সভ্যতার সংঘাতঃ লিভ টুগেদার ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন

লিখেছেন লিখেছেন মহুয়া ০৭ মে, ২০১৫, ১১:৩৮:৫৮ রাত





সভ্যতার সংঘাত বলতে বিভিন্ন সভ্যতা বা সংস্কৃতির মধ্যে যে প্রতিষ্ঠিত বা প্রচলিত দ্বন্দ্ব তা বুঝায়। আরও ভাল করে বলতে গেলে, এক সভ্যতা কিভাবে নিজের ‘প্রভাব’ বা আগ্রাসন দিয়ে অন্যদের পরাভূত করে, অধীনস্থ, অথর্ব করে, নিজেদের বশংবদ করে, তাদের অনুসরণ করে চলতে বাধ্য করবে, এই বিষয়টাকেই বুঝায়। আর ‘প্রভাব বলতে তা হতে পারে সামরিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক – কিম্বা এর সবগুলোর সংমিশ্রণ। প্রথম দুটো প্রভাবের বিরুদ্ধে অন্য জাতি বা সভ্যতার অনুসারীরা প্রত্যক্ষ না হলেও, পরোক্ষ ভাবে ‘আত্মরক্ষার জন্য সচেষ্ট হয়, কিন্তু তৃতীয়টি বা সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ক্ষেত্রে অন্য একটা জাতি পরাভূত হয় আরও গভীর ভাবে, পরাজিত হচ্ছে তা অনূভব না করেই, মেরুদণ্ড ভেঙ্গে একেবারে শুয়ে পরে। এ থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন।

এ পর্যন্ত পশ্চিমা আগ্রাসন এর বহু চরিত্র আমরা দেখেছি। ইংরেজরা নীল চাষ করানোর জন্য বাঙ্গালী চাষীদের বাধ্য করেছে, তাদের শিল্প বিপ্লবের পণ্য আমাদের উপমহাদেশে বিক্রয় করবে জন্য, দেশী তন্তুবায়দের হস্ত শিল্প নিষিদ্ধ করেছে, এমনকি ‘মসলিন প্রস্তুতকারীদের আঙ্গুল কেটে দিয়েছে বলেও ‘রটনা আছে। ইংরেজদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চড়কা কেটে নিজেদের কাপড় নিজেরা বুনানো অর্থাৎ ইংরেজদের তৈরি ‘মিলের কাপড় না কেনা – সে সময়ে ছিল পরোক্ষ ধরনের প্রতিরোধ। প্রত্যক্ষ যুদ্ধ এড়িয়ে অর্থনৈতিক ‘আগ্রাসন থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা। সে সময়েও মানুষ সচেতন ছিল, তারা জানত – আত্মরক্ষা না করলে নিজেদের ধ্বংস কেউ ঠেকাতে পারবে না।

এরপর পশ্চিমাদের সামরিক শক্তির কাছে অন্যরা ‘নস্যি হয়ে গেছে, তারা সামরিক শক্তি অর্জন করেছে, এবং সামরিক শক্তির মদদে, ‘অর্থনৈতিক শক্তিকে সংহত করেছে এবং করছে । এভাবে গোটা পৃথিবীর নিয়ন্ত্রন করছে তারা! গণতন্ত্র আর বাক স্বাধীনতা – এদের দুই অস্ত্র! তারা গণতন্ত্রের একনিষ্ঠ প্রচারক, কিন্তু মিশর বা সউদি আরব সহ মধ্প্রাচ্যে রাজতন্ত্রের ‘চরম পৃষ্টপোষক’ তারা । হিপোক্রাসী নয়।

তাদের অনুকরণে বাক স্বাধীনতার নামে পৃথিবীর গণমাধ্যম গুলো যেন আকাশে উড়ছে ( যদিও আল জাজিরায় বোমা মেরেছে পশ্চিমা বিমান!) । ওদের প্রভাবে, গণ মাধ্যমগুলো সেন্সর বিহীন, সেক্সকে তারা পশ্চিমাদের মত, সর্বতোভাবে ‘গ্লোরিফাই করছে। Gender barrier কে আস্তাকূড়ে ফেলে দিয়েছে, নারীর সুশোভিত, সূচারিত ‘দেহের বাণিজ্যিক প্রদর্শনী শুরু করছে তারা। তরুণ প্রজন্মের মাথা খারাপ করে দেয়ার জন্য সেটাই যথেষ্ট। আর সেই তুলনায় বিয়েটা ততটাই ‘সমস্যাপূর্ণ, দায়িত্বভারাক্রান্ত, অন্ততঃ বিয়েকে ‘গ্ল্যামারাস করার কোন চেষ্টা দেখছি না! বিশেষ করে হরমোন যখন মানব দেহকে ‘উদ্দীপিত করে, সেই বয়সে অর্ধ নগ্ন বা পুরো নগ্ন নারী দেহের প্রদর্শনী ‘পাপের পিছল পথে ঠেলে দিতে তরুণদের জন্য এক অতল প্রলোভন। অবশ্য পশ্চিমা দেশ গুলোতে ‘বিয়ে না করা প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সংখ্যা প্রায় ২০%। দরকার কি, চাইলেই যদি রিপুর দমন করা যায়! প্রজনন বা বংশবিস্তারে তারা আগ্রহী নয় অনেকেই, পশ্চিমা সভ্যতা বড়ই ‘আত্মকেন্দ্রিক হতে শিখিয়েছে তাদের। সন্তান বাবা মায়ের জন্য বা ভাই তার ভাই বোনের জন্য কোন ত্যাগশিকার করতে প্রস্তুত নয়। একটা জন্তু যেমন নিজের পেট বা নিজের সেক্স এর চিন্তা ছাড়া সাধারণত আর কিছু করে না, পশ্চিমা সভ্যতা সেই ‘জান্তব জীবনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে! আমরাও সেটাই শিখতে যাচ্ছি, নকল করে! এদের পরিশ্রমের সংস্কৃতির অনুকরণ না করে এদের ভোগবিলাসের অনুকরণ করছি! রোগটাই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয়!

বর্তমান এশিয়ান সমাজ ব্যবস্থা, পশ্চিমা ভোগবাদী আগ্রাসনের শিকার। এরা নারী স্বাধীনতার কথা বলে, আবার এরাই নারীকে ‘বাণিজ্যিক পণ্য’ বানিয়ে ফায়দা লুটছে। একটা নূতন গাড়ির বিজ্ঞাপনে ‘অর্ধনগ্ন নারী শরীরের ভূমিকা কি? এশিয়ানরাও সে বাতাসে গা ভাসিয়ে দিয়েছে, কিন্তু দুই বিপরীত মেরুর- মূল্যবোধের দ্বন্দ্বে দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে উঠতি প্রজন্ম। কেউ ইসলামী মূল্যবোধ আঁকড়ে থাকতে চাইলে তাকে চরম ‘কষ্ট স্বীকার করতে হচ্ছে। কেউ ‘বিসমিল্লাহ বলেই হয়তো ঐ ‘ অতি আধুনিকাদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। বাড়ির কাছে ভারতেই ‘লিভ টুগেদার’ বেশ তোরেজোরে শুরু হয়েছে, বড় শহর গুলোতে, ঢাকাতেও এমনটা এক্কেবারে চলছে না, তা জোর দিয়ে বলা যাবে না। প্রয়োজনের সহবাস!

এশিয়ানরা এখনও পুরুষ প্রধান সমাজ ব্যবস্থা! পুরুষকে তার পরিবারের জন্য খাদ্য, বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হয়, নাহলে সমাজে তার ইজ্জৎ থাকে না, মর্যাদা থাকেনা। যার জন্য প্রতিটি সক্ষম পুরুষ সেই চেষ্টা করে। কাজেই শুধু আবেগ দিয়ে সংসার চলে না। ভরন পোষণের ‘সামর্থ না থাকলে বিয়ে করা যাবে না, বরং ‘রোজা থেকে ‘হরমোনের প্রাবল্য থেকে আত্মরক্ষা তথা ‘সংযম অভ্যাসের কথা বলা হয়েছে । কিন্তু চোখের সামনে এত ‘প্রলোভন, এর উপরে ‘নেট এর কল্যাণে যদি ‘আধুনিকা কারো সাথে সে ধরনের যোগাযোগ হয়ে যায় – পা পিছলানোর এত ‘আড়ম্বর চারপাশে, পিছলে যেতে সময় লাগে না। পশ্চিমাদের অনুকরণে বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড সম্পর্ক এখন ‘গ্লোরিয়াস, মর্যাদাপূর্ণ, সমাজে গ্রহণ যোগ্য। এক সময় এ ধরনের সম্পর্ককে ‘নোংরা হিসেবে, সমাজে অশ্রাব্য, দূষণীয় হিসেবে দেখা হত। প্রেমিক বা বয়ফ্রেন্ড নয়, বলা হত- নাগর! সমাজের নিম্ন স্তরে অবস্থান কারী মানুষ, যাদের বিয়ে করা বা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার পর্বে যাওয়ার সামর্থ ছিল না, তাদের মধ্যে এমনটা চালু ছিল। কোন সভ্য ঘরের ছেলে মেয়ে এমন কর্মে লিপ্ত হবে তা কল্পনাতেও আসত না। যখন দাস প্রথা চালু ছিল সেই যুগেও স্বাধীন নর নারী এমনটা ভাবতে পারত না।

মক্কা বিজয়ের পরে মক্কার মুশরিকগণ যখন ইসলাম গ্রহণ করতে শুরু করল, এই নূতন ধর্মে কি করা যাবে আর কি করা যাবে না, এই ঘোষণা রাসূল (সাঃ) যখন জানিয়ে দিচ্ছিলেন তখন এই প্রসঙ্গটি এসে যায়। ‘ইসলাম গ্রহণ করলে ‘ বিবাহ- বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক করা যাবে না’ এই প্রসঙ্গে এই নও মুসলিমদের একজন মহিলা, যার নাম ‘হিন্দা- ( হ্যাঁ, ইনি আবু সুফিয়ানের স্ত্রী, মুয়াবিয়ার মাতা, হামজা (রাঃ) কলিজা চর্বণকারী হিসেবে যিনি পরিচিতা ), তার চরম ঘৃণা প্রকাশ করলেন! এমন (নোংরা) কর্ম একজন স্বাধীন মহিলা কিভাবে কল্পনা করতে পারে? তিনি বলে উঠলেন।

আর ইসলাম তো তা হারাম করেছে, এবং এর জন্য ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট এর আদেশ দিয়েছেঃ শরীরের অর্ধেক মাটিতে পুঁতে, পাথর ছুঁড়ে হত্যা! এমন কি খুনের শাস্তিও এত ভয়াবহ নয়!

এই শাস্তির কথা শুনলে পশ্চিমা সভ্যতা আপাতঃভয়ে শিহরিত হয়, বলেঃ কি নৃশংস! অথচ অনেক পশ্চিমা দেশের সংবিধানে – যে অপকর্মের জন্য এই শাস্তির বিধান, সেই কর্ম এমনকি ‘অপরাধের পর্যায়েও পরে না। ক্রাইম নয়! কন্সেন্সুয়াল সেক্স- সেদেশে বৈধ! বাস্টার্ড বা জারজ সন্তান এখন কোন ‘আইনী পরিভাষা নয়! (হয়তো জারজ সন্তানের সংখ্যাধিক্য এটার কারণ) বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়, আমরাও বলি অনেক সময় লঘু পাপে গুরু দন্ড, আর এক্ষেত্রে – তাদের আইনে অবৈধ যৌন সম্পর্ক তো কোন পাপই নয়! প্রকাশ্যে পাথর ছুঁড়ে মারা তাদের কাছে ‘নৃশংস তো মনে হবেই। কিন্তু সমস্যা হল, এশিয়ানদের মধ্যেও কিছু ‘পশ্চিমা সেবা দাস’ তৈরি হয়েছে, যারা পশ্চিমাদের মতই ঐ অপকর্মের শাস্তিকে নৃশংস ভাবছে! আমাদের নূতন প্রজন্ম বাস করছে এক দ্বিত্ব – মানসিকতা নিয়ে,হয়তো পারিবারিক শিক্ষা ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ ব্রেন বলছে - মূল্যবোধ, আর শরীর বলছে- প্রয়োজন!

আমি বলি না কালের বিবর্তনে এটা ঘটছে। বলি, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কারনে এটা ঘটছে। আমাদের সমাজে যে প্রচলিত মূল্যবোধ, বর্তমানে সিনেমা হলে আর টিভিতে প্রচারিত ও ‘সরাসরি প্রদর্শিত’ পশ্চিমা মূল্যবোধ- এর মধ্য থেকে, আমাদের দেশের কচি কাঁচা কিম্বা তরুণ তরুণীরা কোনটাকে ‘আদর্শ বলে গ্রহণ করবে? চোখে দেখা বিষয়, বর্ণিত বিষয়ের চেয়ে মস্তিস্কে অনেক বেশী প্রভাব রাখে! একবার যেটা আপনি চোখ দিয়ে দেখেন, হাজার বার মুখে বলেও তার সমান ‘তীব্র প্রভাব রাখা যায় না। কাজেই এশিয়ান মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা প্রদর্শনীর কাছে! সেক্স এর মত আকর্ষণ আর প্রলোভন –সর্বদা চোখের সামনে দেখা, আগুন আর ঘি এর পাশাপাশি থাকা- ঘি গলতে সময় লাগছে না । আর এই রিপুর আগ্রাসন সবচাইতে শক্তিশালী আগ্রাসন বলে বিবেচিত হচ্ছে, যা অন্যান্য প্রচলিত মূল্যবোধকেও ধুয়ে মুছে নিয়ে যাবে, যদি না আমরা সামগ্রিক ভাবে তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হই।



বিষয়: বিবিধ

২৫৭৮ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

318765
০৮ মে ২০১৫ রাত ১২:১৬
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!

চোখের সামনে এত ‘প্রলোভন, এর উপরে ‘নেট এর কল্যাণে যদি ‘আধুনিকা কারো সাথে সে ধরনের যোগাযোগ হয়ে যায় – পা পিছলানোর এত ‘আড়ম্বর চারপাশে, পিছলে যেতে সময় লাগে না। সহমত!

বিজ্ঞাপন গুলোতে মেয়েদের যেভাবে পরিবেশন করা হয় ছোট খাট কাপড় বা অর্ধেক আছে -নাই অথচ ছেলেদের কিন্তু পুরো পোষাকেই পরিবেশন করানো হয়!

মূল্যবোধ আর প্রয়োজনের সীমারেখা শরীয়তের বাউন্ডারী দিয়ে ঘিরে দিতে হবে! চোখের সামনে অশ্লীলতা থাকলে চোখ সেদিকে তাকায় সুতরাং প্রথমেই ব্যক্তিগত ভাবে বেঁচে থাকা জরুরি!পাশ্চাত্যের নোংরামীর অন্ধ অনুসর থেকে সামগ্রিকভাবে বেড়িয়ে আসা উচিত!

চমৎকার লিখাটির জন্য একরাশ শুভেচ্ছা ও শুকরিয়া গ্রহন করুন!
১২ মে ২০১৫ সকাল ০৭:০৯
260617
মহুয়া লিখেছেন : অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে! আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই হয়তো ‘ভ্রষ্ট পথ’ চিনতে এবং সতর্ক হতে মানুষকে সাহায্য করবে এই হোক আজকের প্রত্যাশা!
318775
০৮ মে ২০১৫ রাত ১২:৫৮
আবু জান্নাত লিখেছেন : চোখে দেখা বিষয়, বর্ণিত বিষয়ের চেয়ে মস্তিস্কে অনেক বেশী প্রভাব রাখে! একবার যেটা আপনি চোখ দিয়ে দেখেন, হাজার বার মুখে বলেও তার সমান ‘তীব্র প্রভাব রাখা যায় না। কাজেই এশিয়ান মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা প্রদর্শনীর কাছে! সেক্স এর মত আকর্ষণ আর প্রলোভন –সর্বদা চোখের সামনে দেখা, আগুন আর ঘি এর পাশাপাশি থাকা- ঘি গলতে সময় লাগছে না ।
চমৎকার উপমা দিয়ে লিখাটিকে দারুন সাজিয়েছেন, অনেক ধন্যবাদ।
১২ মে ২০১৫ সকাল ০৭:১৩
260619
মহুয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে! ব্রেনে ‘ছাপ ফেলতে শ্রবণেন্দ্রিয়ের চাইতে দর্শনেন্দ্রিয়ের প্রভাব বেশী, এটা ফ্যাক্ট!
318780
০৮ মে ২০১৫ রাত ০২:৫০
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : দোষ কিন্তু মেয়েদের বেশি!!! মেয়েরা সমান অধিকার আদায়ের দোহাই দিয়ে নিজেদেরকে বানিয়েছে পণ্য....!

পণ্য যেকোনো ভাবে বিজ্ঞাপনে পরিণত হবেই। সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরী।
১২ মে ২০১৫ সকাল ০৭:২২
260620
মহুয়া লিখেছেন :
ধন্যবাদ আপনাকে!
সব কিছুর পেছনে তো ‘মালকড়ি ! সুবচন নির্বাসনে যায়, মাল কড়ি’র ব্যাপার থাকলে! তসলিমা নাসরিনের মত ‘পয়সা ছাড়াই 'ন্যাংটামী করার মত মেয়ে খুব বেশী নেই এ সংসারে!
পয়সার কাছে বিবেক বিক্রি করা যাবে না, এই মানবিক মূল্যবোধ গুলো শুধু ধর্মীয় বিধি নিষেধ মেনে চলার কারনেই টিকে থাকে! সমস্যা হল, ঐ সকল অপকর্মের প্রধান পৃষ্টপোষক বা সমর্থক কিন্তু মেয়েরা নয়, মেয়েরা সাধারণত ‘দাবার ঘুঁটি ।
318786
০৮ মে ২০১৫ রাত ০৩:২৬
নীলাঞ্জনা লিখেছেন : ইসলামে লিভটুগেদার নেই কে বলেছে? পবিত্র কোরাণ শরীফে আল্লাহতাআলা বারবার দাসীদের সাথে বিয়ে বহিঃভুত যৌনতাকে উৎসাহিত করেছেন, অতিরস্কারযোগ্য করেছেন। এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব নবী মোহাম্মদ সেই কাজটিই করেছেন।

তবে, আপনার দীর্ঘ পোষ্ট পড়ে বুঝা গেল পশ্চিমা সংস্কৃতির দপটে আল্লাপাকের ইসলামী মুল্যবোধ মাইনকা চিপায় আটকে গেছে। তো আপনি পেরেশান হয়ে কি করবেন! আল্লাপাক যদি নমরুদ/ফেরাউনের মত পশ্চিমাদের F-16 বোমারু বিমান মোকাবেলা করার শক্তি/সামর্থ দেখাতে পারেন তবেই রক্ষা। ধন্যবাদ।
০৮ মে ২০১৫ রাত ০৪:০৪
259988
রক্তলাল লিখেছেন : ফাগলের ফাগলামি আবার বাড়ি গেছে। গরমের মওসুম চলে আসছে। ফাগলি ও হাজির।

দুঃখ হইল তুই মইরা জৈব সার হইয়া যাইবি কিন্তুক এই আধুনিক যুগের ও ভবিষ্যৎ যুগের মানুষ ধর্ম আল্লাহ বিল্লা করবে।

তুই তোর মনের জ্বালা নিয়া কষ্ট পাইতে থাক। তোর মনে আল্লাহ জাহান্নামের আগুন জালাইয়া রাইখা দিছে।


১২ মে ২০১৫ সকাল ০৭:২৯
260622
মহুয়া লিখেছেন : এই ব্লগের কোন এক লেখায়, ফুয়াদ পাশার মন্তব্যে সাড়া দিতে গিয়ে কোন বিদগ্ধ ব্লগার শিবপদ’র গল্প লিখেছিলেন। খুব দারুন একটা গল্প ! এই সব ‘শিবপদ’ টাইপের মন্তব্যে ঐ গল্পের তূলনা নেই!
শিবপদদেরকে ধিক্কার ছাড়া কিছু দেয়ার নেই!
১২ মে ২০১৫ সকাল ০৭:৩২
260623
মহুয়া লিখেছেন : এই ব্লগের কোন এক লেখায় ফুয়াদ পাশার মন্তব্যে সাড়া দিতে গিয়ে কোন বিদগ্ধ ব্লগার শিবপদ’র গল্প লিখেছিলেন। খুব দারুন একটা গল্প ! এই সব ‘শিবপদ’ টাইপের মন্তব্যে ঐ গল্পের তূলনা নেই!
এ সংসারে শিবপদ থাকবেই! আর শিবপদদেরকে-?? ধিক্কার ছাড়া কিছু দেয়ার নেই!
318789
০৮ মে ২০১৫ রাত ০৪:০৫
রক্তলাল লিখেছেন : নাংগা ছবি না দিলে পোস্ট এর মাজেজা কি বুঝা যাইত না?

০৮ মে ২০১৫ রাত ০৪:৩৪
259991
নীলাঞ্জনা লিখেছেন : সিন্দাবাদ রক্ষসের ভয়/ভিতি দেখিয়ে ২১ শতকে বিশ্বাস আদায় করার ঘ্যান ঘ্যানানি কামে আসবে না @ বাইজান।
০৮ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০২
260073
রক্তলাল লিখেছেন : @নীল ঢঙ্গিনা: তুই তোর ফাগলাখানায় যা। ফাগলি কুনহানের।
318824
০৮ মে ২০১৫ সকাল ১১:৩৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : শিক্ষয়িন ও গুরুত্বপুর্ন পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
পশ্চিমা সব কিছুই আমাদের থেকে সেরা। এই হিনমন্যতাবোধ থেকে আমরা মুক্ত হতে না পাড়লে এই অবস্থা চলবেই। নারিদের পন্য করাই তাদের স্বাধিনতা। এই মিথ্যা থেকে বের হওয়া অতি জরুরি।
১২ মে ২০১৫ সকাল ০৭:৩৩
260624
মহুয়া লিখেছেন : অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে!
318825
০৮ মে ২০১৫ সকাল ১১:৪২
হতভাগা লিখেছেন :


এই কালচারও রপ্ত করতে হবে সামনে
318938
০৯ মে ২০১৫ রাত ০১:৪৪
আফরা লিখেছেন : খুব ভাল লেখা ধন্যবাদ আপু ।
১২ মে ২০১৫ সকাল ০৭:৩৪
260625
মহুয়া লিখেছেন : অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকেও আফরা!
318995
০৯ মে ২০১৫ সকাল ১০:৫৯
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : প্রকৃত মানুষ হওযার জন্য সুস্থ বিবেকের বিকল্প নেই। তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে স্যাটেলাইট চ্যানেলের মাধ্যমে দেখা যায়না এমন বিষয় খুব কম আছে বলে মনে হয়। উন্মুক্ত আকাশ সংস্কৃতির কল্যাণে ভিনদেশি ঐতিহ্য, আচার ব্যবহার, পোশাক, ধর্ম সব কিছুতেই প্রভাব ফেলছে। বাস্তবেও দেখছি নারী কে ব্যবহার করা হচ্ছে সরাসরি পণ্য হিসেবে অথবা এমনভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে যা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা। এজন্য নারীরা বেশী দায়ী ।মানবিক দিক থেকে এসব বিজ্ঞাপন মানুষকে ভোগবাদী করে তোলে। আত্মিক সংযম ও শক্তি কে নষ্ট করে ভোগের প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করে। এই আগ্রাসন রোধে আপনার লিখিত সমাধান ছাড়া বিকল্প নেই । ধন্যবাদ আপনাকে
১০
319511
১২ মে ২০১৫ সকাল ০৭:৩৫
মহুয়া লিখেছেন : অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে!
ভালো লাগলো আপনার সমর্থন ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File