ইসলামী আইন ও নারী অধিকার- ২
লিখেছেন লিখেছেন ভিনদেশী ১৫ অক্টোবর, ২০১৪, ১০:২৯:০১ সকাল
কোরআন ও হাদীসের দেওয়া আইনগত অধিকার প্রয়োগ করে মুসলিম নারীরা যুগে-যুগে জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা-দিক্ষা ও সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ সমাজের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে যে অবদান রেখে গেছেন অনেক ক্ষেত্রে পুরুষরাও অনুরূপ অবদান রাখতে সক্ষম হয় নি।
উদাহরণ হিসেবে কিছু পূণ্যবতী নারীর নাম উল্লেখ করা যায়। যেমন- হযরত খাদীজা রা.; প্রথম ইসলাম গ্রহনকারী। হযরত সুমাইয়্যা রা.; ইসলামের ইতিহাসে প্রথম শহীদ। হযরত রুকাইয়্যা রা.; প্রথম দ্বীনের পথে হিজরতকারী। হযরত ফাতিমা রা.; নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তি।
শিক্ষার অধিকার: পর্দা বিধান রক্ষা করে একজন নারীর যে কোন স্তরের শিক্ষার্জনের অধিকার রয়েছে। তাই দেখা যায় জ্ঞান-বিজ্ঞানে উৎকর্ষতার কারণে বহু মুসলিম নারীর নাম ইতিহাসের পাতায় আজো উজ্জ্বল হয়ে আছে। যেমন-
কারীমা আল মারওয়াজিয়্যাহ (মৃত্যু: ৪৬৩ হিজরী):তিনি ছিলেন সহীহ বুখারী শরীফের অন্যতম বর্ণনাকারী। বরং তার পান্ডুলিপিটাকে সবচে প্রমাণ্য পান্ডুলিপি হিসেবে ধরা হয়। তার কাছে হাদীস অধ্যায়ন করে ধন্য হয়েছেন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিক খতীব আবু বরক বাগদাদী (মৃত্যু: ৪৬৩ হিজরী) ও ইমাম আবূল হাইছাম সামআনী (মৃত্যু: ৪৮৯ হিজরী) –এর মতো যুগশ্রেষ্ট জ্ঞানীরা।
ফাতিমা আহমাদ (মৃত্যু: ৮৪০ হিজরী):তিনি ছিলেন প্রসিদ্ধ আইনবিদ আহমাদ বিন ইয়াহিয়ার কন্যা। তার বাবা ইসলামী আইনশাস্ত্রের একজন বড় পন্ডিত হওয়া সত্তেও বহু আইনি বিষয়ে তার সাঙ্গে পরাশর্ত করতেন এবং বলতেন- ‘‘ফাতিমা বিভিন্ন জটিল সমস্যার নিজ থেকে সমাদান দেওয়ায় পারদর্শী’’।
আরবী কাব্যপ্রেমীদের মধ্যে খুবই প্রসিদ্ধ একটি নাম ওল্লাদাহ আল মুসতাক্ফী (৯৯৮-১০৯১খৃষ্টাব্দ)। তার বাবা ছিলেন মুসলিম স্পেনের অন্যতম শাসক মুসতাক্ফী বিল্লাহ। তার কবিতা পড়ে মুহিত হয় না এমন কাব্যপ্রেমী পাওয়া মুশকিল।
মুসলিম ইতিহাসের আরেক জ্ঞানী নারীর নাম দাহমাহ্ আহমাদ (মৃত্যু: ৮৩৭ হিজরী)। তিনি ছিলেন একাধারে একজন কবি, দার্শনিক ও জ্যোর্তিবিদ। এমন আরো বহু জ্ঞানী-গুণী নারীরা মুসলিম সভ্যতায় তাদের অবদানের জন্য আজও নির্মল হয়ে আছেন।
#চলবে ইনশা আল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
১৬১৭ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অস্বীকার করার উপায় নেই ইতিহাসের পাতায় ছিটেফোটা কিছু বিখ্যাত মুসলিম নারীর নাম রয়েছে বৈকি।
তো, ইসলামের কারনেই যদি ঐ নারী'রা বিখ্যাত হয়ে থাকেন তাহলে অন্য ধর্মের সাথে তুলনা মুলক বিচারে ইসলামের নারীরা এখনো অতল অন্ধকারে ডুবে আছে। এখন আমি যদি অন্য ধর্মের মহিলা কবি, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, সমাজপতী, রাজনীতিবীদ, মহাকাশচারী........র তালিকায় একটু টোকা দেই তাহলে আপনার ইসলামের চুনোপুটি খড়কূটোর মত ভেসে যাবে। শুধুশুধু অচল, অযোগ্য, পশ্চাদপদ ইসলামের মিথ্যা অহমিকা দেখিয়ে কি লাভ বলুন??
আর একটি কথা, আমি কিন্তু এখনো পূর্বের পোস্টে করা আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর পাই নি!
রূপবান, লিটু্যারা ইত্যাদির নতুন নিক "বন্যা ইসলাম"
সেই কুতসিত ভাষা ও স্বভাব...
মডারেশন টীমকে আরো সচেতন হওয়া দরকার
জাযাকাল্লাহ.. দোয়া করি
ধন্যবাদ আবু সাইফ ভাইয়া। তবে আমার মনে হয়। মার্জিত ভাষা ও স্বচ্ছ চিন্তা-ভাবনা নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা যায়। ইসলাম আলোচনা-সমালোচনাকে ভয় পায় না। কিন্তু সমস্যা হলো ভাষা প্রয়োগ ও চিন্তার পরিপক্ষতা। আল্লাহ তা'য়ালা সবাইকে হিদায়াত দান করুন। আমীন।
কিন্তু বছরাধিককাল চেষ্টা করে এ সিদ্ধান্তে আসতে হয়েছে যে, ওরা এমন মন্দ কাজের জন্য বেতনভূক অথবা নেশাগ্রস্ত
আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন
মন্তব্য করতে লগইন করুন