেজরিটি মানুষ- যেন বাক্যহারা! নিপীড়িত মানুষের পাশে কি দাঁড়াবে! প্রতিবাদ দূরের কথা, অনেকে নামাজে বসে সেই ভাগ্যহত মানুষদের জন্য দু-দণ্ড প্রার্থনা করার সময় ও পায় না! আমি তো বেঁচে যাচ্ছি, আমার উপর তো জুলুম হচ্ছে না, আমি কেন ঐ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিপদে পড়ব! এই হল মেজরিটি ‘মনোভাব!

এই সেই “সাইলেন্ট মেজরিটি” ! এই হল বর্তমান – তথাকথিত গণতান্ত্রিক দুনিয়ার ‘মেজরিটি রুলস! গণতন্ত্রের ধারনাকে যেন অহরহ ব্যাঙ্গ করছে এ রূঢ় বাস্তবতা!

প্রতিটি মানুষকেই জীবনের এক পর্যায়ে একটা ‘অবস্থান নিতে হয়, একটা ‘স্ট্যান্ড নিতে হয়! বৃহত্তর জনগোষ্ঠী – বা মেজরিটি - তথা অগণিত মানুষের যে নিস্তব্ধতা, পৃথিবীর বুকে এত বড় বড় অন্যায় কর্মকে স্বাধীনভাবে ভাবে চলতে দেয়। যদি এই মেজরিটি মানুষ তাদের সে স্ট্যান্ড নিতে ব্যর্থ হয়, নির্যাতন আর নিপীড়ন হয়ে পরে লাগামহীন। ঘটে ‘গণ হত্যা! একাত্তরে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ যদি তাদের ‘স্ট্যান্ড নিতে ব্যর্থ হত, পাকি-অত্যাচারের শেষ সেখানে হত কি!

দূরাচারী শাসকের সামনে দাঁড়িয়ে সত্য কথা বলাও – জিহাদ! যদিও আজকাল জিহাদের নূতন সংজ্ঞা দেয়া শুরু হয়েছে, জিহাদ মানে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম নয়, বরং Inner struggle! মিথ্যে নয়, অন্তস্থঃ সংগ্রামও জিহাদ, তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা কেবল নিজের জন্য; কিন্তু নিজের রক্ত, সম্পদ ও জীবন দিয়ে যে জিহাদ, যা অন্যদের জীবনকে ‘মুক্ত ও অবাধ করার জন্য, অন্যদের জীবনকে সমৃদ্ধ করতে- ‘আত্মত্যাগের মহিমায় ভাস্বর সেই জিহাদকে অস্বীকার করে নয়! আমাদের মনে রাখা দরকার, শক্তিমানদের ‘স্বার্থসিদ্ধির পথ যেন স্বতঃত পরিষ্কার থাকে, এজন্যই এই নব্য সংজ্ঞায়ন শুরু হয়েছে! আরও অধিক মানুষকে, আরও বেশী ‘নিস্তব্ধ করে দিতেই এই ‘গ্র্যান্ড ডিজাইন, চাই আমরা বুঝি আর নাই বুঝি!

অতিকায় ‘হস্তী বা ম্যামথ লোপ পেয়েছে কিন্তু তেলাপোকা বহাল তবিয়তে টিকে আছে, অজস্র সংখ্যায় ! সাইলেন্ট মেজরিটি হয়ে বেঁচে থেকে আদৌ কোন ফায়দা আছে কি, যদি না এ পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে, এই পৃথিবীকে সাধারন মানুষকে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচাতে, সাদা, কাল, বাদামী বা আরও হাজারো মানুষের মধ্যে সাম্যতা প্রতিষ্ঠা করতে আমার কোন অবদান নাই থাকল?

গরু ছাগল ও ক্ষুধা লাগলে নিয়মিত ঘাস খায়, জাবর কাটে, ক্লান্ত হলে ঘুমায়, বংশ বিস্তার করে আর সময়ে হলে মরেও যায়। একজন মানুষ যদি গরু ছাগলের মতই খায়, ঘুমায়, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়, বংশ বৃদ্ধি করে- আর এক সময় মরে যায়, কোন দিক থেকে সে গরু ছাগলের চেয়ে উত্তম? তেমন বেঁচে থাকা আর মরে যাওয়ার মধ্যে আদৌ কোন পার্থক্য আছে কি! এই আপাতঃ নিস্তব্ধতা-প্রেমী, আপাতঃ মূক, বধির মানুষদের এ এক ঘৃণিত ‘আত্ম শ্লাঘা, যা সমাজের বা দেশের নেতৃস্থানীয় অপরাধীদের অপকর্মের প্রতি ‘নিস্তব্ধ, মৌন সমর্থন মাত্র, আর কিছু নয়।

সৈয়দ মুজতবা আলী একবার তাঁর ক্লাসের পণ্ডিত মহোদয়ের জবাবে পণ্ডিতের পুরো এক মাসের বেতন আর জজ সাহেবের এক ঠ্যাং ভাঙ্গা কুকুরের প্রতি পায়ের জন্য খরচের তুলনা করতে গিয়ে এক পর্যায়ে বলেছিলেন, “যে বলেছে নিস্তব্ধতা হিরণ্ময় ( Silence is golden)” মরণের আগে তাঁকে যেনএকবার হাতে পাই! এ মন্তব্যের প্রতিধ্বনি করেই বলতে ইচ্ছে করে, আমার ‘বিবেক যদি সকল অন্যায় অপকর্মকে মেনে নেয়, অপরাধীদের কিম্বা অপরাধের মৌন সমর্থক হিসেবে আমি কি কম অপরাধী?

অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে,

মম ঘৃণা তারে যেন তৃণ সম দহে!

‘অন্যায়কারীদের সাথে, সংখ্যা গরিষ্ট নিস্তব্ধ মানুষ যারা অতি সহজে সে অন্যায় সহ্য করে যায় বছরের পর বছর ধরে- তাদেরকে, কবির মত আমাদের ঘৃণাও যেন কমপক্ষে দাহ করে!



বিষয়: বিবিধ

১৫২৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

326128
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ০১:০৭
আবু জান্নাত লিখেছেন : লিখাটি আগেও পড়েছি। ধন্যবাদ
২১ জুন ২০১৫ রাত ০৮:৪৩
269254
মহুয়া লিখেছেন : আবার পোষ্ট করতে হল, কারণ আগের লিখাটি ‘ হাওয়া হয়ে গেছে! কিভাবে হল, ম্যানেজমেন্ট উল্লেখ করলে ভাল হত!
326176
১৬ জুন ২০১৫ বিকাল ০৫:৪২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ইজমা ও কিয়াস উভয়ই যুক্তির উপর নির্ভরশিল। মানুষ কে যুক্তি দিয়ে বুঝান কিন্তু কঠিন নয়। সমস্যা হচ্ছে কিছু আবেগপ্রবন এর চিৎকার কে মানুষ বেশি ভয় পায়
326455
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০৮:১৬
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : অসাধারণ বিশ্লেষণ.. অনেক ধন্যবাদ আপনাকে.
327034
২১ জুন ২০১৫ রাত ০৮:৪৬
মহুয়া লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ও।
332410
২৯ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : অনুভূতিপ্রবণ একজন মানুষের পক্ষে নীরব থাকা কি সম্ভব? জগতের সমস্ত বড় মানুষ, লেখক, কবি, সাহিত্যিক কেউই মানুষের প্রয়োজনে নিশ্চল থাকেন নি, থাকতে পারেন নি। মানুষের সৃষ্ট এ সমাজে মানুষই নীরব থেকে এই সংকট তৈরি করেছে। দেশের বিবেক বলে বিবেচিত শিল্পী সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী সমাজ সবাই তো নিশ্চুপ। এই দেখেননা আপনাদের মত লিখিয়েরা নীরব থেকে ব্লগেও আগাছা বাড়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন Happy!সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে এগিয়ে এসে হাতে কলম তুলে নিন। ধন্যবাদ আপনাকে Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File