গণজাগরণ মঞ্চ কার বিচার চায়? জামায়াতে ইসলামীর না যুদ্ধাপরাধীর..নে পথ্যে কি ছিল ??

লিখেছেন লিখেছেন ব্লগার শঙ্খচিল ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১১:২৫:১০ রাত



বিচার মানেই ফঁাসি দিতে হবে । সে যে পর্যায়ের অপরাধীই হোক না কেন । প্রবাদ বাক্য তালগাছের বিচারের মতই যেন এই চাওয়া গনজাগরণ মঞ্চের ! কিন্তু যখন বিচার , বিচারের রায়ে তাদের উল্লাস, মিষ্টি মুখ, কিংবা তরুন প্রজন্মের একটা অংশকে নিয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দখল করে দীর্ঘ দিন বিরানী ভোজের মহড়া, তাবু টাঙ্গিয়ে রাত ভর নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, স্বাধীনতার ঐতিহসিক পবিত্র স্থান রেসকোর্স (সোহরাওয়ার্দি উদ্দ্যান) ময়দানে প্রতিটা গাছের গোড়ায় একটি ছেলের কোলে একটি মেয়েকে বসিয়ে অপবিত্র করার নৈতিক স্খলন , সিটি কর্পোরেশনের মোবাইল টয়লেট গুলোতে কনডমের ছড়াছড়ি আর এসব অনৈতিক ভিডিও ধারণকারী সিসি ক্যামেরা ম্যানের রহস্যজনক মৃত্যু । এর পরে সেই মঞ্চে থেকে আল্লাহ, রাসুল, ইসলাম, মসজিদ, মাদ্রাসা নিয়ে বিদ্রুপ কারীদের অবস্থান দেয়াকে কেন্দ্র করে হেফাজতের উত্থান শত মাইল পায়ে হেটে চিরা মুড়ি গুর সাথে নিয়ে এসে দেখিয়ে দিয়ে গেছে গণজাগরণ কাকে বলে । হঠাৎই ছন্দ পতন ।গণজাগরণ মঞ্চ ফানুষ ।

সত্য বলতে কি কোন আন্দোলন সংগ্রাম যে সরকারের সহযোগীতায় হয় তা বাংলাদেশে না হলে প্থিবীর কেউ জানতোই না । এটাও একটা সফলতা বৈকি । আমরা যুগে যুগে পৃথিবীর আনাচে কানাচের বিপ্লবীদের ইতিহাস জানি । যানি তাদের সংগ্রাম মুখর জীবন । রাত দিন না খেয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলা । কিন্তু পাঁচ তারকা হোটেলের এসি রুমে বসে বিরানীর প্যাকেট নিত্য নতুন পাঞ্জাবী আর একটি বিশেষ দেশের প্রত্যক্ষ অর্থায়নে সংঘটিত আন্দোলনের প্রকৃত উদ্দেশ্য বুঝতে বেশী দেরী করেনি জাতী । যার কারনে সে আন্দোলনে ভাটার টান পড়তেও সময় নেয়নি ।

শিরোনামের লেখায় আশি, জামায়াতে ইসলামীর বিচার নিয়ে গনজাগরণ মঞ্চের আসল উদ্দেশ্য কি ? কারা তাদের অর্থায়ন করছে ,কেন করছে , স্বাধীনতার ৪৫ বছরে যাদের নামে একটা মামলা হল না, কোন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা যাদের বিরুদ্ধ শাক্ষ দিলনা, যারা স্বাধীন বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে হসেবে (দুর্ণীতিতে নির্দোষ) ঘোষিত হল । তাদের বিরুদ্ধে কারা তাদের লেলিয়ে দিল ।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে মোট ২৪ টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয় । প্রাদেশিক সেই নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্য ২৮৮ আসনে জয় লাভ করে । জামায়াতে ইসলামী পায় মাত্র একটি আসন । মোট ভোটে জামায়াতের ভোট পরে মাত্র ১% । জামায়াতে ইসলাম পশ্চিম পাকিস্তানে পায় তিন টি আসন দুই পাকিস্তানের মোট ভোটে হয় ৬.০% আসন সংখ্যা ৪ । প্রাদেশিক নির্বাচনে আ.লীগের একক সংখাগরিষ্টাতাকে কেন্দ্র করে শামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান তালবাহানা করে আ.লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে । আর ২৪ টি রাজনৈতিক দলের সবাই চাচ্ছিল শামরিক শাসকের পতন হোক । কিন্তু এত বিপুল ভাবে একটি দল ক্ষমতা পেয়ে যাবে এটা মানতে পারেনি তৎ কালিন শাসকরা । ক্ষমতা হস্তান্তরের এই তালবাহানায় কেটে যায় একটি বছর । । বঙ্গবন্ধু যখন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে অধির অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন ৭ কোটি বাঙ্গলীকে নিয়ে , সে সময় পাক স্বৈরশাসক ব্যস্ত ঘৃন্য নেশায় । বঙ্গবন্ধু ২৫ শে মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করেন পূর্ব পাকিস্তানের ক্ষমতা তার হাতে বুঝিয়ে দেয়ার ব্যাপারে । জামায়াতে ইসলামী সহ অন্যান্ন রাজনৈতিক দলগুলোও একি দাবিতে অনর থাকে । লম্বা ইতিহাস এখানে টানছিনা……….

প্রশ্ন হল যে জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্তাধীন আ.লীগের হাতে পূর্ব পাকিস্তানের ক্ষমতা হস্তান্তরের পক্ষে ছিল সেই রাজনৈতিক দল কি ভাবে স্বাধীনতা বিরোধী দলের তকমা নিজেদের গায়ে লেপন করলেন ?

২৫ শে মার্চ ঢাকাতে আচমকা গনহত্যা শুরু করলে দৃশ্য পট পাল্টে জায় গোটা পূর্ব পাকিস্তানের । সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ দেশ ভাগের জন্য আন্দোলন শুরু করে হাতে অস্র তুলে নেয় ।

১৯৪ বছর বৃটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোল সংগ্রাম করে যে দেশ স্বাধীন হল তা মাত্র ২৪ বছরে ভেঙ্গে গিয়ে ভারতের খবরদারীতে পরবে তা মানতে পারেনি ইসলাম প্রিয় মানুষ । কারন ১৯০৫ সালে তারা বঙ্গভঙ্গ রদের সময় ভারত তথা হিন্দুদের দ্বারা যে বিশ্বাসঘাতকতার তিক্ত অভিঙ্গতা অর্জন করেছিল । পাকিস্তান ভেং্গে গেলে আবার কোন বিপদে ফেলবে তা ভেবে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না । আওয়ামী মুসলীম লীগ নেজামে ইসলাম, জমায়াতে ইসলাম সহ বাকি ২৩ টি দল । পাকিস্তান যাতে এক থাকে সে চেস্টা করেন দল গুলো ।

দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে দেশ স্বাধীন হয় । জামায়াতে ইসলামী দুটি দেশে আলাদা নেতৃত্ব গঠন করে । পূর্ব পাকিস্তানের ১% জামায়াতে ইসলামী এ দেশে তাদের নতুন করে সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করেন । ১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার মুলনীতি কে ধুলোয় মিটিয়ে একটি মাত্র দল রেখে চারটি সরকার দলীয় পত্রিকা রেখে বাকি সব দল এবং পত্রিকা নিষিদ্ধ করেন । বাকশালের সময় জামায়াতে ইসলাম তার নাম ইসলামী ডেমোক্রেটিক পার্টী নামে পরিচালনা করতে থাকেন ।

ওই বছরেরই ১৫ আগস্ট বিপদগামী সেনাদের হাতে স্বপরিবারে নিহত তিনি । এর পরে সেনাবাহীনির মধ্য ব্যাপক উথান পতনের মাধ্যমে ১৯৭৭ সালের ২১শে এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন জেনারেল জিয়াউর রহমান । তার হাত ধরে আবার দেশে রাজনৈতিক দল গুলো প্রকাশ্যে আসে । বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ভারত থেকে দেশেনিয়ে আসেন । বিলুপ্ত আ.লীগকে নতুন করে বাকশালের নাম বদলে দল পরিচালনা করার সুজুগ করে দেন জেনারেল জিয়া । ওই একই সময় আ.লীগ জামায়াত সহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্ন দল ও কিছু নতুন দল নিয়ে জেনারেল জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের রাজনীতির সূচনা করেন ।

ইসলামী ডেমোক্রেটিক লীগ নাম থেকে আবার জামায়াত ইসলামীতে ফিরে আসে দলটি । আদর্শ এবং ভালবাসায় জামায়াতে ইসলাম এদেশের মানুষের আস্থা অর্জন করতে থাকে । আ.লীগ বিএনপির সাথে এক সাথে শৈরাচার বিরোধী আন্দোলেনের মাধ্যমে জামায়াত ইসলাম শক্ত রাজনৈতিক ভিত অর্জন করে । নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে দলটি যখন ২০০৪ সালে দেশের রাজনীতে এবং অর্থনীতিতে অন্য রকম শক্তি হিসেবে আবির্ভুত হয় এবং জাতীওতাবাদি দলের সাথ একত্রিত হয় তখন থেকেই দেশীয় , পার্শবর্তি এবং আন্তর্যাতিক ষড়যন্ত্রের টার্গেটে পরিণত হয় দলটি ।

তারই ধারাবাহিকতায় অবৈধভাবে ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা দলটি নানা ভাবে রাজনীতির ময়দানে এক মাত্র প্রতিপক্ষ দলটির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিতে ২০১০ সালে গঠন করা হয় বহুল বিতর্কীত একটি ট্রাইবুনাল । স্কাইপি কেলেংকারী, শাক্ষী গুম, খুন ৭৫ এ জন্মনেয়া শিশু ৭১ এর প্রত্যক্ষ দর্শী! হিসেবে শাক্ষ দিতে গিয়ে ধরা খেয়েও যখন কোন ভাবেই সুবিধা করতে পারছিল না । আদালতে অভিযোগ প্রমান করতে ব্যার্থতার পরিচয় দ্চ্ছিল তখন শাহবাগে বিরানী ছিটিয়ে কিছু কাক বসিয়ে দিয়ে বিচার মানিনা ফাঁিসি চাই স্লোগান ধরিয়ে দেয়া হয় ।

আজকের লেখার বিষয় ছিল “গণজাগরণ মঞ্চ কার বিচার চায়? জামায়াতে ইসলামীর না যুদ্ধাপরাধীর..” শাহবাগের এই প্রজন্ম যদি যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই তো তা হলে প্রথম দাবী আসতো পাকিস্তানি হানাদারদের যাদের কে সিমলা চুক্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধ ছেড়ে দিয়েছিল । তার পরে ওই সময়ের শান্তি কমিটির প্রধান শান্তি কমিটির অন্যান্ন সহযোগীদের । কিন্তু আমরা দেখলাম ১৪০ সদস্য বিশিষ্ট শান্তি কমিটির ৪৩ তম সদস্যকে বাংলাদেশের ইতিহাসের এক নাম্বার নরঘাতক হিসেবে উপস্থাপন করা হল (কিন্তু সে কোথায় কি ভাবে কাকে হত্যা করেছে তার কোন প্রমান পর্যন্ত উপস্থাপন করতে পারলো না , প্রসিকিউটর ।) শুধু মাত্র রাজনৈতিক প্রভাবশালী হওয়ার কারনে । তা হলে প্রথম ৪২ জন কি কোন অন্যায় করেনি । তাদের নাম কেন একবারও সামনে নিয়ে আসলোনা তথাকথিত এই মঞ্চ??

কিন্তু তারা নতুন প্রজন্মের আবেগ কে পুজি করে এক ঘৃন্য খেলায় মেতে উঠে । দীর্ঘদীন কোন ফ্লর না পাওয়া অতি বাম, নাস্তিকদের একত্রিত করে একটি মঞ্চ তৈরি করে । প্রকাশ্য শাহবাগে ভারতীয় দুতাবাসের কর্মকর্তাদের আনাগোনা বাড়তে থাকে । তাদের চোখে তখন সিকিমের স্বপ্ন উকি মারছে । লেন্দুপ দর্জিরা মঞ্চ মাতাচ্ছে ।

প্রথম শুরু হয় কাদের মোল্লার রায়কে ঘিরে । সেই কাদের মোল্লা যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থের সেরা মেধাবী ছাত্র ছিলেন । এক সময় বাম রাজনীতির (নাহিদ-মতিয়ার) সাথে রাজনীতি করেছেন । মুক্তিযু্দ্ধের পরে ঢাবি ক্যাম্পাসের মধ্যে উদয়ন স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন । বঙ্গবন্ধুর সুপারিশে ইসলামী ফাউন্ডেশনের দায়ীত্ব পালন করেছেন । বাম ঘরানার সেই লোকটিই যখন জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিলেন গনেষ তখনো উল্টেনি , গনেষ উল্টে গেল তখন যখন তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা নির্বাচিত হলেন ।

এর পরের ইতিহাস খুবই লজ্জাজনক । একের পর এক জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে হত্যা করা হয় সময়ের স্রেষ্ঠ সন্তান দের । আর উলঙ্গ উল্লাসে মেতে উঠে কিছু বন্য । লোক দেখানোর জন্য কিছু কিছু এলাকা থেকে নাম আসে যুদ্ধাপরাধীর তাদেরও রায় হয় যদিও তাদের ফাঁসি কার্যকর হয়নি কারোই । এ সব রায় বা কার্যকর নিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের কোন মিছিল মিটিং পিকেটিং কেউ দেখেনি কখনোই । এ ১৯ জনের রায় হয়েছে এ পর্যন্ত । এমনকি সেদিন ননি তাহেরের ফাসিঁর রায় হল শাহবাগে কেউ ছিল না , ছিলনা একটা বক্তব্যও ! তা হলে প্রশ্ন দাড়ায় এরা কি তা হলে জামায়াতের বিচার চায় না যুদ্ধাপরাধীর ???

মুসলীম লীগের নাম কেন আসে না এখানে, কেন নেজামে ইসলাম, রাজা ত্রিবিদ চাকমা , কমিনিষ্টদের একটা অংশ যারা সরাসরি বাংলাদেশের বিরোধীতা করেছেন কেন আসেনা আ.লীগের সাথে থাকা প্রত্যক্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য কোন ঘোষণা ????

ত্রিশ লাখ মানুষ হত্যা করেছে কি মাত্র এই দশ বারো জন লোকে??

ইতিহাসে গ্যালিলিওকে হ্যামলক বিষ দিয়ে যারা হত্যা করেছে বিচারিক প্রকৃয়ার মাধ্যমে সেই সব শাসকদের কিন্তু ইতিহাস ক্ষমা করেনি । ইতিহাস গ্যালিলীয়কে ঠিক ই মুল্যায়ন করেছে । বাংলাদেশেও যাদরে কে বিচারের নামে জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে হত্যা করা হচ্ছে ইতিহাস তাদেরও ক্ষমা করবে না………………………

তথ্য সুত্র: উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া, বিভিন্ন পত্রিকা

বিষয়: বিবিধ

২৭৮৪ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

359160
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১২:০৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
তারা আসলে ইসলামেরই উচ্ছেদ চায়!
359170
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০২:২৭
আকবার১ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
359178
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৫:৪৬
শেখের পোলা লিখেছেন : ইতিহাস অবশ্যই মীর জাফর, নমরুদ ফেরাউনের মত এদেরও অমর করে রাখবে ভবিষ্যত প্রজন্মকে শিক্ষা দেবার জন্য৷ধন্যবাদ৷
359181
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৬:৪৭
অপি বাইদান লিখেছেন : এক রাতেই পুলিশের ঠেংগানিতে ৩০,০০০/= হেফাজতী মুমিন মরে ভুত হয়ে গেল এবং একদিন পর সব ঠান্ডা। এই নাকি হেফাজতী গনজাগরণ??
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৫:৪৯
297863
ব্লগার শঙ্খচিল লিখেছেন : কারা ঠান্ডা হয়ে গেছে তা আপনি প্রবাসে থেকে বুঝতে না পারলেও দেশের মানুষ জানে..........।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File