বাবরী মসজিদ ধ্বংসকারী ( বলবীর সিং) নওমুসলিম আমিরকে সংবর্ধনা
লিখেছেন লিখেছেন জেএফটি ইসলাম ২৯ এপ্রিল, ২০১৪, ১০:০২:২৮ সকাল
ভারতের বাবরী মসজিদ ধ্বংসকারী সাবেক শিবসেনা নওমুসলীম মাষ্টার মুহাম্মদ আমেরকে (আগের নাম বলবীর সিং) খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের পক্ষ থেকে আজ বিকালে মহানগরীর শিববাড়ি মোড়ে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
এ সময় ধর্মীয় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের নওমুসলীম মাষ্টার মুহাম্মদ আমের। বক্তৃতা করেন মুফতি গোলাম রহমান, মাওলানা রফিকুর রহমান, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা আসাদুল্লাহ, মাওলানা রহমাতুল্লাহ, মাওলানা গোলাম রহমান, মাওলানা নাসির উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা নাজমুস সউদ, মুফতি নুরুল আমিন প্রমুখ।
উৎসঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন
http://www.bd-pratidin.com/2014/04/28/2540
বিষয়: বিবিধ
২০৭৬ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যে হাত ভাঙ্গতে জানে সে হাত তো গড়তেও পারা কথা ।
"বাবরী মসজিদ ধ্বংসে অংশ গ্রহণকারী প্রত্যেক শিব সেনা, বজরং দলের সদস্যসহ সকল হিন্দু যদি এটা জানত যে, ইসলাম কী! মুসলমান কাকে বলে? কুরআনুল করীম কী? মসজিদ আসলে কোন বস্তুর নাম, তাহলে তাদের সকলেই মসজিদ নির্মাণের কথা ভাবতে পারত, মসজিদ ভাঙ্গার প্রশ্নই উঠতে পারতোনা। আমি আমার প্রবল প্রত্যয় থেকে বলছি, বালথ্যাকার, উইরে কুঠিয়ার যদি ইসলামের প্রকৃত সত্য ও মর্মবাণী জানতে পারে তাহলে তাদের প্রত্যেকেই নিজ খরচে বাবরী মসজিদ পূণর্বার নির্মাণ করাকে নিজেদের সৌভাগ্য ভাববে।আমার পিতা (কাঁদতে কাঁদতে) কি স্বভাবগতভাবে মুসলমান ছিলেন না? কিন্তু মুসলমানরা তাঁকে দাওয়াত না দেবার কারণে তিনি কুফরী অবস্থায় মারা গেছেন। আমার সঙ্গে, আমার পিতার সঙ্গে মুসলমানদের এ কত বড় জুলুম। এ কথা সত্যি যে, বাবরী মসজিদ যে শহীদ করেছে সেই আমার থেকে বড় জুলুমকারী জালিম আর কে হতে পারে? কিন্তু আমার চেয়েও বড় জালিম তো সেই সব মুসলমান যাদের দাওয়াতের ক্ষেত্রে অলসতা ও অবহেলার দরুন আমার এমন প্রিয় বাবা আজ দোযখে চলে গেছেন। মাওলানা সাহেব সত্য বলেছেন, আমরা যারা বাবরী মসজিদ শহীদ করেছি তারা না জানার কারণে এবং মুসলমানদের না চেনার দরুন এমন জুলুম করেছি। আমরা অজানা ও অজ্ঞতার দরুন এ ধরনের জুলুম করেছি এবং মুসলমানেরা জেনে বুঝে তাদের দোযখে যাবার উপলক্ষে পরিণত হচ্ছে। আমার পিতার কুফরী অবস্থায় মারা যাবার কথা যখন রাত্রে মনে হয় হখন আমার ঘুম পালিয়ে যায়। সপ্তাহের পর সপ্তাহ আমার ঘুম আসে না। ঘুম আনবার জন্য আমাকে ঘুমের বড়ি খেতে হয়। হায়! মুসলমানদের যদি এই ব্যথার অনুভূতি হতো!"
-- কথাগুলি বলেছেন বাবরী মসজিদ ধ্বংসযজ্ঞে প্রথম কোদাল চালনাকারী যুব শিবসেনার পানিপথ শাখার সহ-সভাপতি বলবীর সিং।বলবীর ১৯৯৩ সালের ২৫ জুন বাদ যোহর ইসলাম গ্রহণ করে। তার নাম রাখা হয় মুহাম্মাদ আমের। পরে তার স্ত্রী ও মা মুসলমান হন।বাবরী মসজিদের ইটের উপর শত শত শিবসেনাকে দিয়ে প্রস্রাব করাতে মুখ্য ভূমিকা পালনকারী তার সহযোগী যোগীন্দর পালও ইসলাম গ্রহণ করে মুহাম্মাদ ওমর নাম ধারণ করেন।বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার কাফফারা স্বরূপ প্রতিবছর তারা ৬ ডিসেম্বর একটি করে বিরান মসজিদ আবাদ বা নির্মাণ করছে। ২০০৪ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত তারা ১৩টি বিরান ও অধিকৃত মসজিদ আবাদ করেছে।
পুরো সাক্ষাৎকারটি পাবেন এখানে-- http://deenilhaq.com/archives/2763
উনি তো দেখি উল্টো মুসলমানদেরকেই দোষারোপ করতেছেন !
উনার পিতার সময় কি ইসলাম ধর্ম ছিল না দুনিয়াতে ? উনার আশে পাশে কি কোন মুসলমানও ছিল না , মসজিদও ছিল না !
উনি কি হিন্দু হয়েছেন নিজে থেকে না কি কেউ এসে করে গ্রহন করিয়েছে যদি উনি স্বভাবগতভাবেই মুসলমান হয়ে থাকেন ?
বাংলাদেশের মত ভারতেও ওলিরা এসেছেন যুগে যুগে । কারও সংস্পর্শেও উনি/উনার বাবা আসেন নি ?
যেহেতু উনিই প্রথম কোদাল চালিয়েছিলেন , সেহেতু উনিই অন্যদের চেয়ে বেশী পাপের ভাগীদার ।
যে জোশ নিয়ে উনি বাবরি মসজিদ ভেঙ্গেছেন, মুসলমান হয়ে এখন কি তার সেই জোশ হবে সেই একই স্থানে আরেকটি মসজিদ নির্মান করার ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন